ঢাকা ১২:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ:-
মানুষের অসাধ্য কিছু নেই, মনোবল দৃঢ় থাকলে সফলতা আসবেই: জেলা প্রশাসক কুষ্টিয়ায় নিয়োগ পরীক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগে সিভিল সার্জন অফিসে তালা মাদক সনাক্তকারী কুকুর ‘মেঘলা’র ঘ্রাণে ধরা চোলাই মদের চালানসহ আটক-৪ না’গঞ্জ কেবল শিল্প ও ব্যবসার শহর নয়, এটি বাংলাদেশের অর্থনীতির হৃদস্পন্দন: মাসুদুজ্জামান উখিয়ায় র‍্যাব ও ডিজিএফআই’র যৌথ অভিযান: ১ লক্ষ ১২হাজার ইয়াবাসহ নারী আটক কেবল নয় ফলাফলমুখী শিক্ষা বিকশিত হোক মানবতার দীক্ষা’- জাহিদুল ইসলাম মিঞা ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে ফরিদপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা রাজধানীর মিরপুরে পোশাক কারখানায় ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১০ ইউনিট নরসিংদীতে যাত্রীবাহী বাসের সাথে অটোরিকশার সংর্ঘষে নিহত-৩ টেকনাফের পাহাড়ে কোস্ট গার্ডের অভিযান: নারী-শিশুসহ উদ্ধার-৪৪ টেকনাফে পুলিশের অভিযানে অপহৃত কিশোর উদ্ধার সেনা অভিযানে ৭ দিনে আগ্নেয়াস্ত্র,গোলাবারুদ ও মাদকদ্রব্যসহ গ্রেপ্তার-১৫১ আত্মসমর্পণ করা ১৫ সেনা কর্মকর্তারা নির্দোষ: আইনজীবী আড়াইহাজারে চাঞ্চল্যকর ইমন হত্যার দুই পলাতক আসামি পিবিআই’র জালে নারায়ণগঞ্জে সিকিউরিটি গার্ড হানিফ হত্যাকান্ডে জড়িত গ্রেপ্তার-৩, অধরা মূলহোতা অভি কুষ্টিয়ায় পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতি, আতঙ্কে এলাকাবাসী মৌলভীবাজারে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস পালিত নারায়ণগঞ্জে পালিত হলো জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস-২০২৫ অক্টোবরেই চূড়ান্ত হবে বিএনপির ২০০ প্রার্থীর ভাগ্য যেসব সেনা কর্মকর্তাদের কারাগারে পাঠানো হলো অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ফরিদপুরে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর বস্তাবন্দি অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার বড়লেখার বিএনপি নেতা হত্যা চেষ্টায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী কালাম কারাগারে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার টেকনাফে বিজিবির নৌ-অভিযান: ৪০ হাজার ইয়াবাসহ ৩ রোহিঙ্গা আটক টেকনাফের পাহাড়ে বিজিবির অভিযান: ছয় জিম্মি মুক্ত, অস্ত্র উদ্ধার গাইবান্ধায় ‘খাদ্যবান্ধব’ কর্মসূচিতে পচা চাল বিতরণ: ক্ষুব্ধ দরিদ্র মানুষের প্রতিবাদ না’গঞ্জ শহরজুড়ে বিএনপির এমপি মনোনয়ন প্রত্যাশী বাবুলের নির্বাচনী শোডাউন প্রতিবন্ধী শিশুদের মূখে হাসি ফোটাতে ফূল-চকলেট নিয়ে হাজির হলেন জেলা প্রশাসক নারায়ণগঞ্জে ফের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে অজ্ঞাত যুবকের উলঙ্গ লাশ উদ্ধার বলিউডের প্রখ্যাত কৌতুক অভিনেতা আসরানি মারা গেছেন নির্বাচিত সরকার ছাড়া ঋণের অর্থ দেবে না: আইএমএফ পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগে যুক্ত হচ্ছে জেলা-উপজেলা প্রশাসন না’গঞ্জে ধর্ষণের দায় চাপিয়ে মব সৃষ্টি করে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ কুলাউড়ায় পুলিশের ধাওয়ায় চোরাই সিএনজিসহ যুবক আটক কুষ্টিয়ায় লালনের আখড়াবাড়ি থেকে ৭৮ মোবাইল