ঢাকা ০৭:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ:-
রিমান্ড শেষে কারাগারে আতিক,আলেপ ও ফারুকী   নকলায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ড: ক্ষয়ক্ষতির পরিমান কোটি টাকা ছাড়িয়েছে  কুলাউড়ায় মনু নদীর তীরে অবৈধভাবে মাটি কাটার দায়ে লাখ টাকা অর্থদন্ড আইজিপি ময়নুল ও ডিএমপি কমিশনার মাইনুল কোথায় বদলি হলেন ফের পুলিশের ঊর্ধ্বতন ৫৪ কর্মকর্তাকে বদলি ঈশ্বরদীতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে এসডি টিভির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হাফলং ভারতের সুইজারল্যান্ড মৃত্যুকূপের সন্ধানে সারা বিশ্বের পরিযায়ী পাখি টেকনাফে র‍্যাবের অভিযানে ১১৫ বোতল বিদেশি মদ জব্দ ভেড়ামারায় ভুয়া চিকিৎসকের ৩মাসের জেলসহ অর্থদন্ড কুষ্টিয়া জেলা নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত মুন্সীগঞ্জে ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ ভিক্ষুকের দায়িত্ব কেউ নিচ্ছে না  নারায়ণগঞ্জে এক যুবকের গলাকাটা রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার ভালুকায় পৌর শ্রমিকদলের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত স্বপ্ন পূরন হলো না মৌলভীবাজারের লিটনের,বেলারুশে পিটিয়ে হত্যা  টংঙ্গীবাড়ীতে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে বীজ-আলু, মনিটরিংয়ে ইউএনও স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের সদস্য হলেন জাবি অধ্যাপক ভালুকার কৃত্তি সন্তান নতুন আইজিপি বাহারুল ও ডিএমপি কমিশনার শেখ সাজ্জাত নারায়ণগঞ্জে চুরির অভিযোগে একজনকে পিটিয়ে হত্যা ঈশ্বরদীতে এসডি টেলিভিশন ২য় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত  বিআইডব্লিউটি’র সিভিল ও সার্ভেয়ার জটিলতার অবসান চায় কর্মকর্তারা মৌলভীবাজার পূজা উদযাপন পরিষদ সম্পাদক মহিম গ্রেপ্তার সিদ্ধিরগঞ্জে হেলিকপ্টার দেখতে গিয়ে গুলিতে নিহত সুমাইয়ার মরদেহ উত্তোলন যাত্রবাড়ি থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র দৌলতপুরে উদ্ধার র‍্যাবের ২ অধিনায়ক এবং ৩ পরিচালককে নিজ বাহিনীতে ফেরত টংঙ্গীবাড়ীতে ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতু নির্মানে ধীরগতি গাজীপুর মেট্রোপলিটন এলাকার যানজট নিরসনে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  সাতক্ষীরা-শ্যামনগর মহাসড়ক সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন ভারত থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকালে আটক-৮ সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের তিন বিচারপতির পদত্যাগ মৌলভীবাজারে কমলা চাষে অভূতপূর্ব সাফল্য  মিরপুরে মিথ্যা মামলায় জেল হাজতে স্বামী-স্ত্রী  সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ৮ দিনের রিমান্ডে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ নিয়ে ‘দ্য হিন্দু’কে ড. ইউনূস জাতীয় প্রেস ক্লাবের ৩৭ জনের সদস্যপদ স্থগিত সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম উত্তরায় গ্রেপ্তার মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় বালুমহালে অভিযানে আটক-৫  রায়পুরায় পূজামণ্ডপের প্যান্ডেল ভাঙচুর নিয়ে গুজব ছড়ানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন