সর্বশেষ:-
প্রচ্ছদ /
অর্থ ও বাণিজ্য, আইন আদালত, আবহাওয়া ও জলবায়ু, উপজেলা প্রশাসন, দেশজুড়ে, নারায়ণগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ সদর, নারী ও শিশু, বাংলাদেশ, রাজনীতি, সিদ্ধিরগঞ্জ
সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপি নেতা ইকবালের বহিস্কারাদেশ তুলে নেওয়ার দাবি তৃণমূলের
প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময়- ০৭:০৬:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫ ১৯ বার পড়া হয়েছে
লিটন চৌধুরী, সিদ্ধিরগঞ্জ(না’গঞ্জ)প্রতিনিধি।।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতা মোহাম্মাদ ইকবাল হোসেনের বহিস্কারাদেশ তুলে নেওয়ার দাবি করেছেন তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মী ও এলাকাবাসী।
তৃণমূল বিএনপি নেতাকর্মী ও এলাকাবাসীর দাবি, একটি কুচক্রী মহল মোহাম্মাদ ইকবাল হোসেনের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে তার নামে নানা ধরনের প্রপাগন্ডা ছড়াচ্ছে। ইকবাল হোসেন সিদ্ধিরগঞ্জে একজন ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতা। দলের জন্য সে বার বার কারাবরণ করেছেন। বিএনপির রাজনীতি করায় শুধু ইকবাল হোসেন নয় তার পরিবারও ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তার পরিবারের উপর একাধিক হামলার ঘটনাও ঘটেছে।
মূলত ইকবাল হোসেনকে দল থেকে দূরে রাখতেই তার বিরুদ্ধে একটি কুচক্রি মহল উঠে পরে লেগেছে। জনপ্রিয়তা না থাকলে তিনি বার বার নাসিকের কাউন্সিলর হতে পারতেন না বলে দাবি স্থানীয়দের। তৃনমুল পর্যায়ের বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের একনিষ্ঠ কর্মী মোত্তার হোসেন, পলাশ, জসিম ও সাইফুলসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের বিএনপি নেতাকর্মীদের সকলের দাবি বিলুপ্ত নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি নতুন করে ঘোষণার পূর্বেই যেনো বিএনপি নেতা ইকবাল হোসেনের বহিস্কারাদেশ তুলে নিয়ে তাকে জেলা বিএনপির কমিটিতে স্থান দেয়া হয় সেই প্রত্যাশা করেন তৃণমূলের নেতাকমীরা।
সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময়কালে তিনি বলেন, বিগত টানা ১৬ বছর আওয়ামী লীগের শাসন আমলে বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে ৭৬টি মামলা ও কারাভোগ করেছেন মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন।
বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে সক্রিয় ছিলেন তিনি। ২০২৩ সালের ২৮ শে অক্টোবর ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে আওয়ামীলী তার লাঠি পেটুয়া পুলিশ বাহিনী দিয়ে হামলার পর ২৯ অক্টোবর বিএনপির ডাকা দেশব্যাপী হরতালের সমর্থনে মিছিল করার সময় সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড থেকে মোহাম্মদ ইকবাল হোসেনসহ আরও সাত নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে ফতুল্লা থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবির একটি দল। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছিলেন ফতুল্লা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম মিয়া।
পরবর্তীতে গত বছরের ১ জুলাই সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু হলে অহিংস এই আন্দোলন ১৫ জুলাই সহিংস রুপ নেয়। আন্দোলন সংঘাতে রুপ নিলে জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময় থেকেই তৎপর হয়ে ওঠে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতারা।
কেন্দ্র থেকে মূল শহর ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্ট আলাদা করে দলীয় নেতাকর্মীদের দায়িত্ব বণ্টন করে দেয়া হয় নেতাকর্মীদের। তখন সাইনবোর্ড এলাকার দায়িত্ব পান সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইকবাল হোসেনসহ সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লা থানা বিএনপির নেতারাকর্মীরা।
বহিস্কারের বিষয়টি উল্লেখ করে নাসিক ২ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মাদ ইকবাল হোসেন বলেন, বিএনপির রাজনীতি করেছি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নীতি আদর্শ ধারণ করে। এই রাজনীতি করতে গিয়ে, মেহনতি মানুষের কথা বলতে গিয়ে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার সরকার আমার নামে অসংখ্য মিথ্যা মামলা দিয়েছে।
একাধিকবার জেল খেটেছি, ঘর বাড়িতে থাকতে পারিনি। আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের দ্বারা বহুবার নির্যাতিত হয়েছি। দীর্ঘ বছর বাড়ি ঘরে গুমাতে পারিনি। মিথ্যা মামলায় বার বার কারাবরণ করতে হয়েছে তবুও আমাদের দেশনেত্রী বিএনপির সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নীতি আদর্শ থেকে স্বৈরাচারী সরকার বিচ্যুতি ঘটাতে পারেনি।
একটি কুচক্রী মহল ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার জনপ্রিয়তায় বিনষ্ট করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দল থেকে আমাকে দূরে রাখতে একটি পক্ষ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে। আমাকে মাইনাসের চেষ্টা চলছে। আমি ষড়যন্ত্রের স্বীকার বলেও দাবি করেন ইকবাল হোসেন।
নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগস:-
-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