সর্বশেষ:-
প্রচ্ছদ /
অর্থ ও বাণিজ্য, আইন আদালত, জেলা প্রশাসক কার্যালয়, দূর্নীতি দমন কমিশন(দুদক), দেশজুড়ে, নারী ও শিশু, বাংলাদেশ, মুন্সিগঞ্জ
মুন্সীগঞ্জের সরকারি হাসপাতালের তিন বিভাগই ডাক্তার শুন্য
প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময়- ০৩:৫৫:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৬২ বার পড়া হয়েছে
মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি।।
মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে তিনটি বিভাগে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নেই।তার ফলে এখানকার রোগিরা হাসপাতালের সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।যে তিনটি বিভাগে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নেই সেগুলো হচ্ছে গাইনী বিভাগ,চক্ষু বিভাগ ও মেডিসিন বিভাগ।প্রায় এক বছর ধরে এখানে গাইনী বিভাগে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নেই।এখানে এ ডাক্তারের পরিবর্তে এ বিভাগে বর্তমানে অন্যান্য চিকিৎসক দিয়ে সেবার কাজ জোড়াতালি দিয়ে চালিয়ে নেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।কবে লাগাত এ বিভাগের সুচিকিৎসা রোগিরা ফিরে পাবে তা কেউ জানে না। জেলার বিপুল জনগোষ্টির একমাত্র ভরসা হচ্ছে এই মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল।ভালো চিকিৎসা পাওয়ার আশায় এ জনপদের মানুষেরা এখানে ছুটে আসে।কিন্তু সেই চিকিৎিসা না পেয়ে মানুষকে ছুটতে হচ্ছে অন্যত্র।বিশেষ ক্ষমতা বলে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল থেকে প্রায় এক বছর আগে গাইনী বিভাগের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার তৌহিদা নাজনীন এখান থেকে পেষনে বদলী হয়ে চলে যান ঢাকার ক্যান্সার হাসপাতালে।সেখানে সে কর্মরত থাকলেও তার বেতনভাতাদি উত্তোলন হয় পেষনের কারণে এখান থেকে।এখানে তার পদটি খালি না থাকার কারণে এ পদে অন্য কাউকে এখানে বদলী করা সম্ভব হচ্ছে না চাকরী বিধিমালা অনুযায়ী।তবে ঐ ডাক্তারের পেষনে বদলীর বিষয়ে এ হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ গাইনী বিভাগের পেষনের অর্ডারটি বাতিলের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চিঠি চালাচালি চলছে বলে জানা গেছে।তবে কবে লাগাত এখানকার এ পদটি খালি হবে তা এখানো জানা যায়নি।তাছাড়া এখানে পেষনে চাকরিতে ডাক্তার থাকার কারণে অন্য কোন ডাক্তার এখানে এ বিভাগে আসতেও পারছে না।তাতে ক্ষতির মুখে পরেছে মুন্সীগঞ্জের রোগিরা।অতি সম্প্রতি এখানকার মেডিসিন বিভাগের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার কামরুল হাসানকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বদলী করা হয়েছে।কিন্তু এ বিভাগে এখানো এ পরিমাপের ডাক্তার দেয়া হয়নি।তার ফলে এখানে চিকিৎসা ব্যহত হচ্ছে। ২০১৭ সালের দিকে চক্ষু বিভাগের বিশেষ ডাক্তারের পদটি খালি রয়েছে।তার ফলে এ বিভাগের রোগিরা চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত রয়েছে বছরের পর বছর ধরে।মাঝ পথে এ বিভাগে গত ৬ মাস আগে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরিবর্তে মেডিকেল ডাক্তার এখানে যোগদান করেন।কিন্তু এ মাসের মতো তিনি এখানে থাকার পর অন্যত্র বদলী হয়ে চলে যান।এখান থেকে ডাক্তার চলে যাওয়ার কারণে এ বিভাগের যন্ত্রপাতি এখান নস্ট হওয়ার পথে রয়েছে ব্যবহার না করার কারণে।মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালটি ১৫০ শয্যা থেকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়।কিন্তু সেইভাবে এখানে চিকিৎসার মান কোনভাবে বাড়েনি।বরং ধীরে ধীরে এখানে চিকিৎসার মান তলানীতে এসে নেমেছে।এ বিষয়ে এখানকার রোগিরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ডা: আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল বলেন, এখানে তিন বিভাগে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নেই বলে সত্যতা স্বীকার করেন।তবে তিনি দাবী করেন এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তওে চিঠি চালাচালি হচ্ছে।খুব শীঘ্রই গাইনী বিভাগের বিষয়টি সমাধানে তিনি আশাবাদী।
নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগস:-
-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