কুষ্টিয়ায় ৮০ লাখ টাকা মুল্যের ভারতীয় কোকেন উদ্ধার নকলায় মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের ঝুঁলন্ত মরদেহ উদ্ধার ঈশ্বরদীতে গুলির পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে কুপিয়ে হত্যা ভালুকায় ইউএনও-এসিল্যান্ডের নেতৃত্বে বাজার মনিটরিং আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে আট মন্ত্রীসহ ১৩ জনকে হাজির করা হলো ভালুকায় নয়াপাড়া স্কুলের শিক্ষিকার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গসহ অনিয়মের অভিযোগ মেঘনাঘাটে টিস্যুর গোডাউনে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট ঈশ্বরদীতে রুপপুর প্রকল্পের দোভাষীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ওসিসহ ৩ পুলিশ কর্মকর্তা ক্লোজড মুন্সীগঞ্জ জেলা পরিষদের লীজকৃত জমি আত্মসাতের চেষ্টা বন বিভাগ খোদ জানেন না জমির পরিমাণ  কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু মৌলভীবাজারে এক জমিতে ১১জাতের ধানের চাষ ঈশ্বরদীতে সাহিত্য-সংস্কৃতি পরিষদের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন  সিদ্ধিরগঞ্জে ১০ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত লম্পট হাকিম গ্রেপ্তার গিনেস বুকে বিশ্বের সবচেয়ে কৃপণ যে নারীর নাম রয়েছে জানা গেল পাকিস্তান থেকে আসা জাহাজের কন্টেইনারে কী আছে পুলিশকে জনগণের বাহিনী হিসেবে গড়তে হবে : আইজিপি মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ দেবহাটায় ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উৎযাপন মুন্সিগঞ্জে হতে হাত বদলে আলু বিক্রি হচ্ছে দেড়গুণ বেশি দামে শ্রীমঙ্গলে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক তিন আসামি গ্রেপ্তার মিরপুরে ট্রাকের ধাক্কায় স্কুল ছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যু মৌলভীবাজারে বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সভায় সকল উপজেলা কমিটি বিলুপ্ত ‘গলি থেকে রাজপথ’ শ্যামবাজারের রক থেকে উঠে প্রাসাদে মিঠুন চক্রবর্তী  বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ না’গঞ্জের ১১তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত  দৌলতপুরে অস্ত্র-গুলি ককটেলসহ যুবদল ও যুবলীগ নেতা আটক ভালুকায় পৌর বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা ও  দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত সাবেক ওয়াসার এমডি ও নাসিক মেয়রের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার কারন জানা গেলো এক কর্মস্থলে ৩ বছরের বেশি নয়, পরিপত্র জারি নাম-লোগো-পোশাকসহ বদলে যাচ্ছে র‍্যাব পরকীয়ার বলি হয়ে প্রেমিকার হাতেই খুন হন শিল্পপতি মাসুম ভালুকায় পৌর বিএনপির উদ্যোগে  আলোচনা ও দোয়া মাহফিল ভালুকায় স্কুল ছাত্রদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ  বহু গুনে গুণান্বিত কাঁচালঙ্কা অকাতরে খান চা শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি সহ এনটিসিএল’র বাগান চালুর দাবিতে সংবাদ সম্মেলনে গাজীপুরে নবনিযুক্ত পুলিশ কমিশনারের সাথে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেন সালাউদ্দিন চৌধুরী  মৌলভীবাজার কোর্টের বিপরীতে অবৈধ দখলদারদের