ঢাকা ০৩:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ১৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ:-
হিংসা-বিদ্বেষ ভূলে কাঁদে কাঁধ মিলিয়ে না’গঞ্জের উন্নয়নে কাজ করতে চাই: জেলা প্রশাসক  চট্টগ্রামে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত-৫ শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে, সোমবার ঈদুল ফিতর বাউফলে কলেজ ছাত্রী হেনস্তার শিকার  সাতক্ষীরায় দরদীর উদ্যোগে ইফতার পুনর্মিলনী ও কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত এক টাকায় ঈদের হাসি: ‘আমাদের গাইবান্ধার’ অসামান্য উদ্যোগ ঈশ্বরদীতে মটর শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে ঈদ সামগ্রী বিতরন শ্রীনগরে ছিনতাইয়ের সময় গণপিটুনিতে নিহত-১, আহত-২ মুন্সীগঞ্জে পদ্মা সেতুতে এক দিনে প্রায় সোয়া ৪ কোটি টাকার টোল আদায় ঈশ্বরদীতে হাবিবুর রহমানের উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত  ঈশ্বরদীতে রেল ইঞ্জিনের ধাক্কায়  নানা-নাতনী নিহত জাগরণ সংস্থা’র উদ্দ্যোগে অসহায় পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরন জেলা প্রশাসকদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার ১২ নির্দেশনা নারায়ণগঞ্জে সুবিধাবঞ্চিত ৫ শতাধিক শিশু পেল ঈদের নতুন পোশাক কুষ্টিয়ায় ট্রাকচাপায় মা-ছেলের মৃ*ত্যু  ৬৬৮১ রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ কমিটির মুন্সীগঞ্জে পদ্মা সেতুতে ১২ঘন্টায় ১ কোটি ৪৬ লাখ টাকা টোল আদায় গাইবান্ধার মরিচের হাট: লাল সোনার বাণিজ্যে জমজমাট  কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত-২ হতদরিদ্রের মাঝে খাবার বিতরণ করলেন মানবিক জেলা প্রশাসক বিজ্ঞ আদালতের রায়ে ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র ঘোষণা কাল থেকে টানা ৯ দিনের ছুটিতে সরকারি চাকরিজীবীরা আজ পবিত্র ‘লাইলাতুল কদর’ মেট্রোর আদলে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে যুক্ত হলো দেশে তৈরি কমিউটার ট্রেন নারায়ণগঞ্জে যথাযোগ্য মর্যাদায় বীর শহীদদের স্মরণে মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত  মুন্সীগঞ্জের ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে নির্বিঘ্নে ঈদযাত্রা সিদ্ধিরগঞ্জে জিয়া সৈনিক দলের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত  মুন্সীগঞ্জে বর্ণিল আয়োজনে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন পথশিশু ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের মাঝে ঈদ উপহার যথাযথ মর্যাদায় ঈশ্বরদীতে মহান স্বাধীনতা দিবস পালন  মৌলভীবাজারে রণাঙ্গন’র অভিষেকসহ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত  চল্লিশ বছরেও অসম্পূর্ণ গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতাল: ৭ দফা দিয়ে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ আজ ২৬শে মার্চ, মহান স্বাধীনতা দিবস ঈশ্বরদীতে যুবদলের উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত সিদ্ধিরগঞ্জে গণঅধিকার পরিষদের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল মুন্সীগঞ্জে স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে নৈশপ্রহরীকে গণপিটুনি রূপগঞ্জে তারেক রহমানের পক্ষে ঈদ সামগ্রী বিতরণ ঈদের ছুটিতে পাহাড়ি পথ চা-বাগানের স্নিগ্ধতায় বেড়াতে ভ্রমণপিপাসুদের হাতছানি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের দায়িত্বে শপথ নিলেন নতুন দুই বিচারপতি কক্সবাজারে আরাকান আর্মির শতাধিক পোশাকসহ আটক-৩ বড়লেখায় বিষপানে তরুণীর আত্মহত্যা  শহীদ আবু সাঈদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিলেন সেনাপ্রধান জেলা পরিষদ’র উদ্যোগে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে আর্থিক অনুদানের চেক প্রদান ঈশ্বরদীর রূপপুরে আলোচিত মানিক হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামিসহ গ্রেপ্তার-৩ কুলাউড়া সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশকালে বিজিবি’র হাতে গ্রেপ্তার-৫ টংঙ্গীবাড়ীতে ৩ কসমেটিক্সের দোকানকে ভোক্তার ২০ হাজার টাকা জরিমানা মুন্সীগঞ্জে ১৭৩ কোটি টাকা মূল্যের অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ কুলাউড়ায় শুরু হচ্ছে অভিযান, অবৈধ কাজে সুপারিশ না করার আহ্বান  না’গঞ্জ জেলা সাউন্ড মালিক সমিতির ইফতার মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠিত শ্রীমঙ্গলে চুরি হওয়া পিকআপসহ চোর আটক জেলা প্রশাসক ও প্রাণীসম্পদের সহায়তা সূলভ মূল্যে পন্য পাবে স্বল্প আয়ের ভোক্তা  পুণ্যময় রজনী