ঢাকা ১২:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ:-
তিন জেলার ডিসি বদলি-পদায়ন নারায়ণগঞ্জে স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা মৌলভীবাজার পিবিআই’র হাজত খানায় ফাঁস লাগানো যুবকের মরদেহ উদ্ধার  জুড়ীতে আসন্ন দুর্গোৎসব উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা নারায়ণগঞ্জ জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত টেকনাফে বিজিবির যৌথ অভিযানে ইয়াবাসহ আটক-২ টংঙ্গীবাড়ীতে সরকারি চিকিৎসা সেবা থাকতেও রোগীরা ঝুকছেন প্রাইভেট ক্লিনিকে টেকনাফে প্রদীপ-লিয়াকতের অন্ধকার সাম্রাজ্য: খুন,ধর্ষণ, ইয়াবাসহ ক্রসফায়ার বাণিজ্য টেকনাফ সীমান্তবর্তী নাফ নদীতে ২ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার এবার ডিসি নিজে রক্ত দিয়ে ‘তারুণ্যে উৎসব’ সেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন দেশবরেণ্য লালন সংগীত শিল্পী ফরিদা পারভীন আর নেই সুন্দরবনে ভ্রমণে এসে গোসলে নেমে পর্যটক নিখোঁজ ‘আগামী বর্ষায় নগরীতে জলাবদ্ধতা হবে না’ উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনে এসে নাসিক প্রশাসক রূপগঞ্জে সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে অস্ত্র ও মাদকসহ ৩ শীর্ষ সন্ত্রাসী আটক গাইবান্ধায় জামায়াতের মহাসমাবেশ: সরকার গঠনের লক্ষ্যে নির্বাচনে লড়াই ঘোষণা মুন্সীগঞ্জের শীর্ষ নৌ ডাকাত শামীম গ্রেপ্তার সাগরপথে মানবপাচার: টেকনাফে বিজিবির অভিযানে পাচারকারী চক্রের ৫ সদস্য আটক শ্রীমঙ্গল পুলিশের অভিযানে বিপুল পরিমাণ বিদেশী মদসহ আটক-১ উত্তাল বাগেরহাট: ফের তিন দিনের হরতালসহ ৬ দিনের কর্মসূচির ঘোষণা সোনারগাঁয়ে বিএনপি নেতার অবৈধ চুনা কারখানা গুড়িয়ে দিলেন তিতাস কর্তৃপক্ষ টেকনাফে বিজিবির প্রশিক্ষিত কুকুর ‘ডগ জ্যাক’র সহায়তা ইয়াবা জব্দ শ্রীনগরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে নারীসহ ৪ জনকে কু*পি*য়ে আহত ঈশ্বরদীতে আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে নিরাপত্তা বিষয়ক মতবিনিয় সভা অনুষ্ঠিত ভাঙ্গায় রেলপথ-মহাসড়ক অবরোধ, চরমদুর্ভোগে ২৫ জেলার জনজীবন সাংবাদিককে নির্যাতনসহ হত্যা চেষ্টা: কুড়িগ্রামের সাবেক ডিসি সুলতানাকে বরখাস্ত এবারের শারদীয় দূর্গোৎসব হবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সেতুবন্ধন: জেলা প্রশাসক উখিয়ায় বিজিবির অভিযানে ২ লাখ ৮০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার ডাকসুতে ১২টি সম্পাদকীয় পদের ৯টিতেই ছাত্রশিবিরের নিরংকুশ জয় ডাকসুর নির্বাচনে ছাত্রশিবির প্রার্থীর নিরংকুশ বিজয় জুড়ীর বটুলী সীমান্ত শুল্ক স্টেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ শেরপুরে ৮৫ টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে সড়ক ও জনপদ ডাকসু নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকের মৃত্যু পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়েই পালালেন সোনারগাঁ মহিলা আ’লীগ নেত্রী নূর জাহান ফতুল্লায় বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে নিহত পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিলেন ইউএনও রাজনগর ইউএনও’র যোগসাজশে সরকারি বরাদ্দের ৯৪ শতাংশই আত্মসাৎ  না’গঞ্জের শীর্ষ সন্ত্রাসী শুটার মাসুদ ও ডাকাত আক্তার অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার যে কারনে পাম্পের ম্যানেজার ইকবালকে হাতুড়ি দিয়ে হত্যা যেভাবে খু*ন হলো তালিকাভুক্ত দূর্ধর্ষ কিশোর গ্যাং সন্ত্রাসী ইভান ফতুল্লার কুখ্যাত কিশোর গ্যাং সন্ত্রাসী একাধিক মামলার আসামী ইভন খুন টেকনাফে কোস্ট গার্ডের অভিযানে নিত্য পন্য সামগ্রীসহ ১০ পাচারকারী আটক উখিয়ায় র‍্যাবের অভিযানে বিপুল পরিমাণে ইয়াবা ও অর্থসহ ২ নারী পাচারকারী আটক আজ পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ, রাতের আকাশে ঘটবে বিরল দৃশ্য, এবার বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর টাঙ্গাইলের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর মৌলভীবাজারে ৩১৫ পিস ইয়াবা ও নগদ অর্থসহ গ্রেপ্তার-২ নারায়ণগঞ্জে জশনে জুলুসে ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী (সাঃ) উদযাপন টেকনাফে ২০৫ পিস ইয়াবাসহ তিন পাচারকারী আটক মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নাসিক ১২নং ওয়ার্ড কামান্ড কমিটি গঠন, আহ্বায়ক-মহাব্বত হাসেম মৌলভীবাজারে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে জুলুস মোবারক র‌্যালি সুন্দরবনে কোস্টগার্ডের অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদসহ ৪ বনদস্যু আটক নারায়ণগঞ্জে অস্থির নিত্যপণ্যের দাম, স্বস্তি নেই কাঁচা বাজারেও ক্যাসিনো কাণ্ডের আলোচিত রূপগঞ্জের ডন সেলিম প্রধানসহ গ্রেপ্তার-৯ সংসদীয় আসন পুনঃবিন্যাসের প্রতিবাদে ফরিদপুরে মহাসড়কে মানববন্ধন ‘দিদি ৬ মাস আওয়ামী লীগ, ৬ মাস বিএনপি’ ‘নুরাল পাগলা’র দরবারে হামলা, কবর থেকে লাশ তুলে আগুনের ঘটনায় ৩৫’শ জনের বিরুদ্ধে মামলা আজ ১২ রবিউল আউয়াল, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) জাপা কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও হামলার ঘটনার নিন্দা বিএনপির গাইবান্ধায় ফুফা সেজে বিশ্বাস ভঙ্গ, বাঁশঝাড়ে নির্মম সংঘবদ্ধ ধর্ষণ নুরাল পাগলের লাশ তুলে আগুন, দরবারে হামলা-ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ রাজবাড়ীতে নুরাল পাগলার দরবারে হামলা-সংঘর্ষ- অগ্নিসংযোগে নিহত-১, আহত অর্ধশত এবার গণঅধিকার পরিষদের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জাপা’র মহাসচিবের মুন্সীগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপে ভয়াবহ সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ-৮ ফের জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ফরিদগঞ্জে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রা সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী সাইফুর রহমানের ১৬তম শাহাদাত বার্ষিকী আজ নারায়ণগঞ্জে নবনিযুক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসীম উদ্দিনের যোগদান গ্রেপ্তারের ১ দিনের মাথায় রূপগঞ্জ থেকে শুটার রিয়াজের বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করলো র‍্যাব-১১ জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও তার স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা সোনারগাঁয়ে গ্যাসের চুলা জ্বালাতেই বিস্ফোরণ, শিশুসহ একই পরিবারের দগ্ধ-৫ রূপগঞ্জে ডিবি পরিচয়ে অপহৃত ইউপি চেয়ারম্যান নাসির উদ্ধার, আটক-১ পাথর মেরে মানুষ হত্যার ইতিহাস আর রচনা করতে চাইনা- মুফতি সৈয়দ রেজাউল করিম রাজধানীতে সোহাগ পরিবহন অফিসে হামলা: কুপিয়ে জখম  জাফলংয়ে ঘুরতে গিয়ে রূপগঞ্জের চিহ্নিত শীর্ষ সন্ত্রাসী শুটার রিয়াজ গ্রেপ্তার দেশের বাজারে আরও বাড়লো স্বর্ণের দাম না’গঞ্জের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করণে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জে একটি তুলার গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড না’গঞ্জের বৃহৎ দিগুবাবুর বাজারে পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে অর্থদন্ড ৮০৪ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ টেকনাফে ৩০ হাজার ইয়াবাসহ তিন পাচারকারী আটক গাইবান্ধায় দুর্গাপূজার প্রতিমায় দুর্বৃত্তদের