দখলে সরকারি কোটি টাকার জমি  দৌলতপুরে অস্ত্র ও ১৩ রাউন্ড গুলিসহ দুই ভাই আটক মৌলভীবাজারে দ্রুতগামী মোটরসাইকেলের ধাক্কায় এক নারী নিহত ভারতীয় রেলওয়েতে টয়লেট চালুর অজানা ইতিহাস ঈশ্বরদীতে অনাড়ম্বর আয়োজনে বিআরইএল’র ৫০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন বিএনপি নেতা-কর্মীদের হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে দেবহাটায় মানববন্ধন না’গঞ্জে কর্ণফুলী শিপইয়ার্ড পরিদর্শনে নৌ-উপদেষ্টা মুন্সীগঞ্জে বাংলাবাজার ইউনিয়ন সভাপতি ঘিরে বিএনপির দু’গ্রুপে উত্তেজনা ফরিদপুরে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ইসলামি সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত দূর্নীতির রাজত্বের রাজা কানুনগো শ্রীপদ দীর্ঘ ৪ বছরেও চালু হয়নি সুন্দরগঞ্জের পানি শোধনাগার টেকনাফে বিজিবির অভিযানে ইয়াবা ও অস্ত্রসহ রোহিঙ্গা যুবক আটক ইসলামী শরী’য়ার দৃষ্টিতে উশরের বিধান ও বাংলাদেশের ভূমি সাংবাদিকদের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিলে ডিইউজের নিন্দা মৌলভীবাজার বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালে সেবাগ্রহীতা কর্মশালা অনুষ্ঠিত  উত্তরায় বিএনপি নেতা শিমুল-কামরুলের নেতৃত্বে আনন্দ মিছিল  মৌলভীবাজারে চিলের থাবায় ছাত্রী আহত ভালুকায় পৌর বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত গাজীপুরে আজও ১৪ কারখানা বন্ধ, ৩টিতে বিক্ষোভ-কর্মবিরতি চরভদ্রাসনে ইউএসএআইডি’র সবাই মিলে শিখি প্রকল্পের মেলা অনুষ্ঠিত মণিপুরিদের ঐতিহ্যবাহী রামলীলা উৎসব আগামী ১৫ নভেম্বর খাসি আদিবাসীদের ”খাসি সেং কুটস্নেম” উৎসব এবার হচ্ছে না  নবগঠিত উপদেষ্টা বশির বাণিজ্যে, ফারুকী সংস্কৃতি ও আসিফের দপ্তর পরিবর্তন ছয় উপদেষ্টার দপ্তর পুনর্বণ্টন, কে কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলেন জনগনের ভোটে সরকার গঠিত না হওয়া পর্যন্ত অস্থিরতা কাটবে না: সিপিবি বিটিভির সাবেক জিএম মাহফুজাকে দুদকে তলব

মুন্সীগঞ্জের ধবল‌ গরু খামারেই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময়- ১২:০২:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ জুন ২০২৪ ৭৫ বার পড়া হয়েছে
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি।।
এক সময় কোরবানির ঈদে পুরান ঢাকার রহমতগঞ্জের গনি মিয়ার হাটের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ছিলো মুন্সীগঞ্জের মীরকাদিমের ধবল (সাদা)গরু।কিন্তু কালের বিবর্তনে এখন এই গরুর চাহিদা এতো বৃদ্ধি পেয়েছে যে,হাটে তোলার আগেই খামার হতে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে এ সমস্ত গরুগুলো। আগে শুধু পুরান ঢাকায় চাহিদা থাকলেও এখন এ সমস্ত গরুর চাহিদা বেড়েছে সমগ্র দেশ জুড়ে তাই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের গরু ক্রেতারা এ সমস্ত গরুগুলো খামারেই এসে কিনে নিয়ে যান।পুরান ঢাকার খানদানি লোকেরাও খামারে এসে অনেক দাম দিয়ে এ সমস্ত গরু কিনে নিয়ে যান।ইতিমধ্যে মিরকাদিমের খামারগুলো হতে গরু বিক্রি শুরু হয়ে গেছে।ক্রেতারা গরু কিনে খামারেই রেখে যাচ্ছে ঈদের দু-একদিন আগে নিয়ে যাবেন বাড়িতে।