চুরি, গ্রেপ্তার-১২ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে: ইএবি, সভাপতি ‘বিগো লাইভে’ প্রেম ও বিয়ে, শেষে প্রেমিকার শরবতে মৃত্যুফাঁদ উখিয়ায় বিজিবির অভিযানে ৩০ হাজার ইয়াবা জব্দ পর্নো-তারকা যুগল অন্য বাংলাদেশিদেরকেও ওয়েবসাইটে যুক্ত করে: সিআইডির তথ্য বাংলাদেশি শীর্ষ পর্ন-তারকা দম্পতি গ্রেপ্তার অবশেষে সামনে এলো জবির শিক্ষার্থী জুবায়েদ হত্যাকান্ডের চাঞ্চল্যকর তথ্য  শুভ দীপাবলি ও শ্যামাপূজা আজ জবি’র ছাত্রদল নেতা জুবায়েদ হত্যাকান্ড, সামনে এসেছে চাঞ্চল্যকর ফুটেজ জনগণের কাঙ্ক্ষিত সেবায় কোনো তালবাহানা বরদাস্ত করা হবে না’: ডিসি ধানমন্ডিতে গণমাধ্যমকর্মীর আত্মহত্যা: যৌন হয়রানির অভিযোগে তোলপাড় নারায়ণগঞ্জে পৃথক অভিযানে ইয়াবা ও গাঁজাসহ আটক-৪ মাদক কারবারি এবার ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের ফ্যাক্টরিতে আগুন জানা গেলো খুলনা কারাগারে কয়েদিদের দু’গ্রুপের সংঘর্ষের কারন এবার কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে আগুন, ১ ঘন্টার প্রচেষ্টায় নিয়ন্ত্রণ  শাহজালাল বিমানবন্দরে আগুন নিয়ন্ত্রণে, ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক  চট্টগ্রাম বন্দর ও ডিপোতে কনটেইনার পণ্য পরিবহনে অচলাবস্থা দল-মত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান এমপি মনোনয়ন প্রত্যাশী মাসুদুজ্জামানের সিদ্ধিরগঞ্জের শীর্ষ সন্ত্রাসী সাহেব আলীর সহযোগী বিদেশি পিস্তলসহ র‍্যাবের জালে বিএনপির এমপি মনোনয়ন প্রত্যাশী মাসুদুজ্জামানের পাশে মহানগর যুবদল নারায়ণগঞ্জে মাদকবিরোধী অভিযানে ইয়াবা ও নগদ অর্থসহ আটক-৬ টেকনাফ সীমান্তে নতুন বিতর্ক: ওসির বিরুদ্ধে ঘুষসহ অভিযানের ইয়াবা গায়েবের অভিযোগ টেকনাফের নাফ নদীতে ভেসে উঠল রোহিঙ্গা যুবকের অর্ধগলিত লা*শ হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া মতপার্থক্য ভূলে ফের ঐক্যের ডাক দিলেন বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী: মাসুদুজ্জামান না’গঞ্জে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী আবু জাফর বাবুলের নির্বাচনী প্রচারণা ও গণসংযোগ শুরু সাবরাংয়ে ‘মাদক সম্রাট’ জুবাইরের বিলাসবহুল বাড়িতে অভিযান রাকসু’তেও ভরাডুবি ছাত্রদলের, শিবিরের একচেটিয়া জয় হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে মানুষের আস্তা ফিরিয়ে আনাই আমাদের লক্ষ্য: ডিসি  চাকসুতে ভিপি-জিএস শিবির সমর্থিত প্যানেল,এজিএস ছাত্রদলের টেকনাফের ইকো-ট্যুরিজম কমপ্লেক্সে হামলা ও ভাঙচুর, আতঙ্কে স্থানীয়রা গাইবান্ধায় স্কুলছাত্রী অপহরণের ১৭ দিনেও উদ্ধার হয়নি আদুরী রানী নারীরা পিছিয়ে থাকলে সমাজের উন্নয়ন সম্ভব না: আবু জাফর বাবুল নারায়ণগঞ্জের ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ হবে তারুণ্যের হাত ধরে: মাসুদুজ্জামান ফের ৪ জেলায় নতুন ডিসি বিচার প্রক্রিয়াকে প্রযুক্তিনির্ভর করতে দেশে প্রথম ই-বেইল বন্ড প্রবর্তন: আইন উপদেষ্টা উখিয়ার শীর্ষ অস্ত্র ও মাদক কারবারি এনায়েত উল্লাহ গ্রেপ্তার টেকনাফে ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা মূল্যের নিষিদ্ধ ইয়াবা জব্দ  কেন্দ্রীয় নেতা বকুলকে ‘ধানের শীষ’ ছিনিয়ে নেয়ার হুমকি স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের সোনারগাঁয়ে নিখোঁজের ৪ দিন পর যুবতীর অর্ধগলিত বস্তাবন্দী মরদেহ উদ্ধার চার ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি রূপনগরের ভয়াবহ আগুন, নিহত-৯ মিরপুরে দুই কারখানায় ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৬ ইউনিট স্ত্রী সম্বোধন করে পোষ্ট, তনির তৃতীয় স্বামী কে এই সিদ্দিক উখিয়ায় শীর্ষ মাদক কারবারি তাজ উদ্দিন গ্রেপ্তার না’গঞ্জের ‘কিং মেকার’ বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. আলী এবার মাসুদুজ্জামানের পাশে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী মাসুদুজ্জামানকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমর্থন ফ্যাক্ট ফুটপাত দোকান বসানো: মধ্যরাতে ঢাবি ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ নারায়ণগঞ্জে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন চট্টগ্রামে যমুনা টিভির সাংবাদিককে ‘ফ্যাসিস্ট’ তকমা দিয়ে মারধর করলো পুলিশ না’গঞ্জের মাদকের হট স্পষ্টগুলো চিহৃিত করে গুরিয়ে দেয়া হবে: ডিসি চট্টগ্রামের জিইসি’তে কনসার্টে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানের জেরে ভাঙচুর, গোলাগুলি কাকরাইলে জাপা’র নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষে রনক্ষেত্র  টেকনাফে অপহরণচক্রের তিন সদস্য গ্রেপ্তার অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে এবার দেশজুড়ে প্রশংসিত নারায়ণগঞ্জের ডিসি অভিযুক্ত ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে হেফাজতে নিয়েছে সেনাসদর, মিসিং-১ শান্তিতে নোবেল জয়ী নেতানিয়াহুর ঘনিষ্ঠ ভেনেজুয়েলার কোরিনা মাচাদো দেশের ১৭ অঞ্চলে বজ্রবৃষ্টিসহ ঝড়ের পূর্বাভাস দেশের নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষ এখনো স্বাস্থ্য সচেতন নয়: সচিব জাহেদী টেকনাফে বার্লিন’র তৎপরতায় ঢাকাগামী বাসে লুকিয়ে রাখা ৫’শ ইয়াবাসহ আটক-১ রাজনীতি আমার কাছে মানুষের আস্থা ও দায়িত্বের প্রতীক: মাসুদুজ্জামান টেকনাফে র‍্যাবের অভিযানে দেশীয় ও নকল বিদেশি মদসহ আটক-৩ টেকনাফে গাঁজাসহ তিন নারী মাদক কারবারি আটক ক্ষুদে কারাতে প্রতিযোগীদের আর্থিক সহায়তায় এগিয়ে আসলেন জেলা প্রশাসক রূপগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শাজাহান ভুইঁয়া আর নেই  না’গঞ্জে পরকীয়ার জেরে হত্যাযজ্ঞ, লাশ গুম করতে হেক্সো ব্লেড দিয়ে দু’পা বিচ্ছিন্ন

‘গলি থেকে রাজপথ’ শ্যামবাজারের রক থেকে উঠে প্রাসাদে মিঠুন চক্রবর্তী 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময়- ০৫:২৬:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪ ২৭৪ বার পড়া হয়েছে
ঋতম্ভরা বন্দ্যোপাধ্যায়,কলকাতা।।
আমরা বাংলার এপারে বসে দেখেছি বাংলাদেশের রাজ্জাক, জসীম,আলমগীর প্রমুখ বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় ও দক্ষ অভিনেতাদের ছবি। এমনকি ববিতা সহ অনেক নায়িকা এপারে এসে বাংলা ছবিতে অভিনয় করেছেন। খুব গর্ব বোধ করেছি। এপারের এক বাঙালি সর্বভারতীয় নায়ক মিঠুন চক্রবর্তীর জীবন নিয়ে লিখছি। কী ভাবে উত্তর কলকাতার একেবারে অবহেলিত একটি পল্লী থেকে উঠে এসে সর্ব ভারতীয় সিনেমা জগতে একেবারে শীর্ষ স্থানে উঠে এলেন, তারই কাহিনী।সেই সময় বাংলায় মহানায়ক উত্তম কুমার ছাড়া কাউকেই মন থেকে গ্রহন করা একেবারেই অসম্ভব ছিল।
