ময়নাতদন্ত ছাড়াই গোপালগঞ্জে নিহত ৪ জনের দাফন-সৎকার সম্পন্ন

- আপডেট সময়- ১২:৩১:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫ ৬৯ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন নিউজ ডেস্ক।।
গোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক সহিংসতায় নিহত চারজনের দাফন ও সৎকার সম্পন্ন হয়েছে। তবে উদ্বেগের বিষয় হলো, তাদের কারও সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়নি এমনকি ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহগুলো দাফন ও সৎকার সম্পন্ন করা হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে শহরের উদয়ন রোডের বাসিন্দা ও পোশাক ব্যবসায়ী দীপ্ত সাহাকে বুধবার রাতে পৌর শ্মশানে সৎকার করা হয়। একই রাতে কোটালীপাড়ার হরিণাহাটি গ্রামের টাইলস মিস্ত্রির সহকারী রমজান কাজীকে এশার নামাজের পর পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে শহরের শানাপাড়ার মোবাইল ব্যবসায়ী সোহেল রানা ও সদর উপজেলার ভেড়ার বাজার এলাকার ক্রোকারিজ দোকানের কর্মচারী ইমন তালুকদারকে পৌর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে কেন্দ্র করে দিনভর হামলা-সংঘর্ষ ও প্রাণহানির ঘটনায় বুধবার রণক্ষেত্রে পরিণত হয় গোপালগঞ্জ শহরের পৌর পার্ক ও লঞ্চঘাট এলাকা। সংঘর্ষে নিহত হন চারজন। ৯ জন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন শতাধিক। আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শহরের বিভিন্ন স্থাপনা ও যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালায়। এ সময় হামলাকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে।
নিহতরা হলেন, গোপালগঞ্জ শহরের কোটালীপাড়ার হরিণাহাটি গ্রামের কামরুল কাজীর ছেলে রমজান কাজী (১৯), শানাপাড়ার সোহেল রানা (৩৫), উদয়ন রোডের সন্তোষ সাহার ছেলে দীপ্ত সাহা (৩০) এবং সদর উপজেলার ভেড়ার বাজার এলাকার ইমন তালুকদার (২৪)। তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন বলে পরিবার অভিযোগ করেছে। হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, নিহতদের শরীরে গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে।
গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জীবিতেষ বিশ্বাস বলেন, চারজনের মৃতদেহ হাসপাতালে এসেছে। এ ছাড়া গুরুতর আহত তিনজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গুলিবিদ্ধ সুমন বিশ্বাস নামে এক যুবক সেখানে ভর্তি হয়েছেন। তিনি পেশায় গাড়িচালক। তাঁর পেটে ও আঙুলে গুলি লেগেছে।
নিউজটি শেয়ার করুন

-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