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মিরকাদিমের এই গরুর খামারগুলোর পাশেই রয়েছে বিশাল বিশাল চাল, কুড়া,ভূষি,খৈলের আড়ৎ।এ সমস্ত আড়ত মালিকরাই আড়তের আশে পাশে গড়ে তুলেছেন গরুর খামার।নিজস্ব খামারের মীরকাদিমের ভুসি, কুঁড়াসহ বিভিন্ন উন্নতমানের গোখাদ্য মিনিকেট চালের খুদ,এক নম্বর খৈল,ভাতের মার,সিদ্ধ ভাত, খেসারির ভুসি,গমের ভুসি,বুটের ভুসি খাওয়ানো হয় গরুগুলোকে।এছাড়া গরু পালনে প্রশিক্ষিত লোক নিয়োগের মাধ্যমে গরুগুলো পালন করা হয়।
খামারিরা জানান,এই গরু পালনে কোনো রকম ইনজেকশন বা গরু মোটাতাজাকরণের ওষুধ ব্যবহার করা হয় না।খামারিদের নিজস্ব মিলে ভাঙানো খৈল,বিভিন্ন প্রকার ভুসি,কুঁড়া,চালের গুঁড়া খাইয়ে পরম মমতায় লালনপালন করা হয় এই গরুগুলোকে।খামারের ভেতরের পরিবেশ বেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা হয়।বাইরের কাউকে খামারের ভেতর ঢুকতে দেওয়া হয় না।মিরকাদিমের ধবল গরুর বৈশিস্ট হলো এ সমস্ত গরুর চোখের পাপড়ি সাদা,নাকের সামনের অংশ সাদা,পায়ের খুর সাদা,লেজের পশম সাদা,আর সারা শরীরও সাদা হয়ে থাকে।এই সমস্ত ধবল গরুগুলো দেখতে একদিকে সুন্দর এবং অন্যদিকে এই সমস্ত গরু গুলোর মাংস খুব সুস্বাদু হওয়ায় এগুলো এখন খামার থেকেই কিনে নিয়ে যাচ্ছেন ক্রেতারা।এই সাদা গরুগুলো সাধারণত ১ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত দামে হয়ে থাকে।মুন্সীগঞ্জের কোনো হাটে এই গরু বিক্রি হয় না।আগে পুরান ঢাকার হাটে নিয়ে এ সমস্ত গরু বিক্রি করতো খামাড়িরা।এখন পুরান ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের লোকজন মীরকাদিমে এসে এ সমস্ত খামার হতে গরুগুলো ক্রয় করে নিয়ে যান।সরেজমিনে মিরকাদিমের বেশ কিছু খামার ঘুরে দেখা যায় বেশ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশে খামারগুলোতে লালন পালন করা হচ্ছে গরু।মিরকাদিমের মজিবুরের খামার গিয়ে দেখা যায় ওই খামারে মোট ৫১ টি গরু আছে।এর মধ্যে ধবল জাতের গুরু রয়েছে অর্ধেকের বেশি।গত বছর এই খামারে অবিক্রিত গরু ছিল ৬টি।বাকি গরুগুলো গত কুরবানি ঈদের পরে কিনে এনে খামারে লালন পালন করছেন।ওই খামারের দেখবালের দায়িত্বে আছেন তিনজন।এর মধ্যে জিয়াউর হক বলেন,কয়দিন আগে যে গরম গেলো ওই সময় গরুগুলোর খুব কষ্ট হচ্ছিল।গরমে বেশ কিছু গরু অসুস্থ হয়ে পড়েছিল।সে সময় গরুগুলোকে চিকিৎসা করাতে হয়েছে।এখন গরম কমার সাথে সাথে গরুগুলো ভালো আছে।ইতিমধ্যে খামার হতে ১১টি বিক্রি হয়ে গেছে।যারা কুরবানী দেয় তারাই এখান থেকে গরু কিনে খামারে রেখে গেছেন।পরে কুরবানীর দ্-ুএকদিন আগে এসে নিয়ে যাবেন।ওই খামারের দেখবালের দায়িত্বে থাকা রাশেদ বলেন,আমাদের খামারের গরুগুলোকে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার খাওয়াই।খামারে বিভিন্ন জাতের গরু আছে তবে এগুলোর মধ্যে ধবল গরু বিখ্যাত।আমাদের খামারে সর্বনিম্ন ১ লক্ষ ২০ হাজার হতে ৩ লক্ষ টাকা দাম পর্যন্ত গরু আছে।
