নুরাল পাগলের লাশ তুলে আগুন, দরবারে হামলা-ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

- আপডেট সময়- ০৬:১৩:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৪৮ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন নিউজ ডেস্ক।।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার দরবার শরিফে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশত মানুষ আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজের পর ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটির বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে একদল লোক এই হামলা চালায়। পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গোয়ালন্দ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে নিজ বাড়িতে নুরুল হক দরবার শরিফ গড়ে তুলেছিলেন। গত ২৩ আগস্ট বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি মারা যান। ওই রাতে তাঁর মরদেহ মাটি থেকে কয়েক ফুট উঁচুতে বিশেষ কায়দায় দাফন করা হয়। এ নিয়ে স্থানীয় আলেম সমাজ ক্ষোভ প্রকাশ করে কবর সমতল করার দাবি জানায়। গত মঙ্গলবার ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটি সংবাদ সম্মেলনে দরবারে অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবারের মধ্যে কবর সমতলসহ বিভিন্ন দাবি জানায়। দাবি না মানলে শুক্রবার জুমার নামাজের পর আনসার ক্লাব মাঠে বিক্ষোভ ও ‘মার্চ ফর গোয়ালন্দ’ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী শুক্রবার জুমার নামাজের পর আনসার ক্লাব চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। এ সময় শাবল, হাতুড়ি ও লাঠিসোঁটা নিয়ে একদল লোক দরবারের দিকে মিছিল নিয়ে যায়। পুলিশ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) দুটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। মিছিলকারীরা দরবারে প্রবেশের চেষ্টা করলে দরবারের লোকজন ইটপাটকেল ছুঁড়ে প্রতিরোধ করে। প্রতিপক্ষও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। একপর্যায়ে কয়েক শ লোক দেয়াল টপকে দরবারে ঢুকে হামলা, ভাঙচুর ও ভক্তদের ওপর আক্রমণ চালায়। নুরুল হকের কবর থেকে তাঁর লাশ তুলে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পদ্মার মোড়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা কৌশিক কুমার দাস বলেন, প্রত্যেকের শরীরে ইটপাটকেল, লাঠি ও ধারালো অস্ত্রের কোপের আঘাতের চিহ্ন আছে।
রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার কামরুল ইসলাম বলেন, জুমার নামাজের পর তৌহিদি জনতা জড়ো হন। তাদের একটা অংশ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। সে সময় পুলিশের গাড়ি ও ইউএনওর গাড়ি ভাঙ্চুর করে। পরে নুরুল হকের বাড়িতে হামলা চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
তবে নুরুল হকের ছেলে মেহেদী নূর জিলানী বুধবার সাংবাদিকদের বলেছিলেন, আমার বাবা ইমাম মাহাদির দ্বীন প্রচারক ছিলেন। মৃত্যুর পর তার ওছিয়ত মোতাবেক কিছুটা উঁচু করে ইসলামের বিধান মেনে দাফন করা হয়েছে। ১২ ফুট উঁচু করার অভিযোগ সত্য নয়। তিন থেকে চার ফুট উঁচু হতে পারে। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা, অপপ্রচার ছড়ানো হচ্ছে।
নিউজটি শেয়ার করুন..

-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