সর্বশেষ:-
সুন্দরগঞ্জের এমপি হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামি কর্নেল কাদের মারা গেছেন ঈশ্বরদীতে শহীদ রাষ্টপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী পালিত শিক্ষকরা প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে জড়িত হলে শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত হয়: এনইউ ভিসি কুষ্টিয়ায় বিএনপি নেতার বাড়ি থেকে বিপুল অর্থ ও ইয়াবাসহ আটক-২ সালাউদ্দিন চৌধুরী সাথে গাজীপুর বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের সদ্য অনুমোদিত কমিটির সাক্ষাৎ  ঐক্যবদ্ধভাবে দুর্বৃত্তদের কালো হাত ভেঙে দিতে ১ ঘণ্টাও লাগবে না: আজহারীর হুংকার বাংলাদেশ বৈচিত্র্যের জায়গা, বৈচিত্র্য রক্ষার্থে কাজ করবে সরকার: সোনারগাঁয়ে ফারুকী মুন্সীগঞ্জে লুট হওয়া ফার্নেস অয়েল সিরাজগঞ্জে উদ্ধার, গ্রেপ্তার-৫ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে রিভিউ শুনানি কাল নগরকান্দায় মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত অর্ধশত  পটুয়াখালী কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে মানববন্ধন গত দু’দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শ্রীমঙ্গলে ক্যাপসিকাম চাষে এক দল কৃষকের ভাগ্য বদলের চেষ্টা ফতুল্লায় পারিবারিক কলহে দুই সহোদরের পর ফের বড় ভাইয়ের মৃত্যু মৌলভীবাজারে হাফিজা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পূনর্মিলনী কমলগঞ্জ পুলিশের সক্রিয়তায় ভাবিকে হত্যার ৯ ঘন্টার মধ্যে দেবর গ্রেপ্তার  শোভাযাত্রার মাধ্যমে কুলাউড়ার লংলা কলেজের  দু’দিনব্যাপী রজতজয়ন্তী ও পুনর্মিলনী কমলগঞ্জের পাহাড়ি ছড়া থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার  দৌলতপুরে ট্রাকের ধাক্কায় মটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু  মৌলভীবাজারের সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে  রেকর্ডসংখ্যক মামলা ও জরিমানা  মৌলভীবাজারে দিনব্যাপী ‘মাদকদ্রব্য অপব্যবহার রোধে’ করনীয় সেমিনার  তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেবরের হাতে ভাবী খুন গাজীপুর মহানগর আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন গ্রেপ্তার দোয়ারাবাজার সীমান্তে বিজিবির হাতে ২ ভারতীয় নাগরিক আটক ভালুকায় শ্রমিক দলের কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত  ভেড়ামারায় অস্ত্র-গুলিসহ ২ ছিনতাইকারী আটক সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্দ্যোগে ৩১ দফা বাস্তবায়নে লিফলেট বিতরণ  না’গঞ্জে মামলা বাণিজ্যে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি ফতুল্লায় সুবিধা বঞ্চিত শিশুসহ হতদরিদ্রের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করলেন মানবিক ডিসি চালের দাম বাড়ার যৌক্তিকতা না থাকলে আইনগত ব্যবস্থা: ডিসি তৌফিকুর রহমান আদিবাসীদের বাঙালি বলাই যথার্থ, তাদের অধিকার রক্ষায় রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ঈশ্বরদীতে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবুল হোসাইনের নানান অনিয়মের বিরুদ্ধে