মীর কাদিম শাহিনের খামার মোট ৫১টি গরুর মধ্যে অন্য জাতের আছে মাত্র ৫টা।৪৬ টায় সাদা ধবল জাতের বলে জানালেন খামাড়িরা।ওই খামারের শ্রমিক রফিক মিয়া বলেন,গত বছর কুরবানীর পর এই গরুগুলো আমরা ফরিদপুর জেলার টেপাখোলা বাজার হতে কিনে এনেছি।প্রায় গরুই এক লাখ টাকার উপরে দাম দিয়ে কিনে এনে লালন পালন শুরু করি।সামনের কুরবানীতে গরুগুলো বিক্রি করবো।এ পর্যন্ত খামারের ছয়টা গরু বিক্রি হয়ে গেছে।যে গরুগুলো বিক্রি করছেন সেগুলো দুই লক্ষ থেকে দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকার মধ্যে বিক্রি করেছেন তারা।ঈদের আগে বাকি গরুগুলো খামার হতে বিক্রি হয়ে যাবে বলেও জানান তিনি।এ ব্যাপারে ওই এলাকার মজিবুর রহমান বলেন, আমাদের নিজেদের মিল আছে।আবার খামারও আছে।আমরা আমাদের নিজেদের মেইলের খৈল, কুড়া,বিভিন্ন ধরনের ভূসি,ভুট্টা উন্নত মানের খাবার খাইয়ে আমাদের খামারের গরুগুলো লালন পালন করে থাকি।আমরা কোন ইনজেকশন দেই না কোন ভেজাল খাবার খাওয়াই না যার কারণে আমাদের গরুর মাংসগুলো খুব সুস্বাদু হয় এবং এগুলো চাহিদা খুব বেশি।আগে ঢাকায় নিয়ে বেচঁতাম এখন এই সমস্ত গরু খামার হতে কিনে নিয়ে যায়।ঢাকার পাশাপাশি নারায়নগঞ্জ,কুমিল্লা চাদঁপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পাইকার আশে আমাদের এখানে গরু কিনতে।মীর কাদিম এগ্রো খামারের দেখবালের দায়িত্বে থাকা মিন্টু মিয়া বলেন,আমাদের খামারে গরু আছে ১৩০টা। এর মধ্যে ৬০টা কোরবানীর ঈদে বিক্রি করা হবে।আমরা মূলত খামারে দুগ্ধ উৎপাদন করি সেই সাথে বিক্রির জন্যও গরু মোটাতাজাকরণ করে থাকি।আমরা যে সমস্ত গরু মোটাতাজাকরণ করি ওগুলো মূলত আমাদের খামারেই উৎপাদন হয়।আমরা মা গরুগুলোকে উন্নত মানের বীজ দিয়ে এখানে গরুর বাচ্চা উৎপাদন করি মা গরুর দুধ বাজারে বিক্রি করি এবং বাছুরগুলোকে লালন পালনের মাধ্যমে বড় করে বিক্রি করে থাকি। আমাদের খামরে প্রায় ১০টি গুরু আছে যেগুলোর ওজন ৭০০ থেকে ৮০০ কেজি।এ গরু বাছুর গুলো আমরা খামারেই উৎপাদন করেছি।অপর শ্রমিক আরিফ বলেন,আমরা নিজ সন্তানের মতো পরম যন্তে এখানে গরু লালন পালন করি।পুরো দিন ওদের সেবা করি।প্রতিদিন গোসল করাই এবং এগুলোর শরীর মুছে দেই।আমরা একদিকে যেমন শুকানো খাবার খৈল,কুড়া,ভূসি খুদ খাওয়াই
অন্যদিকে আবার কাচাঁ ঘাস ভূট্টার সেরালেক খাওয়াই।আমাদের খামার হতে ইতিমধ্যে ৫টা গরু বিক্রি হয়ে গেছে।তবে ওই এলাকার খামাড়িদের সাথে কথা বলেজানাগেছে,মীরকাদিম পৌরসভার কুলুপাড়ার ধবল গরু লালনপালন করার যে ঐতিহ্য ছিল তা ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে।খামারে গরুর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও কালের বিবর্তনে মীরকাদিমের বিখ্যাত ধবল গরুর ঐতিহ্য হারিয়ে যেতে বসেছে। ভেজালযুক্ত খাবার দিয়ে গরু মোটাতাজা করে দ্রুত আঙল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে কিছু অসাধু খামারি। ১০ মাস দীর্ঘ পরিশ্রম করে লাভবান না হওয়ায় এ ব্যবসা থেকে সরে আসছেন মীরকাদিমের ধবল গরুর অনেক ব্যবসায়ী।ভেজাল খাদ্যের যোগান দিয়ে গরু বড় করে দ্রুত লাভবান হওয়ার হাতিয়ারকে এখন কাজে লাগাচ্ছে অনেকেই।ফলে ২০০ জনের বেশি ধবল গরুর খামার মালিক থেকে এখন ১৫/২০ জনে নেমে এসেছে।এ সমস্ত ধবল গরুগুলো মূলত কুড়িগ্রাম জেলার ভূরাঙ্গামারীসহ বিভিন্ন হাট ও এলাকা থেকে ভারত ও ভুটানের আবাল-পশ্চিমা সাদা ষাঁড় ও সাদা গাভীর বাচ্চা কিনে আনেন মীরকাদিমের খামারিরা।নিজের বাচ্চার মতো লালন করেন।নতুন গামছা দিয়ে গোসল করানো হয়।সব সময় চোখে চোখে রাখা হয়।লাভ লোকসানের কথা চিন্তা না করেই পুরোনো ঐতিহ্য ধরে রেখে গরু পালন করেন।বাবা-দাদাদের ধবল গরু পালনের ঐতিহ্য ধরে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন খামাড়িরা।