ঢাকা ০১:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ:-
দীর্ঘ ৫১ বছরেও নামফলক নেই মুন্সীগঞ্জ জেলা স্টেডিয়ামের শরণখোলা বিএনপির কমিটির নির্বাচন নিয়ে বিরোধ এখন তুঙ্গে আবরার ফাহাদের দেখানো পথেই রাজনীতি করছে এনসিপি-নাহিদ কুতুবপুরে বিএনপির নতুন সদস্য সংগ্রহ’সহ নবায়ন কর্মসূচীর উদ্বোধন লোকসংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীনের মৃত্যুর গুজব, যা জানালেন স্বামী যেভাবে দেখা যাবে এসএসসি সমমানের পরীক্ষার ফল শরীয়তপুরের নবনিযুক্ত জেলা প্রশাসক তাহসিনা বেগম মিডিয়ার প্রতি হুমকি: জাতীয় প্রেস ক্লাবের উদ্বেগ সাংবাদিকদের হুমকি প্রদর্শন অনভিপ্রেত ও অগ্রহণযোগ্য: বিএফইউজে-ডিইউজের ‘গ্রিন এন্ড ক্লিন’ কর্মসূচির আওতায় ১ দিনে দেড় হাজার বৃক্ষরোপণ করলেন ডিসি নারায়ণগঞ্জ-০৫’র এমপি প্রার্থী মাসুদুজ্জামানের মায়ের মৃত্যু বার্ষিকীতে দোয়া অনুষ্ঠিত সুন্দরবনে ১’শ ফুট মালা ফাঁদ উদ্ধার, হরিণ শিকারের চেষ্টা ব্যর্থ শ্রীমঙ্গলে চা বাগানে গাছে বাঁধা অবস্থা যুবকের মরদেহ উদ্ধার কমলগঞ্জে ব্যাটারীচালিত অটোরিক্সা চোর চক্রের ৪ সদস্য আটক কুলাউড়ায় ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে যুবকের আ/ত্ম/হ/ত্যা মৌলভীবাজারে কিশোর গ্যাংয়ের ছয় সদস্য ছুরিসহ গ্রেপ্তার ২৪’র গণঅভ্যুত্থানকে কোনোভাবেই বেহাত হতে দেব না : নওগাঁয় নাহিদ ইসলাম গাজীপুরে চাঁদাবাজির অভিযোগে বিএনপির চার নেতা বহিষ্কার সাংবাদিকদের নয়, বসুন্ধরা মিডিয়াকেই হুমকি দিয়েছি’: হাসনাত আবদুল্লাহ নারায়ণগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার পর ঘাতক স্বামীর থানায় আত্নসমর্পণ কুষ্টিয়ায় অবৈধভাবে পদ্মা নদীর বালু উত্তোলনের দায়ে জেল-জরিমানা চাঁদপুর শহরে হাসান আলী মাঠে অবৈধ দোকানপাট, খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত শিশুরা শরণখোলায় আনোয়ার হোসেন পঞ্চায়েত’র বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন  বিএনপিতে অপকর্মকারীদের তালিকাসহ শুদ্ধি অভিযান শুরু আজ ১০ই মহরম, পবিত্র আশুরা জুড়িতে চা শ্রমিক দম্পতির বিষপানে আত্মহত্যা বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ অসুস্থ জামালউদ্দিন কালুর পাশে ব্যবসায়ী মাসুদুজ্জামান নারায়ণগঞ্জ পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গণি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ রিয়া গোপের পরিবারের পাশে মাসুদুজ্জামান শরণখোলায় ব্যাটারি চালিত ভ্যান উল্টে কিশোর জিহাদের করুণ মৃত্যু মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নির্মিত হচ্ছে কালেক্টরেট স্কুল তানজিন তিশার সন্তান দাবি করে ছবি প্রকাশ করলেন সাংবাদিক জাওয়াদ নির্ঝর ফের বড়লেখা সীমান্তে আটক-১০ শ্রীমঙ্গলে ডিবির অভিযানে বিদেশী মদসহ আটক-১ বন্দরে মাসুদুজ্জামানের পক্ষ থেকে জুলাই আহত ও শহীদদের জন্য দোয়া অনুষ্ঠিত বড়লেখা সীমান্ত এলাকায় বিজিবি’র অভিযানে ভারতীয় পণ্যসহ আটক-২ কুষ্টিয়ায় গোরস্থা‌নে নেয়ার প‌থে গৃহবধূর লাশ আট‌কে দিল পু‌লিশ সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার: বিপুল পরিমাণ মাছ ও সরঞ্জাম জব্দ মৌলভীবাজারে ডিবির পৃথক অভিযানে ইয়াবা গাঁজাসহ গ্রেপ্তার-২ চাঁদপুরে ধনাগোদা নদীতে অবৈধ ভাসমান রেষ্টুরেন্ট, প্রশাসন রহস্যজনক নিশ্চুপ ফতুল্লায় ১৩ বছরের কিশোরী ধর্ষণ মামলার আসামি আজিম গ্রেপ্তার একমাত্র খেলাধুলাই পারে যুবসমাজকে মাদক মুক্ত রাখতে: মোশারফ হোসেন আ’লীগ নেতার বাড়িতে চাঁদাবাজির অভিযোগে পুলিশকে গাছের সঙ্গে বেঁধে পেটালো জনতা এসএসসির ফল প্রস্তুত: জানা গেল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ প্রধান উপদেষ্টার ‘কাউন্টডাউন শুরু’ পোস্ট দেয়া সেই ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী চাকরিচ্যুত না’গঞ্জ জেলা পরিষদের সিইও’র বদলিজনিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত কুলাউড়ায় স্কুল পড়ুয়া তরুণীর রহস্যজনক মৃত্যু নির্দেশনা পেলে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে সেনাবাহিনী প্রস্তুত: কর্নেল শফিকুল দৌলতপুরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত মৌলভীবাজার সীমান্তে শিশুসহ ৭১ বাংলাদেশীকে ফেরত দিলো বিএসএফ শ্রীমঙ্গলে অনিয়ম-দুর্নীতি ঢাকতে নতুন কারসাজিতে ও ঠিকাদার ব্যর্থ মৌলভীবাজারে জামিনের প্রলোভনে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে প্রতারক গ্রেপ্তার জুড়ীর কৃতি সন্তান শরীফ বিসিএস পুলিশ ক্যাডারে প্রথম আ’লীগের সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় গ্রেপ্তার ৩৩ ডেপুটি জেলারকে একযোগে বদলি আমি জনগণের সেবক হতে চাই, কারো প্রতিযোগী না: মাসুদুজ্জামান জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপে মর্গ্যান স্কুলের সংকট নিরসন মাদরাসার দুই শিক্ষার্থীর একই সাথে মৃত্যু;  শিক্ষক সমিতির শোক দিল্লির দূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রথমবার কৃত্রিম বৃষ্টি এক নতুন দিগন্ত ভেড়ামারায় পদ্মায় তীব্র ভাঙন, আতঙ্কে দিনাতিপাত করছে নদীপাড়ের বাসিন্দারা ভৈরবের পূর্বকান্দা সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক’কে অফিসে ডুকে মারধরের অভিযোগ সুন্দরবনে বিপুল পরিমাণ হরিণ শিকারের ফাঁদ জব্দ কুমিল্লায় ধর্ষণের ঘটনায় দ্রুত বিচারের দাবিতে মহিলা পরিষদের মানববন্ধন আজ ব্যাংক হলিডে, ব্যাংক ও শেয়ারবাজারে সব লেনদেন বন্ধ জুলাই অভ্যুত্থানে বিএনপিসহ অঙ্গ সংগঠনের শহীদ হয়েছে ৭৩৪ নওগাঁয় অতিরিক্ত ধান-চাল মজুদ: দুই মিল ম্যানেজারের অর্থদন্ডসহ জেল নারায়ণগঞ্জে র‍্যাবের অভিযানে অস্ত্র-মাদক ও বিদেশি মুদ্রাসহ আটক-২ ফতুল্লায় আবির ফ্যাশনে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের ঘটনায় বিক্ষোভে ৮ কারখানা বন্ধ সুন্দরবনে হরিণের ফাঁদসহ আটক-১ শিকারী  খোলপেটুয়া নদীরচর থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার শরণখোলায় ৪নং সাউথখালী ইউপি’র উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা বিমানবন্দরে চেকিংয়ে ম্যাগজিন পাওয়ার বিষয়ে যা বললেন উপদেষ্টা আসিফ না’ঞ্জকে সবুজে ঘেরা পরিচ্ছন্ন ও বাসযোগ্য আধুনিক শহর হিসেবে গড়ে তোলা।”-জেলা প্রশাসক ৫ আগস্টের পর থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত ১৩ পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত না’গঞ্জে ‘আ’লীগের দোসর’ আখ্যা দিয়ে সাবেক বিএনপি নেতাকে ‘মারধর’সহ হেনস্তা না’গঞ্জে যৌথবাহিনীর অভিযানে মাদক-অস্ত্রসহ আটক-২ নারী কারবারি কুষ্টিয়ায় মাদক কারবার নিয়ে বিরোধে যুবককে কুপিয়ে হত্যা কুষ্টিয়ায় বাসচাপায় পুলিশ সদস্য নিহত শরণখোলায় লাগসই প্রযুক্তি বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত আমার শিকড় এই মাটির অনেক গভীরে: মাসুদুজ্জামান মাসুদ ঢাকায় ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশ আজ না ফেরার দেশে ‘কাঁটা লাগা’ গার্লখ্যাত শেফালি জারিওয়ালা নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে মাসুদ-পন্টি পরিষদ বিজয়ী ধর্ষণচেষ্টা মামলায় শিক্ষক আটক, পাঠানো হলো কারাগারে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে চালকদের ডাটাবেজ করছে না’গঞ্জ জেলা প্রশাসন ডিএমপির ৬ ডিসির দায়িত্বে রদবদল কুষ্টিয়ায় লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতের হানা, লাশের শরীর তল্লাশি গাইবান্ধায় এইচএসসি পরীক্ষার ১ম দিনে ১২ জন বহিষ্কার, ৪২৯ অনুপস্থিত কুষ্টিয়ায় মাদকের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী দিবস পালিত রায়পুরায় ছয় দফা দাবিতে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি শরণখোলায় পার্টনার স্কুল কংগ্রেস অনুষ্ঠিত সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম সবুজের মায়ের ১ম  মৃত্যুবার্ষিকীতে দোয়া অনুষ্ঠিত আজ থেকে শুরু এইচএসসি পরীক্ষা,পরীক্ষার্থীদের মানতে হবে বিশেষ গাইডলাইন নারায়ণগঞ্জে জোড়া খুন; সাবেক কাউন্সিলর হান্নান ও দুই পুত্রসহ আটক-৪ ডিজিটাল নিরাপত্তা মামলায় খালাস পেলেন কুষ্টিয়ার দুই সাংবাদিক গ্লোবাল টিভির সাংবাদিক মনিরুল আলমকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি ‘মব জাস্টিস’ এক হিংস্র উন্মাদনা: তারেক রহমান দেশের সকল কোচিং সেন্টার বন্ধ ঘোষণা ফতুল্লায় তিতাসের অভিযান: অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নসহ অর্থদন্ড রোটারি ক্লাব অব নারায়ণগঞ্জ মিডটাউনের বর্ষ সমাপ্তি সভা অনুষ্ঠিত

