ঢাকা ১২:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
ডিসির কাছে জবাবদিহিতা করতে হবে সেনা কর্মকর্তাদের ঢাবিতে তোফাজ্জল হ*ত্যা*র নেপথ্যের কারা..? আওয়ামী মহল বাঁধনের ওপর মহা বিল্লা: পিনাকী ভট্টাচার্য সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানে যুক্তরাজ্যেই ৩৬০টি বাড়ি  আগস্টে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রান ঝড়েছে ৪৭৬ জনের  দিল্লির লোধি গার্ডেনে পুতুলের সঙ্গে ঘুরতে দেখা গেছে শেখ হাসিনাকে পিআইবির মহাপরিচালক(ডিজি) হলেন ফারুক ওয়াসিফ স্টাইলিশ গার্মেন্টস’র চেয়ারম্যানের নামে ভুয়া আইডি খুলে অপপ্রচার থানায় জিডি দুইশ’র অধিক মামলা ডিএমপিতে, বাদী চেনেন না আসামিকে! নারায়ণগঞ্জে অজ্ঞাত গাড়ির ধাক্কায় শিল্প পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যু  নারায়ণগঞ্জে আজমেরী ওসমানের টর্চার সেল পরিদর্শনে র‍্যাব-১১ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা: ধারা অনুযায়ী কী কী কার্য করতে পারবে সেনাবাহিনী ঢাকা শিক্ষা ভবনে শিক্ষক লাঞ্চিতের প্রতিবাদে গাইবান্ধায় মানববন্ধন ফরিদপুরের সদরপুরে বাঁশের সাকো নির্মাণে চেয়ারম্যানের গাফিলতি মিয়ানমার থেকে ছোঁড়া গুলি টেকনাফ স্থলবন্দরের সীমানায়  কেউ গণতন্ত্রকে লুট করার চেষ্টা চালালে প্রতিহত করা হবে: মির্জা ফখরুল গত দেড় দশক বাংলাদেশে ছিল মাফিয়া শাসন: তারেক রহমান নিতাইগঞ্জ ট্রাক স্ট্যান্ড ও ডাইলপট্টি শ্রমিক-কর্মচারীদের মিলাদ মাহফিল টেকনাফে বিজিবির অভিযান: ১০ কেজি স্বর্ণ ও মোবাইলসহ গ্রেফতার-২  নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্বে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কে এই মালা খান..? নাসিক কাউন্সিলর ইকবাল সহ-সভাপতি নির্বাচিত অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী ও অরুণা বিশ্বাসের নামে না’গঞ্জে মামলা আজ নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ ঘা*তক-দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির গ্রেপ্তার কোনো সংস্কার জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া সম্ভব নয়: মির্জা ফখরুল ভাইরাল শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্রটি ভুয়া দাবি আ’লীগের ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:) উপলক্ষ্যে মুন্সীগঞ্জে জশনে জুলুস অনুষ্ঠিত  ৭১টিভির সিইও সাংবাদিক মোজাম্মেল বাবু-শ্যামল দত্তসহ আটক ৪ সাবেক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী গ্রেপ্তার সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর গ্রেপ্তার পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী(সা.) আজ রাসূলুল্লাহ(সা.)এর জন্ম তারিখ নিয়ে ঐতিহাসিকদের অভিমত: ফেরদৌস আলম শেখ হাসিনার সময় দেশ দুর্নীতির সাগরে নিমজ্জিত ছিল: মন্তব্য ড. ইউনূসের সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন পাঁচ দিনের রিমান্ডে সাংবাদিকদের নামে ঢালাও মামলা অন্তবর্তী সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের ৪’শ ২২জনই বিএনপির : মির্জা ফখরুল সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গ্রেপ্তার দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেকর্ড দামে স্বর্ণ,ভরি ১ লাখ ৩০ হাজার সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলে জ্যোতি চার দিনের রিমান্ডে ইসলামের দৃষ্টিতে সফলতা অর্জন- ফেরদৌস আলম শ্রীমঙ্গলের হোটেল প্যারাগনে আ’লীগ নেতা ঢাকা দক্ষিণ সিটি কাউন্সিলর আটক বকশীগঞ্জে পুলিশের প্রভাব খাটিয়ে জমি দখলের চেষ্টার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন মুন্সীগঞ্জে শাপলা কুড়িয়ে চলে ছিন্নমূল শিশুসহ হাজারো পরিবারের জীবন-জীবিকা  মুন্সীগঞ্জে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে আ’লীগ নেতার বিএনপিতে যোগদান ভৈরবের মৌটুপি গ্রামে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত-১, আহত-৪০ বকশীগঞ্জ চরকাউরিয়া স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দূর্নীতিসহ অর্থ-আত্মসাৎ অভিযোগ  চট্টগ্রামে ৮দফা দাবিতে সংখ্যালঘু সনাতনীদের বৃষ্টিতে ভিজে গণজমায়েত টেকনাফে ভারী বৃষ্টিতে ৫০টিরও বেশি গ্রাম প্লাবিত টঙ্গীবাড়ীতে বিয়ের প্রলোভনে ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ে প্রায় ৮’শ সদস্য এখনো পলাতক  সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলে শাফির রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ শেখ হাসিনাকে বহনকারী ফ্লাইটি যেভাবে রাডারের বাইরে রাখা হয়েছিলো গণতন্ত্র দিবসে দেশ পুনর্গঠনে নতুন বার্তা দিবেন তারেক রহমান মিরপুরে ফজলু হত্যা: শেখ হাসিনা ও ২৫ সাংবাদিকসহ ১৬৫ জনের নামে মামলা না’গঞ্জে বকেয়া বেতনের দাবীতে ক্রোণী গ্রুপের শ্রমিকদের বিক্ষোভ মুন্সীগঞ্জের পদ্মা নদীতে বালু উত্তোলন পয়েন্টে অস্ত্রের মহড়া আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোয় ‘জড়িত’ সেই পুলিশ সদস্য আরাফাত গ্রেপ্তার কোনো মার্ডার পুলিশের গুলিতে হয়নি, কিলিং এজেন্ট ছিল: দাবি শেখ হাসিনার সকল শঙ্কা কাটিয়ে চট্টগ্রামে প্রথম নারী ডিসি ফরিদা খানমের যোগদান রাজনৈতিক দলগুলো যা করতে পারেনি শিক্ষার্থীরা তা করে দেখিয়েছে: মান্না তথ্য ও আইসিটি সচিব ওএসডি রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে ১৬ জেলায় লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন যৌথ বাহিনীর অভিযানে কুলাউড়া যুবলীগের সেক্রেটারি গ্রেপ্তার  পদত্যাগ করেছেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম শ্রীমঙ্গলে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের ৭তলা আধুনিক ভবন নির্মাণ কাজ শুরু  মৌলভীবাজার জেলার ৭ থানার ওসি একযোগে বদলি গনঅধিকার ফেরাতে ছাত্র জনতার আন্দোলন অব্যাহত থাকবে: গিয়াস উদ্দিন সিদ্ধিরগঞ্জে চাঁদা দাবিকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ভাংচুর যুব সমাজে আল্লাহর প্রেম ও রাসূলে আদর্শ কমে গেছে: মাও. ফেরদাউস বকশীগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তাকে হত্যা হুমকি সিদ্ধিরগঞ্জে মিলন হত্যার ১মাস ২০দিন পর পটুয়াখালী থেকে লাশ উত্তোলন  মৌলভীবাজারে বন্যার পানি নামলেও দৃশ্যমান ক্ষয়ক্ষতি চিহ্ন   ভৈরব মেঘনা নদীগর্ভে বিলীন ২০টিরও বেশি বসতবাড়ি-ঘর ভৈরবে ট্রেনের ধাক্কায় সেতু থেকে পড়ে ২জনের মৃত্যু  সাইবারসহ সব কালো আইন বাতিল বা প্রয়োজনে সংস্কার করা হবে: প্রধান উপদেষ্টা নাটোরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের সমাবেশ মঞ্চ ভাঙচুর বিশেষ ৬ খাত সংস্কারে আলাদা ছয় কমিশন গঠন, নেতৃত্বে বিশিষ্টজন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের চিহ্নিত বিষয়ে যা বললেন প্রধান উপদেষ্টা রূপগঞ্জ এসিল্যান্ড অফিসে জনদূর্ভোগ চরমে নরসিংদীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের সাথে বিএনপির সংঘর্ষে ১৫ শিক্ষার্থী আহত ফতুল্লায় মাদকবিরোধী মিছিলে সন্ত্রাসী হামলাসহ গুলিবর্ষণে এলাকা রনক্ষেত্র বন্ধ হয়ে গেলো বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন পূর্বাচলে শেখ হাসিনা ও রেহানা পরিবারের নামে বরাদ্দ প্লট বাতিল চেয়ে রিট ড.ইউনূসকে প্রধান করে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ গঠন পুলিশের সব ইউনিটকে যে বার্তা দিলেন আইজিপি ময়নুল ইসলাম সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপি নেতা সন্ত্রাসী শামীম ঢালির বিচারের দাবিতে মানববন্ধন জুড়ীতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৪ কি:মি: সড়ক সংস্কার করলো যুবকরা সীমান্তে উত্তেজনা: ঢাকায় কড়া প্রতিবাদের ৪ দিনের মাথায় ফের হত্যা বরগুনায় মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় কথিত বিএনপি নেতা শাওনের বিরুদ্ধে মামলা দুদকের পরিচালক ও উপপরিচালক পদে বড় রদবদল বৈষম্যমূলক মজুরী ও শ্রম নীতি শ্রমিক অসন্তোষের অন্যতম কারণ- শ্রমিক নেতা গোলক মুন্সীগঞ্জের আড়িয়াল বিলে ড্রেজার আসতে পারবে না: পরিবেশ উপদেষ্টা ভারতীয় সীমান্তে স্কুল ছাত্রী স্বর্ণা হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন  সোনারগাঁয়ে নতুন ইউএনও’র দায়িত্বে ফারজানা রহমান ২৫ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক(ডিসি) নিয়োগ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ পাবনা কারাগারে থাকা ঈশ্বরদীর ১২ নেতাকর্মীরা মুক্ত মৌলভীবাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে লক্ষাধিক ঘনফুট বালু জব্দ  মাসদাইর আ’লীগ ৮নং ওয়ার্ড সভাপতি আতাউর প্রধান ছাড়া বিএনপির চলেই না