শবে কদরের গুরুত্ব ও ফজিলত বাউফলে সাংবাদিক ক্লাবের ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির আত্মপ্রকাশ সোনারগাঁয়ে দলিল লিখকের সনদের সাময়িক স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের দাবি সাগরে নিখোঁজের ৩০ ঘণ্টা পর অবশেষে বিজিবি জওয়ানের মরদেহ উদ্ধার মুন্সীগঞ্জের হিমাগারে যান্ত্রিক ত্রুটি:  কৃষকের ৩ কোটি টাকার আলু পঁচে যাওয়ার শঙ্কা মৌলভীবাজারে দীর্ঘ খরায় কাঙ্ক্ষিত চা উৎপাদন ব্যহত নাফ নদীতে রোহিঙ্গা বোঝাই ট্রলারডুবির ঘটনায়  বিজিবি জওয়ান নিখোঁজ বাউফলে ভিজিএফ’র চাল কম দেওয়ার প্রতিবাদ করায় জেলেদের ওপর হামলা গাজায় নৃশংস হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে ‘আমরা জনতা-নারায়ণগঞ্জ’র মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ  দুই অ্যাম্বুলেন্স ১ চালক: সিন্ডিকেটের কবলে জিম্মি গাইবান্ধা হাসপাতালের রোগীরা মেয়াদ উত্তীর্ণপণ্য সহ অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রির দায়ে ৩ প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা মুন্সীগঞ্জে বিপণিবিতান ও ফুটপাতে জমে উঠছে ঈদের ধুম বেচাকেনা কুষ্টিয়ায় তুলা চাষীদের সাফল্যে দাম বৃদ্ধির দাবি টংঙ্গীবাড়ী হিমাগারে জায়গা না থাকায়  হতাশায় ভুগছেন কৃষক মহাকাশ অভিযানে বিশ্বরেকর্ডধারী সুনিতা উইলিয়াম ৪৫ দিন চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে যানজট নিরসনে ভারতে আসছে প্রথম উড়ন্ত ট্যাক্সি  আজ ২২ মার্চ ‘বিশ্ব পানি দিবস’ মিয়ানমার সীমান্ত থেকে গুলিবর্ষনে এক বাংলাদেশিসহ আহত-২ বন্দরের লাঙ্গলবন্দে পূণ্যস্নান উৎসবের সার্বিক প্রস্তুতি পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক কুমেক হাসপাতালে মধ্যরাতে ৪ সাংবাদিকের ওপর হামলা, যৌথ বাহিনীর ফাঁকা গুলিবর্ষণ নারায়ণগঞ্জে ব্যবসায়ীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, ৪ জনকে কুপিয়ে জখম সারাদেশে কালবৈশাখী ঝড়সহ বৃষ্টির আভাস কিশোরগঞ্জে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষ-ভাঙচুর, আহত-১৫ ফিলিস্তিনে ইসরাইলী হামলার প্রতিবাদে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ ও সমাবেশ  গাইবান্ধায় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ছাত্রদলের আহ্বায়ক বহিষ্কার রাজনগরে হত্যা মামলার আসামি আজাদ র‍্যাব-৯ এর জালে শ্রমিকদল সভাপতির বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার: ভালুকা উপজেলা বিএনপির নিন্দা  দেশের অস্থিতিশীলতা দূরীকরণে গনতান্ত্রিক সরকার গঠন গুরুত্বপূর্ণ -যুবদল নেতা জিয়া  সাংবাদিক প্রীতির সহায়তায় সৌদি থেকে ফিরল গার্মেন্টস কর্মী শায়েরার লাশ সিদ্ধিরগঞ্জে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত একই পরিবারের ৩ আসামি গ্রেপ্তার সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামানের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ পুলিশি হেফাজতে সোনারগাঁয়ে অপহৃত কিশোরীরকে ৩৭ দিন পর উদ্ধার করলো পিবিআই  দুমকীতে শহিদকন্যার ধর্ষকদের গ্রেপ্তারের দাবিতে থানা ঘেরাও ভালুকায় বিএনপি নেতার উদ্যোগে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ সাতক্ষীরা-৪ আসনের জামায়াতের ভোটকেন্দ্র পরিচালক ও প্রধান পোলিং এজেন্ট  সম্মেলন অনুষ্ঠিত  নারায়ণগঞ্জে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা, বিপনিবিতান গুলোতে উপচে পরা ভিড় জব্দ অর্থের উৎস প্রমাণ করতে ব্যর্থ: বরখাস্ত গাইবান্ধার এলজিইডি প্রকৌশলী বাউফলে নির্মাণের একদিন পরেই ধসে পড়লো সড়ক পাবনা ও ঈশ্বরদী মটর শ্রমিক ইউনিয়নের ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত  কুষ্টিয়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে নয় বছর বয়সী কন্যাশিশুর আত্মহত্যা ৩১ দিনেও উদ্ধার হয়নি সুন্দরগঞ্জের অপহৃত স্কুলছাত্রী আর্জিনা, প্রশাসন নিশ্চুপ মৌলভীবাজারে সাংবাদিকের উপর অতর্কিত হামলা মহাকাশ থেকে দীর্ঘ ৯ মাস পর পৃথিবীতে ফিরে এসেছেন সুনিতা-উইলিয়াম  মৌলভীবাজার জেলা পুলিশের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত  কুষ্টিয়া বৃদ্ধাশ্রমের বদ্ধ ঘরে আধপেট খেয়ে রোজা রাখছেন ৩০ অসহায় মা সাতক্ষীরার শ্যামনগরে সাংবাদিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত  শিবপুর ও আগরদাড়ী ইউনিয়ন জামায়াতের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ভালুকায় কাচিনা ইউনিয়ন বিএনপির ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত মিয়ানমারের আরাকান সশস্ত্র গোষ্ঠী আরসা প্রধান ও রোহিঙ্গা নারীসহ গ্রেপ্তার-১০

