ফরিদপুরে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর বস্তাবন্দি অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার

- আপডেট সময়- ০৩:৩৬:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫ ২১ বার পড়া হয়েছে

ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি।।
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার চর চান্দড়া গ্রামে নিখোঁজের ২ দিন পর মো. আমির হামজা উরফে হানযালা (১৩) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় মতিয়ার শেখের বাড়ির পাশের একটি পুকুর থেকে লাশটি তোলা হয়।
স্থানীয়রা জানান, মতিয়ার শেখের স্ত্রী হাঁস আনতে গিয়ে পুকুরের পানিতে ভাসমান একটি বস্তা দেখতে পান। বস্তা থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল। তিনি চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। পরে খবর দেওয়া হয় পুলিশে।
রাত আটটার দিকে আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশ বস্তাটি টেনে তীরে তুলে বস্তা খুলে ভেতরের দেহ বের করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দেহটি আংশিক গলে যাওয়া (অর্ধগলিত) অবস্থায় ছিল এবং মুখে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন ছিল। বস্তার মধ্যে কিছু ইটও পাওয়া গেছে, যা লাশ ডুবিয়ে রাখার উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হতে পারে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, এটি কোনো দৈব ঘটনা নয়, বরং পরিকল্পিত হত্যা কান্ড।
নিহত আমির হামজা উরফে (হানযালা) চান্দড়া তা’লিমুল কুরআন মাদ্রাসা ও এতিমখানার জামাতখানার দ্বিতীয় জামাতের ছাত্র।
এ বিষয়ে মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আমিনুল্লাহ বলেন,
“রোববার আছরের নামাজের পর হানযালা রুম থেকে কিছু নিয়ে বের হয়, এরপর আর তার দেখা মেলেনি। আমরা দুই দিন ধরে মাইকিং করেছি, কিন্তু কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।”
নিহতের বাবা শুকুরহাটা গ্রামের সাইরুদ্দিন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন,
“আমার মাসুম বাচ্চার কি এমন দোষ করল যে তাকে এমন নৃশংসভাবে হত্যা করা হলো? আমার তিনটা মেয়ে, একটাই ছেলে হানযালা। আমি খুনিদের বিচারের দাবি জানাই।”
তিনি আরও বলেন, “রোববার বিকেল থেকেই তার ছেলে নিখোঁজ ছিল। অনেক খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে তিনি সোমবার (২০ অক্টোবর) আলফাডাঙ্গা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে সাইরুদ্দিন ঘটনাস্থলে এসে লাশ শনাক্ত করেন।”
এবিষয়ে আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজালাল আলম বলেন, “লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে। লাশের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যা কান্ড।”
নিউজটি শেয়ার করুন..

-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