আইডি সংশোধনে অযৌক্তিক পেপারস চেয়ে বাতিল করে ইসি কর্মকর্তা ফরিদুল!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময়- ০৮:০১:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪ ১১১ বার পড়া হয়েছে

‘অযৌক্তিক কাগজপত্র’ চেয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করে বাতিল সহ নানান অনিয়মের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগও রয়েছে ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে.!

 

অনলাইন ডেস্ক।।

 

সাধারন নাগরিকদের নানান কাজে অপরিহার্য হয়ে পড়েছে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি)।প্রিন্টিং সহ তথ্যের ভূল ও গরমিল থাকায় অনেককে এটি সংশোধন করতে হচ্ছে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এই এনআইডি  সংশোধন করা বাংলাদেশে এখন সবচেয়ে  একটা কঠিন কাজ হয়ে উঠেছে।

দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা নির্দিষ্ট বিধি ও পদ্ধতি মেনে এনআইডি সংশোধন করতে বাধ্য হলেও তাদের কেউ কেউ নাগরিকদের অকারণে বহু ধরনের হয়রানির শিকার হতে হয়। এমন বহু অভিযোগ বছরের পর বছর করে আসছেন ভুক্তভোগী অনেক নাগরিকগন। সম্প্রতি পরিচয়পত্র সংশোধনের আবেদন করে চাহিদা অনুযায়ী সকল ধরনের প্রদান করেও বিনা কারণে ‘অযৌক্তিক কাগজপত্র’ চেয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি সহ নানান অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে।

নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে দেশে মোট ভোটার ১২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ১৬০ জন। যাদের সবারই এনআইডি রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০০৭-০৮ সালে যখন প্রথম এনআইডির কার্যক্রম শুরু হয় তখন কেউ জানতেন না যে জাতীয় পরিচয়পত্রের এ এনআইডি কার্ড ভবিষ্যতে ‘জাতীয় দলিল’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত বা গন্য হবে। তখন সেটা কেউই তেমন গুরুত্ব দেননি।তাছাড়া অপরিপক্ক, অল্প শিক্ষিত লোকবল দারা এ কার্ড তৈরি করা হয়েছিল ভুরি ভূরি ভুলের মাধ্যমে।  এটি যদি তখন সাধারণ মানুষ বুঝতেন তাহলে শুরুতেই সবাই এ বিষয়ে সতর্ক থাকতেন নির্ভূলতার মাপকাঠিতে। মূলত, ওই সময় নির্বাচন কমিশনের প্রচারের অভাবে এবং অদক্ষ জনবলের মাধ্যমে এ কার্যক্রম পরিচালনা করে ভূলের সৃষ্টি।  বিশাল এ জনগোষ্ঠীর অধিকাংশের এনআইডিতে কিছু না কিছু ভুল রয়েই গেছে। যেগুলো সংশোধন করতে গিয়ে নিয়মিত ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ জনগণকে। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা থেকে শুরু করে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তারাও এনআইডি সংশোধনের নামে নাগরিকদের দিনের পর দিন নানান ভোগান্তিতে ফেলছেন।

২০০৭-০৮ সালে যখন এনআইডির প্রথম কার্যক্রম শুরু হয় তখন কিন্তু নির্বাচন কমিশন বা সরকার থেকে নাগরিকদের এনআইডির গুরুত্বের বিষয়ে সেভাবে তেমন সচেতন করা হয়নি। ফলে নাগরিকরা মনগড়া তথ্য দেওয়ার পাশাপাশি একজনের তথ্য আরেকজনও দিয়েছিলেন। কার্ডে বয়স, নাম, শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ বিভিন্ন ধরনের ভুল তথ্য রয়ে যায়। নাগরিকরা যখন বুঝতে পারেন এনআইডি সংশোধন ছাড়া সেবা মিলবে না, তখন অনলাইনে আবেদন করে এনআইডি সংশোধন করতে নির্বাচন কমিশনের অফিসে অফিসে ঘুরতে থাকেন।

 

তাদের মধ্যে এক ভুক্তভোগী নারীর নাম মোসাঃ শাহিদা বেগম, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার এনায়েতনগর ইউনিয়নের মাসদাইর বারৈভোগ এলাকার  বাসিন্দা পর পর চারবার আবেদন করেও শেষ রক্ষা হয়নি ওই ইসি কর্মকর্তার হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। প্রথমবার আবেদন ভূল দেখিয়ে বাতিল করে দেন,এরপর দ্বিতীয়বার আবেদন সহি শুদ্ধভাবে করেন এক সাংবাদিকের সহায়তায়,সেইবার নির্ভলভাবে আবেদন করার পরে, যাচাই বাছাই করে তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য পাঠান নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার বরাবর, সেখান থেকে পূনরায় কাগজপত্র চাওয়া হলে তা ফুলফিল করে জমা দিয়ে সহি প্রতিবেদন পাঠালেও তিনি তা কেনো কারন ছাড়াই রহস্যজনক কারনে বাতিল করে দেন,আর্থিক সুবিধা পাওয়ার লক্ষ্যে।এরপর ওই নারী ফের আবেদন করলে,এবার ফের কোন ধরনের শুনানি ও কারন ছাড়াই দীর্ঘ একমাস পরে সে আবেদনটি ফের বাতিল করেন,এভাবে পরপর চারবার। এখনো স্বামী সহ সংশোধনের আশায় ধারে ধারে ঘুরছেন ওই ভুক্তভোগী নারী, কারন ভোটার আইডি সংশোধন ছাড়া পৈতৃক ভিটা-জায়গা জমি হাত ছাড় হয়ে যাচ্ছে। এমন বহু সাধারণ মানুষের গগনবিদারী আর্তচিৎকারে কানে পৌঁছায় না ওই দূর্নীতি গ্রস্ত ইসি কর্মকর্তা ফরিদুলের।

 