আইডি সংশোধনে অযৌক্তিক পেপারস চেয়ে বাতিল করে ইসি কর্মকর্তা ফরিদুল!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময়- ০৮:০১:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪ ৩৯২ বার পড়া হয়েছে

‘অযৌক্তিক কাগজপত্র’ চেয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করে বাতিল সহ নানান অনিয়মের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগও রয়েছে ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে.!

 

অনলাইন ডেস্ক।।

 

সাধারন নাগরিকদের নানান কাজে অপরিহার্য হয়ে পড়েছে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি)।প্রিন্টিং সহ তথ্যের ভূল ও গরমিল থাকায় অনেককে এটি সংশোধন করতে হচ্ছে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এই এনআইডি  সংশোধন করা বাংলাদেশে এখন সবচেয়ে  একটা কঠিন কাজ হয়ে উঠেছে।

দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা নির্দিষ্ট বিধি ও পদ্ধতি মেনে এনআইডি সংশোধন করতে বাধ্য হলেও তাদের কেউ কেউ নাগরিকদের অকারণে বহু ধরনের হয়রানির শিকার হতে হয়। এমন বহু অভিযোগ বছরের পর বছর করে আসছেন ভুক্তভোগী অনেক নাগরিকগন। সম্প্রতি পরিচয়পত্র সংশোধনের আবেদন করে চাহিদা অনুযায়ী সকল ধরনের প্রদান করেও বিনা কারণে ‘অযৌক্তিক কাগজপত্র’ চেয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি সহ নানান অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে।

নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে দেশে মোট ভোটার ১২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ১৬০ জন। যাদের সবারই এনআইডি রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০০৭-০৮ সালে যখন প্রথম এনআইডির কার্যক্রম শুরু হয় তখন কেউ জানতেন না যে জাতীয় পরিচয়পত্রের এ এনআইডি কার্ড ভবিষ্যতে ‘জাতীয় দলিল’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত বা গন্য হবে। তখন সেটা কেউই তেমন গুরুত্ব দেননি।তাছাড়া অপরিপক্ক, অল্প শিক্ষিত লোকবল দারা এ কার্ড তৈরি করা হয়েছিল ভুরি ভূরি ভুলের মাধ্যমে।  এটি যদি তখন সাধারণ মানুষ বুঝতেন তাহলে শুরুতেই সবাই এ বিষয়ে সতর্ক থাকতেন নির্ভূলতার মাপকাঠিতে। মূলত, ওই সময় নির্বাচন কমিশনের প্রচারের অভাবে এবং অদক্ষ জনবলের মাধ্যমে এ কার্যক্রম পরিচালনা করে ভূলের সৃষ্টি।  বিশাল এ জনগোষ্ঠীর অধিকাংশের এনআইডিতে কিছু না কিছু ভুল রয়েই গেছে। যেগুলো সংশোধন করতে গিয়ে নিয়মিত ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ জনগণকে। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা থেকে শুরু করে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তারাও এনআইডি সংশোধনের নামে নাগরিকদের দিনের পর দিন নানান ভোগান্তিতে ফেলছেন।

২০০৭-০৮ সালে যখন এনআইডির প্রথম কার্যক্রম শুরু হয় তখন কিন্তু নির্বাচন কমিশন বা সরকার থেকে নাগরিকদের এনআইডির গুরুত্বের বিষয়ে সেভাবে তেমন সচেতন করা হয়নি। ফলে নাগরিকরা মনগড়া তথ্য দেওয়ার পাশাপাশি একজনের তথ্য আরেকজনও দিয়েছিলেন। কার্ডে বয়স, নাম, শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ বিভিন্ন ধরনের ভুল তথ্য রয়ে যায়। নাগরিকরা যখন বুঝতে পারেন এনআইডি সংশোধন ছাড়া সেবা মিলবে না, তখন অনলাইনে আবেদন করে এনআইডি সংশোধন করতে নির্বাচন কমিশনের অফিসে অফিসে ঘুরতে থাকেন।

 

তাদের মধ্যে এক ভুক্তভোগী নারীর নাম মোসাঃ শাহিদা বেগম, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার এনায়েতনগর ইউনিয়নের মাসদাইর বারৈভোগ এলাকার  বাসিন্দা পর পর চারবার আবেদন করেও শেষ রক্ষা হয়নি ওই ইসি কর্মকর্তার হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। প্রথমবার আবেদন ভূল দেখিয়ে বাতিল করে দেন,এরপর দ্বিতীয়বার আবেদন সহি শুদ্ধভাবে করেন এক সাংবাদিকের সহায়তায়,সেইবার নির্ভলভাবে আবেদন করার পরে, যাচাই বাছাই করে তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য পাঠান নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার বরাবর, সেখান থেকে পূনরায় কাগজপত্র চাওয়া হলে তা ফুলফিল করে জমা দিয়ে সহি প্রতিবেদন পাঠালেও তিনি তা কেনো কারন ছাড়াই রহস্যজনক কারনে বাতিল করে দেন,আর্থিক সুবিধা পাওয়ার লক্ষ্যে।এরপর ওই নারী ফের আবেদন করলে,এবার ফের কোন ধরনের শুনানি ও কারন ছাড়াই দীর্ঘ একমাস পরে সে আবেদনটি ফের বাতিল করেন,এভাবে পরপর চারবার। এখনো স্বামী সহ সংশোধনের আশায় ধারে ধারে ঘুরছেন ওই ভুক্তভোগী নারী, কারন ভোটার আইডি সংশোধন ছাড়া পৈতৃক ভিটা-জায়গা জমি হাত ছাড় হয়ে যাচ্ছে। এমন বহু সাধারণ মানুষের গগনবিদারী আর্তচিৎকারে কানে পৌঁছায় না ওই দূর্নীতি গ্রস্ত ইসি কর্মকর্তা ফরিদুলের।

 