অগ্নিসংযোগ  পূর্ব সুন্দরবনের দু’সহস্রাধিক জেলেরা বনদস্যু আতঙ্কে বিএনপির ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ঈশ্বরদীতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শতবর্ষী অদম্য ফজিলাতুন্নেছার পাশে না’গঞ্জের জেলা প্রশাসক জাহিদুল জেলা প্রশাসকের নাম ভাঙিয়ে অধিগ্রহনের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ নাসিকের প্রশাসক হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পেলেন আবু নছর মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ‘ডাকসু নির্বাচন’ বাম সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ পিনাকীর এবার সেনাবাহিনীর শীর্ষ পদে রদবদল, নতুন দায়িত্বে ৬ কর্মকর্তা এবার ৩৮ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে বরখাস্ত হলেন সহকারী কর কমিশনার শরণখোলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনসহ ইউএনও’র উদ্যোগ সর্বমহলে প্রশংসিত ডাকসু নির্বাচন স্থগিত করেছে হাইকোর্ট নারায়ণগঞ্জে ফ্রিজ বিস্ফোরণ; অগ্নিদগ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে মানবিক ডিসি জাহিদুল খুলনায় রূপসা নদী থেকে ফের সাংবাদিকের মরদেহ উদ্ধার না’গঞ্জে মাথাবিহীন লাশের পরিচয় সনাক্তসহ হত্যাকান্ডে জড়িত গ্রেপ্তার-২ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ম্যানেজিং কমিটি থেকে বাদ রাজনৈতিক নেতারা, নতুন বিধান যুক্ত টেকনাফে পুলিশের অভিযানে ৪ হাজার ইয়াবাসহ আটক-১  গাইবান্ধায় বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ভাঙচুর কার্যালয় না’গঞ্জে ভ্রাম্যমাণ অভিযানে অর্থদন্ডসহ ১১১ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ আলোচিত মেরুন টি-শার্ট পরা সেই ব্যক্তি ছিলেন পুলিশের কনস্টেবল না’গঞ্জে এনআর গার্মেন্টস’র ছাঁদ থেকে লাফিয়ে পরে নারী শ্রমিকের আত্মহনন ফতুল্লায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মা-মেয়ের মর্মান্তিক মৃত্যু থমথমে পরিস্থিতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে, সব পরীক্ষা স্থগিত ফের বিএনপি-জামায়াত-এনসিপির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বৈঠক

মুন্সীগঞ্জের ধবল‌ গরু খামারেই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময়- ১২:০২:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ জুন ২০২৪ ১৭৭ বার পড়া হয়েছে
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি।।
এক সময় কোরবানির ঈদে পুরান ঢাকার রহমতগঞ্জের গনি মিয়ার হাটের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ছিলো মুন্সীগঞ্জের মীরকাদিমের ধবল (সাদা)গরু।কিন্তু কালের বিবর্তনে এখন এই গরুর চাহিদা এতো বৃদ্ধি পেয়েছে যে,হাটে তোলার আগেই খামার হতে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে এ সমস্ত গরুগুলো। আগে শুধু পুরান ঢাকায় চাহিদা থাকলেও এখন এ সমস্ত গরুর চাহিদা বেড়েছে সমগ্র দেশ জুড়ে তাই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের গরু ক্রেতারা এ সমস্ত গরুগুলো খামারেই এসে কিনে নিয়ে যান।পুরান ঢাকার খানদানি লোকেরাও খামারে এসে অনেক দাম দিয়ে এ সমস্ত গরু কিনে নিয়ে যান।ইতিমধ্যে মিরকাদিমের খামারগুলো হতে গরু বিক্রি শুরু হয়ে গেছে।ক্রেতারা গরু কিনে খামারেই রেখে যাচ্ছে ঈদের দু-একদিন আগে নিয়ে যাবেন বাড়িতে।
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মিরকাদিমের এই গরুর খামারগুলোর পাশেই রয়েছে বিশাল বিশাল চাল, কুড়া,ভূষি,খৈলের আড়ৎ।এ সমস্ত আড়ত মালিকরাই আড়তের আশে পাশে গড়ে তুলেছেন গরুর খামার।নিজস্ব খামারের মীরকাদিমের ভুসি, কুঁড়াসহ বিভিন্ন উন্নতমানের গোখাদ্য মিনিকেট চালের খুদ,এক নম্বর খৈল,ভাতের মার,সিদ্ধ ভাত, খেসারির ভুসি,গমের ভুসি,বুটের ভুসি খাওয়ানো হয় গরুগুলোকে।এছাড়া গরু পালনে প্রশিক্ষিত লোক নিয়োগের মাধ্যমে গরুগুলো পালন করা হয়।