ভুক্তভোগী একজন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার কাজী রুবেল। ২০০৮ সালে করা নিজের এনআইডিতে ভুল থাকার কারনে সম্প্রতি সংশোধনের জন্য আবেদন করেন। পাসপোর্ট ও জন্মনিবন্ধনের সঙ্গে মিল রেখে বয়স, মায়ের নামের আংশিক পরিবর্তনসহ মায়ের এনআইডি নম্বর যুক্ত করেন। আগে শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক পাস থাকলেও এখন তিনি সপ্তম শ্রেণি উল্লেখ করতে চাচ্ছেন। তার আবেদনটির যথাযথ যৌক্তিকতা থাকলেও সংশোধন না করে অযৌক্তিক কাগজপত্র চেয়েছেন ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম।

যেসব কাগজপত্র চেয়েছেন আঞ্চলিক কর্মকর্তা কাজী রুবেল তার এনআইডি সংশোধনী আবেদনে পাঁচ বছর বয়স, মায়ের নাম কাজী শামীমা আক্তার থেকে শামীমা আক্তার এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক থেকে সপ্তম শ্রেণি করতে চেয়েছেন। একই সঙ্গে সংশোধনী আবেদনে অনলাইন জন্মনিবন্ধন, পাসপোর্ট, মায়ের এনআইডি, পারিবারিক সনদ, ম্যাজিস্ট্রেট হলফনামা এবং ক্ষমার দরখাস্ত দিয়েছেন। আবেদনকারী শিক্ষাগত যোগ্যতা সপ্তম শ্রেণি চাওয়ার পরও ফরিদুল ইসলাম এসএসসি সনদ, প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড চেয়ে আবেদনটি ফেরত পাঠিয়ে দেন।

তবে ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, সংশোধনী আবেদনে এসব কাগজপত্র চাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলতেই এমন কাগজপত্র চান আঞ্চলিক কর্মকর্তা ফরিদুল।

আরেক ভুক্তভোগী, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার আরেফিন হৃদয়। তিনি গত বছর নিজ এনআইডি সংশোধনের আবেদন করেন। সংশোধনী আবেদনে তিনি পিতার নাম আ. বাখির থেকে গিয়াস উদ্দিন, মায়ের নাম মো. ঝরনা থেকে ঝড়না বেগম, শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক থেকে চতুর্থ শ্রেণি এবং পেশা ছাত্র থেকে শ্রমিক চেয়েছেন। সংশোধনী আবেদনের সঙ্গে অনলাইন জন্মসনদ, নাগরিকত্ব সনদ, ওয়ারিশা সনদ, মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র, পিতার জন্ম ও মৃত্যুর সনদ, ম্যাজিস্ট্রেট হলফনামা, স্ত্রী ও শ্বশুরের জাতীয় পরিচয়পত্রসহ কাউন্সিলরের প্রত্যয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
হৃদয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুরুতে এনআইডি উইংয়ের উপ-পরিচালক থানা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে তদন্তের জন্য পাঠান। থানা নির্বাচন কর্মকর্তা সরেজমিনে তদন্ত করে কাগজপত্রের সঙ্গে আবেদনকারীর চাহিত সংশোধনের মিল রয়েছে বলে সুপারিশ করেন। এরপরই বাধে বিপত্তি।
তদন্ত রিপোর্ট পজিটিভ থাকার পরও নিজের এখতিয়ারভুক্ত সংশোধনী আবেদনের নিষ্পত্তি না করে এনআইডি মহাপরিচালকের কাছে ফাইল ফরোয়ার্ড করে দেন আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরিদুল। পজিটিভ থাকা বেশিরভাগ ফাইলের ক্ষেত্রে তিনি ডিজির দ্বারস্থ হন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

তদন্ত প্রতিবেদন পজিটিভ আসার পরও ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম এসএসসি সনদ চেয়ে আবেদন ফেরত পাঠান। শিক্ষাগত যোগ্যতা ডাউন চাওয়ার পরও তিনি এ আবেদনে এসএসসি সনদ চেয়েছেন। তাহলে কি মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলার জন্যই…
প্রতিবেদনে কী জানিয়েছেন থানা নির্বাচন কর্মকর্তা।

আবেদনকারী আরেফিন হৃদয়, তার জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। তিনি তার জাতীয় পরিচয়পত্রে পিতার নাম আ. বাখিরের স্থলে গিয়াস উদ্দিন, মাতার নাম মো. ঝরনার স্থলে ঝড়না বেগম, শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিকের স্থলে চতুর্থ শ্রেণি এবং পেশা ছাত্র/ছাত্রীর স্থলে শ্রমিক চেয়ে অনলাইনে আবেদন করেছেন।

থানা নির্বাচন কর্মকর্তার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আবেদনকারীর সব দলিলাদির মূল কপি দেখা হয়েছে। তিনি ২০১৪ সালে ভোটার তালিকাভুক্ত হয়েছেন। আবেদনকারীর ডাটাবেজে শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক পাস। তিনি উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেননি, চতুর্থ শ্রেণি পাস করেছেন মর্মে হলফনামা করে সে মোতাবেক সংশোধন চেয়েছেন। আবেদনকারী জানান, তিনি ভোটার হওয়ার সময় ভুলক্রমে শ্বশুরের নাম পিতা হিসেবে ব্যবহার করে ভোটার হয়েছেন। তার দাখিলকৃত জন্মসনদ, নাগরিকত্ব সনদ, ওয়ারিশান সনদ, পিতার মৃত্যুর সনদ, পিতার জন্মসনদ ও হলফনামার সঙ্গে চাহিত তথ্যের মিল রয়েছে। এ অবস্থায় আবেদনকারীর ডাটাবেজে শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক পাস থাকায় এবং সার্বিক পর্যালোচনায় তার চাহিত তথ্যাবলি সংশোধনের জন্য মহোদয়ের সদয় সিদ্ধান্ত প্রয়োজন।