ভুক্তভোগী একজন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার কাজী রুবেল। ২০০৮ সালে করা নিজের এনআইডিতে ভুল থাকার কারনে সম্প্রতি সংশোধনের জন্য আবেদন করেন। পাসপোর্ট ও জন্মনিবন্ধনের সঙ্গে মিল রেখে বয়স, মায়ের নামের আংশিক পরিবর্তনসহ মায়ের এনআইডি নম্বর যুক্ত করেন। আগে শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক পাস থাকলেও এখন তিনি সপ্তম শ্রেণি উল্লেখ করতে চাচ্ছেন। তার আবেদনটির যথাযথ যৌক্তিকতা থাকলেও সংশোধন না করে অযৌক্তিক কাগজপত্র চেয়েছেন ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম।

যেসব কাগজপত্র চেয়েছেন আঞ্চলিক কর্মকর্তা কাজী রুবেল তার এনআইডি সংশোধনী আবেদনে পাঁচ বছর বয়স, মায়ের নাম কাজী শামীমা আক্তার থেকে শামীমা আক্তার এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক থেকে সপ্তম শ্রেণি করতে চেয়েছেন। একই সঙ্গে সংশোধনী আবেদনে অনলাইন জন্মনিবন্ধন, পাসপোর্ট, মায়ের এনআইডি, পারিবারিক সনদ, ম্যাজিস্ট্রেট হলফনামা এবং ক্ষমার দরখাস্ত দিয়েছেন। আবেদনকারী শিক্ষাগত যোগ্যতা সপ্তম শ্রেণি চাওয়ার পরও ফরিদুল ইসলাম এসএসসি সনদ, প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড চেয়ে আবেদনটি ফেরত পাঠিয়ে দেন।

তবে ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, সংশোধনী আবেদনে এসব কাগজপত্র চাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলতেই এমন কাগজপত্র চান আঞ্চলিক কর্মকর্তা ফরিদুল।

আরেক ভুক্তভোগী, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার আরেফিন হৃদয়। তিনি গত বছর নিজ এনআইডি সংশোধনের আবেদন করেন। সংশোধনী আবেদনে তিনি পিতার নাম আ. বাখির থেকে গিয়াস উদ্দিন, মায়ের নাম মো. ঝরনা থেকে ঝড়না বেগম, শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক থেকে চতুর্থ শ্রেণি এবং পেশা ছাত্র থেকে শ্রমিক চেয়েছেন। সংশোধনী আবেদনের সঙ্গে অনলাইন জন্মসনদ, নাগরিকত্ব সনদ, ওয়ারিশা সনদ, মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র, পিতার জন্ম ও মৃত্যুর সনদ, ম্যাজিস্ট্রেট হলফনামা, স্ত্রী ও শ্বশুরের জাতীয় পরিচয়পত্রসহ কাউন্সিলরের প্রত্যয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
হৃদয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুরুতে এনআইডি উইংয়ের উপ-পরিচালক থানা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে তদন্তের জন্য পাঠান। থানা নির্বাচন কর্মকর্তা সরেজমিনে তদন্ত করে কাগজপত্রের সঙ্গে আবেদনকারীর চাহিত সংশোধনের মিল রয়েছে বলে সুপারিশ করেন। এরপরই বাধে বিপত্তি।
তদন্ত রিপোর্ট পজিটিভ থাকার পরও নিজের এখতিয়ারভুক্ত সংশোধনী আবেদনের নিষ্পত্তি না করে এনআইডি মহাপরিচালকের কাছে ফাইল ফরোয়ার্ড করে দেন আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরিদুল। পজিটিভ থাকা বেশিরভাগ ফাইলের ক্ষেত্রে তিনি ডিজির দ্বারস্থ হন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

তদন্ত প্রতিবেদন পজিটিভ আসার পরও ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম এসএসসি সনদ চেয়ে আবেদন ফেরত পাঠান। শিক্ষাগত যোগ্যতা ডাউন চাওয়ার পরও তিনি এ আবেদনে এসএসসি সনদ চেয়েছেন। তাহলে কি মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলার জন্যই…
প্রতিবেদনে কী জানিয়েছেন থানা নির্বাচন কর্মকর্তা।

আবেদনকারী আরেফিন হৃদয়, তার জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। তিনি তার জাতীয় পরিচয়পত্রে পিতার নাম আ. বাখিরের স্থলে গিয়াস উদ্দিন, মাতার নাম মো. ঝরনার স্থলে ঝড়না বেগম, শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিকের স্থলে চতুর্থ শ্রেণি এবং পেশা ছাত্র/ছাত্রীর স্থলে শ্রমিক চেয়ে অনলাইনে আবেদন করেছেন।

থানা নির্বাচন কর্মকর্তার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আবেদনকারীর সব দলিলাদির মূল কপি দেখা হয়েছে। তিনি ২০১৪ সালে ভোটার তালিকাভুক্ত হয়েছেন। আবেদনকারীর ডাটাবেজে শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক পাস। তিনি উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেননি, চতুর্থ শ্রেণি পাস করেছেন মর্মে হলফনামা করে সে মোতাবেক সংশোধন চেয়েছেন। আবেদনকারী জানান, তিনি ভোটার হওয়ার সময় ভুলক্রমে শ্বশুরের নাম পিতা হিসেবে ব্যবহার করে ভোটার হয়েছেন। তার দাখিলকৃত জন্মসনদ, নাগরিকত্ব সনদ, ওয়ারিশান সনদ, পিতার মৃত্যুর সনদ, পিতার জন্মসনদ ও হলফনামার সঙ্গে চাহিত তথ্যের মিল রয়েছে। এ অবস্থায় আবেদনকারীর ডাটাবেজে শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক পাস থাকায় এবং সার্বিক পর্যালোচনায় তার চাহিত তথ্যাবলি সংশোধনের জন্য মহোদয়ের সদয় সিদ্ধান্ত প্রয়োজন।

