বিক্ষুদ্ধ ছাত্র-জনতার তোপের মুখে অফিস ছাড়লেন পার্বতীপুরের ইউএনও

- আপডেট সময়- ০৫:২০:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৩৮ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন নিউজ ডেস্ক।।
বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার তোপের মুখে অফিস ছেড়েছেন দিনাজপুরের পার্বতীপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাতেমা খাতুন।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ ঘটনা।
এর আগে বিকেল ৩টার দিকে আওয়ামীলীগের দোসর আখ্যা দিয়ে ইউএনওর অপসারণ দাবিতে উপজেলার শহীদ মিনার সংলগ্ন রাস্তায় বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যরা।মানববন্ধন শেষে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) অফিসে যান।
জাতীয় নাগরিক কমিটির চিরিরবন্দর উপজেলা সদস্য সাজ্জাদ বলেন, আওয়ামীলীগের দোসর পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাতেমা খাতুন দীর্ঘদিন ধরে এ উপজেলায় একক স্বেচ্ছাচারিতার রাজত্ব কায়েম করেছেন। সরকারি যে কোনো ধরনের কাজ করতে গেলে তাকে আলাদাভাবে ভাগ দিতে হয়। এক কথায় উনি টাকা ছাড়া কোনো কাজ বা ফাইল ছাড়েন না। আওয়ামী লীগের দোসরদের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। এসকল নানান ধরনের অনিয়মের অভিযোগে পর পর দুই বার তার বদলি আদেশ হলেও অজ্ঞাত রহস্যজনক কারণে তা বারবার স্থগিত হয়।এরপর নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় নেতাদের পরামর্শক্রমে এ মানববন্ধন করে তাকে অফিসে থেকে বিতারিত করে দেওয়া হয়ছে এবং রাতের মধ্যেই সরাসরি ইউএনও’র বাংলো ছেড়ে দিতে আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।এর পরবর্তীতে ইউএনও’র বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসক( ডিসি) মহোদয়কে জানানো হয়েছে।
এরও আগে, আন্দোলনকারীরা বিকেল সাড়ে ৪টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার(ইউএনও) অফিসে প্রবেশ করলে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে প্রশাসনের সহযোগিতায় অফিস ত্যাগ করেন ইউএনও ফাতেমা খাতুন। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা ‘ভুয়া ভুয়া’, ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
এ ঘটনায় পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা খাতুন মুঠোফোনে বলেন, এখানে অ্যাডভোকেট তারিকুল ইসলাম নামে একজন কিছু ভুয়া কথা জাহির করে কিছু মানুষকে উত্তেজিত করছেন। নাগরিক কমিটির ব্যানারে তিনি বিভিন্ন অফিসে গিয়ে হুমকি ধমকি দিয়ে যাচ্ছেন। আজকে তাদের সাথে তেমন কোনো ছাত্র সমাজ ছিল না, দুই-চারজন ছাত্র ছিল। আমি তাদের ওপর কোন বল প্রয়োগ করিনি। বর্তমান আমি আমার বাংলোতে আছি। পুলিশ টহলে রয়েছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলামের মুঠোফোন একাধিক যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
নিউজটি শেয়ার করুন

-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