আর্থিক লেনদেনের অভিযোগও রয়েছে ফরিদুলের বিরুদ্ধে:
ইসি কর্মকর্তারা জানান, তদন্ত প্রতিবেদন পজিটিভ আসার পরও ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম এসএসসি সনদ চেয়ে আবেদন ফেরত পাঠান। শিক্ষাগত যোগ্যতা ডাউন চাওয়ার পরও তিনি এ আবেদনে এসএসসি সনদ চেয়েছেন। তাহলে কি মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলার জন্যই আঞ্চলিক কর্মকর্তা ফরিদুল অযৌক্তিক কাগজপত্র চাচ্ছেন,প্রশ্ন রাখেন ওই কর্মকর্তা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর এক কর্মকর্তা বলেন, আঞ্চলিক কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলামের কাছে এনআইডি সংশোধনের জন্য গেলে নাগরিকরা চরম ভোগান্তির শিকার হন। এ কর্মকর্তা শুধু সাধারণ জনগণকে নয়, এনআইডির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা অর্থাৎ অনুবিভাগটির মহাপরিচালককেও নানাভাবে ভোগান্তিতে ফেলেন। নিজের এখতিয়ারভুক্ত ফাইলের দায়িত্ব না নিয়ে এনআইডির মহাপরিচালকের কাছে পাঠিয়ে দেন। ফলে সেবা নিতে আসা সাধারণ জনগণ ফাইলের পেছনে দিনের পর দিন ছুটছেন।
তিনি আরও বলেন, ফরিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। তারপরও কমিশন তার বিরুদ্ধে নিশ্চুপ। কারণ, তিনি বেশিরভাগ সময় সচিবালয়ে কমিশনারসহ বড় বড় স্যারদের কাছে গিয়ে বসে থাকেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা আরও জানান, ফরিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে অবৈধ অর্থ লেনদেনেরও অভিযোগ আছে। তিনি ঢাকা অঞ্চলের দায়িত্ব পাওয়ার পর রাজশাহী থেকে উনার পছন্দের কম্পিউটার অপারেটর নিয়ে এসেছেন। যিনি বর্তমানে একই টেবিলে ফরিদুল ইসলামের চেয়ারের পাশে বসেন। কারণ, রাজশাহীতে উনি যখন দায়িত্বে ছিলেন তখন তিনি এ কম্পিউটার অপারেটরের মাধ্যমে সব লেনদেন করতেন বলে অভিযোগ আছে। এখানে আসার পরও তিনি ওই কম্পিউটার অপারেটরকে দিয়ে অর্থ লেনদেন করেন। যারা ওই ছেলের মাধ্যমে আসেন তাদের এনআইডি সংশোধন হয়ে যায়।

ঢাকা অঞ্চলের দায়িত্ব নিয়েই ফরিদুল প্রথম তিন মাসে বিপুল অবৈধ অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে রেকর্ড সংখ্যক এনআইডি সংশোধন করেছিলেন। এ বিষয়ে সচিবালয়ে জানাজানি হওয়ার পর তিনি সাবধান হয়ে যান।
বর্তমানে তিনি আরও ভালো পদায়ন পেতে নিজ অফিসে কাজ না করে বেশিরভাগ সময় সচিবালয়ে পড়ে থাকেন বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।
সংশোধনী আবেদনে ‘অযৌক্তিক’ কাগজপত্র চাওয়া প্রসঙ্গে ফরিদুল ইসলামের কাছে জানতে চাওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়েছে, তাই আমি চেয়েছি।’
শিক্ষাগত যোগ্যতা ডাউন চাওয়ার পরও কোন আইনে এসএসসি সনদ, প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড চেয়েছেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমি এটা বলতে পারব না। আমার কাছে মনে হয়েছে এটা যৌক্তিক, তাই চেয়েছি।’
এরপর ‘আপনি ভালো থাকবেন’ বলে ইসির এ কর্মকর্তা ফোন রেখে দেন।

নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ‘এনআইডি সংশোধনে আইনের বাইরে মনগড়া কিছু করার সুযোগ নেই। শিক্ষাগত যোগ্যতা ডাউন চাওয়ার পরও শিক্ষার সনদ চাওয়ার কথা না। তবে এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে, সেটি আমরা খতিয়ে দেখব।’

কয়েক মাস এনআইডির ভারপ্রাপ্ত ডিজির দায়িত্ব পালন করা অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার আরও জানান, ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা তার এখতিয়ারভুক্ত বেশিরভাগ ‘গ’ ক্যাটাগরির সংশোধনের আবেদনের ফাইল ডিজির কাছে পাঠিয়ে দেন। অথচ, ‘গ’ ক্যাটাগরির আবেদন নিষ্পত্তি করার দায়িত্ব তার। কিন্তু তিনি সেটি করেন না।

এ প্রসঙ্গে জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.)  বলেন, ‘অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে ঢাকায় এনআইডি সংশোধনের জন্য অনেক বেশি আবেদন পড়ে। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা প্রতিনিয়ত দ্রুততার সঙ্গে এনআইডির সেবা প্রদানে সচেষ্ট। তবে, সেবাগ্রহীতার কাছ থেকে বিলম্ব বা হয়রানি বা অসংগতি সম্পর্কিত অভিযোগ পাওয়া গেলে অথবা কমিশনের নজরে এলে তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’

