ঢাকা ০৮:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ:-
কুষ্টিয়ায় আব্দুল করিম কলেজের খেলার মাঠ দখল করে ব্লক তৈরি না’গঞ্জে ট্রাফিক পুলিশের মাঝে ছাতা, স্যালাইন, মাক্সসহ বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ উলামা পরিষদ ও খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত না’গঞ্জকে স্বাস্থ্যসম্মত ও মানবিক শহরে রূপান্তর হবে-৩’শ শয্যা হাসপাতাল পরিদর্শনে ডিসি জাহিদুল বাংলাদেশ ক্লথ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশ’র সভাপতি হলেন প্রবীর কুমার সাহা ইয়ার্ন মার্চেন্ট নির্বাচনে মাহফুজুর রহমানের নেতৃত্বে এসোসিয়েট গ্রুপে ৬ প্রার্থীর মনোনয়ন জমা মুন্সীগঞ্জের আড়িয়াল বিলে ধান কাটলেন দুই উপদেষ্টা গজারিয়ায় ১৫ হাজার লিটার চোরাই তেলসহ লরি জব্দ করল জনতা সারাদেশে তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন ২০০১ সালের পর আর দেশে দেখা মিলেনি-নাসের রহমান  শ্রীমঙ্গলে অপহরণ মামলার আসামী রাজু বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার  না’গঞ্জ ৩’শ শয্যা হাসপাতাল পরিদর্শন; সেবার মানোন্নয়নে ৫টি হুইল চেয়ার প্রদান করেন ডিসি আশুলিয়া থেকে মৃত্যুদণ্ড সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-১১ কলারোয়ায় মায়ের হাতে দেড় বছরের শিশু কন্যা খুন কুষ্টিয়ায় দলিল লেখক ঘুষ দাবি করায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা সিদ্ধিরগঞ্জ থানা জিয়া সৈনিক দলের  পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা অবশেষে ফরিদপুরে বদলি আড়াইহাজারের বিতর্কিত ওসি এনায়েত হোসেন শেরপুরে মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকের ওপর হামলা: যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক-৩ শ্রীমঙ্গলে পর্নোগ্রাফি মামলার আসামি হুমায়ুন গ্রেপ্তার কাস্মীরে হা*মলা; ভারত-পাকিস্তান ‘যু*দ্ধের’ শঙ্কা ক্রমশ বাড়ছে দৌলতপুরে এসএসসি পরীক্ষায় শতভাগ শিক্ষার্থী অনুপস্থিত, প্রধান শিক্ষককে নোটিশ পটুয়াখালীতে হিজাব না খোলায় ৪ পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্র নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পারভেজ হত্যা মামলার প্রধান আসামি মেহেরাজ গাইবান্ধায় গ্রেপ্তার মুন্সীগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে পদত্যাগ করে ছাত্রদলে যোগদান  সোনারগাঁয়ে নারকোটিসের অভিযানে ১৮ হাজার ৫’শ ইয়াবাসহ আটক-২ রূপগঞ্জে রায়হান হত্যা মামলায় একই পরিবারের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার উত্তরার খিলখেতে স্থানীয় দোকানপাটে নিয়মিত চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার-২ মুহাম্মদ ফাউন্ডেশন’র পক্ষ থেকে হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে হুইল চেয়ার বিতরণ  সংস্কারের নামে নাটক মঞ্চস্থ না করে দ্রুত নির্বাচন দিন: রুমিন ফারহানা সিলেট রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ শ্রীমঙ্গল থানার ওসি আমিনুল  রায়পুরায় শারীরিক প্রতিবন্ধীকে হুইল চেয়ার উপহার দিলেন মানবিক ইউএনও  ৩৬ দিনে নয়, বিএনপির ১৬ বছরের সংগ্রাম ও গণবিস্ফোরণের ফল: রুমিন ফারহানা জুড়ীতে ডিবির বিশেষ অভিযানে ৪’শ ১০পিস ইয়াবাসহ আটক-১ মুন্সীগঞ্জে অটোরিক্সা ছিনতাইকালে অস্ত্র ও বোমাসহ যুবদল কর্মী গ্রেপ্তার কুমারখালী পৌরসভায় ৪৩ মাসের বেতন বকেয়া: ফটকে তালা মুন্সীগঞ্জে ৬ টন আলু হিমাগারে সংরক্ষণ করতে না পেরে বিপাকে কৃষক ছাত্রদলের পারভেজ হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে বড়লেখায় মানববন্ধন  মৌলভীবাজারে A One ব্রেড এন্ড বিস্কুট ফ্যাক্টরিকে ২ লাখ টাকা জরিমানা টিকটকে পরিচয়ে প্রেম-বিয়ে, স্ত্রী’র মর্যাদার দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে  গজারিয়ায় তুচ্ছ ঘটনায় দুই দল শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ,আহত- ৪ বিএনপি নেতার রাস্তা উদ্ধোধনে আওয়ামী লীগ নারায়ণগঞ্জে চাঞ্চল্যকর সোহান হত্যা মামলার প্রধাম আসামি কাজল গ্রেপ্তার সংবাদপত্র হকার্স সমিতির সাবেক পরিচালক আর নেই ভিক্টোরিয়া হাসপাতালকে আধুনিকতায় নতুন রূপে গড়ে তোলা হবে: ডিসি শেরপুর থানার বিশেষ অভিযানে দুই’শ পিস ইয়াবাসহ আটক-১ পটুয়াখালীর দুমকীতে ৮০ বছরের বৃদ্ধাকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে অভিযুক্ত গ্রেপ্তার কুষ্টিয়ায় সোন্দাহ স্কুলের গাছে ঝুলছিল নৈশপ্রহরীর মরদেহ কমলগঞ্জে ১’শ ষাট পিস ইয়াবাসহ পুলিশের জালে মাদক কারবারী গাইবান্ধায় ৬ দফা দাবি আদায়ে ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষকদের মানববন্ধন শ্রীমঙ্গল উপজেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক মতবিনিময় সভা মৌলভীবাজারের কৃষকরা ধান কেটে চোঁখে মুখে হাসির ঝিলিক আজ থেকে আপিল বিভাগের আরও দুটি বেঞ্চে চলবে বিচারকার্য নারায়ণগঞ্জে পাভেল হত্যার প্রধান আসামি ‘কবুতর বাবু’ বরিশালে গ্রেপ্তার  ঈশ্বরদীতে উপজেলা হ্যান্ডেলিং শ্রমিক ইউনিয়নের তৃণমূল কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত বড়লেখায় যুবলীগ নেতা মিলাদ শ্রীঘরে  গাজীপুরে ২ শিশুকে হত্যার ঘটনায় মা জড়িত: পুলিশ বাউফলে ইয়াবাসহ স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা গ্রেপ্তার অস্থিতিশীল কাঁচা বাজার: বাজারে সবজি প্রচুর থাকলেও ৮০ টাকার নিচে মিলছেই না টঙ্গীতে ২ শিশুর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার গাইবান্ধায় প্রেমের টানে ভাগ্নের হাত ধরে মামী উধাও  শ্রীমঙ্গলে নিষিদ্ধ কোডিন সহ আটক-১ ভৈরবের গজারিয়া ইউনিয়নে মাদক’ বিরোধী র‍্যালী ও পথসভা মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলকে জেলার শ্রেষ্ঠ থানা ঘোষণা  সুন্দরগঞ্জে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা: জাপা নেতা ও কলেজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলা মুন্সীগঞ্জের টংঙ্গীবাড়ীতে চেয়ারম্যানকে গুলি করে মারার হুমকি পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা বন্ধ পটুয়াখালী সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা.শামীম আল আজাদকে ‘ওএসডি কুলাউড়ায় দখলকৃত ২ কোটি টাকা সমমূল্যের সরকারি জমি উদ্ধার  শ্রীমঙ্গলে বজ্রপাতে মারাত্মকভাবে আহত পিতা-পুত্র  ফরিদপুরে হজ্ব যাত্রীদের নিয়ে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত গাজায় ইসরাইলী বর্বর গনহত্যার প্রতিবাদে মৌলভীবাজারে বিক্ষোভ সমাবেশ কলাপাড়ায় বিএনপি কার্যালয়সহ চার দোকান পুড়ে ছাই টেকনাফে বিজিবির অভিযানে এক লক্ষ পিস ইয়াবাসহ আটক-১ ২৪’এ ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের মাঝে জেলা পরিষদের আর্থিক অনুদান প্রদান নারায়ণগঞ্জে মুরাদ হত্যার পলাতক আসামি ২১ বছর পর র‍্যাবের জালে জিলাপি খেতে চাওয়া ইটনা থানার সেই ওসি মনোয়ার প্রত্যাহার বাউফলে দাখিল পরীক্ষা কেন্দ্রে  বিশেষ সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ সাংবাদিক ও কবি সৌমিত্র দেব আর নেই গাইবান্ধা-২ আসনের সাবেক এমপি সারোয়ার কবীর গ্রেপ্তার গাইবান্ধায় এসএসসি পরীক্ষায় নকলের মহোৎসব: ১ শিক্ষকসহ ১০ পরীক্ষার্থী বহিষ্কার কুষ্টিয়ায় ট্রাকের ধাক্কায় বৃদ্ধ নিহত গাজাবাসীর প্রতি সংহতির বার্তা নিয়ে না’গঞ্জ জেলা প্রশাসকের বর্ণীল পহেলা বৈশাখ পালন নির্দেশ না মানায় হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুদান স্থগিত করলেন ট্রাম্প প্রশাসন চট্টগ্রামে আ’লীগ একাধিক নেতাকর্মীদের বাড়িতে দিনভর লুটপাট-হামলা-ভাঙচুর দেশবাসীকে নববর্ষ সম্প্রীতিসহ জাতীয় ঐক্যের বার্তা দিলেন সেনাপ্রধান দীর্ঘদিন কারাভোগের পর অবশেষে মুক্ত সাবেক ছাত্রদল নেতা জাকির খান “মার্চ ফর গাজা” শক্তিশালী বার্তা হিসেবে বিশ্বজুড়ে প্রতিধ্বনিত হবে কুষ্টিয়ায় র‍্যাবের অভিযানে অপহরণকারী গ্রেপ্তার ও অপহৃত ভিকটিম উদ্ধার গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করতে বলায় সামরিক কর্মকর্তাদের বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেতানিয়াহুর গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, না’গঞ্জে বিক্ষোভ কিছু উপদেষ্টার পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার খায়েশ জন্মেছে: মুন্সীগঞ্জে ড.আসাদুজ্জামান গাজায় গণহত্যা বন্ধে দাবিতে সাতক্ষীরা শিবিরের বিক্ষোভ শ্রীমঙ্গলের জাগছড়া চা বাগান থেকে ১৫ ফুট লম্বা অজগর উদ্ধার  কমলগঞ্জে যৌথবাহিনীর অভিযানে লাখ টাকা জরিমানা ও কারাদণ্ড নারায়ণগঞ্জে বস্তাবন্দি দুই নারীসহ এক শিশুর অর্ধগলিত খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার জাকির খানের মুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই,রোববার মুক্ত মৌলভীবাজারে আইনজীবী সুজন মিসকিলিং’র শিকার; চাঞ্চল্যকর তথ্য; গ্রেপ্তার ৫ প্রতারণার অভিযোগে জাতীয় নাগরিক কমিটির নেত্রী দিলশাদ পুলিশি হেফাজতে কুষ্টিয়ায় চুরির অভিযোগে রিক্সা চালককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উত্তরায় মেট্রোরেল চোরাই পণ্যের অনুসন্ধানের সময় তিন সাংবাদিকদের উপর হামলা গ্রেপ্তার-১

ভালবাসার প্রতীক শুধুই তাজমহল নয়! 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময়- ০৭:১২:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪ ১৫৯ বার পড়া হয়েছে
ঋতম্ভরা বন্দোপাধ্যায়,কলকাতা:
ভালবাসার প্রতীক শুধুই তাজমহল নয়। সম্রাট শাহজাহান ও তার বেগম মমতাজ মহলই নন। পারস্য তথা বর্তমানের ইরান থেকে আসা দোরাবজী টাটা এবং তার স্ত্রী মেহেরবাই টাটার গল্প কাহিনী শাহজাহানের কাহিনীকে ম্লান করে দেবে। সেকথাই আজ বলতে চাই। ভালবাসা নিয়ে কত গল্পই না আছে। লায়লা মজনু, রোমিও জুলিয়েট ও শাহজাহানের তাজমহল আরো কত কি!! কিন্তু অনেকেই জানেন না পারস্যের দোরাবজী টাটার কথা। তার স্ত্রী ছিলেন মেহেরবাঈ টাটা। অসামান্য সুন্দরী তো বটেই। বহু গুণসম্পন্ন এই নারীর জীবনটাও তেমনি। যেমন স্বামী,তেমনি স্ত্রী। অসামান্য জুড়ি। ছবিতে যে নারীকে দেখছেন তিনি “লেডি মেহেরবাঈ টাটা”,এবং তার পাশে দোরাবজী টাটা। ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে আমরা সব সময় তাজমহলকেই চিনি কিন্তু আসল ভালবাসা নিদর্শন একজন কিভাবে রেখে গেছেন তা হয়তো আমাদের অনেকের অজানা। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই আসল ভালবাসার নিদর্শনের কথা। ১৮৯৮ সালের valentines day তে অর্থাৎ ১৪ই ফেব্রুয়ারি দিন বিয়ে হয় দোরাবজি টাটা এবং মেহেরবাঈ এর। বিয়ের দু বছর পর অ্যানিভার্সারির দিন দোরাবজি টাটা তার প্রিয়তম স্ত্রীকে একটি হিরে উপহার দেন। সেই হিরেটি আকারে বিশ্ব বিখ্যাত কোহিনুর হীরের চেয়েও দ্বিগুণ বড় ছিল। ২৪৫ ক্যারটের এই হীরের বর্তমান দাম প্রায় ১৩৫ কোটি টাকা। স্বামীর থেকে এই উপহার পেয়ে খুব খুশি হয়েছিলেন মেহেরবাঈ টাটা। তবে আশ্চর্যজনক ঘটনা হল এই হিরেটি না থাকলে আজ হয়তো ভারতবর্ষের বুকে টাটা কোম্পানির কোন অস্তিত্বই থাকতো না। আমরা হয়তো রতন টাটার মত শিল্পপতি কেউ দেখতে পেতাম না। মেহেরবাঈ ছিলেন খুবই সুন্দরী একজন নারী। তার মানসিকতায় রাজকীয় ভাবের পরিচয় ও পাওয়া যায়। ভারতীয় শাড়ি পড়েই তিনি দুনিয়ার সব ইভেন্টে পৌঁছে যেতেন। তিনি খুব ভালো টেনিস খেলতেন।