খামারিরা জানান,এই গরু পালনে কোনো রকম ইনজেকশন বা গরু মোটাতাজাকরণের ওষুধ ব্যবহার করা হয় না।খামারিদের নিজস্ব মিলে ভাঙানো খৈল,বিভিন্ন প্রকার ভুসি,কুঁড়া,চালের গুঁড়া খাইয়ে পরম মমতায় লালনপালন করা হয় এই গরুগুলোকে।খামারের ভেতরের পরিবেশ বেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা হয়।বাইরের কাউকে খামারের ভেতর ঢুকতে দেওয়া হয় না।মিরকাদিমের ধবল গরুর বৈশিস্ট হলো এ সমস্ত গরুর চোখের পাপড়ি সাদা,নাকের সামনের অংশ সাদা,পায়ের খুর সাদা,লেজের পশম সাদা,আর সারা শরীরও সাদা হয়ে থাকে।এই সমস্ত ধবল গরুগুলো দেখতে একদিকে সুন্দর এবং অন্যদিকে এই সমস্ত গরু গুলোর মাংস খুব সুস্বাদু হওয়ায় এগুলো এখন খামার থেকেই কিনে নিয়ে যাচ্ছেন ক্রেতারা।এই সাদা গরুগুলো সাধারণত ১ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত দামে হয়ে থাকে।মুন্সীগঞ্জের কোনো হাটে এই গরু বিক্রি হয় না।আগে পুরান ঢাকার হাটে নিয়ে এ সমস্ত গরু বিক্রি করতো খামাড়িরা।এখন পুরান ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের লোকজন মীরকাদিমে এসে এ সমস্ত খামার হতে গরুগুলো ক্রয় করে নিয়ে যান।সরেজমিনে মিরকাদিমের বেশ কিছু খামার ঘুরে দেখা যায় বেশ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশে খামারগুলোতে লালন পালন করা হচ্ছে গরু।মিরকাদিমের মজিবুরের খামার গিয়ে দেখা যায় ওই খামারে মোট ৫১ টি গরু আছে।এর মধ্যে ধবল জাতের গুরু রয়েছে অর্ধেকের বেশি।গত বছর এই খামারে অবিক্রিত গরু ছিল ৬টি।বাকি গরুগুলো গত কুরবানি ঈদের পরে কিনে এনে খামারে লালন পালন করছেন।ওই খামারের দেখবালের দায়িত্বে আছেন তিনজন।এর মধ্যে জিয়াউর হক বলেন,কয়দিন আগে যে গরম গেলো ওই সময় গরুগুলোর খুব কষ্ট হচ্ছিল।গরমে বেশ কিছু গরু অসুস্থ হয়ে পড়েছিল।সে সময় গরুগুলোকে চিকিৎসা করাতে হয়েছে।এখন গরম কমার সাথে সাথে গরুগুলো ভালো আছে।ইতিমধ্যে খামার হতে ১১টি বিক্রি হয়ে গেছে।যারা কুরবানী দেয় তারাই এখান থেকে গরু কিনে খামারে রেখে গেছেন।পরে কুরবানীর দ্-ুএকদিন আগে এসে নিয়ে যাবেন।ওই খামারের দেখবালের দায়িত্বে থাকা রাশেদ বলেন,আমাদের খামারের গরুগুলোকে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার খাওয়াই।খামারে বিভিন্ন জাতের গরু আছে তবে এগুলোর মধ্যে ধবল গরু বিখ্যাত।আমাদের খামারে সর্বনিম্ন ১ লক্ষ ২০ হাজার হতে ৩ লক্ষ টাকা দাম পর্যন্ত গরু আছে।
মীর কাদিম শাহিনের খামার মোট ৫১টি গরুর মধ্যে অন্য জাতের আছে মাত্র ৫টা।৪৬ টায় সাদা ধবল জাতের বলে জানালেন খামাড়িরা।ওই খামারের শ্রমিক রফিক মিয়া বলেন,গত বছর কুরবানীর পর এই গরুগুলো আমরা ফরিদপুর জেলার টেপাখোলা বাজার হতে কিনে এনেছি।প্রায় গরুই এক লাখ টাকার উপরে দাম দিয়ে কিনে এনে লালন পালন শুরু করি।সামনের কুরবানীতে গরুগুলো বিক্রি করবো।এ পর্যন্ত খামারের ছয়টা গরু বিক্রি হয়ে গেছে।যে গরুগুলো বিক্রি করছেন সেগুলো দুই লক্ষ থেকে দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকার মধ্যে বিক্রি করেছেন তারা।ঈদের আগে বাকি গরুগুলো খামার হতে বিক্রি হয়ে যাবে বলেও জানান তিনি।এ ব্যাপারে ওই এলাকার মজিবুর রহমান বলেন, আমাদের নিজেদের মিল আছে।আবার খামারও আছে।আমরা আমাদের নিজেদের মেইলের খৈল, কুড়া,বিভিন্ন ধরনের ভূসি,ভুট্টা উন্নত মানের খাবার খাইয়ে আমাদের খামারের গরুগুলো লালন পালন করে থাকি।আমরা কোন ইনজেকশন দেই না কোন ভেজাল খাবার খাওয়াই না যার কারণে আমাদের গরুর মাংসগুলো খুব সুস্বাদু হয় এবং এগুলো চাহিদা খুব বেশি।