আইডি সংশোধনে অযৌক্তিক পেপারস চেয়ে বাতিল করে ইসি কর্মকর্তা ফরিদুল!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময়- ০৮:০১:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪ ২৮৬ বার পড়া হয়েছে

‘অযৌক্তিক কাগজপত্র’ চেয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করে বাতিল সহ নানান অনিয়মের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগও রয়েছে ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে.!

 

অনলাইন ডেস্ক।।

 

সাধারন নাগরিকদের নানান কাজে অপরিহার্য হয়ে পড়েছে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি)।প্রিন্টিং সহ তথ্যের ভূল ও গরমিল থাকায় অনেককে এটি সংশোধন করতে হচ্ছে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এই এনআইডি  সংশোধন করা বাংলাদেশে এখন সবচেয়ে  একটা কঠিন কাজ হয়ে উঠেছে।

দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা নির্দিষ্ট বিধি ও পদ্ধতি মেনে এনআইডি সংশোধন করতে বাধ্য হলেও তাদের কেউ কেউ নাগরিকদের অকারণে বহু ধরনের হয়রানির শিকার হতে হয়। এমন বহু অভিযোগ বছরের পর বছর করে আসছেন ভুক্তভোগী অনেক নাগরিকগন। সম্প্রতি পরিচয়পত্র সংশোধনের আবেদন করে চাহিদা অনুযায়ী সকল ধরনের প্রদান করেও বিনা কারণে ‘অযৌক্তিক কাগজপত্র’ চেয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি সহ নানান অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে।

নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে দেশে মোট ভোটার ১২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ১৬০ জন। যাদের সবারই এনআইডি রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০০৭-০৮ সালে যখন প্রথম এনআইডির কার্যক্রম শুরু হয় তখন কেউ জানতেন না যে জাতীয় পরিচয়পত্রের এ এনআইডি কার্ড ভবিষ্যতে ‘জাতীয় দলিল’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত বা গন্য হবে। তখন সেটা কেউই তেমন গুরুত্ব দেননি।তাছাড়া অপরিপক্ক, অল্প শিক্ষিত লোকবল দারা এ কার্ড তৈরি করা হয়েছিল ভুরি ভূরি ভুলের মাধ্যমে।  এটি যদি তখন সাধারণ মানুষ বুঝতেন তাহলে শুরুতেই সবাই এ বিষয়ে সতর্ক থাকতেন নির্ভূলতার মাপকাঠিতে। মূলত, ওই সময় নির্বাচন কমিশনের প্রচারের অভাবে এবং অদক্ষ জনবলের মাধ্যমে এ কার্যক্রম পরিচালনা করে ভূলের সৃষ্টি।  বিশাল এ জনগোষ্ঠীর অধিকাংশের এনআইডিতে কিছু না কিছু ভুল রয়েই গেছে। যেগুলো সংশোধন করতে গিয়ে নিয়মিত ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ জনগণকে। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা থেকে শুরু করে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তারাও এনআইডি সংশোধনের নামে নাগরিকদের দিনের পর দিন নানান ভোগান্তিতে ফেলছেন।

২০০৭-০৮ সালে যখন এনআইডির প্রথম কার্যক্রম শুরু হয় তখন কিন্তু নির্বাচন কমিশন বা সরকার থেকে নাগরিকদের এনআইডির গুরুত্বের বিষয়ে সেভাবে তেমন সচেতন করা হয়নি। ফলে নাগরিকরা মনগড়া তথ্য দেওয়ার পাশাপাশি একজনের তথ্য আরেকজনও দিয়েছিলেন। কার্ডে বয়স, নাম, শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ বিভিন্ন ধরনের ভুল তথ্য রয়ে যায়। নাগরিকরা যখন বুঝতে পারেন এনআইডি সংশোধন ছাড়া সেবা মিলবে না, তখন অনলাইনে আবেদন করে এনআইডি সংশোধন করতে নির্বাচন কমিশনের অফিসে অফিসে ঘুরতে থাকেন।

 

তাদের মধ্যে এক ভুক্তভোগী নারীর নাম মোসাঃ শাহিদা বেগম, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার এনায়েতনগর ইউনিয়নের মাসদাইর বারৈভোগ এলাকার  বাসিন্দা পর পর চারবার আবেদন করেও শেষ রক্ষা হয়নি ওই ইসি কর্মকর্তার হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। প্রথমবার আবেদন ভূল দেখিয়ে বাতিল করে দেন,এরপর দ্বিতীয়বার আবেদন সহি শুদ্ধভাবে করেন এক সাংবাদিকের সহায়তায়,সেইবার নির্ভলভাবে আবেদন করার পরে, যাচাই বাছাই করে তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য পাঠান নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার বরাবর, সেখান থেকে পূনরায় কাগজপত্র চাওয়া হলে তা ফুলফিল করে জমা দিয়ে সহি প্রতিবেদন পাঠালেও তিনি তা কেনো কারন ছাড়াই রহস্যজনক কারনে বাতিল করে দেন,আর্থিক সুবিধা পাওয়ার লক্ষ্যে।এরপর ওই নারী ফের আবেদন করলে,এবার ফের কোন ধরনের শুনানি ও কারন ছাড়াই দীর্ঘ একমাস পরে সে আবেদনটি ফের বাতিল করেন,এভাবে পরপর চারবার। এখনো স্বামী সহ সংশোধনের আশায় ধারে ধারে ঘুরছেন ওই ভুক্তভোগী নারী, কারন ভোটার আইডি সংশোধন ছাড়া পৈতৃক ভিটা-জায়গা জমি হাত ছাড় হয়ে যাচ্ছে। এমন বহু সাধারণ মানুষের গগনবিদারী আর্তচিৎকারে কানে পৌঁছায় না ওই দূর্নীতি গ্রস্ত ইসি কর্মকর্তা ফরিদুলের।

 

ভুক্তভোগী একজন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার কাজী রুবেল। ২০০৮ সালে করা নিজের এনআইডিতে ভুল থাকার কারনে সম্প্রতি সংশোধনের জন্য আবেদন করেন। পাসপোর্ট ও জন্মনিবন্ধনের সঙ্গে মিল রেখে বয়স, মায়ের নামের আংশিক পরিবর্তনসহ মায়ের এনআইডি নম্বর যুক্ত করেন। আগে শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক পাস থাকলেও এখন তিনি সপ্তম শ্রেণি উল্লেখ করতে চাচ্ছেন। তার আবেদনটির যথাযথ যৌক্তিকতা থাকলেও সংশোধন না করে অযৌক্তিক কাগজপত্র চেয়েছেন ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম।

