সর্বশেষঃ
প্রচ্ছদ /
অর্থ ও বাণিজ্য, আইন আদালত, জেলা প্রশাসক কার্যালয়, টুঙ্গীবাড়ী, দূর্নীতি দমন কমিশন(দুদক), দেশজুড়ে, বাংলাদেশ, বাংলাদেশ পুলিশ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, মুন্সিগঞ্জ
টঙ্গীবাড়ীর কুন্ডের বাজারে একাধিক সড়ক নষ্ট করে পাইপ লাইন স্থাপন
প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময়- ০৬:১১:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৪ ৩৮ বার পড়া হয়েছে
বিশেষ(মুন্সীগঞ্জ)প্রতিনিধি।।
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার কুন্ডের বাজার বালিগাঁও সংযোগ সড়কের একাধিক স্থানে সড়ক ফুটা করে পাইপ লাইন স্থাপন করে ড্রেজার দিয়ে কৃষি জমি ভরাট চলছে।
এছাড়া পূর্ণ নির্মাণাধীন ওই সড়কের ওপরের একাধিক স্থান দিয়ে ড্রেজার পাইপ নেওয়ায় সড়কের নির্মাণ কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ওই সড়কের কান্দাপাড়া এলাকায় সড়ক ফুটা করে পাইপ লাইন স্থাপন করেছেন পার্শ্ববর্তী সিরাজদিখান উপজেলার বাড়ৈইপাড়া গ্রামের আঃ রশিদ। সে ওই এলাকার সরকারী সড়ক ফুটা করে সড়কের পাশেই বালু স্তুপ করে দির্ঘদিন যাবৎ বালুর ব্যাবসা করছেন। এছাড়া সড়কের ভিতরের পাইপলাইন দিয়ে তিনি আশে পাশের বিভিন্ন কৃষি জমি ভরাট বানিজ্য চালিয়ে যাচেছন। রাস্তার পাশে উন্মুক্তভাবে বালু রাখায় ওই বালু বাতাসে ওড়ে শিক্ষার্থী সহ পথচারীদের চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। নস্ট হচ্ছে পরিবেশ। এছাড়া রাস্তার পাশে বালু ভরাটের সময় বালুর সাথে আসা পানিতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সড়কটি। এ ব্যাপারে আঃ রশিদ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বালু ব্যবসা করার অনুমতি আছে বলে জানালেও সে অনুমতি পত্র দেখাতে পারেনি। রাস্তা ফুটা করার বিষয়টি তিনি স্বীকার করে বলেন, এ রাস্তা সে অনেকদিন আগেই ফুটা করেছেন। ফুটা করতে অনুমতি নিয়েছে কিনা জানতে চাইলে সে অনুমতি নেইনি বলেন জানায়।
এদিকে একই সড়কের কাইচাইল (চৌপাড়া) এলাকায় রাস্তা ফুটা করে পাইপ লাইন স্থাপন করেছেন স্থাণীয় শরিফ হাওলাদার। তিনি দির্ঘদিন যাবৎ অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে কৃষি জমি ভরাট বানিজ্য চালাচ্ছে। তার সাথে যোগযোগ করা হলে তিনি সড়ক কেটে পাইপলাইন স্থাপনের বিষয়টি স্বীকার করেন। অপরদিকে আউটশাহী রাথানাথ উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে প্রতিবন্ধকতা স্পীড ব্রেকার তৈরী করে পাইপ লাইন স্থাপন করে বালুর ব্যবসা করছেন বাবু হালদার নামের এক ব্যাক্তি।
স্থাণীয়রা বলেন, সরকার পরিবর্তনের পরে প্রশাসনের কোন অভিযান না চলায় আউটশাহী ইউনিয়নসহ টঙ্গিবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক কৃষি জমি ভরাট বানিজ্য চালাচ্ছে ভূমিদশ্যূরা। এভাবে চলতে থাকলে উপজেলার কৃষি জমিগুলো ভরাট হয়ে চাষযোগ্য জমিই থাকবে না। তাই দ্রুত তারা কৃষি জমি ভরাট বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে টঙ্গীবাড়ী উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ শাহ মোয়াজ্জেম বলেন, আমি সড়কের উপরে পাইপ লাইন স্থাপন করতে বাধা দিয়েছি। গতকাল রাত ৯ দিকে আমি সড়ক হতে পাইপলাইন অপসারন করেছি। কিন্তু তারা সময় পেলেই পূনরায় পাইপ লাইন স্থাপন করে ফেলে। সড়ক ফুটা করে লাইন স্থাপনের বিষয়ে আমি ইউএনও স্যারের সাথে কথা বলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো।