কুমেক হাসপাতালে মধ্যরাতে ৪ সাংবাদিকের ওপর হামলা, যৌথ বাহিনীর ফাঁকা গুলিবর্ষণ

- আপডেট সময়- ০৫:১৬:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫ ১২ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন নিউজ ডেস্ক।।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে মধ্যরাতে যমুনা টেলিভিশন ও চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের রিপোর্টারসহ চার সাংবাদিক হামলার শিকার হয়েছেন।
অভিযোগ উঠেছে, ‘অস্বাভাবিক ভাবে’ এক নারীর মৃত্যুর অভিযোগের তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে এই হামলার শিকার হন তারা। এ সময় রোগীর স্বজনদের সঙ্গে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে। পরে উত্তেজিত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফাঁকাগুলি ছোড়ে যৌথবাহিনী।
গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে রাত সাড়ে ৯টার দিকে নগরীর ধর্মপুর এলাকার পারুল নামে এক নারীর মৃত্যুর খবর পেয়ে সেখানে যান সাংবাদিকেরা।
আহত সাংবাদিকরা হলেন-যমুনা টিভির কুমিল্লা ব্যুরো প্রধান রফিকুল ইসলাম চৌধুরী খোকন, ক্যামেরা পার্সন জিহাদুল ইসলাম সাকিব, চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের স্টাফ রিপোর্টার জাহিদুর রহমান এবং ক্যামেরা পার্সন ইরফান।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতরা জানান, ছবি ও তথ্য নিতে সাংবাদিকেরা নতুন ভবনের সপ্তম তলায় উঠার আগেই চতুর্থ তলায় অতর্কিত হামলা করে হাসপাতালের ভেতরে থাকা একদল যুবক। তারা সাধারণ পোশাকে ছিলেন। হামলাকারীরা ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্প ও লাঠি দিয়ে যমুনা টিভির দুই সাংবাদিককে মারধর করে এবং ক্যামেরা, মাইক্রোফোন, ট্রাইপড ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। পরে তাদের বাঁচাতে গেলে চ্যানেল টোয়েন্টিফোর এর ক্যামেরাপারসনের ওপর হামলা চালায় এবং ট্রাইপড ভাঙচুর করে।
মৃত নারীর স্বজনদের অভিযোগ, ভুল ইনজেকশন পুশ করানোয় ওই নারী মৃত্যু হয়েছে। তিনি ভিক্টোরিয়া কলেজের এক শিক্ষার্থীর মা। তাঁর মৃত্যুতে পাশে থাকা স্বজনেরা হাসপাতালে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।
এদিকে সহকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা মাঝরাতেই কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে অবস্থান নেন। এ সময় তাঁরা হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী এনামুল হক ফারুক বলেন, ‘এ ধরনের হামলা সাংবাদিকতার স্বাধীনতা ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি। আমরা দ্রুত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
এ বিষয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিচালক ডা. মাসুদ পারভেজের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিয়ে পাওয়া যায়নি। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীরা দাবি করে পোস্ট দেন, তাদেরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। রাতে ঘটনাটি নিয়ে যৌথবাহিনী ও মেডিকেল কর্তৃপক্ষ সভা করেছে বলে জানা গেছে। তবে সেখানে কোনো সাংবাদিক প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না।
কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিনুল ইসলাম বলেন, ‘সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা শুনে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি। পরে যৌথবাহিনীর ঘটনাস্থলে আসে। সকলের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
নিউজটি শেয়ার করুন

-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