যেসব কাগজপত্র চেয়েছেন আঞ্চলিক কর্মকর্তা কাজী রুবেল তার এনআইডি সংশোধনী আবেদনে পাঁচ বছর বয়স, মায়ের নাম কাজী শামীমা আক্তার থেকে শামীমা আক্তার এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক থেকে সপ্তম শ্রেণি করতে চেয়েছেন। একই সঙ্গে সংশোধনী আবেদনে অনলাইন জন্মনিবন্ধন, পাসপোর্ট, মায়ের এনআইডি, পারিবারিক সনদ, ম্যাজিস্ট্রেট হলফনামা এবং ক্ষমার দরখাস্ত দিয়েছেন। আবেদনকারী শিক্ষাগত যোগ্যতা সপ্তম শ্রেণি চাওয়ার পরও ফরিদুল ইসলাম এসএসসি সনদ, প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড চেয়ে আবেদনটি ফেরত পাঠিয়ে দেন।

তবে ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, সংশোধনী আবেদনে এসব কাগজপত্র চাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলতেই এমন কাগজপত্র চান আঞ্চলিক কর্মকর্তা ফরিদুল।

আরেক ভুক্তভোগী, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার আরেফিন হৃদয়। তিনি গত বছর নিজ এনআইডি সংশোধনের আবেদন করেন। সংশোধনী আবেদনে তিনি পিতার নাম আ. বাখির থেকে গিয়াস উদ্দিন, মায়ের নাম মো. ঝরনা থেকে ঝড়না বেগম, শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক থেকে চতুর্থ শ্রেণি এবং পেশা ছাত্র থেকে শ্রমিক চেয়েছেন। সংশোধনী আবেদনের সঙ্গে অনলাইন জন্মসনদ, নাগরিকত্ব সনদ, ওয়ারিশা সনদ, মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র, পিতার জন্ম ও মৃত্যুর সনদ, ম্যাজিস্ট্রেট হলফনামা, স্ত্রী ও শ্বশুরের জাতীয় পরিচয়পত্রসহ কাউন্সিলরের প্রত্যয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
হৃদয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুরুতে এনআইডি উইংয়ের উপ-পরিচালক থানা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে তদন্তের জন্য পাঠান। থানা নির্বাচন কর্মকর্তা সরেজমিনে তদন্ত করে কাগজপত্রের সঙ্গে আবেদনকারীর চাহিত সংশোধনের মিল রয়েছে বলে সুপারিশ করেন। এরপরই বাধে বিপত্তি।
তদন্ত রিপোর্ট পজিটিভ থাকার পরও নিজের এখতিয়ারভুক্ত সংশোধনী আবেদনের নিষ্পত্তি না করে এনআইডি মহাপরিচালকের কাছে ফাইল ফরোয়ার্ড করে দেন আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরিদুল। পজিটিভ থাকা বেশিরভাগ ফাইলের ক্ষেত্রে তিনি ডিজির দ্বারস্থ হন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

তদন্ত প্রতিবেদন পজিটিভ আসার পরও ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম এসএসসি সনদ চেয়ে আবেদন ফেরত পাঠান। শিক্ষাগত যোগ্যতা ডাউন চাওয়ার পরও তিনি এ আবেদনে এসএসসি সনদ চেয়েছেন। তাহলে কি মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলার জন্যই…
প্রতিবেদনে কী জানিয়েছেন থানা নির্বাচন কর্মকর্তা।

আবেদনকারী আরেফিন হৃদয়, তার জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। তিনি তার জাতীয় পরিচয়পত্রে পিতার নাম আ. বাখিরের স্থলে গিয়াস উদ্দিন, মাতার নাম মো. ঝরনার স্থলে ঝড়না বেগম, শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিকের স্থলে চতুর্থ শ্রেণি এবং পেশা ছাত্র/ছাত্রীর স্থলে শ্রমিক চেয়ে অনলাইনে আবেদন করেছেন।

থানা নির্বাচন কর্মকর্তার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আবেদনকারীর সব দলিলাদির মূল কপি দেখা হয়েছে। তিনি ২০১৪ সালে ভোটার তালিকাভুক্ত হয়েছেন। আবেদনকারীর ডাটাবেজে শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক পাস। তিনি উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেননি, চতুর্থ শ্রেণি পাস করেছেন মর্মে হলফনামা করে সে মোতাবেক সংশোধন চেয়েছেন। আবেদনকারী জানান, তিনি ভোটার হওয়ার সময় ভুলক্রমে শ্বশুরের নাম পিতা হিসেবে ব্যবহার করে ভোটার হয়েছেন। তার দাখিলকৃত জন্মসনদ, নাগরিকত্ব সনদ, ওয়ারিশান সনদ, পিতার মৃত্যুর সনদ, পিতার জন্মসনদ ও হলফনামার সঙ্গে চাহিত তথ্যের মিল রয়েছে। এ অবস্থায় আবেদনকারীর ডাটাবেজে শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক পাস থাকায় এবং সার্বিক পর্যালোচনায় তার চাহিত তথ্যাবলি সংশোধনের জন্য মহোদয়ের সদয় সিদ্ধান্ত প্রয়োজন।

