সর্বশেষ:-
প্রচ্ছদ /
অর্থ ও বাণিজ্য, আইন আদালত, ঈশ্বরদী, উপজেলা প্রশাসন, জেলা প্রশাসক কার্যালয়, দেশজুড়ে, নারী ও শিশু, পাবনা, বাংলাদেশ, রাজনীতি
বিএনপির ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ঈশ্বরদীতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা

প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময়- ০৫:০৮:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৫৫ বার পড়া হয়েছে

মামুনুর রহমান, ঈশ্বরদী (পাবনা):
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির গতকাল ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঈশ্বরদী উপজেলা ও পৌর বিএনপি যৌথভাবে শহরের নাজিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে আজ সোমবার পহেলা সেপ্টেম্বর বিকেলে বন্যাঢ্য শোভাযাত্রা বের করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া নেতৃত্বে শহর প্রদক্ষিণ শেষে ঈশ্বরদী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে পথসভায় মিলিত হয়।
পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এসএম ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্ট ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শামসুদ্দিন আহমেদ মালিথা। বক্তারা বলেন, ১৯৭৮ সালের পহেলা সেপ্টেম্বর বাংলা রাখাল রাজাখ্যাত শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান নিজ হাতে বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল বিএনপি’র প্রতিষ্ঠা করেন। সেই থেকে এই দলের নেতাকর্মীরা আজ পর্যন্ত দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। দেশের কান্তি কালেও বন্যা জলোচ্ছ্বাস ও মহামারীতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন। আজকের এই দিনে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে বারবার স্মরণ করছি। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান অল্প কিছুদিন দেশ সেবা করার সুযোগ পেয়েছিলেন। তিনি যদি দীর্ঘ সময় দেশ সেবার সুযোগ পেতেন তাহলে এদেশকে সোনার বাংলায় রূপান্তরিত করতেন। তার সহধর্মিনী আপোষীণ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তিন তিনবার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনিও দেশের ব্যাপক উন্নয়ন কাজ করেছেন। বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশে উন্নয়নের জোয়ার বয়ে যায়। আগামী নির্বাচনে দল ক্ষমতায় এলে এদেশে ব্যাপক উন্নয়ন হবে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বিদেশি আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
বক্তারা বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকার মিথ্যা মামলায় আমাদের নেতাকর্মীদের অন্ধকার কারাগারে আটকে রেখেছিল। বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে আমাদের নেতাকর্মীরা যোগ দিয়ে আন্দোলনকে বেগবান করেছিল। গোটা দেশটাকে একটি কারাগারে পরিণত করেছিল। আজকে দেশ স্বাধীন হয়েছে, আমরা হয়েছি মুক্ত। আগামী নির্বাচনে ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া আসন ফিরিয়ে আনতে সকল নেতাকর্মীকে একযোগে কাজ করতে হবে। আমরা জেলখানায় নিদারুন কষ্ট করেছি। মানবতর জীবন যাপন করেছি। রাজনৈতিক সহকর্মীরা দীর্ঘ ১৬ বছর তাদের বাড়িতে থাকতে পারেননি। পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের হামলায় অনেকে আহত হয়েছে। আক্রমণের শিকার হয়ে কেউ কেউ মারা গিয়েছে। সকল দ্বিধাদন্ড ও মনের কষ্ট ভুলে দলকে এগিয়ে নিতে কাজ করতে হবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় শ্রমিকদল নেতা আহসান হাবীব, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির দুলাল, ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সভাপতি আজিজুর রহমান শাহীন , পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস এম ফজলুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক আতাউর রহমান পাতা, আমিনুর রহমান স্বপন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইসলাম হোসেন জুয়েল, আক্কাস আলী মেম্বার , ঈশ্বরদী শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি আশিকুর রহমান নান্নু, সাবেক কমিশনার আনোয়ার হোসেন জনি,জাহাঙ্গীর হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সদস্য সচিব মেহেদী হাসান, পৌর ষুবদলের সাবেক সভাপতি মোস্তফা নূরে আলম শ্যামল, পৌর সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মামুনুর রশিদ নান্টু, সদস্য সচিব মাহমুদুর রহমান ফুল জুয়েল, খোরশেদ আলম দিপু, আক্তার হোসেন নিফা ও মাহামুদ হাসান সোনামনিসহ যুবদল, শ্রমিক দল, কৃষক দল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল ও ছাত্রদলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।
নিউজটি শেয়ার করুন..
ট্যাগস:-

-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