আগে ঢাকায় নিয়ে বেচঁতাম এখন এই সমস্ত গরু খামার হতে কিনে নিয়ে যায়।ঢাকার পাশাপাশি নারায়নগঞ্জ,কুমিল্লা চাদঁপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পাইকার আশে আমাদের এখানে গরু কিনতে।মীর কাদিম এগ্রো খামারের দেখবালের দায়িত্বে থাকা মিন্টু মিয়া বলেন,আমাদের খামারে গরু আছে ১৩০টা। এর মধ্যে ৬০টা কোরবানীর ঈদে বিক্রি করা হবে।আমরা মূলত খামারে দুগ্ধ উৎপাদন করি সেই সাথে বিক্রির জন্যও গরু মোটাতাজাকরণ করে থাকি।আমরা যে সমস্ত গরু মোটাতাজাকরণ করি ওগুলো মূলত আমাদের খামারেই উৎপাদন হয়।আমরা মা গরুগুলোকে উন্নত মানের বীজ দিয়ে এখানে গরুর বাচ্চা উৎপাদন করি মা গরুর দুধ বাজারে বিক্রি করি এবং বাছুরগুলোকে লালন পালনের মাধ্যমে বড় করে বিক্রি করে থাকি। আমাদের খামরে প্রায় ১০টি গুরু আছে যেগুলোর ওজন ৭০০ থেকে ৮০০ কেজি।এ গরু বাছুর গুলো আমরা খামারেই উৎপাদন করেছি।অপর শ্রমিক আরিফ বলেন,আমরা নিজ সন্তানের মতো পরম যন্তে এখানে গরু লালন পালন করি।পুরো দিন ওদের সেবা করি।প্রতিদিন গোসল করাই এবং এগুলোর শরীর মুছে দেই।আমরা একদিকে যেমন শুকানো খাবার খৈল,কুড়া,ভূসি খুদ খাওয়াই
অন্যদিকে আবার কাচাঁ ঘাস ভূট্টার সেরালেক খাওয়াই।আমাদের খামার হতে ইতিমধ্যে ৫টা গরু বিক্রি হয়ে গেছে।তবে ওই এলাকার খামাড়িদের সাথে কথা বলেজানাগেছে,মীরকাদিম পৌরসভার কুলুপাড়ার ধবল গরু লালনপালন করার যে ঐতিহ্য ছিল তা ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে।খামারে গরুর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও কালের বিবর্তনে মীরকাদিমের বিখ্যাত ধবল গরুর ঐতিহ্য হারিয়ে যেতে বসেছে। ভেজালযুক্ত খাবার দিয়ে গরু মোটাতাজা করে দ্রুত আঙল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে কিছু অসাধু খামারি। ১০ মাস দীর্ঘ পরিশ্রম করে লাভবান না হওয়ায় এ ব্যবসা থেকে সরে আসছেন মীরকাদিমের ধবল গরুর অনেক ব্যবসায়ী।ভেজাল খাদ্যের যোগান দিয়ে গরু বড় করে দ্রুত লাভবান হওয়ার হাতিয়ারকে এখন কাজে লাগাচ্ছে অনেকেই।ফলে ২০০ জনের বেশি ধবল গরুর খামার মালিক থেকে এখন ১৫/২০ জনে নেমে এসেছে।এ সমস্ত ধবল গরুগুলো মূলত কুড়িগ্রাম জেলার ভূরাঙ্গামারীসহ বিভিন্ন হাট ও এলাকা থেকে ভারত ও ভুটানের আবাল-পশ্চিমা সাদা ষাঁড় ও সাদা গাভীর বাচ্চা কিনে আনেন মীরকাদিমের খামারিরা।নিজের বাচ্চার মতো লালন করেন।নতুন গামছা দিয়ে গোসল করানো হয়।সব সময় চোখে চোখে রাখা হয়।লাভ লোকসানের কথা চিন্তা না করেই পুরোনো ঐতিহ্য ধরে রেখে গরু পালন করেন।বাবা-দাদাদের ধবল গরু পালনের ঐতিহ্য ধরে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন খামাড়িরা।এ ব্যাপারে মুন্সীগঞ্জ প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ নজরুল ইসলাম বলেন, মুন্সীগঞ্জের খামারগুলোতে মূলত দেশি গরু বেশি দেখা যায়।এ জেলায় মোট ৫ হাজারের মতো খামার রয়েছে।এর মধ্যে মিরকাদিমের গরুগুলোর চাহিদা বেশি।কোরবানীর আগের ৬ মাস হতে এই গরুগুলোকে মোটাতাজা করতে শুরু করে খামারিরা।এই মোটাতাজাকরণ কাজে তারা গরু গুলোকে সবচেয়ে বেশি সবুজ ঘাস খাইয়ে থাকে। খৈল নানা ধরনের ভূষি,চালের খুদ খাওয়ায় এবং পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখে।মূলত স্বাস্থ্য সম্মত উপায়ে তারা গরু মোটা তাজাকরণ করায় এগুলো দেখাতে সুন্দর আকর্ষনীয় ও মাংস সুস্বাদু হওয়ায় এগুলোর চাহিদা বেশি।তিনি আরো বলেন,দেশি গরুতে চবির্র হার খুব কম থাকায় মাংসের পরিমান বেশি থাকে এবং সুস্বাদু হয়।মিরকাদিমের খামাড়িরা কখনোই মোটাতাজাকরণ ট্যাবলেড.ইনজেকসুন,হরমন ঔষধ ব্যবহার করেনা।যার কারনে এগুলো স্বাস্থ্য সম্মত ও সুস্বাদু হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন..