***গল্পটা যিনি বলেছিলেন তিনি এক বিখ্যাত ভারতীয় ক্রিকেটার। তাঁরা একটি মাঠে প্র্যাকটিস করতেন। ওরা একদিন দেখলেন ছয় ফুট লম্বা একটি ছেলে পাঁচিল টপকে একটি বাড়িতে ঢুকছে। ছেলেটির মতলব নিশ্চয় সুবিধের নয়। তাঁরা ছেলেটিকে পাকরাও করেন। পরে জানা যায় সে বাড়িভাড়া দিতে পারতো না বলে গোপনে সেই বাড়িতে ঢুকতো। আবার পাঁচিল টপকে বাইরে আসতো।
৭০ দশকের আগুনঝরা দিন। দিন বদলের স্বপ্ন নিয়ে কত জোয়ান ছেলে হারিয়ে যাচ্ছে। নকশাল আন্দোলন তখন মধ্য গগনে। হাতে বোমা আর পাইপগান নিয়ে ছুটছে উত্তর কলকাতার অলিগলি পাকস্থলীর ভেতর। পিছু নিয়েছে রাগী গোখরোর মতন পুলিশ, হাতে ঝুলছে কর্ড ঝোলানো খুনি রিভলবার, লক্ষ্য কোনো তাজা জোয়ানের পিঠ। এরকম টালমাটাল সময় স্কটিশ চার্চের স্টুডেন্ট গৌরাঙ্গ জড়িয়ে পড়েছিল রাজনীতিতে । তারপর পালিয়ে গিয়ে কোন এক আত্মীয়ের বাড়ি। সেখানে নিজের নকশাল তথা রাজনৈতিক পরিচয় জানাজানি হতেই বিদায়। তারপর কলকাতা থেকে পালিয়ে পুনের ফিল্ম ইনস্টিটিউট।
তখন পশ্চিমবঙ্গে নকশাল আন্দোলন চলছে। বহু তাজা প্রাণ হারিয়ে গেছে। গৌরাঙ্গ ধরা পড়লেন নকশাল করার অভিযোগে আবার ছাড়াও পেলেন কিছুদিনের মধ্যে।
সেই সময় পরিচালক মৃণাল সেন মৃগয়া ছবির জন্য অভিনেতা খুঁজছেন। চরিত্রটা হবে একদম সাপাট, লজ্জাহীন। মনে পড়ে গেলো ফিল্ম ইন্সটিটিউটের এক দুষ্টু ছেলের কথা। এভাবেই গৌরাঙ্গ চক্রবর্তী হয়ে গেলো মিঠুন চক্রবর্তী।
না, এরপরের রাস্তা ভয়ংকর কঠিন। মুম্বাই বড় হৃদয়হীন শহর। কত সচল পয়সা অচল হয়ে হারিয়ে গেছে সেই খোঁজ কেউ রাখেনা। মিঠুনের কাছে খাওয়ার টাকা নেই। একবেলা খেয়ে চলছে। ভালো হিন্দি বলতে পারতেন না। শিখে নিলেন। একজনের সঙ্গে রুম শেয়ার করে থাকতেন। পয়সা কম দিতেন বলে মেঝেতে শুতেন। একদিন খাটে শুয়েছিলেন বলে সেই রুমমেট প্রচুর খিস্তি মেরে অপমান করে। রাস্তা অনেক অনেক কঠিন । লবি, পলিটিক্স অদৃশ্য মাইনের মতন অপেক্ষা করছে বিস্ফোরণের জন্য।
বাঙালি নায়করা নাকি দুটি জিনিস পারতো না, নাচ এবং মারপিট। এই মিথ ভেঙে দেবার মতন কেউ আসেনি। ৭০ দশক মানেই হল ওয়ান ম্যান ইন্ডাস্ট্রি অমিতাভ বচ্চনের উত্থান। গোটা দেশ যার হেয়ার স্টাইল নকল করতো।
ছয় ফুট লম্বা মিঠুন একবার চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী ঠাকুর দেখতে গেছেন । কানঢাকা চুল আর বেলবটম প্যান্ট পরা মিঠুনকে দেখে পাড়ার দুষ্টু ছেলেরা বচ্চন বচ্চন বলে আওয়াজ দিচ্ছিল। ওরা জানতো না একদিন এই ছেলেটার উত্থানে অমিতাভ বচ্চন নিজেই ভয় পেয়ে যাবেন।
কিছু মানুষ কষ্টের প্লাবনে ভেসে যায়, কিছু মানুষ টিকে থাকে। মিঠুন টিকেছিলেন। স্পটবয়ের কাজ করেছেন , বি গ্রেড এর সিনেমা করেছেন । একবার অমিতাভ দেখেন মিঠুন অন্যান্য টেকনিশিয়ানদের সঙ্গে একই গাড়িতে যাচ্ছে। অথচ সে নিজে ওই সিনেমার হিরো। নিজের গাড়িতেই তিনি লিফট দিয়েছিলেন। জিতেন্দ্র খিল্লি করে মিঠুনকে বলেন, এই কালিয়া আবার অভিনয় করছে! মৌসুমী চ্যাটার্জি চরম অনিচ্ছা ব্যক্ত করেন মিঠুন এর সঙ্গে অভিনয় করতে গিয়ে। অপমানের পর অপমান। সব গিলেছেন তিনি। অমিতাভকেও এককালে কম অপমান সহ্য করতে হয়নি। যাইহোক, অমিতাভের দো আনজানে ছবিতে মিঠুন একটা ছোট্ট চরিত্র করলেন। কেউ ভাবতে পারেনি এই ছেলেটা হিরো হবে!