আর্থিক লেনদেনের অভিযোগও রয়েছে ফরিদুলের বিরুদ্ধে:
ইসি কর্মকর্তারা জানান, তদন্ত প্রতিবেদন পজিটিভ আসার পরও ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম এসএসসি সনদ চেয়ে আবেদন ফেরত পাঠান। শিক্ষাগত যোগ্যতা ডাউন চাওয়ার পরও তিনি এ আবেদনে এসএসসি সনদ চেয়েছেন। তাহলে কি মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলার জন্যই আঞ্চলিক কর্মকর্তা ফরিদুল অযৌক্তিক কাগজপত্র চাচ্ছেন,প্রশ্ন রাখেন ওই কর্মকর্তা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর এক কর্মকর্তা বলেন, আঞ্চলিক কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলামের কাছে এনআইডি সংশোধনের জন্য গেলে নাগরিকরা চরম ভোগান্তির শিকার হন। এ কর্মকর্তা শুধু সাধারণ জনগণকে নয়, এনআইডির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা অর্থাৎ অনুবিভাগটির মহাপরিচালককেও নানাভাবে ভোগান্তিতে ফেলেন। নিজের এখতিয়ারভুক্ত ফাইলের দায়িত্ব না নিয়ে এনআইডির মহাপরিচালকের কাছে পাঠিয়ে দেন। ফলে সেবা নিতে আসা সাধারণ জনগণ ফাইলের পেছনে দিনের পর দিন ছুটছেন।
তিনি আরও বলেন, ফরিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। তারপরও কমিশন তার বিরুদ্ধে নিশ্চুপ। কারণ, তিনি বেশিরভাগ সময় সচিবালয়ে কমিশনারসহ বড় বড় স্যারদের কাছে গিয়ে বসে থাকেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা আরও জানান, ফরিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে অবৈধ অর্থ লেনদেনেরও অভিযোগ আছে। তিনি ঢাকা অঞ্চলের দায়িত্ব পাওয়ার পর রাজশাহী থেকে উনার পছন্দের কম্পিউটার অপারেটর নিয়ে এসেছেন। যিনি বর্তমানে একই টেবিলে ফরিদুল ইসলামের চেয়ারের পাশে বসেন। কারণ, রাজশাহীতে উনি যখন দায়িত্বে ছিলেন তখন তিনি এ কম্পিউটার অপারেটরের মাধ্যমে সব লেনদেন করতেন বলে অভিযোগ আছে। এখানে আসার পরও তিনি ওই কম্পিউটার অপারেটরকে দিয়ে অর্থ লেনদেন করেন। যারা ওই ছেলের মাধ্যমে আসেন তাদের এনআইডি সংশোধন হয়ে যায়।

ঢাকা অঞ্চলের দায়িত্ব নিয়েই ফরিদুল প্রথম তিন মাসে বিপুল অবৈধ অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে রেকর্ড সংখ্যক এনআইডি সংশোধন করেছিলেন। এ বিষয়ে সচিবালয়ে জানাজানি হওয়ার পর তিনি সাবধান হয়ে যান।
বর্তমানে তিনি আরও ভালো পদায়ন পেতে নিজ অফিসে কাজ না করে বেশিরভাগ সময় সচিবালয়ে পড়ে থাকেন বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।
সংশোধনী আবেদনে ‘অযৌক্তিক’ কাগজপত্র চাওয়া প্রসঙ্গে ফরিদুল ইসলামের কাছে জানতে চাওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়েছে, তাই আমি চেয়েছি।’
শিক্ষাগত যোগ্যতা ডাউন চাওয়ার পরও কোন আইনে এসএসসি সনদ, প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড চেয়েছেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমি এটা বলতে পারব না। আমার কাছে মনে হয়েছে এটা যৌক্তিক, তাই চেয়েছি।’
এরপর ‘আপনি ভালো থাকবেন’ বলে ইসির এ কর্মকর্তা ফোন রেখে দেন।

নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ‘এনআইডি সংশোধনে আইনের বাইরে মনগড়া কিছু করার সুযোগ নেই। শিক্ষাগত যোগ্যতা ডাউন চাওয়ার পরও শিক্ষার সনদ চাওয়ার কথা না। তবে এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে, সেটি আমরা খতিয়ে দেখব।’

কয়েক মাস এনআইডির ভারপ্রাপ্ত ডিজির দায়িত্ব পালন করা অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার আরও জানান, ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা তার এখতিয়ারভুক্ত বেশিরভাগ ‘গ’ ক্যাটাগরির সংশোধনের আবেদনের ফাইল ডিজির কাছে পাঠিয়ে দেন। অথচ, ‘গ’ ক্যাটাগরির আবেদন নিষ্পত্তি করার দায়িত্ব তার। কিন্তু তিনি সেটি করেন না।

এ প্রসঙ্গে জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.)  বলেন, ‘অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে ঢাকায় এনআইডি সংশোধনের জন্য অনেক বেশি আবেদন পড়ে। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা প্রতিনিয়ত দ্রুততার সঙ্গে এনআইডির সেবা প্রদানে সচেষ্ট। তবে, সেবাগ্রহীতার কাছ থেকে বিলম্ব বা হয়রানি বা অসংগতি সম্পর্কিত অভিযোগ পাওয়া গেলে অথবা কমিশনের নজরে এলে তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’

‘এনআইডি সংশোধনে নির্দিষ্ট বিধি ও পদ্ধতি আছে। প্রত্যেকটি এনআইডির সংশোধনী আবেদন সেভাবেই বিবেচনা করার কথা। এক্ষেত্রে কোনো প্রকার অযৌক্তিক কাগজপত্র চেয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করার প্রশ্নই আসে না। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে কমিশন থেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’

তথ্য :স/কা/~ঢাকা পোস্ট

 

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস:-

আইডি সংশোধনে অযৌক্তিক পেপারস চেয়ে বাতিল করে ইসি কর্মকর্তা ফরিদুল!