ঘোড়সওয়ার থেকে গাড়ি চালানো সবেতেই তিনি ছিলেন দক্ষ। ভারতীয় মহিলাদের অধিকার নিয়ে তিনি অনেক ভাবতেন। টাটা গ্রুপের বিজনেস সেই সময় রমরমিয়ে চলছে। ইস্পাত শিল্পের এক নম্বর শিরোপা তখন একমাত্র টাটা কোম্পানির দখলে। কিন্তু বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর টাটা গ্রুপের অবস্থা তখন এতটাই খারাপ হল যে দোরাবজির টাটার কাছে তখন শ্রমিকদের পারিশ্রমিক দেওয়ার টাকাও ছিল না। টাটা গ্রুপ প্রায় বন্ধ হতে শুরু করেছিল। এই অসময়ে স্বামীর পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন মেহেরবাঈ টাটা। উপহারে পাওয়া তার সেই দামি হীরের সহ প্রচুর গহনা বন্ধক দেবার অনুরোধ জানান তার স্বামীকে। প্রথমে রাজি না হলেও গরিব শ্রমিকদের কথা ভেবে তিনি তার স্ত্রীর সিদ্ধান্ত মেনে নেন এবং সেই সময় দামি হিরেটি এবং সমস্ত গহনা বন্ধক দিয়ে এক কোটি টাকা লোন পেয়েছিলেন দোরাবজি টাটা। সেই টাকা দিয়ে শ্রমিকদের সমস্ত পারিশ্রমিক মিটিয়ে আবার নতুন করে শুরু করলেন টাটার ইস্পাত কারখানা। কয়েক দিনের মধ্যেই আবার রমরমিয়ে চলতে লাগল টাটা গ্রুপের ব্যবসা। দোরাবজি টাটাও কিছুদিনের মধ্যেই ব্যাংকের লোন মিটিয়ে তার স্ত্রীর কাছে হিরে সহ সমস্ত গহনা তার হাতে তুলে দেন। কিন্তু ১৯৩১ সালে মেহেরবাঈ টাটার হঠাৎ শরীর অসুস্থ হয়। চিকিৎসায় ধরা পড়লো তিনি ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত। দেশ বিদেশের অনেক ডাক্তারকে দেখিয়েও এই রোগ থেকে তার স্ত্রীকে সুস্থ করতে পারেননি দোরাবজি টাটা। অবশেষে মেহেরবাঈ টাটা এক নার্সিংহোমে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। ঠিক এক বছর বাদে দোরাবজি তার স্ত্রীর মৃত্যুর শোক করতে না পেরে উন্মাদের মতো হয়ে গেলেন। মারা যাওয়ার আগে তিনি স্ত্রীর জন্য তৈরি করে রেখে গিয়েছিলেন ভারত বর্ষের বুকে ভালোবাসার এক প্রতীক। তার স্ত্রীকে ক্যান্সারের যন্ত্রণায় তিলে তিলে শেষ হয়ে যেতে দেখেছিলেন দোরাবজি টাটা। তখন ভারতবর্ষের বুকে ক্যান্সারের জন্য কোন চিকিৎসা কেন্দ্র ছিল না। যার জন্য মারা যেত বহু গরিব ও মধ্যবিত্ত ক্যান্সারে আক্রান্ত মানুষেরা। তাই সাধারণ ভারতবাসীর কথা ভেবে স্ত্রী মেহেরবাঈএর সেই বহু মূল্য হিরে টা বিক্রি করে তিনি বানিয়ে ছিলেন টাটা মেমোরিয়াল হসপিটাল এবং লেডি টাটা মেমোরিয়াল ট্রাস্ট। প্রতিবছর