এ ব্যাপারে মুন্সীগঞ্জ প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ নজরুল ইসলাম বলেন, মুন্সীগঞ্জের খামারগুলোতে মূলত দেশি গরু বেশি দেখা যায়।এ জেলায় মোট ৫ হাজারের মতো খামার রয়েছে।এর মধ্যে মিরকাদিমের গরুগুলোর চাহিদা বেশি।কোরবানীর আগের ৬ মাস হতে এই গরুগুলোকে মোটাতাজা করতে শুরু করে খামারিরা।এই মোটাতাজাকরণ কাজে তারা গরু গুলোকে সবচেয়ে বেশি সবুজ ঘাস খাইয়ে থাকে। খৈল নানা ধরনের ভূষি,চালের খুদ খাওয়ায় এবং পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখে।মূলত স্বাস্থ্য সম্মত উপায়ে তারা গরু মোটা তাজাকরণ করায় এগুলো দেখাতে সুন্দর আকর্ষনীয় ও মাংস সুস্বাদু হওয়ায় এগুলোর চাহিদা বেশি।তিনি আরো বলেন,দেশি গরুতে চবির্র হার খুব কম থাকায় মাংসের পরিমান বেশি থাকে এবং সুস্বাদু হয়।মিরকাদিমের খামাড়িরা কখনোই মোটাতাজাকরণ ট্যাবলেড.ইনজেকসুন,হরমন ঔষধ ব্যবহার করেনা।যার কারনে এগুলো স্বাস্থ্য সম্মত ও সুস্বাদু হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস:-

মুন্সীগঞ্জের ধবল‌ গরু খামারেই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে 

আপডেট সময়- ১২:০২:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ জুন ২০২৪
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি।।
এক সময় কোরবানির ঈদে পুরান ঢাকার রহমতগঞ্জের গনি মিয়ার হাটের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ছিলো মুন্সীগঞ্জের মীরকাদিমের ধবল (সাদা)গরু।কিন্তু কালের বিবর্তনে এখন এই গরুর চাহিদা এতো বৃদ্ধি পেয়েছে যে,হাটে তোলার আগেই খামার হতে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে এ সমস্ত গরুগুলো। আগে শুধু পুরান ঢাকায় চাহিদা থাকলেও এখন এ সমস্ত গরুর চাহিদা বেড়েছে সমগ্র দেশ জুড়ে তাই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের গরু ক্রেতারা এ সমস্ত গরুগুলো খামারেই এসে কিনে নিয়ে যান।পুরান ঢাকার খানদানি লোকেরাও খামারে এসে অনেক দাম দিয়ে এ সমস্ত গরু কিনে নিয়ে যান।ইতিমধ্যে মিরকাদিমের খামারগুলো হতে গরু বিক্রি শুরু হয়ে গেছে।ক্রেতারা গরু কিনে খামারেই রেখে যাচ্ছে ঈদের দু-একদিন আগে নিয়ে যাবেন বাড়িতে।
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মিরকাদিমের এই গরুর খামারগুলোর পাশেই রয়েছে বিশাল বিশাল চাল, কুড়া,ভূষি,খৈলের আড়ৎ।এ সমস্ত আড়ত মালিকরাই আড়তের আশে পাশে গড়ে তুলেছেন গরুর খামার।নিজস্ব খামারের মীরকাদিমের ভুসি, কুঁড়াসহ বিভিন্ন উন্নতমানের গোখাদ্য মিনিকেট চালের খুদ,এক নম্বর খৈল,ভাতের মার,সিদ্ধ ভাত, খেসারির ভুসি,গমের ভুসি,বুটের ভুসি খাওয়ানো হয় গরুগুলোকে।এছাড়া গরু পালনে প্রশিক্ষিত লোক নিয়োগের মাধ্যমে গরুগুলো পালন করা হয়।
খামারিরা জানান,এই গরু পালনে কোনো রকম ইনজেকশন বা গরু মোটাতাজাকরণের ওষুধ ব্যবহার করা হয় না।খামারিদের নিজস্ব মিলে ভাঙানো খৈল,বিভিন্ন প্রকার ভুসি,কুঁড়া,চালের গুঁড়া খাইয়ে পরম মমতায় লালনপালন করা হয় এই গরুগুলোকে।খামারের ভেতরের পরিবেশ বেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা হয়।বাইরের কাউকে খামারের ভেতর ঢুকতে দেওয়া হয় না।মিরকাদিমের ধবল গরুর বৈশিস্ট হলো এ সমস্ত গরুর চোখের পাপড়ি সাদা,নাকের সামনের অংশ সাদা,পায়ের খুর সাদা,লেজের পশম সাদা,আর সারা শরীরও সাদা হয়ে থাকে।