সর্বশেষ:-
আদা জল দেবে ফল..!
প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময়- ০৪:০৮:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৪ ৫৬ বার পড়া হয়েছে
ঋতম্ভরা বন্দোপাধ্যায়(কলকাতা)।।
‘আদা জল খেয়ে লাগো,পাশ করো এবারে’ — এই প্রবাদ বাক্য টা ঠাকুমা, দিদিমার কাছে ছোটবেলায় বার বার শুনতাম কিন্তু প্রকৃত অর্থ বুঝতে পারতাম না। আজ বড় হয়ে মর্মে মর্মে উপলব্ধি করতে পারছি ঠাকুমা ও দিদিমার উপদেশ। প্রতিদিন সকালে আদা জল পান করলে প্রশান্তি লাভ করা যায়। আদা পাকস্থলীর অ্যাসিডের উৎপাদন কমাতে সাহায্য করে এবং নিম্ন খাদ্যনালীর স্ফিঙ্কটারের সঠিক কার্যকারিতা বাড়িয়ে দেয়। পেটে জ্বালাপোড়ায় ভোগা রোগীদের জন্য আদার জল খাবারের পরে খেলে ও প্রচুর উপকার পাওয়া যায়। শতাব্দী পুরাতন আয়ুর্বেদিক স্বাস্থ্যে আদার ব্যবহার ঐতিহ্যবাহী। খালি পেটে আদা খাওয়া সবচেয়ে উপকারী। আদার কাশি দূর করা ক্ষমতা অতি সুপরিচিত। আদার মধ্যে জিঞ্জেরোল এবং শোগাওল নামক যৌগ রয়েছে, যেগুলির প্রদাহ বিরোধী এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এই যৌগগুলি গলা প্রশমিত করতে এবং কমাতে সাহায্য করে কাশি। আমরা যখন কাঁচা আদা খাই তখন সেটি লালা এবং শ্লেষ্মা উৎপাদন কে উদ্দীপিত করে, যা গলায় আবরণ তৈরি করতে এবং জ্বালা কমাতে সাহায্য করে। আদার প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য গুলো গলায় এবং শ্বাসনালিতে ফোলা কমাতে সাহায্য করে যার ফলে শ্বাস নিতে সুবিধা হয়। কাশির থেকে চটজলদি আরাম পাওয়ার জন্য এক টুকরো কাঁচা আদা খেতে হবে। এছাড়াও গরম গরম আদা দিয়ে চা বানিয়ে খেলে ও প্রচুর উপকার পাওয়া যাবে। আদার আঠা বমি ভাব কে কমাতে সাহায্য করে। মোশন সিকনেস ও মর্নিং সিকনেস থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য প্রাকৃতিক প্রতিকার হিসাবে আদার আঠা ব্যবহৃত হয়। কারণ আদার মধ্যে জিঞ্জেরোল এবং শোগাওল এর সক্রিয় যৌগগুলি গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল পেশি গুলো কে শিথিল করতে সাহায্য করে এবং মস্তিষ্কে কিছু সংকেত ব্লক করে, যা ট্রিগার করে। এর ফলে বমি বমি ভাব প্রতিহত হয়। আদার উপকারী গুন গুলোর মধ্যে রয়েছে উন্নত হজম, প্রদাহ হ্রাস এবং টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বৃদ্ধি । আদার জলের মধ্যে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বেড়ে যায়,হজম শক্তি বাড়ে এবং হাইড্রেশন শক্তি বেড়ে স্বাস্থ্যের উপকার হয়। এই মিশ্রণ টি পেশীর ব্যাথা কমাতে এবং কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে। বিশেষ করে পুরুষদের জন্য খুবই উপকারী। আদা হজম করে এনজাইম গুলো কে উদ্দীপিত করে। আদা বদ হজমে প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে, ব্লোটিং এবং গ্যাস কে কমিয়ে দেয়। আদা ওজন কমাতে সাহায্য করে। বিপাকে বাড়িয়ে বেশি ক্যালোরি পোড়াতে সাহায্য করে কারণ আদার মধ্যে থার্মোজেনিক বৈশিষ্ট্য আছে যা শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়। আদা খিদে কমাতে এবং পূর্ণতার অনুভূতি বাড়াতে সাহায্য করে। আদা মেটাবলিজম বাড়ায়। পরিশেষে বলি আদার উপকারের কোনও শেষ নেই।