আর্থিক লেনদেনের অভিযোগও রয়েছে ফরিদুলের বিরুদ্ধে:
ইসি কর্মকর্তারা জানান, তদন্ত প্রতিবেদন পজিটিভ আসার পরও ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম এসএসসি সনদ চেয়ে আবেদন ফেরত পাঠান। শিক্ষাগত যোগ্যতা ডাউন চাওয়ার পরও তিনি এ আবেদনে এসএসসি সনদ চেয়েছেন। তাহলে কি মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলার জন্যই আঞ্চলিক কর্মকর্তা ফরিদুল অযৌক্তিক কাগজপত্র চাচ্ছেন,প্রশ্ন রাখেন ওই কর্মকর্তা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর এক কর্মকর্তা বলেন, আঞ্চলিক কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলামের কাছে এনআইডি সংশোধনের জন্য গেলে নাগরিকরা চরম ভোগান্তির শিকার হন। এ কর্মকর্তা শুধু সাধারণ জনগণকে নয়, এনআইডির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা অর্থাৎ অনুবিভাগটির মহাপরিচালককেও নানাভাবে ভোগান্তিতে ফেলেন। নিজের এখতিয়ারভুক্ত ফাইলের দায়িত্ব না নিয়ে এনআইডির মহাপরিচালকের কাছে পাঠিয়ে দেন। ফলে সেবা নিতে আসা সাধারণ জনগণ ফাইলের পেছনে দিনের পর দিন ছুটছেন।
তিনি আরও বলেন, ফরিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। তারপরও কমিশন তার বিরুদ্ধে নিশ্চুপ। কারণ, তিনি বেশিরভাগ সময় সচিবালয়ে কমিশনারসহ বড় বড় স্যারদের কাছে গিয়ে বসে থাকেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা আরও জানান, ফরিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে অবৈধ অর্থ লেনদেনেরও অভিযোগ আছে। তিনি ঢাকা অঞ্চলের দায়িত্ব পাওয়ার পর রাজশাহী থেকে উনার পছন্দের কম্পিউটার অপারেটর নিয়ে এসেছেন। যিনি বর্তমানে একই টেবিলে ফরিদুল ইসলামের চেয়ারের পাশে বসেন। কারণ, রাজশাহীতে উনি যখন দায়িত্বে ছিলেন তখন তিনি এ কম্পিউটার অপারেটরের মাধ্যমে সব লেনদেন করতেন বলে অভিযোগ আছে। এখানে আসার পরও তিনি ওই কম্পিউটার অপারেটরকে দিয়ে অর্থ লেনদেন করেন। যারা ওই ছেলের মাধ্যমে আসেন তাদের এনআইডি সংশোধন হয়ে যায়।

ঢাকা অঞ্চলের দায়িত্ব নিয়েই ফরিদুল প্রথম তিন মাসে বিপুল অবৈধ অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে রেকর্ড সংখ্যক এনআইডি সংশোধন করেছিলেন। এ বিষয়ে সচিবালয়ে জানাজানি হওয়ার পর তিনি সাবধান হয়ে যান।
বর্তমানে তিনি আরও ভালো পদায়ন পেতে নিজ অফিসে কাজ না করে বেশিরভাগ সময় সচিবালয়ে পড়ে থাকেন বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।
সংশোধনী আবেদনে ‘অযৌক্তিক’ কাগজপত্র চাওয়া প্রসঙ্গে ফরিদুল ইসলামের কাছে জানতে চাওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়েছে, তাই আমি চেয়েছি।’
শিক্ষাগত যোগ্যতা ডাউন চাওয়ার পরও কোন আইনে এসএসসি সনদ, প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড চেয়েছেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমি এটা বলতে পারব না। আমার কাছে মনে হয়েছে এটা যৌক্তিক, তাই চেয়েছি।’
এরপর ‘আপনি ভালো থাকবেন’ বলে ইসির এ কর্মকর্তা ফোন রেখে দেন।

নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ‘এনআইডি সংশোধনে আইনের বাইরে মনগড়া কিছু করার সুযোগ নেই। শিক্ষাগত যোগ্যতা ডাউন চাওয়ার পরও শিক্ষার সনদ চাওয়ার কথা না। তবে এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে, সেটি আমরা খতিয়ে দেখব।’

কয়েক মাস এনআইডির ভারপ্রাপ্ত ডিজির দায়িত্ব পালন করা অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার আরও জানান, ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা তার এখতিয়ারভুক্ত বেশিরভাগ ‘গ’ ক্যাটাগরির সংশোধনের আবেদনের ফাইল ডিজির কাছে পাঠিয়ে দেন। অথচ, ‘গ’ ক্যাটাগরির আবেদন নিষ্পত্তি করার দায়িত্ব তার। কিন্তু তিনি সেটি করেন না।

এ প্রসঙ্গে জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.)  বলেন, ‘অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে ঢাকায় এনআইডি সংশোধনের জন্য অনেক বেশি আবেদন পড়ে। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা প্রতিনিয়ত দ্রুততার সঙ্গে এনআইডির সেবা প্রদানে সচেষ্ট। তবে, সেবাগ্রহীতার কাছ থেকে বিলম্ব বা হয়রানি বা অসংগতি সম্পর্কিত অভিযোগ পাওয়া গেলে অথবা কমিশনের নজরে এলে তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’

‘এনআইডি সংশোধনে নির্দিষ্ট বিধি ও পদ্ধতি আছে। প্রত্যেকটি এনআইডির সংশোধনী আবেদন সেভাবেই বিবেচনা করার কথা। এক্ষেত্রে কোনো প্রকার অযৌক্তিক কাগজপত্র চেয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করার প্রশ্নই আসে না। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে কমিশন থেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’

তথ্য :স/কা/~ঢাকা পোস্ট

 

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস:-

আইডি সংশোধনে অযৌক্তিক পেপারস চেয়ে বাতিল করে ইসি কর্মকর্তা ফরিদুল!