‘এনআইডি সংশোধনে নির্দিষ্ট বিধি ও পদ্ধতি আছে। প্রত্যেকটি এনআইডির সংশোধনী আবেদন সেভাবেই বিবেচনা করার কথা। এক্ষেত্রে কোনো প্রকার অযৌক্তিক কাগজপত্র চেয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করার প্রশ্নই আসে না। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে কমিশন থেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’

তথ্য :স/কা/~ঢাকা পোস্ট

 

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস:-

আইডি সংশোধনে অযৌক্তিক পেপারস চেয়ে বাতিল করে ইসি কর্মকর্তা ফরিদুল!

আপডেট সময়- ০৮:০১:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪

‘অযৌক্তিক কাগজপত্র’ চেয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করে বাতিল সহ নানান অনিয়মের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগও রয়েছে ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে.!

 

অনলাইন ডেস্ক।।

 

সাধারন নাগরিকদের নানান কাজে অপরিহার্য হয়ে পড়েছে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি)।প্রিন্টিং সহ তথ্যের ভূল ও গরমিল থাকায় অনেককে এটি সংশোধন করতে হচ্ছে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এই এনআইডি  সংশোধন করা বাংলাদেশে এখন সবচেয়ে  একটা কঠিন কাজ হয়ে উঠেছে।

দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা নির্দিষ্ট বিধি ও পদ্ধতি মেনে এনআইডি সংশোধন করতে বাধ্য হলেও তাদের কেউ কেউ নাগরিকদের অকারণে বহু ধরনের হয়রানির শিকার হতে হয়। এমন বহু অভিযোগ বছরের পর বছর করে আসছেন ভুক্তভোগী অনেক নাগরিকগন। সম্প্রতি পরিচয়পত্র সংশোধনের আবেদন করে চাহিদা অনুযায়ী সকল ধরনের প্রদান করেও বিনা কারণে ‘অযৌক্তিক কাগজপত্র’ চেয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি সহ নানান অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে।

নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে দেশে মোট ভোটার ১২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ১৬০ জন। যাদের সবারই এনআইডি রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০০৭-০৮ সালে যখন প্রথম এনআইডির কার্যক্রম শুরু হয় তখন কেউ জানতেন না যে জাতীয় পরিচয়পত্রের এ এনআইডি কার্ড ভবিষ্যতে ‘জাতীয় দলিল’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত বা গন্য হবে। তখন সেটা কেউই তেমন গুরুত্ব দেননি।তাছাড়া অপরিপক্ক, অল্প শিক্ষিত লোকবল দারা এ কার্ড তৈরি করা হয়েছিল ভুরি ভূরি ভুলের মাধ্যমে।  এটি যদি তখন সাধারণ মানুষ বুঝতেন তাহলে শুরুতেই সবাই এ বিষয়ে সতর্ক থাকতেন নির্ভূলতার মাপকাঠিতে। মূলত, ওই সময় নির্বাচন কমিশনের প্রচারের অভাবে এবং অদক্ষ জনবলের মাধ্যমে এ কার্যক্রম পরিচালনা করে ভূলের সৃষ্টি।  বিশাল এ জনগোষ্ঠীর অধিকাংশের এনআইডিতে কিছু না কিছু ভুল রয়েই গেছে। যেগুলো সংশোধন করতে গিয়ে নিয়মিত ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ জনগণকে। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা থেকে শুরু করে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তারাও এনআইডি সংশোধনের নামে নাগরিকদের দিনের পর দিন নানান ভোগান্তিতে ফেলছেন।

২০০৭-০৮ সালে যখন এনআইডির প্রথম কার্যক্রম শুরু হয় তখন কিন্তু নির্বাচন কমিশন বা সরকার থেকে নাগরিকদের এনআইডির গুরুত্বের বিষয়ে সেভাবে তেমন সচেতন করা হয়নি। ফলে নাগরিকরা মনগড়া তথ্য দেওয়ার পাশাপাশি একজনের তথ্য আরেকজনও দিয়েছিলেন। কার্ডে বয়স, নাম, শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ বিভিন্ন ধরনের ভুল তথ্য রয়ে যায়। নাগরিকরা যখন বুঝতে পারেন এনআইডি সংশোধন ছাড়া সেবা মিলবে না, তখন অনলাইনে আবেদন করে এনআইডি সংশোধন করতে নির্বাচন কমিশনের অফিসে অফিসে ঘুরতে থাকেন।

 