এই সমস্ত ধবল গরুগুলো দেখতে একদিকে সুন্দর এবং অন্যদিকে এই সমস্ত গরু গুলোর মাংস খুব সুস্বাদু হওয়ায় এগুলো এখন খামার থেকেই কিনে নিয়ে যাচ্ছেন ক্রেতারা।এই সাদা গরুগুলো সাধারণত ১ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত দামে হয়ে থাকে।মুন্সীগঞ্জের কোনো হাটে এই গরু বিক্রি হয় না।আগে পুরান ঢাকার হাটে নিয়ে এ সমস্ত গরু বিক্রি করতো খামাড়িরা।এখন পুরান ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের লোকজন মীরকাদিমে এসে এ সমস্ত খামার হতে গরুগুলো ক্রয় করে নিয়ে যান।সরেজমিনে মিরকাদিমের বেশ কিছু খামার ঘুরে দেখা যায় বেশ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশে খামারগুলোতে লালন পালন করা হচ্ছে গরু।মিরকাদিমের মজিবুরের খামার গিয়ে দেখা যায় ওই খামারে মোট ৫১ টি গরু আছে।এর মধ্যে ধবল জাতের গুরু রয়েছে অর্ধেকের বেশি।গত বছর এই খামারে অবিক্রিত গরু ছিল ৬টি।বাকি গরুগুলো গত কুরবানি ঈদের পরে কিনে এনে খামারে লালন পালন করছেন।ওই খামারের দেখবালের দায়িত্বে আছেন তিনজন।এর মধ্যে জিয়াউর হক বলেন,কয়দিন আগে যে গরম গেলো ওই সময় গরুগুলোর খুব কষ্ট হচ্ছিল।গরমে বেশ কিছু গরু অসুস্থ হয়ে পড়েছিল।সে সময় গরুগুলোকে চিকিৎসা করাতে হয়েছে।এখন গরম কমার সাথে সাথে গরুগুলো ভালো আছে।ইতিমধ্যে খামার হতে ১১টি বিক্রি হয়ে গেছে।যারা কুরবানী দেয় তারাই এখান থেকে গরু কিনে খামারে রেখে গেছেন।পরে কুরবানীর দ্-ুএকদিন আগে এসে নিয়ে যাবেন।ওই খামারের দেখবালের দায়িত্বে থাকা রাশেদ বলেন,আমাদের খামারের গরুগুলোকে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার খাওয়াই।খামারে বিভিন্ন জাতের গরু আছে তবে এগুলোর মধ্যে ধবল গরু বিখ্যাত।আমাদের খামারে সর্বনিম্ন ১ লক্ষ ২০ হাজার হতে ৩ লক্ষ টাকা দাম পর্যন্ত গরু আছে।
মীর কাদিম শাহিনের খামার মোট ৫১টি গরুর মধ্যে অন্য জাতের আছে মাত্র ৫টা।৪৬ টায় সাদা ধবল জাতের বলে জানালেন খামাড়িরা।ওই খামারের শ্রমিক রফিক মিয়া বলেন,গত বছর কুরবানীর পর এই গরুগুলো আমরা ফরিদপুর জেলার টেপাখোলা বাজার হতে কিনে এনেছি।প্রায় গরুই এক লাখ টাকার উপরে দাম দিয়ে কিনে এনে লালন পালন শুরু করি।সামনের কুরবানীতে গরুগুলো বিক্রি করবো।এ পর্যন্ত খামারের ছয়টা গরু বিক্রি হয়ে গেছে।যে গরুগুলো বিক্রি করছেন সেগুলো দুই লক্ষ থেকে দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকার মধ্যে বিক্রি করেছেন তারা।ঈদের আগে বাকি গরুগুলো খামার হতে বিক্রি হয়ে যাবে বলেও জানান তিনি।এ ব্যাপারে ওই এলাকার মজিবুর রহমান বলেন, আমাদের নিজেদের মিল আছে।আবার খামারও আছে।আমরা আমাদের নিজেদের মেইলের খৈল, কুড়া,বিভিন্ন ধরনের ভূসি,ভুট্টা উন্নত মানের খাবার খাইয়ে আমাদের খামারের গরুগুলো লালন পালন করে থাকি।আমরা কোন ইনজেকশন দেই না কোন ভেজাল খাবার খাওয়াই না যার কারণে আমাদের গরুর মাংসগুলো খুব সুস্বাদু হয় এবং এগুলো চাহিদা খুব বেশি।আগে ঢাকায় নিয়ে বেচঁতাম এখন এই সমস্ত গরু খামার হতে কিনে নিয়ে যায়।ঢাকার পাশাপাশি নারায়নগঞ্জ,কুমিল্লা চাদঁপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পাইকার আশে আমাদের এখানে গরু কিনতে।মীর কাদিম এগ্রো খামারের দেখবালের দায়িত্বে থাকা মিন্টু মিয়া বলেন,আমাদের খামারে গরু আছে ১৩০টা। এর মধ্যে ৬০টা কোরবানীর ঈদে বিক্রি করা হবে।আমরা মূলত খামারে দুগ্ধ উৎপাদন করি সেই সাথে বিক্রির জন্যও গরু মোটাতাজাকরণ করে থাকি।আমরা যে সমস্ত গরু মোটাতাজাকরণ করি ওগুলো মূলত আমাদের খামারেই উৎপাদন হয়।আমরা মা গরুগুলোকে উন্নত মানের বীজ দিয়ে এখানে গরুর বাচ্চা উৎপাদন করি মা গরুর দুধ বাজারে বিক্রি করি এবং বাছুরগুলোকে লালন পালনের মাধ্যমে বড় করে বিক্রি করে থাকি। আমাদের খামরে প্রায় ১০টি গুরু আছে যেগুলোর ওজন ৭০০ থেকে ৮০০ কেজি।এ গরু বাছুর গুলো আমরা খামারেই উৎপাদন করেছি।অপর শ্রমিক আরিফ বলেন,আমরা নিজ সন্তানের মতো পরম যন্তে এখানে গরু লালন পালন করি।পুরো দিন ওদের সেবা করি।প্রতিদিন গোসল করাই এবং এগুলোর শরীর মুছে দেই।আমরা একদিকে যেমন শুকানো খাবার খৈল,কুড়া,ভূসি খুদ খাওয়াই
অন্যদিকে আবার কাচাঁ ঘাস ভূট্টার সেরালেক খাওয়াই।আমাদের খামার হতে ইতিমধ্যে ৫টা গরু বিক্রি হয়ে গেছে।তবে ওই এলাকার খামাড়িদের সাথে কথা বলেজানাগেছে,মীরকাদিম পৌরসভার কুলুপাড়ার ধবল গরু লালনপালন করার যে ঐতিহ্য ছিল তা ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে।খামারে গরুর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও কালের বিবর্তনে মীরকাদিমের বিখ্যাত ধবল গরুর ঐতিহ্য হারিয়ে যেতে বসেছে। ভেজালযুক্ত খাবার দিয়ে গরু মোটাতাজা করে দ্রুত আঙল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে কিছু অসাধু খামারি। ১০ মাস দীর্ঘ পরিশ্রম করে লাভবান না হওয়ায় এ ব্যবসা থেকে সরে আসছেন মীরকাদিমের ধবল গরুর অনেক ব্যবসায়ী।ভেজাল খাদ্যের যোগান দিয়ে গরু বড় করে দ্রুত লাভবান হওয়ার হাতিয়ারকে এখন কাজে লাগাচ্ছে অনেকেই।ফলে ২০০ জনের বেশি ধবল গরুর খামার মালিক থেকে এখন ১৫/২০ জনে নেমে এসেছে।এ সমস্ত ধবল গরুগুলো মূলত কুড়িগ্রাম জেলার ভূরাঙ্গামারীসহ বিভিন্ন হাট ও এলাকা থেকে ভারত ও ভুটানের আবাল-পশ্চিমা সাদা ষাঁড় ও সাদা গাভীর বাচ্চা কিনে আনেন মীরকাদিমের খামারিরা।নিজের বাচ্চার মতো লালন করেন।নতুন গামছা দিয়ে গোসল করানো হয়।সব সময় চোখে চোখে রাখা হয়।লাভ লোকসানের কথা চিন্তা না করেই পুরোনো ঐতিহ্য ধরে রেখে গরু পালন করেন।বাবা-দাদাদের ধবল গরু পালনের ঐতিহ্য ধরে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন খামাড়িরা।এ ব্যাপারে মুন্সীগঞ্জ প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ নজরুল ইসলাম বলেন, মুন্সীগঞ্জের খামারগুলোতে মূলত দেশি গরু বেশি দেখা যায়।এ জেলায় মোট ৫ হাজারের মতো খামার রয়েছে।এর মধ্যে মিরকাদিমের গরুগুলোর চাহিদা বেশি।কোরবানীর আগের ৬ মাস হতে এই গরুগুলোকে মোটাতাজা করতে শুরু করে খামারিরা।এই মোটাতাজাকরণ কাজে তারা গরু গুলোকে সবচেয়ে বেশি সবুজ ঘাস খাইয়ে থাকে। খৈল নানা ধরনের ভূষি,চালের খুদ খাওয়ায় এবং পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখে।মূলত স্বাস্থ্য সম্মত উপায়ে তারা গরু মোটা তাজাকরণ করায় এগুলো দেখাতে সুন্দর আকর্ষনীয় ও মাংস সুস্বাদু হওয়ায় এগুলোর চাহিদা বেশি।তিনি আরো বলেন,দেশি গরুতে চবির্র হার খুব কম থাকায় মাংসের পরিমান বেশি থাকে এবং সুস্বাদু হয়।মিরকাদিমের খামাড়িরা কখনোই মোটাতাজাকরণ ট্যাবলেড.ইনজেকসুন,হরমন ঔষধ ব্যবহার করেনা।যার কারনে এগুলো স্বাস্থ্য সম্মত ও সুস্বাদু হয়।