আপডেট সময়- ০৮:০১:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪

‘অযৌক্তিক কাগজপত্র’ চেয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করে বাতিল সহ নানান অনিয়মের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগও রয়েছে ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে.!

 

অনলাইন ডেস্ক।।

 

সাধারন নাগরিকদের নানান কাজে অপরিহার্য হয়ে পড়েছে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি)।প্রিন্টিং সহ তথ্যের ভূল ও গরমিল থাকায় অনেককে এটি সংশোধন করতে হচ্ছে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এই এনআইডি  সংশোধন করা বাংলাদেশে এখন সবচেয়ে  একটা কঠিন কাজ হয়ে উঠেছে।

দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা নির্দিষ্ট বিধি ও পদ্ধতি মেনে এনআইডি সংশোধন করতে বাধ্য হলেও তাদের কেউ কেউ নাগরিকদের অকারণে বহু ধরনের হয়রানির শিকার হতে হয়। এমন বহু অভিযোগ বছরের পর বছর করে আসছেন ভুক্তভোগী অনেক নাগরিকগন। সম্প্রতি পরিচয়পত্র সংশোধনের আবেদন করে চাহিদা অনুযায়ী সকল ধরনের প্রদান করেও বিনা কারণে ‘অযৌক্তিক কাগজপত্র’ চেয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি সহ নানান অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে।

নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে দেশে মোট ভোটার ১২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ১৬০ জন। যাদের সবারই এনআইডি রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০০৭-০৮ সালে যখন প্রথম এনআইডির কার্যক্রম শুরু হয় তখন কেউ জানতেন না যে জাতীয় পরিচয়পত্রের এ এনআইডি কার্ড ভবিষ্যতে ‘জাতীয় দলিল’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত বা গন্য হবে। তখন সেটা কেউই তেমন গুরুত্ব দেননি।তাছাড়া অপরিপক্ক, অল্প শিক্ষিত লোকবল দারা এ কার্ড তৈরি করা হয়েছিল ভুরি ভূরি ভুলের মাধ্যমে।  এটি যদি তখন সাধারণ মানুষ বুঝতেন তাহলে শুরুতেই সবাই এ বিষয়ে সতর্ক থাকতেন নির্ভূলতার মাপকাঠিতে। মূলত, ওই সময় নির্বাচন কমিশনের প্রচারের অভাবে এবং অদক্ষ জনবলের মাধ্যমে এ কার্যক্রম পরিচালনা করে ভূলের সৃষ্টি।  বিশাল এ জনগোষ্ঠীর অধিকাংশের এনআইডিতে কিছু না কিছু ভুল রয়েই গেছে। যেগুলো সংশোধন করতে গিয়ে নিয়মিত ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ জনগণকে। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা থেকে শুরু করে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তারাও এনআইডি সংশোধনের নামে নাগরিকদের দিনের পর দিন নানান ভোগান্তিতে ফেলছেন।

২০০৭-০৮ সালে যখন এনআইডির প্রথম কার্যক্রম শুরু হয় তখন কিন্তু নির্বাচন কমিশন বা সরকার থেকে নাগরিকদের এনআইডির গুরুত্বের বিষয়ে সেভাবে তেমন সচেতন করা হয়নি। ফলে নাগরিকরা মনগড়া তথ্য দেওয়ার পাশাপাশি একজনের তথ্য আরেকজনও দিয়েছিলেন। কার্ডে বয়স, নাম, শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ বিভিন্ন ধরনের ভুল তথ্য রয়ে যায়। নাগরিকরা যখন বুঝতে পারেন এনআইডি সংশোধন ছাড়া সেবা মিলবে না, তখন অনলাইনে আবেদন করে এনআইডি সংশোধন করতে নির্বাচন কমিশনের অফিসে অফিসে ঘুরতে থাকেন।

 

তাদের মধ্যে এক ভুক্তভোগী নারীর নাম মোসাঃ শাহিদা বেগম, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার এনায়েতনগর ইউনিয়নের মাসদাইর বারৈভোগ এলাকার  বাসিন্দা পর পর চারবার আবেদন করেও শেষ রক্ষা হয়নি ওই ইসি কর্মকর্তার হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। প্রথমবার আবেদন ভূল দেখিয়ে বাতিল করে দেন,এরপর দ্বিতীয়বার আবেদন সহি শুদ্ধভাবে করেন এক সাংবাদিকের সহায়তায়,সেইবার নির্ভলভাবে আবেদন করার পরে, যাচাই বাছাই করে তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য পাঠান নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার বরাবর, সেখান থেকে পূনরায় কাগজপত্র চাওয়া হলে তা ফুলফিল করে জমা দিয়ে সহি প্রতিবেদন পাঠালেও তিনি তা কেনো কারন ছাড়াই রহস্যজনক কারনে বাতিল করে দেন,আর্থিক সুবিধা পাওয়ার লক্ষ্যে।এরপর ওই নারী ফের আবেদন করলে,এবার ফের কোন ধরনের শুনানি ও কারন ছাড়াই দীর্ঘ একমাস পরে সে আবেদনটি ফের বাতিল করেন,এভাবে পরপর চারবার। এখনো স্বামী সহ সংশোধনের আশায় ধারে ধারে ঘুরছেন ওই ভুক্তভোগী নারী, কারন ভোটার আইডি সংশোধন ছাড়া পৈতৃক ভিটা-জায়গা জমি হাত ছাড় হয়ে যাচ্ছে। এমন বহু সাধারণ মানুষের গগনবিদারী আর্তচিৎকারে কানে পৌঁছায় না ওই দূর্নীতি গ্রস্ত ইসি কর্মকর্তা ফরিদুলের।

 