মানববন্ধন  ভেড়ামারায় স্ত্রীর পরকীয়ায় কাল হলো এক প্রবাসীর টেকনাফে বিজিবি অভিযানে বিপুল পরিমাণে মাদকদ্রব্যসহ আটক-৬ মুন্সীগঞ্জে নৌপথে ডাকাতির ছয় দিনেও উদ্ধার হয়নি ৩ কোটি টাকার ফার্নেস অয়েল দৃষ্টি প্রতিবন্ধীর পাশে দাঁড়িয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপনা করলেন না’গঞ্জের নবনিযুক্ত ডিসি ভ্যাটের কারণেই নতুন করে দাম বাড়লো এলপি গ্যাসের নতুন করে আরও ১৪ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে সাবেক বন-পরিবেশ মন্ত্রী ও ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা  দায়িত্বে অবহেলায় চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত জুড়ী উপজেলাবাসী কুষ্টিয়ায় আ’লীগ নেতার দখলে থাকা ৫০ কোটি টাকার সরকারি জমি উদ্ধার হাকালুকি হাওর পাড়ের চাষিরা সরিষা চাষে এবার বাজিমাত নারায়ণগঞ্জে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে নবনিযুক্ত ডিসির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত সিদ্ধিরগঞ্জে কুন প্রস্তুতকারী কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ড  মধ্যরাতে সেন্টমার্টিনের কিংশুক ও বিচ ভ্যালিসহ ৩টি ইকো রিসোর্টে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড বিএনপি নেতাকর্মীদের বলব আপনারা অসহায়দের পাশে দাঁড়ান: সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিন  কুষ্টিয়ায় ৬ রাউন্ড গুলিসহ বিদেশি পিস্তল উদ্ধার  ঈশ্বরদীর পাকশীতে রেলওয়ের বিভাগীয় অফিস চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ  মুন্সীগঞ্জে পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্পে অবৈধ মাটিকাটা বন্ধে মানববন্ধন  কলাপাড়ার বিদ্যুৎ প্লান্টে চুরি: বিএনপি নেতাসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা বাউফলে টমটম উল্টে চালক নিহত, আহত-২ মানবিক জেলা প্রশাসক খ্যাত জাহিদুল ইসলাম মিঞার নারায়ণগঞ্জে যোগদান অনাড়ম্বর আয়োজনে কুলাউড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে নবীন বরণ অনুষ্ঠান শেরপুরে দুই’শ বছরের ঐতিহ্যবাহী ব্যতিক্রমী মাছের মেলা  পাবনায় জেলা বিএনপি নেতাকর্মীদের ক্ষোভ: মামলা নথিভুক্ত না হওয়ার সংবাদ সম্মেলন গফরগাঁওয়ে দূর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন  পিবিআই এসপির সক্রিয়তায় এসআই শফিকুল হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার-২ ফের ডিসির বদলিতে নাজির হতে মরিয়া দুর্নীতির বরপুত্র কে এই সিকদার? মিরপুরে পাওনা টাকা চাইতে গিয়েই ছুরিকাঘাতে খুন হলেন কিশোর আলামিন বাউফলে স্কুলে হাজিরা দিয়েই শেষ, প্রভাবশালী কর্মকর্তার শ্যালিকা পরিচয়ে অনিয়ম দোয়ারাবাজারে দ্রুত গতিতে চলছে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ, অভিযুক্ত বাঁধে বালু অপসারণ সিদ্ধিরগঞ্জে ট্রাক চাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী যুবক নিহত সিদ্ধিরগঞ্জের সাবেক কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা মতি ছেলেসহ গ্রেপ্তার ভালুকায় চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে সংখ্যালুগুদের জমি দখলের পায়তারা  