ট্যাগস:-

মুন্সীগঞ্জের ধবল‌ গরু খামারেই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে 

আপডেট সময়- ১২:০২:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ জুন ২০২৪
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি।।
এক সময় কোরবানির ঈদে পুরান ঢাকার রহমতগঞ্জের গনি মিয়ার হাটের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ছিলো মুন্সীগঞ্জের মীরকাদিমের ধবল (সাদা)গরু।কিন্তু কালের বিবর্তনে এখন এই গরুর চাহিদা এতো বৃদ্ধি পেয়েছে যে,হাটে তোলার আগেই খামার হতে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে এ সমস্ত গরুগুলো। আগে শুধু পুরান ঢাকায় চাহিদা থাকলেও এখন এ সমস্ত গরুর চাহিদা বেড়েছে সমগ্র দেশ জুড়ে তাই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের গরু ক্রেতারা এ সমস্ত গরুগুলো খামারেই এসে কিনে নিয়ে যান।পুরান ঢাকার খানদানি লোকেরাও খামারে এসে অনেক দাম দিয়ে এ সমস্ত গরু কিনে নিয়ে যান।ইতিমধ্যে মিরকাদিমের খামারগুলো হতে গরু বিক্রি শুরু হয়ে গেছে।ক্রেতারা গরু কিনে খামারেই রেখে যাচ্ছে ঈদের দু-একদিন আগে নিয়ে যাবেন বাড়িতে।
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মিরকাদিমের এই গরুর খামারগুলোর পাশেই রয়েছে বিশাল বিশাল চাল, কুড়া,ভূষি,খৈলের আড়ৎ।এ সমস্ত আড়ত মালিকরাই আড়তের আশে পাশে গড়ে তুলেছেন গরুর খামার।নিজস্ব খামারের মীরকাদিমের ভুসি, কুঁড়াসহ বিভিন্ন উন্নতমানের গোখাদ্য মিনিকেট চালের খুদ,এক নম্বর খৈল,ভাতের মার,সিদ্ধ ভাত, খেসারির ভুসি,গমের ভুসি,বুটের ভুসি খাওয়ানো হয় গরুগুলোকে।এছাড়া গরু পালনে প্রশিক্ষিত লোক নিয়োগের মাধ্যমে গরুগুলো পালন করা হয়।
খামারিরা জানান,এই গরু পালনে কোনো রকম ইনজেকশন বা গরু মোটাতাজাকরণের ওষুধ ব্যবহার করা হয় না।খামারিদের নিজস্ব মিলে ভাঙানো খৈল,বিভিন্ন প্রকার ভুসি,কুঁড়া,চালের গুঁড়া খাইয়ে পরম মমতায় লালনপালন করা হয় এই গরুগুলোকে।খামারের ভেতরের পরিবেশ বেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা হয়।বাইরের কাউকে খামারের ভেতর ঢুকতে দেওয়া হয় না।মিরকাদিমের ধবল গরুর বৈশিস্ট হলো এ সমস্ত গরুর চোখের পাপড়ি সাদা,নাকের সামনের অংশ সাদা,পায়ের খুর সাদা,লেজের পশম সাদা,আর সারা শরীরও সাদা হয়ে থাকে।এই সমস্ত ধবল গরুগুলো দেখতে একদিকে সুন্দর এবং অন্যদিকে এই সমস্ত গরু গুলোর মাংস খুব সুস্বাদু হওয়ায় এগুলো এখন খামার থেকেই কিনে নিয়ে যাচ্ছেন ক্রেতারা।এই সাদা গরুগুলো সাধারণত ১ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত দামে হয়ে থাকে।মুন্সীগঞ্জের কোনো হাটে এই গরু বিক্রি হয় না।আগে পুরান ঢাকার হাটে নিয়ে এ সমস্ত গরু বিক্রি করতো খামাড়িরা।এখন পুরান ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের লোকজন মীরকাদিমে এসে এ সমস্ত খামার হতে গরুগুলো ক্রয় করে নিয়ে যান।