ভুক্তভোগী একজন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার কাজী রুবেল। ২০০৮ সালে করা নিজের এনআইডিতে ভুল থাকার কারনে সম্প্রতি সংশোধনের জন্য আবেদন করেন। পাসপোর্ট ও জন্মনিবন্ধনের সঙ্গে মিল রেখে বয়স, মায়ের নামের আংশিক পরিবর্তনসহ মায়ের এনআইডি নম্বর যুক্ত করেন। আগে শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক পাস থাকলেও এখন তিনি সপ্তম শ্রেণি উল্লেখ করতে চাচ্ছেন। তার আবেদনটির যথাযথ যৌক্তিকতা থাকলেও সংশোধন না করে অযৌক্তিক কাগজপত্র চেয়েছেন ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম।

যেসব কাগজপত্র চেয়েছেন আঞ্চলিক কর্মকর্তা কাজী রুবেল তার এনআইডি সংশোধনী আবেদনে পাঁচ বছর বয়স, মায়ের নাম কাজী শামীমা আক্তার থেকে শামীমা আক্তার এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক থেকে সপ্তম শ্রেণি করতে চেয়েছেন। একই সঙ্গে সংশোধনী আবেদনে অনলাইন জন্মনিবন্ধন, পাসপোর্ট, মায়ের এনআইডি, পারিবারিক সনদ, ম্যাজিস্ট্রেট হলফনামা এবং ক্ষমার দরখাস্ত দিয়েছেন। আবেদনকারী শিক্ষাগত যোগ্যতা সপ্তম শ্রেণি চাওয়ার পরও ফরিদুল ইসলাম এসএসসি সনদ, প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড চেয়ে আবেদনটি ফেরত পাঠিয়ে দেন।

তবে ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, সংশোধনী আবেদনে এসব কাগজপত্র চাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলতেই এমন কাগজপত্র চান আঞ্চলিক কর্মকর্তা ফরিদুল।

আরেক ভুক্তভোগী, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার আরেফিন হৃদয়। তিনি গত বছর নিজ এনআইডি সংশোধনের আবেদন করেন। সংশোধনী আবেদনে তিনি পিতার নাম আ. বাখির থেকে গিয়াস উদ্দিন, মায়ের নাম মো. ঝরনা থেকে ঝড়না বেগম, শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক থেকে চতুর্থ শ্রেণি এবং পেশা ছাত্র থেকে শ্রমিক চেয়েছেন। সংশোধনী আবেদনের সঙ্গে অনলাইন জন্মসনদ, নাগরিকত্ব সনদ, ওয়ারিশা সনদ, মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র, পিতার জন্ম ও মৃত্যুর সনদ, ম্যাজিস্ট্রেট হলফনামা, স্ত্রী ও শ্বশুরের জাতীয় পরিচয়পত্রসহ কাউন্সিলরের প্রত্যয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
হৃদয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুরুতে এনআইডি উইংয়ের উপ-পরিচালক থানা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে তদন্তের জন্য পাঠান। থানা নির্বাচন কর্মকর্তা সরেজমিনে তদন্ত করে কাগজপত্রের সঙ্গে আবেদনকারীর চাহিত সংশোধনের মিল রয়েছে বলে সুপারিশ করেন। এরপরই বাধে বিপত্তি।
তদন্ত রিপোর্ট পজিটিভ থাকার পরও নিজের এখতিয়ারভুক্ত সংশোধনী আবেদনের নিষ্পত্তি না করে এনআইডি মহাপরিচালকের কাছে ফাইল ফরোয়ার্ড করে দেন আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরিদুল। পজিটিভ থাকা বেশিরভাগ ফাইলের ক্ষেত্রে তিনি ডিজির দ্বারস্থ হন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

তদন্ত প্রতিবেদন পজিটিভ আসার পরও ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম এসএসসি সনদ চেয়ে আবেদন ফেরত পাঠান। শিক্ষাগত যোগ্যতা ডাউন চাওয়ার পরও তিনি এ আবেদনে এসএসসি সনদ চেয়েছেন। তাহলে কি মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলার জন্যই…
প্রতিবেদনে কী জানিয়েছেন থানা নির্বাচন কর্মকর্তা।

আবেদনকারী আরেফিন হৃদয়, তার জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। তিনি তার জাতীয় পরিচয়পত্রে পিতার নাম আ. বাখিরের স্থলে গিয়াস উদ্দিন, মাতার নাম মো. ঝরনার স্থলে ঝড়না বেগম, শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিকের স্থলে চতুর্থ শ্রেণি এবং পেশা ছাত্র/ছাত্রীর স্থলে শ্রমিক চেয়ে অনলাইনে আবেদন করেছেন।

থানা নির্বাচন কর্মকর্তার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আবেদনকারীর সব দলিলাদির মূল কপি দেখা হয়েছে। তিনি ২০১৪ সালে ভোটার তালিকাভুক্ত হয়েছেন। আবেদনকারীর ডাটাবেজে শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক পাস। তিনি উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেননি, চতুর্থ শ্রেণি পাস করেছেন মর্মে হলফনামা করে সে মোতাবেক সংশোধন চেয়েছেন। আবেদনকারী জানান, তিনি ভোটার হওয়ার সময় ভুলক্রমে শ্বশুরের নাম পিতা হিসেবে ব্যবহার করে ভোটার হয়েছেন। তার দাখিলকৃত জন্মসনদ, নাগরিকত্ব সনদ, ওয়ারিশান সনদ, পিতার মৃত্যুর সনদ, পিতার জন্মসনদ ও হলফনামার সঙ্গে চাহিত তথ্যের মিল রয়েছে। এ অবস্থায় আবেদনকারীর ডাটাবেজে শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক পাস থাকায় এবং সার্বিক পর্যালোচনায় তার চাহিত তথ্যাবলি সংশোধনের জন্য মহোদয়ের সদয় সিদ্ধান্ত প্রয়োজন।