অপরাধী যেই হোক কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না: মুন্সীগঞ্জে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের ৮ দফা দাবিতে মানববন্ধন কমলগঞ্জে পরকীয়ার জেরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা বাউফল ধুলিয়া স্কুল এন্ড কলেজে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ এলিফ্যান্ট রোডে ২ ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে কুপিয়েছে দূর্বৃত্তরা তারেক রহমানের নির্দেশে সদর থানা বিএনপির উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ  না’গঞ্জের প্রশাসন তাদের নিজ স্বার্থের জন্য কাজ করে: মাসুদুজ্জামান মাসুদ  জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ফতুল্লা থানার আয়োজনে দোয়া মাহফিল বিএনপি নেতা নুরুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে গাজীপুর মহাসড়ক অবরোধ কুষ্টিয়ায় ড্রাম ট্রাক ও ভ্যানের সংঘর্ষে নিহত ১ ভেড়ামারায় ফুলকপির বাম্পার ফলনেও মুখে নেই হাসি অবৈধপথে ৪০ হাজার শলাকা সিগারেটসহ আটক-২ ভালুকায় কৃষকদলের উদ্যোগে কৃষক সমাবেশ ও দোয়া অনুষ্ঠিত অস্থির চালের বাজার কোনো উদ্যোগেও নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না   সীতাকুন্ডে প্রেমিকাকে হারিয়ে স্কুল ছাত্রের আত্মহত্যা বাবার সাথে ঘুরতে গিয়ে কর্ণফুলীতে ট্রাকের ধাক্কায় কিশোরের মৃত্যু শ্রীমঙ্গলে বর্ণিল আয়োজনে ‘হারমোনি ফেস্টিভ্যাল’এর উদ্বোধন  মাটি ও মানুষের দল বিএনপি, চিহ্নিত অপরাধীদের অনুপ্রবেশের সুযোগ দেওয়া হবে না: মামুন মাহমুদ  সকল শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে চলতে হবে:  জোসেফ আমি তো কোনো অপরাধ করিনি, আটক হবো কেন’-চিত্রনায়িকা নিপুন  কক্সবাজার গোল্ডেন হিলে এক নারীসহ দুই কাউন্সিলর, অতঃপর গুলিতে ১ জনের মৃত্যু নেত্রকোনায় সড়কে পুলিশ কর্মকর্তাকে কুপিয়ে হত্যা নারায়ণগঞ্জের ডিসি মাহমুদুল হককে বিআইডব্লিউটিসির পরিচালক পদে পদায়ন ফের তিন জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ খুলনার সাবেক কাউন্সিলর টিপুকে কক্সবাজার সৈকতে গুলি করে হত্যা উত্তরা পূর্বথানা থেকে পালালেন গ্রেপ্তার হওয়া সাবেক ওসি শাহ আলম রহস্যেঘেরা টোপে সুন্দরী অভিনেত্রী রেখা বলিউড কাঁপিয়ে কোটি মানুষের হৃদস্পন্দন না’গঞ্জে অসহায়-দুঃস্থদের মাঝে জাবালে নূর ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের শীতবস্ত্র বিতরণ মৌলভীবাজারে ছোট ভাইয়ের হাতের কব্জি কেটে নিলো বড় ভাই  বাউফলে জমি সংক্রান্ত বিরোধে শিক্ষক-সাংবাদিকসহ ৫ জনকে কুপিয়ে জখম মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া মেঘনা নদীতে অবৈধ ঝোঁপ ফেলে মাছ শিকারের হিড়িক ইউরোপে পাঠানোর প্রলোভনে প্রতারকচক্রের কোটি টাকা আত্মসাৎ  তিন দিনের মাথায় ফের না’গঞ্জের ডিসি বদলি নতুন দায়িত্বে জাহিদুল ইসলাম আইনি সহায়তা: বাংলাদেশ-ভারতসহ ডেনমার্কের তুলনামূলক বিশ্লেষণ মুন্সিগঞ্জের বেদে সম্প্রদায় বছরের পর বছর নাগরিক সেবা হতে বঞ্চিত উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়লেন খালেদা জিয়া 