১৯৭৯ সালে সুরক্ষা ছবিতে বাপ্পী লাহিড়ী ডিস্কোর বিট শোনালেন। তারপর ১৯৮২ সালে ডিস্কো ড্যান্সার। ওই যে বাঙালি নায়কেরা নাকি নাচ আর মারপিট পারেনা! এলভিস প্রেসলির প্রভাব মিঠুনের নাচে সুস্পষ্ট। এতদিন ছিল অমিতাভ জমানা। কুলির দুর্ঘটনার পর অমিতাভ ছবি কমিয়ে দিলেন তারপর রাজনীতি। এদিকে হিন্দি ছবিতে অনেক পরিবর্তন হচ্ছিলো। এবার মিঠুনের রাজত্ব শুরু হয়ে গেলো। বচ্চনের কান ঢাকা চুল, লম্বা জুলপি স্টাইল পাল্টে গেলো । মিঠুন জুলফি কামিয়ে কানের সাইড দিয়ে কোনাকুনি চুলের লাইন নেমে এলো আর ঘাড়ের দিকে বেশ লম্বা। এলো স্কিন টাইট সাদা প্যান্ট, হাত কাটা গেঞ্জি, গলায় মাফলার। আর সর্বোপরি ডিস্কো বুট। লম্বা হিলের চেন টানা বুট, সাদা জুতো । একটার পর একটা হিট সুপারহিট ছবি । সঙ্গে ফ্লপ ছিল। কিন্তু এত ছবি রিলিজ হচ্ছিলো যে ম্যাটার করে না। রাশিয়ায় ডিস্কো ড্যান্সার জিমি বিরাট পপুলার।
হ্যাঁ, যাকে চন্দননগরের ছেলেরা বচ্চন বলে খিল্লি করেছিল সেই মিঠুন অমিতাভের সঙ্গে করলেন গঙ্গা যমুনা সরস্বতী। কিন্তু , সত্যি মিথ্যে জানি না , পলিটিক্স করে মিঠুনকে ওই সিনেমায় মেরে দেওয়া হয় সিনেমা শেষ হবার অনেক আগে। সিনেমাটি সুপার ফ্লপ হয়।
মিঠুনের উত্থান আসলে এক রূপকথা ছাড়া আর কিছু নয়। কারণ যে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে মিঠুনকে যেতে হয়েছে সেটা গল্পের জন্যও কল্পনা করা মুশকিল। তিনবার জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন। মিঠুনের ছবি ছিল মাস মুভি, সমাজের এলিট ক্লাসকে টার্গেট করে বানানো নয়। আমার যদিও ওইসব ছবি যে খুব ভালো লাগে এমনটা বলবো না, কিন্তু কোটি কোটি মানুষ দেখেছেন । একদিক থেকে সিনেমার অর্থই তো বিনোদন।
সেই মিঠুন চক্রবর্তী দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কার পেলেন। আমার ছোটবেলায় অমিতাভ,মিঠুন এরা ছিল । আমি আশেপাশের লোককে দেখেছি মিঠুনের স্ট্যাইলে চুল রাখতে। বাড়িতে শ্বেত পাথরের থালার সঙ্গে মিঠুনের ঘর জামাই সিনেমার ক্যাসেট এসেছিল। দেখেছি।
অনুপম খেরের একটা অনুষ্ঠানে একবার ওম পুরী বলেছিলেন, কে জানতো একদা ক্লাস সিক্সে পড়া যে ছেলেটা চায়ের দোকানে কাপ ডিস ধুয়েছে সে একদিন ওম পুরী হবে! কে জানতো, যে ছেলেটা হোটেলের শো এর পর পকেট থেকে খুচরো বার করে মিলিয়ে দেখছিল সেদিনের খাবার জোগাড় হবে কিনা সে একদিন বব ডিলান হবে আর নোবেল পুরস্কার পাবে, ট্রাক ড্রাইভার ছেলেটি কিং অফ পপ এলভিস হবে কে জানতো, কলকাতায় রাস্তায় বার্ড কোম্পানীর চাকরি করতে করতে ঘুরে বেড়ানো ছেলেটা একদিন অমিতাভ বচ্চন হবে কেউই ভাবেনি। ওই অনুপম খেরের শো তেই একটা দারুন কথা বলেছিল – লাইফ মে কুছ ভি হো সকতা হে। উত্তর কলকাতার গৌরাঙ্গ চক্রবর্তী এভাবেই একদিন মিঠুন চক্রবর্তী হয়ে যায়। রূপকথা নয়, বাস্তবে।
এই মিঠুনের এখন মুম্বাইতে বিশাল প্রাসাদ। মস্ত বড় পাঁচতারা হোটেল। তবে মিঠুন কিন্তু অতীতকে ভুলে যান নি। পরিচিত শ্যামবাজারের রকের অনেক বন্ধুকে সিনেমা জগতে টেকনিশিয়ান এর কাজ শিখিয়েছেন। গরীব দুঃখীদের উজাড় করে সাহায্য করেছেন। থ্যালাসেমিয়া এক মারাত্মক ব্যাধি। বহু শিশু এই রোগের শিকার। মিঠুন এই ক্ষেত্রে লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে অনেক শিশুকে রক্ষা করেছেন। এখনো করছেন। কিছুকাল আগে পুরোপুরিভাবে রাজনীতিতে প্রবেশ। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে দিল্লিতে পার্লামেন্টে রাজ্যসভার সদস্য করেছিলেন। পরবর্তীকালে তৃণমূল পার্টি ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। প্রতিটি নির্বাচনী প্রচারে সিনেমার সংলাপ ব্যবহার করে জনসভায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন।
বাংলাদেশ সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন,বাংলাদেশে অনেক স্বনামধন্য ও প্রতিষ্ঠিত নায়ক ,নায়িকা রয়েছেন। অসাধারণ তাদের অভিনয় প্রতিভা। তাদের জন্য অগাধ ভালোবাসা, শ্রদ্ধা জানালেন তিনি। নিজেও বেশ কয়েকবার ঢাকা গিয়েছেন। প্রচুর ভালবাসা পেয়েছেন বলে জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন..