আর্থিক লেনদেনের অভিযোগও রয়েছে ফরিদুলের বিরুদ্ধে:
ইসি কর্মকর্তারা জানান, তদন্ত প্রতিবেদন পজিটিভ আসার পরও ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম এসএসসি সনদ চেয়ে আবেদন ফেরত পাঠান। শিক্ষাগত যোগ্যতা ডাউন চাওয়ার পরও তিনি এ আবেদনে এসএসসি সনদ চেয়েছেন। তাহলে কি মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলার জন্যই আঞ্চলিক কর্মকর্তা ফরিদুল অযৌক্তিক কাগজপত্র চাচ্ছেন,প্রশ্ন রাখেন ওই কর্মকর্তা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর এক কর্মকর্তা বলেন, আঞ্চলিক কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলামের কাছে এনআইডি সংশোধনের জন্য গেলে নাগরিকরা চরম ভোগান্তির শিকার হন। এ কর্মকর্তা শুধু সাধারণ জনগণকে নয়, এনআইডির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা অর্থাৎ অনুবিভাগটির মহাপরিচালককেও নানাভাবে ভোগান্তিতে ফেলেন। নিজের এখতিয়ারভুক্ত ফাইলের দায়িত্ব না নিয়ে এনআইডির মহাপরিচালকের কাছে পাঠিয়ে দেন। ফলে সেবা নিতে আসা সাধারণ জনগণ ফাইলের পেছনে দিনের পর দিন ছুটছেন।
তিনি আরও বলেন, ফরিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। তারপরও কমিশন তার বিরুদ্ধে নিশ্চুপ। কারণ, তিনি বেশিরভাগ সময় সচিবালয়ে কমিশনারসহ বড় বড় স্যারদের কাছে গিয়ে বসে থাকেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা আরও জানান, ফরিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে অবৈধ অর্থ লেনদেনেরও অভিযোগ আছে। তিনি ঢাকা অঞ্চলের দায়িত্ব পাওয়ার পর রাজশাহী থেকে উনার পছন্দের কম্পিউটার অপারেটর নিয়ে এসেছেন। যিনি বর্তমানে একই টেবিলে ফরিদুল ইসলামের চেয়ারের পাশে বসেন। কারণ, রাজশাহীতে উনি যখন দায়িত্বে ছিলেন তখন তিনি এ কম্পিউটার অপারেটরের মাধ্যমে সব লেনদেন করতেন বলে অভিযোগ আছে। এখানে আসার পরও তিনি ওই কম্পিউটার অপারেটরকে দিয়ে অর্থ লেনদেন করেন। যারা ওই ছেলের মাধ্যমে আসেন তাদের এনআইডি সংশোধন হয়ে যায়।

ঢাকা অঞ্চলের দায়িত্ব নিয়েই ফরিদুল প্রথম তিন মাসে বিপুল অবৈধ অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে রেকর্ড সংখ্যক এনআইডি সংশোধন করেছিলেন। এ বিষয়ে সচিবালয়ে জানাজানি হওয়ার পর তিনি সাবধান হয়ে যান।
বর্তমানে তিনি আরও ভালো পদায়ন পেতে নিজ অফিসে কাজ না করে বেশিরভাগ সময় সচিবালয়ে পড়ে থাকেন বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।
সংশোধনী আবেদনে ‘অযৌক্তিক’ কাগজপত্র চাওয়া প্রসঙ্গে ফরিদুল ইসলামের কাছে জানতে চাওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়েছে, তাই আমি চেয়েছি।’
শিক্ষাগত যোগ্যতা ডাউন চাওয়ার পরও কোন আইনে এসএসসি সনদ, প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড চেয়েছেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমি এটা বলতে পারব না। আমার কাছে মনে হয়েছে এটা যৌক্তিক, তাই চেয়েছি।’
এরপর ‘আপনি ভালো থাকবেন’ বলে ইসির এ কর্মকর্তা ফোন রেখে দেন।

নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ‘এনআইডি সংশোধনে আইনের বাইরে মনগড়া কিছু করার সুযোগ নেই। শিক্ষাগত যোগ্যতা ডাউন চাওয়ার পরও শিক্ষার সনদ চাওয়ার কথা না। তবে এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে, সেটি আমরা খতিয়ে দেখব।’

কয়েক মাস এনআইডির ভারপ্রাপ্ত ডিজির দায়িত্ব পালন করা অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার আরও জানান, ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা তার এখতিয়ারভুক্ত বেশিরভাগ ‘গ’ ক্যাটাগরির সংশোধনের আবেদনের ফাইল ডিজির কাছে পাঠিয়ে দেন। অথচ, ‘গ’ ক্যাটাগরির আবেদন নিষ্পত্তি করার দায়িত্ব তার। কিন্তু তিনি সেটি করেন না।

এ প্রসঙ্গে জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.)  বলেন, ‘অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে ঢাকায় এনআইডি সংশোধনের জন্য অনেক বেশি আবেদন পড়ে। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা প্রতিনিয়ত দ্রুততার সঙ্গে এনআইডির সেবা প্রদানে সচেষ্ট। তবে, সেবাগ্রহীতার কাছ থেকে বিলম্ব বা হয়রানি বা অসংগতি সম্পর্কিত অভিযোগ পাওয়া গেলে অথবা কমিশনের নজরে এলে তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’

‘এনআইডি সংশোধনে নির্দিষ্ট বিধি ও পদ্ধতি আছে। প্রত্যেকটি এনআইডির সংশোধনী আবেদন সেভাবেই বিবেচনা করার কথা। এক্ষেত্রে কোনো প্রকার অযৌক্তিক কাগজপত্র চেয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করার প্রশ্নই আসে না। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে কমিশন থেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’

তথ্য :স/কা/~ঢাকা পোস্ট