আপডেট সময়- ০৮:০১:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪

‘অযৌক্তিক কাগজপত্র’ চেয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করে বাতিল সহ নানান অনিয়মের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগও রয়েছে ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে.!

 

অনলাইন ডেস্ক।।

 

সাধারন নাগরিকদের নানান কাজে অপরিহার্য হয়ে পড়েছে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি)।প্রিন্টিং সহ তথ্যের ভূল ও গরমিল থাকায় অনেককে এটি সংশোধন করতে হচ্ছে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এই এনআইডি  সংশোধন করা বাংলাদেশে এখন সবচেয়ে  একটা কঠিন কাজ হয়ে উঠেছে।

দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা নির্দিষ্ট বিধি ও পদ্ধতি মেনে এনআইডি সংশোধন করতে বাধ্য হলেও তাদের কেউ কেউ নাগরিকদের অকারণে বহু ধরনের হয়রানির শিকার হতে হয়। এমন বহু অভিযোগ বছরের পর বছর করে আসছেন ভুক্তভোগী অনেক নাগরিকগন। সম্প্রতি পরিচয়পত্র সংশোধনের আবেদন করে চাহিদা অনুযায়ী সকল ধরনের প্রদান করেও বিনা কারণে ‘অযৌক্তিক কাগজপত্র’ চেয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি সহ নানান অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে।

নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে দেশে মোট ভোটার ১২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ১৬০ জন। যাদের সবারই এনআইডি রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০০৭-০৮ সালে যখন প্রথম এনআইডির কার্যক্রম শুরু হয় তখন কেউ জানতেন না যে জাতীয় পরিচয়পত্রের এ এনআইডি কার্ড ভবিষ্যতে ‘জাতীয় দলিল’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত বা গন্য হবে। তখন সেটা কেউই তেমন গুরুত্ব দেননি।তাছাড়া অপরিপক্ক, অল্প শিক্ষিত লোকবল দারা এ কার্ড তৈরি করা হয়েছিল ভুরি ভূরি ভুলের মাধ্যমে।  এটি যদি তখন সাধারণ মানুষ বুঝতেন তাহলে শুরুতেই সবাই এ বিষয়ে সতর্ক থাকতেন নির্ভূলতার মাপকাঠিতে। মূলত, ওই সময় নির্বাচন কমিশনের প্রচারের অভাবে এবং অদক্ষ জনবলের মাধ্যমে এ কার্যক্রম পরিচালনা করে ভূলের সৃষ্টি।  বিশাল এ জনগোষ্ঠীর অধিকাংশের এনআইডিতে কিছু না কিছু ভুল রয়েই গেছে। যেগুলো সংশোধন করতে গিয়ে নিয়মিত ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ জনগণকে। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা থেকে শুরু করে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তারাও এনআইডি সংশোধনের নামে নাগরিকদের দিনের পর দিন নানান ভোগান্তিতে ফেলছেন।

২০০৭-০৮ সালে যখন এনআইডির প্রথম কার্যক্রম শুরু হয় তখন কিন্তু নির্বাচন কমিশন বা সরকার থেকে নাগরিকদের এনআইডির গুরুত্বের বিষয়ে সেভাবে তেমন সচেতন করা হয়নি। ফলে নাগরিকরা মনগড়া তথ্য দেওয়ার পাশাপাশি একজনের তথ্য আরেকজনও দিয়েছিলেন। কার্ডে বয়স, নাম, শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ বিভিন্ন ধরনের ভুল তথ্য রয়ে যায়। নাগরিকরা যখন বুঝতে পারেন এনআইডি সংশোধন ছাড়া সেবা মিলবে না, তখন অনলাইনে আবেদন করে এনআইডি সংশোধন করতে নির্বাচন কমিশনের অফিসে অফিসে ঘুরতে থাকেন।

 

তাদের মধ্যে এক ভুক্তভোগী নারীর নাম মোসাঃ শাহিদা বেগম, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার এনায়েতনগর ইউনিয়নের মাসদাইর বারৈভোগ এলাকার  বাসিন্দা পর পর চারবার আবেদন করেও শেষ রক্ষা হয়নি ওই ইসি কর্মকর্তার হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। প্রথমবার আবেদন ভূল দেখিয়ে বাতিল করে দেন,এরপর দ্বিতীয়বার আবেদন সহি শুদ্ধভাবে করেন এক সাংবাদিকের সহায়তায়,সেইবার নির্ভলভাবে আবেদন করার পরে, যাচাই বাছাই করে তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য পাঠান নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার বরাবর, সেখান থেকে পূনরায় কাগজপত্র চাওয়া হলে তা ফুলফিল করে জমা দিয়ে সহি প্রতিবেদন পাঠালেও তিনি তা কেনো কারন ছাড়াই রহস্যজনক কারনে বাতিল করে দেন,আর্থিক সুবিধা পাওয়ার লক্ষ্যে।এরপর ওই নারী ফের আবেদন করলে,এবার ফের কোন ধরনের শুনানি ও কারন ছাড়াই দীর্ঘ একমাস পরে সে আবেদনটি ফের বাতিল করেন,এভাবে পরপর চারবার। এখনো স্বামী সহ সংশোধনের আশায় ধারে ধারে ঘুরছেন ওই ভুক্তভোগী নারী, কারন ভোটার আইডি সংশোধন ছাড়া পৈতৃক ভিটা-জায়গা জমি হাত ছাড় হয়ে যাচ্ছে। এমন বহু সাধারণ মানুষের গগনবিদারী আর্তচিৎকারে কানে পৌঁছায় না ওই দূর্নীতি গ্রস্ত ইসি কর্মকর্তা ফরিদুলের।

 