তাদের মধ্যে এক ভুক্তভোগী নারীর নাম মোসাঃ শাহিদা বেগম, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার এনায়েতনগর ইউনিয়নের মাসদাইর বারৈভোগ এলাকার  বাসিন্দা পর পর চারবার আবেদন করেও শেষ রক্ষা হয়নি ওই ইসি কর্মকর্তার হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। প্রথমবার আবেদন ভূল দেখিয়ে বাতিল করে দেন,এরপর দ্বিতীয়বার আবেদন সহি শুদ্ধভাবে করেন এক সাংবাদিকের সহায়তায়,সেইবার নির্ভলভাবে আবেদন করার পরে, যাচাই বাছাই করে তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য পাঠান নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার বরাবর, সেখান থেকে পূনরায় কাগজপত্র চাওয়া হলে তা ফুলফিল করে জমা দিয়ে সহি প্রতিবেদন পাঠালেও তিনি তা কেনো কারন ছাড়াই রহস্যজনক কারনে বাতিল করে দেন,আর্থিক সুবিধা পাওয়ার লক্ষ্যে।এরপর ওই নারী ফের আবেদন করলে,এবার ফের কোন ধরনের শুনানি ও কারন ছাড়াই দীর্ঘ একমাস পরে সে আবেদনটি ফের বাতিল করেন,এভাবে পরপর চারবার। এখনো স্বামী সহ সংশোধনের আশায় ধারে ধারে ঘুরছেন ওই ভুক্তভোগী নারী, কারন ভোটার আইডি সংশোধন ছাড়া পৈতৃক ভিটা-জায়গা জমি হাত ছাড় হয়ে যাচ্ছে। এমন বহু সাধারণ মানুষের গগনবিদারী আর্তচিৎকারে কানে পৌঁছায় না ওই দূর্নীতি গ্রস্ত ইসি কর্মকর্তা ফরিদুলের।

 

ভুক্তভোগী একজন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার কাজী রুবেল। ২০০৮ সালে করা নিজের এনআইডিতে ভুল থাকার কারনে সম্প্রতি সংশোধনের জন্য আবেদন করেন। পাসপোর্ট ও জন্মনিবন্ধনের সঙ্গে মিল রেখে বয়স, মায়ের নামের আংশিক পরিবর্তনসহ মায়ের এনআইডি নম্বর যুক্ত করেন। আগে শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক পাস থাকলেও এখন তিনি সপ্তম শ্রেণি উল্লেখ করতে চাচ্ছেন। তার আবেদনটির যথাযথ যৌক্তিকতা থাকলেও সংশোধন না করে অযৌক্তিক কাগজপত্র চেয়েছেন ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম।

যেসব কাগজপত্র চেয়েছেন আঞ্চলিক কর্মকর্তা কাজী রুবেল তার এনআইডি সংশোধনী আবেদনে পাঁচ বছর বয়স, মায়ের নাম কাজী শামীমা আক্তার থেকে শামীমা আক্তার এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক থেকে সপ্তম শ্রেণি করতে চেয়েছেন। একই সঙ্গে সংশোধনী আবেদনে অনলাইন জন্মনিবন্ধন, পাসপোর্ট, মায়ের এনআইডি, পারিবারিক সনদ, ম্যাজিস্ট্রেট হলফনামা এবং ক্ষমার দরখাস্ত দিয়েছেন। আবেদনকারী শিক্ষাগত যোগ্যতা সপ্তম শ্রেণি চাওয়ার পরও ফরিদুল ইসলাম এসএসসি সনদ, প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড চেয়ে আবেদনটি ফেরত পাঠিয়ে দেন।

তবে ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, সংশোধনী আবেদনে এসব কাগজপত্র চাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলতেই এমন কাগজপত্র চান আঞ্চলিক কর্মকর্তা ফরিদুল।

আরেক ভুক্তভোগী, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার আরেফিন হৃদয়। তিনি গত বছর নিজ এনআইডি সংশোধনের আবেদন করেন। সংশোধনী আবেদনে তিনি পিতার নাম আ. বাখির থেকে গিয়াস উদ্দিন, মায়ের নাম মো. ঝরনা থেকে ঝড়না বেগম, শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক থেকে চতুর্থ শ্রেণি এবং পেশা ছাত্র থেকে শ্রমিক চেয়েছেন। সংশোধনী আবেদনের সঙ্গে অনলাইন জন্মসনদ, নাগরিকত্ব সনদ, ওয়ারিশা সনদ, মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র, পিতার জন্ম ও মৃত্যুর সনদ, ম্যাজিস্ট্রেট হলফনামা, স্ত্রী ও শ্বশুরের জাতীয় পরিচয়পত্রসহ কাউন্সিলরের প্রত্যয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
হৃদয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুরুতে এনআইডি উইংয়ের উপ-পরিচালক থানা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে তদন্তের জন্য পাঠান। থানা নির্বাচন কর্মকর্তা সরেজমিনে তদন্ত করে কাগজপত্রের সঙ্গে আবেদনকারীর চাহিত সংশোধনের মিল রয়েছে বলে সুপারিশ করেন। এরপরই বাধে বিপত্তি।
তদন্ত রিপোর্ট পজিটিভ থাকার পরও নিজের এখতিয়ারভুক্ত সংশোধনী আবেদনের নিষ্পত্তি না করে এনআইডি মহাপরিচালকের কাছে ফাইল ফরোয়ার্ড করে দেন আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরিদুল। পজিটিভ থাকা বেশিরভাগ ফাইলের ক্ষেত্রে তিনি ডিজির দ্বারস্থ হন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

তদন্ত প্রতিবেদন পজিটিভ আসার পরও ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম এসএসসি সনদ চেয়ে আবেদন ফেরত পাঠান। শিক্ষাগত যোগ্যতা ডাউন চাওয়ার পরও তিনি এ আবেদনে এসএসসি সনদ চেয়েছেন। তাহলে কি মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলার জন্যই…
প্রতিবেদনে কী জানিয়েছেন থানা নির্বাচন কর্মকর্তা।

আবেদনকারী আরেফিন হৃদয়, তার জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। তিনি তার জাতীয় পরিচয়পত্রে পিতার নাম আ. বাখিরের স্থলে গিয়াস উদ্দিন, মাতার নাম মো. ঝরনার স্থলে ঝড়না বেগম, শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিকের স্থলে চতুর্থ শ্রেণি এবং পেশা ছাত্র/ছাত্রীর স্থলে শ্রমিক চেয়ে অনলাইনে আবেদন করেছেন।