সরেজমিনে মিরকাদিমের বেশ কিছু খামার ঘুরে দেখা যায় বেশ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশে খামারগুলোতে লালন পালন করা হচ্ছে গরু।মিরকাদিমের মজিবুরের খামার গিয়ে দেখা যায় ওই খামারে মোট ৫১ টি গরু আছে।এর মধ্যে ধবল জাতের গুরু রয়েছে অর্ধেকের বেশি।গত বছর এই খামারে অবিক্রিত গরু ছিল ৬টি।বাকি গরুগুলো গত কুরবানি ঈদের পরে কিনে এনে খামারে লালন পালন করছেন।ওই খামারের দেখবালের দায়িত্বে আছেন তিনজন।এর মধ্যে জিয়াউর হক বলেন,কয়দিন আগে যে গরম গেলো ওই সময় গরুগুলোর খুব কষ্ট হচ্ছিল।গরমে বেশ কিছু গরু অসুস্থ হয়ে পড়েছিল।সে সময় গরুগুলোকে চিকিৎসা করাতে হয়েছে।এখন গরম কমার সাথে সাথে গরুগুলো ভালো আছে।ইতিমধ্যে খামার হতে ১১টি বিক্রি হয়ে গেছে।যারা কুরবানী দেয় তারাই এখান থেকে গরু কিনে খামারে রেখে গেছেন।পরে কুরবানীর দ্-ুএকদিন আগে এসে নিয়ে যাবেন।ওই খামারের দেখবালের দায়িত্বে থাকা রাশেদ বলেন,আমাদের খামারের গরুগুলোকে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার খাওয়াই।খামারে বিভিন্ন জাতের গরু আছে তবে এগুলোর মধ্যে ধবল গরু বিখ্যাত।আমাদের খামারে সর্বনিম্ন ১ লক্ষ ২০ হাজার হতে ৩ লক্ষ টাকা দাম পর্যন্ত গরু আছে।
মীর কাদিম শাহিনের খামার মোট ৫১টি গরুর মধ্যে অন্য জাতের আছে মাত্র ৫টা।৪৬ টায় সাদা ধবল জাতের বলে জানালেন খামাড়িরা।ওই খামারের শ্রমিক রফিক মিয়া বলেন,গত বছর কুরবানীর পর এই গরুগুলো আমরা ফরিদপুর জেলার টেপাখোলা বাজার হতে কিনে এনেছি।প্রায় গরুই এক লাখ টাকার উপরে দাম দিয়ে কিনে এনে লালন পালন শুরু করি।সামনের কুরবানীতে গরুগুলো বিক্রি করবো।এ পর্যন্ত খামারের ছয়টা গরু বিক্রি হয়ে গেছে।যে গরুগুলো বিক্রি করছেন সেগুলো দুই লক্ষ থেকে দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকার মধ্যে বিক্রি করেছেন তারা।ঈদের আগে বাকি গরুগুলো খামার হতে বিক্রি হয়ে যাবে বলেও জানান তিনি।এ ব্যাপারে ওই এলাকার মজিবুর রহমান বলেন, আমাদের নিজেদের মিল আছে।আবার খামারও আছে।আমরা আমাদের নিজেদের মেইলের খৈল, কুড়া,বিভিন্ন ধরনের ভূসি,ভুট্টা উন্নত মানের খাবার খাইয়ে আমাদের খামারের গরুগুলো লালন পালন করে থাকি।আমরা কোন ইনজেকশন দেই না কোন ভেজাল খাবার খাওয়াই না যার কারণে আমাদের গরুর মাংসগুলো খুব সুস্বাদু হয় এবং এগুলো চাহিদা খুব বেশি।আগে ঢাকায় নিয়ে বেচঁতাম এখন এই সমস্ত গরু খামার হতে কিনে নিয়ে যায়।ঢাকার পাশাপাশি নারায়নগঞ্জ,কুমিল্লা চাদঁপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পাইকার আশে আমাদের এখানে গরু কিনতে।মীর কাদিম এগ্রো খামারের দেখবালের দায়িত্বে থাকা মিন্টু মিয়া বলেন,আমাদের খামারে গরু আছে ১৩০টা। এর মধ্যে ৬০টা কোরবানীর ঈদে বিক্রি করা হবে।আমরা মূলত খামারে দুগ্ধ উৎপাদন করি সেই সাথে বিক্রির জন্যও গরু মোটাতাজাকরণ করে থাকি।আমরা যে সমস্ত গরু মোটাতাজাকরণ করি ওগুলো মূলত আমাদের খামারেই উৎপাদন হয়।