এমপি আজীম হত্যাকাণ্ডে সন্দেহভাজন কে এই সুন্দরী তরুণী শিলাস্তি?
- আপডেট সময়- ০৮:৫২:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪ ৯৬ বার পড়া হয়েছে
সমকালীন কাগজ প্রতিবেদন।।
পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় পরিকল্পিত ও লোমহর্ষক নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার এমপি। তাকে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার নিউটাউনের সঞ্জিভা গার্ডেনের বি/ইউ ব্লকের ৫৬ নম্বর ফ্ল্যাটে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ টুকরো টুকরো করে ট্রলিব্যাগে ভরে কলকাতা অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে ফেলে দেয় হত্যাকারীরা। সন্দেহভাজনদের তালিকায় উঠে এসেছে এক সুন্দরী নারী শিলাস্তি রহমানের নাম।
বুধবার এ হত্যার ঘটনায় এমপি আনারের মেয়ে ডরিন বাদী হয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় একটি মামলা করেছেন। একই সঙ্গে কলকাতায়ও একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।
তদন্তসংশ্লিষ্টরা জানান, ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের সূত্র ধরে এমপি আনারকে হত্যার পরিকল্পনা করে এমপির ঘনিষ্ঠ বন্ধু আমেরিকান প্রবাসী আক্তারুজ্জামান শাহীন। এ ছাড়াও তার সাথে থাকা শিলাস্তি রহমান নামে এক তরুণীও এ ঘটনায় সন্দেহভাজনে তালিকায় রয়েছেন।
তদন্তসংশ্লিষ্টরা আশংকা করছে, শিলাস্তিকে এমপিকে ফাদে ফেলার হানি ট্র্যাপ হিসেবে ব্যবহার করা হতে পারে। এরই মধ্যে শিলাস্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
ডিবি সূত্র বলছে,ওই তরুনী শিলাস্তি রহমান এমপি আনার খুনের মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহীনের ঘনিষ্ঠ বান্ধবী। তার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে তদন্ত অব্যাহত আছে।
এদিকে এমপি আজিম হত্যার অন্যতম সন্দেহভাজন সিয়াম কলকাতায় গ্রেফতার
কলকাতার একটি সূত্র জানায়, যে ফ্ল্যাটে এমপি আনারকে খুন করা হয়েছে, ১৩ মে সেখানে দুজন পুরুষ ও একজন নারী প্রবেশ করেন। একদিন অবস্থানের পর ফ্ল্যাট থেকে বের হয়ে আসেন এক পুরুষ ও এক নারী। ধারণা করা হচ্ছে, ওই নারীই শিলাস্তি রহমান। ১৩ মে তিনি আমানুল্লাহ ও এমপি আনারের সঙ্গে ফ্ল্যাটে ঢুকে থাকতে পারেন।
ঢাকার ডিবি সূত্রও বলছে, তাদের ধারণা ওই নারীই শিলাস্তি রহমান। কারণ তিনি ১৫ মে বিমানে দেশে ফেরেন। তার সঙ্গে দেশে ফেরেন মূল কিলার আমানুল্লাহ।
ধারণা করা হচ্ছে, হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহীন এমপি আনারকে কলকাতা নিতে এই তরুণীকেই ফাঁদ হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন। কারণ সব পরিকল্পনা করে শাহীন ১০ মে দেশে ফিরে এলেও শিলাস্তি থেকে যান কলকাতায়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের সময় শিলাস্তি তিনতলা ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাটের একটি তলায় অবস্থান করছিলেন। তবে হত্যাকান্ডের সময় সামনে ছিলেন না। হত্যাকাণ্ড ঘটানোর পর তিনি নিচে নেমে আসেন। এরপর লাশ গুমে সহায়তা করেন ওই তরুণী। আমানুল্লাহ ও শিলাস্তি মিলেই এমপি আনারের টুকরো টুকরো করা লাশ একটি ট্রলি নিয়ে প্রথমে বের হয়েছিলেন বলে তথ্য রয়েছে।ভিডিও ফুটেজেও দেখা গেছে।