ট্যাগস:-

‘গলি থেকে রাজপথ’ শ্যামবাজারের রক থেকে উঠে প্রাসাদে মিঠুন চক্রবর্তী 

আপডেট সময়- ০৫:২৬:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪
ঋতম্ভরা বন্দ্যোপাধ্যায়,কলকাতা।।
আমরা বাংলার এপারে বসে দেখেছি বাংলাদেশের রাজ্জাক, জসীম,আলমগীর প্রমুখ বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় ও দক্ষ অভিনেতাদের ছবি। এমনকি ববিতা সহ অনেক নায়িকা এপারে এসে বাংলা ছবিতে অভিনয় করেছেন। খুব গর্ব বোধ করেছি। এপারের এক বাঙালি সর্বভারতীয় নায়ক মিঠুন চক্রবর্তীর জীবন নিয়ে লিখছি। কী ভাবে উত্তর কলকাতার একেবারে অবহেলিত একটি পল্লী থেকে উঠে এসে সর্ব ভারতীয় সিনেমা জগতে একেবারে শীর্ষ স্থানে উঠে এলেন, তারই কাহিনী।সেই সময় বাংলায় মহানায়ক উত্তম কুমার ছাড়া কাউকেই মন থেকে গ্রহন করা একেবারেই অসম্ভব ছিল।
***গল্পটা যিনি বলেছিলেন তিনি এক বিখ্যাত ভারতীয় ক্রিকেটার। তাঁরা একটি মাঠে প্র্যাকটিস করতেন। ওরা একদিন দেখলেন ছয় ফুট লম্বা একটি ছেলে পাঁচিল টপকে একটি বাড়িতে ঢুকছে। ছেলেটির মতলব নিশ্চয় সুবিধের নয়। তাঁরা ছেলেটিকে পাকরাও করেন। পরে জানা যায় সে বাড়িভাড়া দিতে পারতো না বলে গোপনে সেই বাড়িতে ঢুকতো। আবার পাঁচিল টপকে বাইরে আসতো।
৭০ দশকের আগুনঝরা দিন। দিন বদলের স্বপ্ন নিয়ে কত জোয়ান ছেলে হারিয়ে যাচ্ছে। নকশাল আন্দোলন তখন মধ্য গগনে। হাতে বোমা আর পাইপগান নিয়ে ছুটছে উত্তর কলকাতার অলিগলি পাকস্থলীর ভেতর। পিছু নিয়েছে রাগী গোখরোর মতন পুলিশ, হাতে ঝুলছে কর্ড ঝোলানো খুনি রিভলবার, লক্ষ্য কোনো তাজা জোয়ানের পিঠ। এরকম টালমাটাল সময় স্কটিশ চার্চের স্টুডেন্ট গৌরাঙ্গ জড়িয়ে পড়েছিল রাজনীতিতে । তারপর পালিয়ে গিয়ে কোন এক আত্মীয়ের বাড়ি। সেখানে নিজের নকশাল তথা রাজনৈতিক পরিচয় জানাজানি হতেই বিদায়। তারপর কলকাতা থেকে পালিয়ে পুনের ফিল্ম ইনস্টিটিউট।
তখন পশ্চিমবঙ্গে নকশাল আন্দোলন চলছে। বহু তাজা প্রাণ হারিয়ে গেছে। গৌরাঙ্গ ধরা পড়লেন নকশাল করার অভিযোগে আবার ছাড়াও পেলেন কিছুদিনের মধ্যে।
সেই সময় পরিচালক মৃণাল সেন মৃগয়া ছবির জন্য অভিনেতা খুঁজছেন। চরিত্রটা হবে একদম সাপাট, লজ্জাহীন। মনে পড়ে গেলো ফিল্ম ইন্সটিটিউটের এক দুষ্টু ছেলের কথা। এভাবেই গৌরাঙ্গ চক্রবর্তী হয়ে গেলো মিঠুন চক্রবর্তী।
না, এরপরের রাস্তা ভয়ংকর কঠিন। মুম্বাই বড় হৃদয়হীন শহর। কত সচল পয়সা অচল হয়ে হারিয়ে গেছে সেই খোঁজ কেউ রাখেনা। মিঠুনের কাছে খাওয়ার টাকা নেই। একবেলা খেয়ে চলছে। ভালো হিন্দি বলতে পারতেন না। শিখে নিলেন। একজনের সঙ্গে রুম শেয়ার করে থাকতেন। পয়সা কম দিতেন বলে মেঝেতে শুতেন। একদিন খাটে শুয়েছিলেন বলে সেই রুমমেট প্রচুর খিস্তি মেরে অপমান করে। রাস্তা অনেক অনেক কঠিন । লবি, পলিটিক্স অদৃশ্য মাইনের মতন অপেক্ষা করছে বিস্ফোরণের জন্য।
বাঙালি নায়করা নাকি দুটি জিনিস পারতো না, নাচ এবং মারপিট। এই মিথ ভেঙে দেবার মতন কেউ আসেনি। ৭০ দশক মানেই হল ওয়ান ম্যান ইন্ডাস্ট্রি অমিতাভ বচ্চনের উত্থান। গোটা দেশ যার হেয়ার স্টাইল নকল করতো।
ছয় ফুট লম্বা মিঠুন একবার চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী ঠাকুর দেখতে গেছেন । কানঢাকা চুল আর বেলবটম প্যান্ট পরা মিঠুনকে দেখে পাড়ার দুষ্টু ছেলেরা বচ্চন বচ্চন বলে আওয়াজ দিচ্ছিল। ওরা জানতো না একদিন এই ছেলেটার উত্থানে অমিতাভ বচ্চন নিজেই ভয় পেয়ে যাবেন।
কিছু মানুষ কষ্টের প্লাবনে ভেসে যায়, কিছু মানুষ টিকে থাকে। মিঠুন টিকেছিলেন। স্পটবয়ের কাজ করেছেন , বি গ্রেড এর সিনেমা করেছেন । একবার অমিতাভ দেখেন মিঠুন অন্যান্য টেকনিশিয়ানদের সঙ্গে একই গাড়িতে যাচ্ছে। অথচ সে নিজে ওই সিনেমার হিরো। নিজের গাড়িতেই তিনি লিফট দিয়েছিলেন। জিতেন্দ্র খিল্লি করে মিঠুনকে বলেন, এই কালিয়া আবার অভিনয় করছে! মৌসুমী চ্যাটার্জি চরম অনিচ্ছা ব্যক্ত করেন মিঠুন এর সঙ্গে অভিনয় করতে গিয়ে। অপমানের পর অপমান। সব গিলেছেন তিনি। অমিতাভকেও এককালে কম অপমান সহ্য করতে হয়নি। যাইহোক, অমিতাভের দো আনজানে ছবিতে মিঠুন একটা ছোট্ট চরিত্র করলেন। কেউ ভাবতে পারেনি এই ছেলেটা হিরো হবে!