ভালবাসার প্রতীক শুধুই তাজমহল নয়! 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময়- ০৭:১২:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪ ১০৫ বার পড়া হয়েছে
ঋতম্ভরা বন্দোপাধ্যায়,কলকাতা:
ভালবাসার প্রতীক শুধুই তাজমহল নয়। সম্রাট শাহজাহান ও তার বেগম মমতাজ মহলই নন। পারস্য তথা বর্তমানের ইরান থেকে আসা দোরাবজী টাটা এবং তার স্ত্রী মেহেরবাই টাটার গল্প কাহিনী শাহজাহানের কাহিনীকে ম্লান করে দেবে। সেকথাই আজ বলতে চাই। ভালবাসা নিয়ে কত গল্পই না আছে। লায়লা মজনু, রোমিও জুলিয়েট ও শাহজাহানের তাজমহল আরো কত কি!! কিন্তু অনেকেই জানেন না পারস্যের দোরাবজী টাটার কথা। তার স্ত্রী ছিলেন মেহেরবাঈ টাটা। অসামান্য সুন্দরী তো বটেই। বহু গুণসম্পন্ন এই নারীর জীবনটাও তেমনি। যেমন স্বামী,তেমনি স্ত্রী। অসামান্য জুড়ি। ছবিতে যে নারীকে দেখছেন তিনি “লেডি মেহেরবাঈ টাটা”,এবং তার পাশে দোরাবজী টাটা। ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে আমরা সব সময় তাজমহলকেই চিনি কিন্তু আসল ভালবাসা নিদর্শন একজন কিভাবে রেখে গেছেন তা হয়তো আমাদের অনেকের অজানা। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই আসল ভালবাসার নিদর্শনের কথা। ১৮৯৮ সালের valentines day তে অর্থাৎ ১৪ই ফেব্রুয়ারি দিন বিয়ে হয় দোরাবজি টাটা এবং মেহেরবাঈ এর। বিয়ের দু বছর পর অ্যানিভার্সারির দিন দোরাবজি টাটা তার প্রিয়তম স্ত্রীকে একটি হিরে উপহার দেন। সেই হিরেটি আকারে বিশ্ব বিখ্যাত কোহিনুর হীরের চেয়েও দ্বিগুণ বড় ছিল। ২৪৫ ক্যারটের এই হীরের বর্তমান দাম প্রায় ১৩৫ কোটি টাকা। স্বামীর থেকে এই উপহার পেয়ে খুব খুশি হয়েছিলেন মেহেরবাঈ টাটা। তবে আশ্চর্যজনক ঘটনা হল এই হিরেটি না থাকলে আজ হয়তো ভারতবর্ষের বুকে টাটা কোম্পানির কোন অস্তিত্বই থাকতো না। আমরা হয়তো রতন টাটার মত শিল্পপতি কেউ দেখতে পেতাম না। মেহেরবাঈ ছিলেন খুবই সুন্দরী একজন নারী। তার মানসিকতায় রাজকীয় ভাবের পরিচয় ও পাওয়া যায়। ভারতীয় শাড়ি পড়েই তিনি দুনিয়ার সব ইভেন্টে পৌঁছে যেতেন। তিনি খুব ভালো টেনিস খেলতেন।ঘোড়সওয়ার থেকে গাড়ি চালানো সবেতেই তিনি ছিলেন দক্ষ। ভারতীয় মহিলাদের অধিকার নিয়ে তিনি অনেক ভাবতেন। টাটা গ্রুপের বিজনেস সেই সময় রমরমিয়ে চলছে। ইস্পাত শিল্পের এক নম্বর শিরোপা তখন একমাত্র টাটা কোম্পানির দখলে। কিন্তু বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর টাটা গ্রুপের অবস্থা তখন এতটাই খারাপ হল যে দোরাবজির টাটার কাছে তখন শ্রমিকদের পারিশ্রমিক দেওয়ার টাকাও ছিল না। টাটা গ্রুপ প্রায় বন্ধ হতে শুরু করেছিল। এই অসময়ে স্বামীর পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন মেহেরবাঈ টাটা। উপহারে পাওয়া তার সেই দামি হীরের সহ প্রচুর গহনা বন্ধক দেবার অনুরোধ জানান তার স্বামীকে। প্রথমে রাজি না হলেও গরিব শ্রমিকদের কথা ভেবে তিনি তার স্ত্রীর সিদ্ধান্ত মেনে নেন এবং সেই সময় দামি হিরেটি এবং সমস্ত গহনা বন্ধক দিয়ে এক কোটি টাকা লোন পেয়েছিলেন দোরাবজি টাটা। সেই টাকা দিয়ে শ্রমিকদের সমস্ত পারিশ্রমিক মিটিয়ে আবার নতুন করে শুরু করলেন টাটার ইস্পাত কারখানা। কয়েক দিনের মধ্যেই আবার রমরমিয়ে চলতে লাগল টাটা গ্রুপের