ভুক্তভোগী একজন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার কাজী রুবেল। ২০০৮ সালে করা নিজের এনআইডিতে ভুল থাকার কারনে সম্প্রতি সংশোধনের জন্য আবেদন করেন। পাসপোর্ট ও জন্মনিবন্ধনের সঙ্গে মিল রেখে বয়স, মায়ের নামের আংশিক পরিবর্তনসহ মায়ের এনআইডি নম্বর যুক্ত করেন। আগে শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক পাস থাকলেও এখন তিনি সপ্তম শ্রেণি উল্লেখ করতে চাচ্ছেন। তার আবেদনটির যথাযথ যৌক্তিকতা থাকলেও সংশোধন না করে অযৌক্তিক কাগজপত্র চেয়েছেন ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম।

যেসব কাগজপত্র চেয়েছেন আঞ্চলিক কর্মকর্তা কাজী রুবেল তার এনআইডি সংশোধনী আবেদনে পাঁচ বছর বয়স, মায়ের নাম কাজী শামীমা আক্তার থেকে শামীমা আক্তার এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক থেকে সপ্তম শ্রেণি করতে চেয়েছেন। একই সঙ্গে সংশোধনী আবেদনে অনলাইন জন্মনিবন্ধন, পাসপোর্ট, মায়ের এনআইডি, পারিবারিক সনদ, ম্যাজিস্ট্রেট হলফনামা এবং ক্ষমার দরখাস্ত দিয়েছেন। আবেদনকারী শিক্ষাগত যোগ্যতা সপ্তম শ্রেণি চাওয়ার পরও ফরিদুল ইসলাম এসএসসি সনদ, প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড চেয়ে আবেদনটি ফেরত পাঠিয়ে দেন।

তবে ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, সংশোধনী আবেদনে এসব কাগজপত্র চাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলতেই এমন কাগজপত্র চান আঞ্চলিক কর্মকর্তা ফরিদুল।

আরেক ভুক্তভোগী, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার আরেফিন হৃদয়। তিনি গত বছর নিজ এনআইডি সংশোধনের আবেদন করেন। সংশোধনী আবেদনে তিনি পিতার নাম আ. বাখির থেকে গিয়াস উদ্দিন, মায়ের নাম মো. ঝরনা থেকে ঝড়না বেগম, শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক থেকে চতুর্থ শ্রেণি এবং পেশা ছাত্র থেকে শ্রমিক চেয়েছেন। সংশোধনী আবেদনের সঙ্গে অনলাইন জন্মসনদ, নাগরিকত্ব সনদ, ওয়ারিশা সনদ, মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র, পিতার জন্ম ও মৃত্যুর সনদ, ম্যাজিস্ট্রেট হলফনামা, স্ত্রী ও শ্বশুরের জাতীয় পরিচয়পত্রসহ কাউন্সিলরের প্রত্যয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
হৃদয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুরুতে এনআইডি উইংয়ের উপ-পরিচালক থানা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে তদন্তের জন্য পাঠান। থানা নির্বাচন কর্মকর্তা সরেজমিনে তদন্ত করে কাগজপত্রের সঙ্গে আবেদনকারীর চাহিত সংশোধনের মিল রয়েছে বলে সুপারিশ করেন। এরপরই বাধে বিপত্তি।
তদন্ত রিপোর্ট পজিটিভ থাকার পরও নিজের এখতিয়ারভুক্ত সংশোধনী আবেদনের নিষ্পত্তি না করে এনআইডি মহাপরিচালকের কাছে ফাইল ফরোয়ার্ড করে দেন আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরিদুল। পজিটিভ থাকা বেশিরভাগ ফাইলের ক্ষেত্রে তিনি ডিজির দ্বারস্থ হন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

তদন্ত প্রতিবেদন পজিটিভ আসার পরও ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম এসএসসি সনদ চেয়ে আবেদন ফেরত পাঠান। শিক্ষাগত যোগ্যতা ডাউন চাওয়ার পরও তিনি এ আবেদনে এসএসসি সনদ চেয়েছেন। তাহলে কি মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলার জন্যই…
প্রতিবেদনে কী জানিয়েছেন থানা নির্বাচন কর্মকর্তা।

আবেদনকারী আরেফিন হৃদয়, তার জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। তিনি তার জাতীয় পরিচয়পত্রে পিতার নাম আ. বাখিরের স্থলে গিয়াস উদ্দিন, মাতার নাম মো. ঝরনার স্থলে ঝড়না বেগম, শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিকের স্থলে চতুর্থ শ্রেণি এবং পেশা ছাত্র/ছাত্রীর স্থলে শ্রমিক চেয়ে অনলাইনে আবেদন করেছেন।

থানা নির্বাচন কর্মকর্তার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আবেদনকারীর সব দলিলাদির মূল কপি দেখা হয়েছে। তিনি ২০১৪ সালে ভোটার তালিকাভুক্ত হয়েছেন। আবেদনকারীর ডাটাবেজে শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক পাস। তিনি উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেননি, চতুর্থ শ্রেণি পাস করেছেন মর্মে হলফনামা করে সে মোতাবেক সংশোধন চেয়েছেন। আবেদনকারী জানান, তিনি ভোটার হওয়ার সময় ভুলক্রমে শ্বশুরের নাম পিতা হিসেবে ব্যবহার করে ভোটার হয়েছেন। তার দাখিলকৃত জন্মসনদ, নাগরিকত্ব সনদ, ওয়ারিশান সনদ, পিতার মৃত্যুর সনদ, পিতার জন্মসনদ ও হলফনামার সঙ্গে চাহিত তথ্যের মিল রয়েছে। এ অবস্থায় আবেদনকারীর ডাটাবেজে শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক পাস থাকায় এবং সার্বিক পর্যালোচনায় তার চাহিত তথ্যাবলি সংশোধনের জন্য মহোদয়ের সদয় সিদ্ধান্ত প্রয়োজন।