১৯৭৯ সালে সুরক্ষা ছবিতে বাপ্পী লাহিড়ী ডিস্কোর বিট শোনালেন। তারপর ১৯৮২ সালে ডিস্কো ড্যান্সার। ওই যে বাঙালি নায়কেরা নাকি নাচ আর মারপিট পারেনা! এলভিস প্রেসলির প্রভাব মিঠুনের নাচে সুস্পষ্ট। এতদিন ছিল অমিতাভ জমানা। কুলির দুর্ঘটনার পর অমিতাভ ছবি কমিয়ে দিলেন তারপর রাজনীতি। এদিকে হিন্দি ছবিতে অনেক পরিবর্তন হচ্ছিলো। এবার মিঠুনের রাজত্ব শুরু হয়ে গেলো। বচ্চনের কান ঢাকা চুল, লম্বা জুলপি স্টাইল পাল্টে গেলো । মিঠুন জুলফি কামিয়ে কানের সাইড দিয়ে কোনাকুনি চুলের লাইন নেমে এলো আর ঘাড়ের দিকে বেশ লম্বা। এলো স্কিন টাইট সাদা প্যান্ট, হাত কাটা গেঞ্জি, গলায় মাফলার। আর সর্বোপরি ডিস্কো বুট। লম্বা হিলের চেন টানা বুট, সাদা জুতো । একটার পর একটা হিট সুপারহিট ছবি । সঙ্গে ফ্লপ ছিল। কিন্তু এত ছবি রিলিজ হচ্ছিলো যে ম্যাটার করে না। রাশিয়ায় ডিস্কো ড্যান্সার জিমি বিরাট পপুলার।
হ্যাঁ, যাকে চন্দননগরের ছেলেরা বচ্চন বলে খিল্লি করেছিল সেই মিঠুন অমিতাভের সঙ্গে করলেন গঙ্গা যমুনা সরস্বতী। কিন্তু , সত্যি মিথ্যে জানি না , পলিটিক্স করে মিঠুনকে ওই সিনেমায় মেরে দেওয়া হয় সিনেমা শেষ হবার অনেক আগে। সিনেমাটি সুপার ফ্লপ হয়।
মিঠুনের উত্থান আসলে এক রূপকথা ছাড়া আর কিছু নয়। কারণ যে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে মিঠুনকে যেতে হয়েছে সেটা গল্পের জন্যও কল্পনা করা মুশকিল। তিনবার জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন। মিঠুনের ছবি ছিল মাস মুভি, সমাজের এলিট ক্লাসকে টার্গেট করে বানানো নয়। আমার যদিও ওইসব ছবি যে খুব ভালো লাগে এমনটা বলবো না, কিন্তু কোটি কোটি মানুষ দেখেছেন । একদিক থেকে সিনেমার অর্থই তো বিনোদন।
সেই মিঠুন চক্রবর্তী দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কার পেলেন। আমার ছোটবেলায় অমিতাভ,মিঠুন এরা ছিল । আমি আশেপাশের লোককে দেখেছি মিঠুনের স্ট্যাইলে চুল রাখতে। বাড়িতে শ্বেত পাথরের থালার সঙ্গে মিঠুনের ঘর জামাই সিনেমার ক্যাসেট এসেছিল। দেখেছি।
অনুপম খেরের একটা অনুষ্ঠানে একবার ওম পুরী বলেছিলেন, কে জানতো একদা ক্লাস সিক্সে পড়া যে ছেলেটা চায়ের দোকানে কাপ ডিস ধুয়েছে সে একদিন ওম পুরী হবে! কে জানতো, যে ছেলেটা হোটেলের শো এর পর পকেট থেকে খুচরো বার করে মিলিয়ে দেখছিল সেদিনের খাবার জোগাড় হবে কিনা সে একদিন বব ডিলান হবে আর নোবেল পুরস্কার পাবে, ট্রাক ড্রাইভার ছেলেটি কিং অফ পপ এলভিস হবে কে জানতো, কলকাতায় রাস্তায় বার্ড কোম্পানীর চাকরি করতে করতে ঘুরে বেড়ানো ছেলেটা একদিন অমিতাভ বচ্চন হবে কেউই ভাবেনি। ওই অনুপম খেরের শো তেই একটা দারুন কথা বলেছিল – লাইফ মে কুছ ভি হো সকতা হে। উত্তর কলকাতার গৌরাঙ্গ চক্রবর্তী এভাবেই একদিন মিঠুন চক্রবর্তী হয়ে যায়। রূপকথা নয়, বাস্তবে।
এই মিঠুনের এখন মুম্বাইতে বিশাল প্রাসাদ। মস্ত বড় পাঁচতারা হোটেল। তবে মিঠুন কিন্তু অতীতকে ভুলে যান নি। পরিচিত শ্যামবাজারের রকের অনেক বন্ধুকে সিনেমা জগতে টেকনিশিয়ান এর কাজ শিখিয়েছেন। গরীব দুঃখীদের উজাড় করে সাহায্য করেছেন। থ্যালাসেমিয়া এক মারাত্মক ব্যাধি। বহু শিশু এই রোগের শিকার। মিঠুন এই ক্ষেত্রে লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে অনেক শিশুকে রক্ষা করেছেন। এখনো করছেন। কিছুকাল আগে পুরোপুরিভাবে রাজনীতিতে প্রবেশ। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে দিল্লিতে পার্লামেন্টে রাজ্যসভার সদস্য করেছিলেন। পরবর্তীকালে তৃণমূল পার্টি ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। প্রতিটি নির্বাচনী প্রচারে সিনেমার সংলাপ ব্যবহার করে জনসভায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন।
বাংলাদেশ সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন,বাংলাদেশে অনেক স্বনামধন্য ও প্রতিষ্ঠিত নায়ক ,নায়িকা রয়েছেন। অসাধারণ তাদের অভিনয় প্রতিভা। তাদের জন্য অগাধ ভালোবাসা, শ্রদ্ধা জানালেন তিনি। নিজেও বেশ কয়েকবার ঢাকা গিয়েছেন। প্রচুর ভালবাসা পেয়েছেন বলে জানান।