বেরোবি শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য বরখাস্ত
- আপডেট সময়- ০১:২৮:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৪ ৫৭ বার পড়া হয়েছে
অনলাইন ডেস্ক।।
রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদের বুকে ও পেটে গুলি লেগে মৃত্যুর ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে। শনিবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন।
বরখাস্তকৃতরা হলেন,রংপুরের তাজহাট থানার এএসআই আমীর হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন বলেন, “সাঈদ হত্যার ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারকে প্রধান করে পুলিশের পক্ষ থেকে চার সদস্যের একটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটির প্রাথমিক সুপারিশে আমীর ও সুজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তারা পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত রয়েছেন। পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে আপনারা বিস্তারিত জানতে পারবেন।
এর আগে, সাঈদের মৃত্যু বিষয় করা মামলায় বিক্ষোভকারীদের ছোড়া গুলি ও ইট-পাটকেলের আঘাতে হয়েছে বলে দাবি করে পুলিশ। তবে পুলিশ জানায়, এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তদন্ত চলছে। তাতে কোনো পুলিশ সদস্যের দায় পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে গুলি করার হুকুমদাতা ঘটনাস্থলে উপস্থিত মেট্রোপলিটান পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আরিফ হোসেন ও ইমরানের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন বেরোবির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। শুধু তাই নয় একজন সহকারী কমিশনারকে তদন্ত কমিটির সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে।
এ ব্যাপারে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. তুহিন ওয়াদুদ জানান, যারা অতি উৎসাহী হয়ে গুলি করে আবু সাঈদকে হত্যা করেছে তাদের দুজনকে বরখাস্ত করলেই সব দায়িত্ব শেষ হয় না। যিনি বা যারা গুলি করার হুকুম দিয়েছেন তাদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে।
এদিকে, আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্যকে সাসপেন্ড করার খবর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন।
এ ব্যাপারে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মনিরুজ্জামানের জানান, বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) দুই পুলিশ সদস্যকে সাসপেন্ড করে তাদের পুলিশ লাইনসে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি কাজ করছে। পুরো বিষয়টি জানার পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
নিউজটি শেয়ার করুন
-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