সর্বশেষ:-
প্রচ্ছদ /
অর্থ ও বাণিজ্য, আইন আদালত, গজারিয়া, টুঙ্গীবাড়ী, দূর্নীতি দমন কমিশন(দুদক), দেশজুড়ে, নারী ও শিশু, বাংলাদেশ, বাংলাদেশ পুলিশ, মুক্তারপুর, মুন্সিগঞ্জ, লৌহজং, শ্রীনগর
মুন্সীগঞ্জের পুরো শহরজুড়ে ব্যাটারি চালিত ইজিবাইকে ভোগান্তি
প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময়- ০৫:৩৪:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪ ১৯ বার পড়া হয়েছে
মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি।।
মুন্সীগঞ্জ শহর ও শহরাঞ্চলে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে জেলা শহরে প্রতিদিনই দেখা দিচ্ছে যানজট।সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ইজিবাইকগুলো শহরের যেখানে সেখানে ইচ্ছেমতো থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা করায় এ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।একই সঙ্গে ঘটছে দুর্ঘটনাও। বর্তমানে মুন্সীগঞ্জ শহরবাসীর দুর্ভোগের নতুন নাম ‘অনাকাঙ্ক্ষিত যানজট’।শহরের প্রধান সড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো খানাখন্দভরা এবং কয়েকটি সড়ক খোঁড়াখুঁড়িতে জনদুর্ভোগ পোহাচ্ছে শহরবাসী।এর মধ্যে সরকারি নিয়ম অমান্য করে বেপরোয়াভাবে মিশুক ও অটোরিকশা চালানোর ফলে শহরবাসীর দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। শহরবাসীর অভিযোগ,ইজিবাইক ছাড়াও ভটভটি, শ্যালো ইঞ্জিন গাড়ি,নসিমন,করিমনও অবৈধভাবে প্রধান সড়কে চলছে।তোফায়েল আহমেদসহ একাধিক পৌরবাসী বলেন,শহরের সুপার মার্কেট থেকে পুরোনো কাচারী পর্যন্ত মানুষকে যানজট মোকাবিলা করতে হচ্ছে নিত্যদিন।ট্রাফিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় অপরিকল্পিতভাবে মিশুক ও অটোরিকশা চালানো,যেখানে সেখানে গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা করা,শহরের প্রধান সড়কের বিভিন্ন অংশে সড়কের ওপরই পার্কিং পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে।বিগত সরকারের সময়ে কিছু আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী টাকার বিনিময়ে ফুটপাত দখল করে টং দোকান বসিয়ে দেওয়ায় জনদুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।একাধিক পথচারী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের প্রায় তিন মাস হলেও এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর লোকজনই ফুটপাত দখল করে আছে। দখলকারীদের কারণে ফুটপাত দিয়ে পথচারীরা স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারছেন না।শহরের একাধিক বাসিন্দা বলেন,শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর দখলদার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা পলাতক।এর পরও তাদের লোকজনের দখলেই আছে ফুটপাত।শহরের পুরোনো কাচারীসহ পৌর ভবনের সামনে গেলেই বোঝা যায় কী হ-য-ব-র-ল অবস্থা।বেশির ভাগ সড়ক দখল করে আছে অবৈধ দোকানপাট।অন্যদিকে সরকার পতনের পর নতুন সরকারের সময়েও ফুটপাত দখল করে অবৈধ দোকানপাট বেড়েই চলেছে।বর্তমানে যারা ফুটপাত দখলে জড়িত,কারা তাদের মদদ দিচ্ছে–এ প্রশ্ন শহরবাসীর।শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘুরে দেখা যায়,পৌরসভার সামনে,কলেজ রোড,পুরাতন বাসস্ট্যান্ড,মুন্সীগঞ্জ বাজারের জুবলী রোড,সুপার মার্কেট মোড়সহ শহরের একাধিক স্থানে গড়ে উঠেছে অবৈধ স্ট্যান্ড।এ ছাড়া শহরের উপকণ্ঠ মুক্তারপুর সেতুর ঢালে,তেলের পাম্প এলাকা, বাইন্নাবাড়ী,সিপাহীপাড়া চৌরাস্তাসহ সব জায়গাতেই ইজিবাইকের ছড়াছড়ি।এসব গাড়ির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই।তারা প্রশিক্ষণ ছাড়াই অবাধে চালাচ্ছেন মিশুক ও অটোরিকশা।চালকরা সড়কের যেখানে সেখানে যাত্রী ওঠানামা করছেন হরদম। সিগন্যাল ছাড়া হঠাৎ গাড়ি ঘুরিয়ে ফেলে ব্যস্ততম সড়কে জটলা পাকিয়ে ফেলছেন।নিয়মের তোয়াক্কা না করে মিশুক ও অটোরিকশা চলাচল করায় শহর ও শহরাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে প্রতিদিনই যানজট দেখা দিচ্ছে।একই সঙ্গে ঘটছে দুর্ঘটনাও।
সদর বাজারের ব্যবসায়ী সোহরাব মিয়া জানান, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই অসাধু গ্যারেজ মালিকরা প্রতিনিয়ত ইজিবাইকের সংখ্যা বাড়িয়ে শহরে চালাচ্ছেন।বিভিন্ন অটো গ্যারেজগুলোতে তৈরি করা ইজিবাইকগুলো পর্যায়ক্রমে সড়কে যুক্ত হওয়ায় যানবাহনের সংখ্যা অনেক বেড়েছে।এমন একাধিক কারণে যানজট এখন নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে।ব্যবসায়ী পারভেজ তালুকদার বলেন,ব্যাটারিচালিত গাড়িগুলো বেপরোয়াভাবে চলছে।অটোরিকশা,স্কুটার চালাতে ড্রাইভিং লাইসেন্স লাগে,সরকারকে গাড়ির ট্যাক্স দিতে হয়। কিন্তু ইজিবাইকে এর কিছুই প্রয়োজন না হওয়ার সুযোগে ইজিবাইকের চাহিদা বেড়েছে।তাই এসব গাড়ি চালাতে ড্রাইভিং লাইসেন্স ও নাম্বার প্লেটের আওতায় নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।এ প্রসঙ্গে মুন্সীগঞ্জের সদর ট্রাফিক কার্যালয়ের একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানান,ইজিবাইকের কারণে যানজট নিরসনে প্রতিনিয়ত হিমশিম খেতে হয়।এখন শহরের বিভিন্ন স্থানে ইজিবাইক ও মিশুক তৈরির কারখানা গড়ে উঠেছে।ফলে অতিরিক্ত ইজিবাইক সড়কে যুক্ত হয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। এ পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত ইজিবাইক নিয়ন্ত্রণে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে সুধী সমাজ এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনকে এগিয়ে আসতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।