আমরা মা গরুগুলোকে উন্নত মানের বীজ দিয়ে এখানে গরুর বাচ্চা উৎপাদন করি মা গরুর দুধ বাজারে বিক্রি করি এবং বাছুরগুলোকে লালন পালনের মাধ্যমে বড় করে বিক্রি করে থাকি। আমাদের খামরে প্রায় ১০টি গুরু আছে যেগুলোর ওজন ৭০০ থেকে ৮০০ কেজি।এ গরু বাছুর গুলো আমরা খামারেই উৎপাদন করেছি।অপর শ্রমিক আরিফ বলেন,আমরা নিজ সন্তানের মতো পরম যন্তে এখানে গরু লালন পালন করি।পুরো দিন ওদের সেবা করি।প্রতিদিন গোসল করাই এবং এগুলোর শরীর মুছে দেই।আমরা একদিকে যেমন শুকানো খাবার খৈল,কুড়া,ভূসি খুদ খাওয়াই
অন্যদিকে আবার কাচাঁ ঘাস ভূট্টার সেরালেক খাওয়াই।আমাদের খামার হতে ইতিমধ্যে ৫টা গরু বিক্রি হয়ে গেছে।তবে ওই এলাকার খামাড়িদের সাথে কথা বলেজানাগেছে,মীরকাদিম পৌরসভার কুলুপাড়ার ধবল গরু লালনপালন করার যে ঐতিহ্য ছিল তা ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে।খামারে গরুর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও কালের বিবর্তনে মীরকাদিমের বিখ্যাত ধবল গরুর ঐতিহ্য হারিয়ে যেতে বসেছে। ভেজালযুক্ত খাবার দিয়ে গরু মোটাতাজা করে দ্রুত আঙল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে কিছু অসাধু খামারি। ১০ মাস দীর্ঘ পরিশ্রম করে লাভবান না হওয়ায় এ ব্যবসা থেকে সরে আসছেন মীরকাদিমের ধবল গরুর অনেক ব্যবসায়ী।ভেজাল খাদ্যের যোগান দিয়ে গরু বড় করে দ্রুত লাভবান হওয়ার হাতিয়ারকে এখন কাজে লাগাচ্ছে অনেকেই।ফলে ২০০ জনের বেশি ধবল গরুর খামার মালিক থেকে এখন ১৫/২০ জনে নেমে এসেছে।এ সমস্ত ধবল গরুগুলো মূলত কুড়িগ্রাম জেলার ভূরাঙ্গামারীসহ বিভিন্ন হাট ও এলাকা থেকে ভারত ও ভুটানের আবাল-পশ্চিমা সাদা ষাঁড় ও সাদা গাভীর বাচ্চা কিনে আনেন মীরকাদিমের খামারিরা।নিজের বাচ্চার মতো লালন করেন।নতুন গামছা দিয়ে গোসল করানো হয়।সব সময় চোখে চোখে রাখা হয়।লাভ লোকসানের কথা চিন্তা না করেই পুরোনো ঐতিহ্য ধরে রেখে গরু পালন করেন।বাবা-দাদাদের ধবল গরু পালনের ঐতিহ্য ধরে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন খামাড়িরা।এ ব্যাপারে মুন্সীগঞ্জ প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ নজরুল ইসলাম বলেন, মুন্সীগঞ্জের খামারগুলোতে মূলত দেশি গরু বেশি দেখা যায়।এ জেলায় মোট ৫ হাজারের মতো খামার রয়েছে।এর মধ্যে মিরকাদিমের গরুগুলোর চাহিদা বেশি।কোরবানীর আগের ৬ মাস হতে এই গরুগুলোকে মোটাতাজা করতে শুরু করে খামারিরা।এই মোটাতাজাকরণ কাজে তারা গরু গুলোকে সবচেয়ে বেশি সবুজ ঘাস খাইয়ে থাকে। খৈল নানা ধরনের ভূষি,চালের খুদ খাওয়ায় এবং পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখে।মূলত স্বাস্থ্য সম্মত উপায়ে তারা গরু মোটা তাজাকরণ করায় এগুলো দেখাতে সুন্দর আকর্ষনীয় ও মাংস সুস্বাদু হওয়ায় এগুলোর চাহিদা বেশি।তিনি আরো বলেন,দেশি গরুতে চবির্র হার খুব কম থাকায় মাংসের পরিমান বেশি থাকে এবং সুস্বাদু হয়।মিরকাদিমের খামাড়িরা কখনোই মোটাতাজাকরণ ট্যাবলেড.ইনজেকসুন,হরমন ঔষধ ব্যবহার করেনা।যার কারনে এগুলো স্বাস্থ্য সম্মত ও সুস্বাদু হয়।