ব্যবসা। দোরাবজি টাটাও কিছুদিনের মধ্যেই ব্যাংকের লোন মিটিয়ে তার স্ত্রীর কাছে হিরে সহ সমস্ত গহনা তার হাতে তুলে দেন। কিন্তু ১৯৩১ সালে মেহেরবাঈ টাটার হঠাৎ শরীর অসুস্থ হয়। চিকিৎসায় ধরা পড়লো তিনি ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত। দেশ বিদেশের অনেক ডাক্তারকে দেখিয়েও এই রোগ থেকে তার স্ত্রীকে সুস্থ করতে পারেননি দোরাবজি টাটা। অবশেষে মেহেরবাঈ টাটা এক নার্সিংহোমে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। ঠিক এক বছর বাদে দোরাবজি তার স্ত্রীর মৃত্যুর শোক করতে না পেরে উন্মাদের মতো হয়ে গেলেন। মারা যাওয়ার আগে তিনি স্ত্রীর জন্য তৈরি করে রেখে গিয়েছিলেন ভারত বর্ষের বুকে ভালোবাসার এক প্রতীক। তার স্ত্রীকে ক্যান্সারের যন্ত্রণায় তিলে তিলে শেষ হয়ে যেতে দেখেছিলেন দোরাবজি টাটা। তখন ভারতবর্ষের বুকে ক্যান্সারের জন্য কোন চিকিৎসা কেন্দ্র ছিল না। যার জন্য মারা যেত বহু গরিব ও মধ্যবিত্ত ক্যান্সারে আক্রান্ত মানুষেরা। তাই সাধারণ ভারতবাসীর কথা ভেবে স্ত্রী মেহেরবাঈএর সেই বহু মূল্য হিরে টা বিক্রি করে তিনি বানিয়ে ছিলেন টাটা মেমোরিয়াল হসপিটাল এবং লেডি টাটা মেমোরিয়াল ট্রাস্ট। প্রতিবছর এই হাসপাতালে প্রায় ৬৫ হাজার মানুষ ক্যান্সারের চিকিৎসা করাতে আসেন। তার মধ্যে প্রায় ৭০% ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা করা হয়। বছরের প্রায় সাড়ে চার লক্ষ ক্যান্সার রোগীর ফলোআপ ট্রিটমেন্ট চলে এখানে। প্রতিমাসে প্রায় কয়েক হাজার শিশু ক্যান্সার রোগী সুস্থ হয় এই হাসপাতাল থেকেই। শুধু ভারতবর্ষে নয়, বাংলাদেশ থেকেও প্রচুর মানুষ এসে এই হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা করাতে আসেন টাটা মেডিকেল সেন্টারের বিভিন্ন শাখায়। বাংলাদেশের মানুষেরাও জানেন ভারতে এই টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে ক্যান্সারের সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা হয়। তাজমহল তৈরির পর শাহজাহান শ্রমিকদের আঙুল কেটে দিয়েছিলেন যাতে তাজমহলের মত আর কোন স্থাপত্য না তৈরি হয় ।কিন্তু মৃত্যুর আগে দোরাবজি টাটা বলে গিয়েছিলেন সারা দেশ জুড়ে যেন অজস্র হাসপাতাল তৈরি হয় যাতে ভারতবর্ষের সাধারণ ও মধ্যবিত্ত মানুষরা সবথেকে ভালো ক্যান্সারের চিকিৎসা করতে পারেন। শুধু মুম্বাই নয় কলকাতা সহ ভুবনেশ্বর ,বারানসি ,তিরুপতি ,রাঁচি, উত্তর প্রদেশ ইত্যাদি জায়গাতেও গড়ে উঠেছে টাটা মেডিকেল সেন্টার। ভারত সরকারের সাথে হাত মিলিয়ে তেলেঙ্গানা আসাম ওড়িশা নাগাল্যান্ড প্রভৃতি জায়গাগুলিতে ক্যান্সারের রিসার্চ ও নেটওয়ার্ক তৈরী চলছে। যে ক্যান্সারের জন্য স্ত্রী মেহেরবাঈকে হারাতে হয়েছিল সেই ক্যান্সারের জন্যই ৯২ বছরেরও বেশি সময় ধরে লড়াই করে চলেছে টাটা মেমোরিয়াল হসপিটাল। কিছুদিনের মধ্যেই হয়তো আমরা টাটা গ্রুপ থেকে বাজারে পেয়েও যাব ক্যান্সার সারানোর ওষুধ।একেই বলে ভালোবাসার আসল নিদর্শন। কিন্ত সময়ের বিবর্তনে ইতিহাসের পাতায় দোরাবজি এবং মেহেরবাঈ এর এই ভালোবাসার কথা হয়ত একদিন হারিয়ে যাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস:-

ভালবাসার প্রতীক শুধুই তাজমহল নয়! 