আর্থিক লেনদেনের অভিযোগও রয়েছে ফরিদুলের বিরুদ্ধে:
ইসি কর্মকর্তারা জানান, তদন্ত প্রতিবেদন পজিটিভ আসার পরও ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম এসএসসি সনদ চেয়ে আবেদন ফেরত পাঠান। শিক্ষাগত যোগ্যতা ডাউন চাওয়ার পরও তিনি এ আবেদনে এসএসসি সনদ চেয়েছেন। তাহলে কি মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলার জন্যই আঞ্চলিক কর্মকর্তা ফরিদুল অযৌক্তিক কাগজপত্র চাচ্ছেন,প্রশ্ন রাখেন ওই কর্মকর্তা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর এক কর্মকর্তা বলেন, আঞ্চলিক কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলামের কাছে এনআইডি সংশোধনের জন্য গেলে নাগরিকরা চরম ভোগান্তির শিকার হন। এ কর্মকর্তা শুধু সাধারণ জনগণকে নয়, এনআইডির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা অর্থাৎ অনুবিভাগটির মহাপরিচালককেও নানাভাবে ভোগান্তিতে ফেলেন। নিজের এখতিয়ারভুক্ত ফাইলের দায়িত্ব না নিয়ে এনআইডির মহাপরিচালকের কাছে পাঠিয়ে দেন। ফলে সেবা নিতে আসা সাধারণ জনগণ ফাইলের পেছনে দিনের পর দিন ছুটছেন।
তিনি আরও বলেন, ফরিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। তারপরও কমিশন তার বিরুদ্ধে নিশ্চুপ। কারণ, তিনি বেশিরভাগ সময় সচিবালয়ে কমিশনারসহ বড় বড় স্যারদের কাছে গিয়ে বসে থাকেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা আরও জানান, ফরিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে অবৈধ অর্থ লেনদেনেরও অভিযোগ আছে। তিনি ঢাকা অঞ্চলের দায়িত্ব পাওয়ার পর রাজশাহী থেকে উনার পছন্দের কম্পিউটার অপারেটর নিয়ে এসেছেন। যিনি বর্তমানে একই টেবিলে ফরিদুল ইসলামের চেয়ারের পাশে বসেন। কারণ, রাজশাহীতে উনি যখন দায়িত্বে ছিলেন তখন তিনি এ কম্পিউটার অপারেটরের মাধ্যমে সব লেনদেন করতেন বলে অভিযোগ আছে। এখানে আসার পরও তিনি ওই কম্পিউটার অপারেটরকে দিয়ে অর্থ লেনদেন করেন। যারা ওই ছেলের মাধ্যমে আসেন তাদের এনআইডি সংশোধন হয়ে যায়।

ঢাকা অঞ্চলের দায়িত্ব নিয়েই ফরিদুল প্রথম তিন মাসে বিপুল অবৈধ অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে রেকর্ড সংখ্যক এনআইডি সংশোধন করেছিলেন। এ বিষয়ে সচিবালয়ে জানাজানি হওয়ার পর তিনি সাবধান হয়ে যান।
বর্তমানে তিনি আরও ভালো পদায়ন পেতে নিজ অফিসে কাজ না করে বেশিরভাগ সময় সচিবালয়ে পড়ে থাকেন বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।
সংশোধনী আবেদনে ‘অযৌক্তিক’ কাগজপত্র চাওয়া প্রসঙ্গে ফরিদুল ইসলামের কাছে জানতে চাওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়েছে, তাই আমি চেয়েছি।’
শিক্ষাগত যোগ্যতা ডাউন চাওয়ার পরও কোন আইনে এসএসসি সনদ, প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড চেয়েছেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমি এটা বলতে পারব না। আমার কাছে মনে হয়েছে এটা যৌক্তিক, তাই চেয়েছি।’
এরপর ‘আপনি ভালো থাকবেন’ বলে ইসির এ কর্মকর্তা ফোন রেখে দেন।

নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ‘এনআইডি সংশোধনে আইনের বাইরে মনগড়া কিছু করার সুযোগ নেই। শিক্ষাগত যোগ্যতা ডাউন চাওয়ার পরও শিক্ষার সনদ চাওয়ার কথা না। তবে এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে, সেটি আমরা খতিয়ে দেখব।’

কয়েক মাস এনআইডির ভারপ্রাপ্ত ডিজির দায়িত্ব পালন করা অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার আরও জানান, ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা তার এখতিয়ারভুক্ত বেশিরভাগ ‘গ’ ক্যাটাগরির সংশোধনের আবেদনের ফাইল ডিজির কাছে পাঠিয়ে দেন। অথচ, ‘গ’ ক্যাটাগরির আবেদন নিষ্পত্তি করার দায়িত্ব তার। কিন্তু তিনি সেটি করেন না।

এ প্রসঙ্গে জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.)  বলেন, ‘অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে ঢাকায় এনআইডি সংশোধনের জন্য অনেক বেশি আবেদন পড়ে। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা প্রতিনিয়ত দ্রুততার সঙ্গে এনআইডির সেবা প্রদানে সচেষ্ট। তবে, সেবাগ্রহীতার কাছ থেকে বিলম্ব বা হয়রানি বা অসংগতি সম্পর্কিত অভিযোগ পাওয়া গেলে অথবা কমিশনের নজরে এলে তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’

‘এনআইডি সংশোধনে নির্দিষ্ট বিধি ও পদ্ধতি আছে। প্রত্যেকটি এনআইডির সংশোধনী আবেদন সেভাবেই বিবেচনা করার কথা। এক্ষেত্রে কোনো প্রকার অযৌক্তিক কাগজপত্র চেয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করার প্রশ্নই আসে না। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে কমিশন থেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’

তথ্য :স/কা/~ঢাকা পোস্ট