এই হাসপাতালে প্রায় ৬৫ হাজার মানুষ ক্যান্সারের চিকিৎসা করাতে আসেন। তার মধ্যে প্রায় ৭০% ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা করা হয়। বছরের প্রায় সাড়ে চার লক্ষ ক্যান্সার রোগীর ফলোআপ ট্রিটমেন্ট চলে এখানে। প্রতিমাসে প্রায় কয়েক হাজার শিশু ক্যান্সার রোগী সুস্থ হয় এই হাসপাতাল থেকেই। শুধু ভারতবর্ষে নয়, বাংলাদেশ থেকেও প্রচুর মানুষ এসে এই হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা করাতে আসেন টাটা মেডিকেল সেন্টারের বিভিন্ন শাখায়। বাংলাদেশের মানুষেরাও জানেন ভারতে এই টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে ক্যান্সারের সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা হয়। তাজমহল তৈরির পর শাহজাহান শ্রমিকদের আঙুল কেটে দিয়েছিলেন যাতে তাজমহলের মত আর কোন স্থাপত্য না তৈরি হয় ।কিন্তু মৃত্যুর আগে দোরাবজি টাটা বলে গিয়েছিলেন সারা দেশ জুড়ে যেন অজস্র হাসপাতাল তৈরি হয় যাতে ভারতবর্ষের সাধারণ ও মধ্যবিত্ত মানুষরা সবথেকে ভালো ক্যান্সারের চিকিৎসা করতে পারেন। শুধু মুম্বাই নয় কলকাতা সহ ভুবনেশ্বর ,বারানসি ,তিরুপতি ,রাঁচি, উত্তর প্রদেশ ইত্যাদি জায়গাতেও গড়ে উঠেছে টাটা মেডিকেল সেন্টার। ভারত সরকারের সাথে হাত মিলিয়ে তেলেঙ্গানা আসাম ওড়িশা নাগাল্যান্ড প্রভৃতি জায়গাগুলিতে ক্যান্সারের রিসার্চ ও নেটওয়ার্ক তৈরী চলছে। যে ক্যান্সারের জন্য স্ত্রী মেহেরবাঈকে হারাতে হয়েছিল সেই ক্যান্সারের জন্যই ৯২ বছরেরও বেশি সময় ধরে লড়াই করে চলেছে টাটা মেমোরিয়াল হসপিটাল। কিছুদিনের মধ্যেই হয়তো আমরা টাটা গ্রুপ থেকে বাজারে পেয়েও যাব ক্যান্সার সারানোর ওষুধ।একেই বলে ভালোবাসার আসল নিদর্শন। কিন্ত সময়ের বিবর্তনে ইতিহাসের পাতায় দোরাবজি এবং মেহেরবাঈ এর এই ভালোবাসার কথা হয়ত একদিন হারিয়ে যাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস:-

ভালবাসার প্রতীক শুধুই তাজমহল নয়! 

আপডেট সময়- ০৭:১২:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪
ঋতম্ভরা বন্দোপাধ্যায়,কলকাতা:
ভালবাসার প্রতীক শুধুই তাজমহল নয়। সম্রাট শাহজাহান ও তার বেগম মমতাজ মহলই নন। পারস্য তথা বর্তমানের ইরান থেকে আসা দোরাবজী টাটা এবং তার স্ত্রী মেহেরবাই টাটার গল্প কাহিনী শাহজাহানের কাহিনীকে ম্লান করে দেবে। সেকথাই আজ বলতে চাই। ভালবাসা নিয়ে কত গল্পই না আছে। লায়লা মজনু, রোমিও জুলিয়েট ও শাহজাহানের তাজমহল আরো কত কি!! কিন্তু অনেকেই জানেন না পারস্যের দোরাবজী টাটার কথা। তার স্ত্রী ছিলেন মেহেরবাঈ টাটা। অসামান্য সুন্দরী তো বটেই। বহু গুণসম্পন্ন এই নারীর জীবনটাও তেমনি। যেমন স্বামী,তেমনি স্ত্রী। অসামান্য জুড়ি। ছবিতে যে নারীকে দেখছেন তিনি “লেডি মেহেরবাঈ টাটা”,এবং তার পাশে দোরাবজী টাটা। ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে আমরা সব সময় তাজমহলকেই চিনি কিন্তু আসল ভালবাসা নিদর্শন একজন কিভাবে রেখে গেছেন তা হয়তো আমাদের অনেকের অজানা। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই আসল ভালবাসার নিদর্শনের কথা। ১৮৯৮ সালের valentines day তে অর্থাৎ ১৪ই ফেব্রুয়ারি দিন বিয়ে হয় দোরাবজি টাটা এবং মেহেরবাঈ এর। বিয়ের দু বছর পর অ্যানিভার্সারির দিন দোরাবজি টাটা তার প্রিয়তম স্ত্রীকে একটি হিরে উপহার দেন। সেই হিরেটি আকারে বিশ্ব বিখ্যাত কোহিনুর হীরের চেয়েও দ্বিগুণ বড় ছিল। ২৪৫ ক্যারটের এই হীরের বর্তমান দাম প্রায় ১৩৫ কোটি টাকা। স্বামীর থেকে এই উপহার পেয়ে খুব খুশি হয়েছিলেন মেহেরবাঈ টাটা। তবে আশ্চর্যজনক ঘটনা হল এই হিরেটি না থাকলে আজ হয়তো ভারতবর্ষের বুকে টাটা কোম্পানির কোন অস্তিত্বই থাকতো না। আমরা হয়তো রতন টাটার মত শিল্পপতি কেউ দেখতে পেতাম না। মেহেরবাঈ ছিলেন খুবই সুন্দরী একজন নারী। তার মানসিকতায় রাজকীয় ভাবের পরিচয় ও পাওয়া যায়। ভারতীয় শাড়ি পড়েই তিনি দুনিয়ার সব ইভেন্টে পৌঁছে যেতেন। তিনি খুব ভালো টেনিস খেলতেন।ঘোড়সওয়ার থেকে গাড়ি চালানো সবেতেই তিনি ছিলেন দক্ষ। ভারতীয় মহিলাদের অধিকার নিয়ে তিনি অনেক ভাবতেন। টাটা গ্রুপের বিজনেস সেই সময় রমরমিয়ে চলছে। ইস্পাত শিল্পের এক নম্বর শিরোপা তখন একমাত্র টাটা কোম্পানির দখলে। কিন্তু বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর টাটা গ্রুপের অবস্থা তখন এতটাই খারাপ হল যে দোরাবজির টাটার কাছে তখন শ্রমিকদের পারিশ্রমিক দেওয়ার টাকাও ছিল না। টাটা গ্রুপ প্রায় বন্ধ হতে শুরু করেছিল। এই অসময়ে স্বামীর পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন মেহেরবাঈ টাটা। উপহারে পাওয়া তার সেই দামি হীরের সহ প্রচুর গহনা বন্ধক দেবার অনুরোধ জানান তার স্বামীকে। প্রথমে রাজি না হলেও গরিব শ্রমিকদের কথা ভেবে তিনি তার স্ত্রীর সিদ্ধান্ত মেনে নেন এবং সেই সময় দামি হিরেটি এবং সমস্ত গহনা বন্ধক দিয়ে এক কোটি টাকা লোন পেয়েছিলেন দোরাবজি টাটা। সেই টাকা দিয়ে শ্রমিকদের সমস্ত পারিশ্রমিক মিটিয়ে আবার নতুন করে শুরু করলেন টাটার ইস্পাত কারখানা। কয়েক দিনের মধ্যেই আবার রমরমিয়ে চলতে লাগল টাটা গ্রুপের ব্যবসা। দোরাবজি টাটাও কিছুদিনের মধ্যেই ব্যাংকের লোন মিটিয়ে তার স্ত্রীর কাছে হিরে সহ সমস্ত গহনা তার হাতে তুলে দেন। কিন্তু ১৯৩১ সালে মেহেরবাঈ টাটার হঠাৎ শরীর অসুস্থ হয়। চিকিৎসায় ধরা পড়লো তিনি ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত। দেশ বিদেশের অনেক ডাক্তারকে দেখিয়েও এই রোগ থেকে তার স্ত্রীকে সুস্থ করতে পারেননি দোরাবজি টাটা। অবশেষে মেহেরবাঈ টাটা এক নার্সিংহোমে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। ঠিক এক বছর বাদে দোরাবজি তার স্ত্রীর মৃত্যুর শোক করতে না পেরে উন্মাদের মতো হয়ে গেলেন। মারা যাওয়ার আগে তিনি স্ত্রীর জন্য তৈরি করে রেখে গিয়েছিলেন ভারত বর্ষের বুকে ভালোবাসার এক প্রতীক। তার স্ত্রীকে ক্যান্সারের যন্ত্রণায় তিলে তিলে শেষ হয়ে যেতে দেখেছিলেন দোরাবজি টাটা। তখন ভারতবর্ষের বুকে ক্যান্সারের জন্য কোন চিকিৎসা কেন্দ্র ছিল না। যার জন্য মারা যেত বহু গরিব ও মধ্যবিত্ত ক্যান্সারে আক্রান্ত মানুষেরা। তাই সাধারণ ভারতবাসীর কথা ভেবে স্ত্রী মেহেরবাঈএর সেই বহু মূল্য হিরে টা বিক্রি করে তিনি বানিয়ে ছিলেন টাটা মেমোরিয়াল হসপিটাল এবং লেডি টাটা মেমোরিয়াল ট্রাস্ট। প্রতিবছর এই হাসপাতালে প্রায় ৬৫ হাজার মানুষ ক্যান্সারের চিকিৎসা করাতে আসেন। তার মধ্যে প্রায় ৭০% ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা করা হয়। বছরের প্রায় সাড়ে চার লক্ষ ক্যান্সার রোগীর ফলোআপ ট্রিটমেন্ট চলে এখানে। প্রতিমাসে প্রায় কয়েক হাজার শিশু ক্যান্সার রোগী সুস্থ হয় এই হাসপাতাল থেকেই। শুধু ভারতবর্ষে নয়, বাংলাদেশ থেকেও প্রচুর মানুষ এসে এই হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা করাতে আসেন টাটা মেডিকেল সেন্টারের বিভিন্ন শাখায়। বাংলাদেশের মানুষেরাও জানেন ভারতে এই টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে ক্যান্সারের সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা হয়। তাজমহল তৈরির পর শাহজাহান শ্রমিকদের আঙুল কেটে দিয়েছিলেন যাতে তাজমহলের মত আর কোন স্থাপত্য না তৈরি হয় ।কিন্তু মৃত্যুর আগে দোরাবজি টাটা বলে গিয়েছিলেন সারা দেশ জুড়ে যেন অজস্র হাসপাতাল তৈরি হয় যাতে ভারতবর্ষের সাধারণ ও মধ্যবিত্ত মানুষরা সবথেকে ভালো ক্যান্সারের চিকিৎসা করতে পারেন। শুধু মুম্বাই নয় কলকাতা সহ ভুবনেশ্বর ,বারানসি ,তিরুপতি ,রাঁচি, উত্তর প্রদেশ ইত্যাদি জায়গাতেও গড়ে উঠেছে টাটা মেডিকেল সেন্টার। ভারত সরকারের সাথে হাত মিলিয়ে তেলেঙ্গানা আসাম ওড়িশা নাগাল্যান্ড প্রভৃতি জায়গাগুলিতে ক্যান্সারের রিসার্চ ও নেটওয়ার্ক তৈরী চলছে। যে ক্যান্সারের জন্য স্ত্রী মেহেরবাঈকে হারাতে হয়েছিল সেই ক্যান্সারের জন্যই ৯২ বছরেরও বেশি সময় ধরে লড়াই করে চলেছে টাটা মেমোরিয়াল হসপিটাল। কিছুদিনের মধ্যেই হয়তো আমরা টাটা গ্রুপ থেকে বাজারে পেয়েও যাব ক্যান্সার সারানোর ওষুধ।একেই বলে ভালোবাসার আসল নিদর্শন। কিন্ত সময়ের বিবর্তনে ইতিহাসের পাতায় দোরাবজি এবং মেহেরবাঈ এর এই ভালোবাসার কথা হয়ত একদিন হারিয়ে যাবে।