আপডেট সময়- ০৭:১২:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪
ঋতম্ভরা বন্দোপাধ্যায়,কলকাতা:
ভালবাসার প্রতীক শুধুই তাজমহল নয়। সম্রাট শাহজাহান ও তার বেগম মমতাজ মহলই নন। পারস্য তথা বর্তমানের ইরান থেকে আসা দোরাবজী টাটা এবং তার স্ত্রী মেহেরবাই টাটার গল্প কাহিনী শাহজাহানের কাহিনীকে ম্লান করে দেবে। সেকথাই আজ বলতে চাই। ভালবাসা নিয়ে কত গল্পই না আছে। লায়লা মজনু, রোমিও জুলিয়েট ও শাহজাহানের তাজমহল আরো কত কি!! কিন্তু অনেকেই জানেন না পারস্যের দোরাবজী টাটার কথা। তার স্ত্রী ছিলেন মেহেরবাঈ টাটা। অসামান্য সুন্দরী তো বটেই। বহু গুণসম্পন্ন এই নারীর জীবনটাও তেমনি। যেমন স্বামী,তেমনি স্ত্রী। অসামান্য জুড়ি। ছবিতে যে নারীকে দেখছেন তিনি “লেডি মেহেরবাঈ টাটা”,এবং তার পাশে দোরাবজী টাটা। ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে আমরা সব সময় তাজমহলকেই চিনি কিন্তু আসল ভালবাসা নিদর্শন একজন কিভাবে রেখে গেছেন তা হয়তো আমাদের অনেকের অজানা। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই আসল ভালবাসার নিদর্শনের কথা। ১৮৯৮ সালের valentines day তে অর্থাৎ ১৪ই ফেব্রুয়ারি দিন বিয়ে হয় দোরাবজি টাটা এবং মেহেরবাঈ এর। বিয়ের দু বছর পর অ্যানিভার্সারির দিন দোরাবজি টাটা তার প্রিয়তম স্ত্রীকে একটি হিরে উপহার দেন। সেই হিরেটি আকারে বিশ্ব বিখ্যাত কোহিনুর হীরের চেয়েও দ্বিগুণ বড় ছিল। ২৪৫ ক্যারটের এই হীরের বর্তমান দাম প্রায় ১৩৫ কোটি টাকা। স্বামীর থেকে এই উপহার পেয়ে খুব খুশি হয়েছিলেন মেহেরবাঈ টাটা। তবে আশ্চর্যজনক ঘটনা হল এই হিরেটি না থাকলে আজ হয়তো ভারতবর্ষের বুকে টাটা কোম্পানির কোন অস্তিত্বই থাকতো না। আমরা হয়তো রতন টাটার মত শিল্পপতি কেউ দেখতে পেতাম না। মেহেরবাঈ ছিলেন খুবই সুন্দরী একজন নারী। তার মানসিকতায় রাজকীয় ভাবের পরিচয় ও পাওয়া যায়। ভারতীয় শাড়ি পড়েই তিনি দুনিয়ার সব ইভেন্টে পৌঁছে যেতেন। তিনি খুব ভালো টেনিস খেলতেন।ঘোড়সওয়ার থেকে গাড়ি চালানো সবেতেই তিনি ছিলেন দক্ষ। ভারতীয় মহিলাদের অধিকার নিয়ে তিনি অনেক ভাবতেন। টাটা গ্রুপের বিজনেস সেই সময় রমরমিয়ে চলছে। ইস্পাত শিল্পের এক নম্বর শিরোপা তখন একমাত্র টাটা কোম্পানির দখলে। কিন্তু বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর টাটা গ্রুপের অবস্থা তখন এতটাই খারাপ হল যে দোরাবজির টাটার কাছে তখন শ্রমিকদের পারিশ্রমিক দেওয়ার টাকাও ছিল না। টাটা গ্রুপ প্রায় বন্ধ হতে শুরু করেছিল। এই অসময়ে স্বামীর পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন মেহেরবাঈ টাটা। উপহারে পাওয়া তার সেই দামি হীরের সহ প্রচুর গহনা বন্ধক দেবার অনুরোধ জানান তার স্বামীকে। প্রথমে রাজি না হলেও গরিব শ্রমিকদের কথা ভেবে তিনি তার স্ত্রীর সিদ্ধান্ত মেনে নেন এবং সেই সময় দামি হিরেটি এবং সমস্ত গহনা বন্ধক দিয়ে এক কোটি টাকা লোন পেয়েছিলেন দোরাবজি টাটা। সেই টাকা দিয়ে শ্রমিকদের সমস্ত পারিশ্রমিক মিটিয়ে আবার নতুন করে শুরু করলেন টাটার ইস্পাত কারখানা। কয়েক দিনের মধ্যেই আবার রমরমিয়ে চলতে লাগল টাটা গ্রুপের ব্যবসা। দোরাবজি টাটাও কিছুদিনের মধ্যেই ব্যাংকের লোন মিটিয়ে তার স্ত্রীর কাছে হিরে সহ সমস্ত গহনা তার হাতে তুলে দেন। কিন্তু ১৯৩১ সালে মেহেরবাঈ টাটার হঠাৎ শরীর অসুস্থ হয়। চিকিৎসায় ধরা পড়লো তিনি ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত। দেশ বিদেশের অনেক ডাক্তারকে দেখিয়েও এই রোগ থেকে তার স্ত্রীকে সুস্থ করতে পারেননি দোরাবজি টাটা। অবশেষে মেহেরবাঈ টাটা এক নার্সিংহোমে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। ঠিক এক বছর বাদে দোরাবজি তার স্ত্রীর মৃত্যুর শোক করতে না পেরে উন্মাদের মতো হয়ে গেলেন। মারা যাওয়ার আগে তিনি স্ত্রীর জন্য তৈরি করে রেখে গিয়েছিলেন ভারত বর্ষের বুকে ভালোবাসার এক প্রতীক। তার স্ত্রীকে ক্যান্সারের যন্ত্রণায় তিলে তিলে শেষ হয়ে যেতে দেখেছিলেন দোরাবজি টাটা। তখন ভারতবর্ষের বুকে ক্যান্সারের জন্য কোন চিকিৎসা কেন্দ্র ছিল না। যার জন্য মারা যেত বহু গরিব ও মধ্যবিত্ত ক্যান্সারে আক্রান্ত মানুষেরা। তাই সাধারণ ভারতবাসীর কথা ভেবে স্ত্রী মেহেরবাঈএর সেই বহু মূল্য হিরে টা বিক্রি করে তিনি বানিয়ে ছিলেন টাটা মেমোরিয়াল হসপিটাল এবং লেডি টাটা মেমোরিয়াল ট্রাস্ট। প্রতিবছর এই হাসপাতালে প্রায় ৬৫ হাজার মানুষ ক্যান্সারের চিকিৎসা করাতে আসেন। তার মধ্যে প্রায় ৭০% ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা করা হয়। বছরের প্রায় সাড়ে চার লক্ষ ক্যান্সার রোগীর ফলোআপ ট্রিটমেন্ট চলে এখানে। প্রতিমাসে প্রায় কয়েক হাজার শিশু ক্যান্সার রোগী সুস্থ হয় এই হাসপাতাল থেকেই। শুধু ভারতবর্ষে নয়, বাংলাদেশ থেকেও প্রচুর মানুষ এসে এই হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা করাতে আসেন টাটা মেডিকেল সেন্টারের বিভিন্ন শাখায়। বাংলাদেশের মানুষেরাও জানেন ভারতে এই টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে ক্যান্সারের সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা হয়। তাজমহল তৈরির পর শাহজাহান শ্রমিকদের আঙুল কেটে দিয়েছিলেন যাতে তাজমহলের মত আর কোন স্থাপত্য না তৈরি হয় ।কিন্তু মৃত্যুর আগে দোরাবজি টাটা বলে গিয়েছিলেন সারা দেশ জুড়ে যেন অজস্র হাসপাতাল তৈরি হয় যাতে ভারতবর্ষের সাধারণ ও মধ্যবিত্ত মানুষরা সবথেকে ভালো ক্যান্সারের চিকিৎসা করতে পারেন। শুধু মুম্বাই নয় কলকাতা সহ ভুবনেশ্বর ,বারানসি ,তিরুপতি ,রাঁচি, উত্তর প্রদেশ ইত্যাদি জায়গাতেও গড়ে উঠেছে টাটা মেডিকেল সেন্টার। ভারত সরকারের সাথে হাত মিলিয়ে তেলেঙ্গানা আসাম ওড়িশা নাগাল্যান্ড প্রভৃতি জায়গাগুলিতে ক্যান্সারের রিসার্চ ও নেটওয়ার্ক তৈরী চলছে। যে ক্যান্সারের জন্য স্ত্রী মেহেরবাঈকে হারাতে হয়েছিল সেই ক্যান্সারের জন্যই ৯২ বছরেরও বেশি সময় ধরে লড়াই করে চলেছে টাটা মেমোরিয়াল হসপিটাল। কিছুদিনের মধ্যেই হয়তো আমরা টাটা গ্রুপ থেকে বাজারে পেয়েও যাব ক্যান্সার সারানোর ওষুধ।একেই বলে ভালোবাসার আসল নিদর্শন। কিন্ত সময়ের বিবর্তনে ইতিহাসের পাতায় দোরাবজি এবং মেহেরবাঈ এর এই ভালোবাসার কথা হয়ত একদিন হারিয়ে যাবে।