থানা নির্বাচন কর্মকর্তার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আবেদনকারীর সব দলিলাদির মূল কপি দেখা হয়েছে। তিনি ২০১৪ সালে ভোটার তালিকাভুক্ত হয়েছেন। আবেদনকারীর ডাটাবেজে শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক পাস। তিনি উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেননি, চতুর্থ শ্রেণি পাস করেছেন মর্মে হলফনামা করে সে মোতাবেক সংশোধন চেয়েছেন। আবেদনকারী জানান, তিনি ভোটার হওয়ার সময় ভুলক্রমে শ্বশুরের নাম পিতা হিসেবে ব্যবহার করে ভোটার হয়েছেন। তার দাখিলকৃত জন্মসনদ, নাগরিকত্ব সনদ, ওয়ারিশান সনদ, পিতার মৃত্যুর সনদ, পিতার জন্মসনদ ও হলফনামার সঙ্গে চাহিত তথ্যের মিল রয়েছে। এ অবস্থায় আবেদনকারীর ডাটাবেজে শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক পাস থাকায় এবং সার্বিক পর্যালোচনায় তার চাহিত তথ্যাবলি সংশোধনের জন্য মহোদয়ের সদয় সিদ্ধান্ত প্রয়োজন।

আর্থিক লেনদেনের অভিযোগও রয়েছে ফরিদুলের বিরুদ্ধে:
ইসি কর্মকর্তারা জানান, তদন্ত প্রতিবেদন পজিটিভ আসার পরও ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম এসএসসি সনদ চেয়ে আবেদন ফেরত পাঠান। শিক্ষাগত যোগ্যতা ডাউন চাওয়ার পরও তিনি এ আবেদনে এসএসসি সনদ চেয়েছেন। তাহলে কি মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলার জন্যই আঞ্চলিক কর্মকর্তা ফরিদুল অযৌক্তিক কাগজপত্র চাচ্ছেন,প্রশ্ন রাখেন ওই কর্মকর্তা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর এক কর্মকর্তা বলেন, আঞ্চলিক কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলামের কাছে এনআইডি সংশোধনের জন্য গেলে নাগরিকরা চরম ভোগান্তির শিকার হন। এ কর্মকর্তা শুধু সাধারণ জনগণকে নয়, এনআইডির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা অর্থাৎ অনুবিভাগটির মহাপরিচালককেও নানাভাবে ভোগান্তিতে ফেলেন। নিজের এখতিয়ারভুক্ত ফাইলের দায়িত্ব না নিয়ে এনআইডির মহাপরিচালকের কাছে পাঠিয়ে দেন। ফলে সেবা নিতে আসা সাধারণ জনগণ ফাইলের পেছনে দিনের পর দিন ছুটছেন।
তিনি আরও বলেন, ফরিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। তারপরও কমিশন তার বিরুদ্ধে নিশ্চুপ। কারণ, তিনি বেশিরভাগ সময় সচিবালয়ে কমিশনারসহ বড় বড় স্যারদের কাছে গিয়ে বসে থাকেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা আরও জানান, ফরিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে অবৈধ অর্থ লেনদেনেরও অভিযোগ আছে। তিনি ঢাকা অঞ্চলের দায়িত্ব পাওয়ার পর রাজশাহী থেকে উনার পছন্দের কম্পিউটার অপারেটর নিয়ে এসেছেন। যিনি বর্তমানে একই টেবিলে ফরিদুল ইসলামের চেয়ারের পাশে বসেন। কারণ, রাজশাহীতে উনি যখন দায়িত্বে ছিলেন তখন তিনি এ কম্পিউটার অপারেটরের মাধ্যমে সব লেনদেন করতেন বলে অভিযোগ আছে। এখানে আসার পরও তিনি ওই কম্পিউটার অপারেটরকে দিয়ে অর্থ লেনদেন করেন। যারা ওই ছেলের মাধ্যমে আসেন তাদের এনআইডি সংশোধন হয়ে যায়।

ঢাকা অঞ্চলের দায়িত্ব নিয়েই ফরিদুল প্রথম তিন মাসে বিপুল অবৈধ অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে রেকর্ড সংখ্যক এনআইডি সংশোধন করেছিলেন। এ বিষয়ে সচিবালয়ে জানাজানি হওয়ার পর তিনি সাবধান হয়ে যান।
বর্তমানে তিনি আরও ভালো পদায়ন পেতে নিজ অফিসে কাজ না করে বেশিরভাগ সময় সচিবালয়ে পড়ে থাকেন বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।
সংশোধনী আবেদনে ‘অযৌক্তিক’ কাগজপত্র চাওয়া প্রসঙ্গে ফরিদুল ইসলামের কাছে জানতে চাওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়েছে, তাই আমি চেয়েছি।’
শিক্ষাগত যোগ্যতা ডাউন চাওয়ার পরও কোন আইনে এসএসসি সনদ, প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড চেয়েছেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমি এটা বলতে পারব না। আমার কাছে মনে হয়েছে এটা যৌক্তিক, তাই চেয়েছি।’
এরপর ‘আপনি ভালো থাকবেন’ বলে ইসির এ কর্মকর্তা ফোন রেখে দেন।

নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ‘এনআইডি সংশোধনে আইনের বাইরে মনগড়া কিছু করার সুযোগ নেই। শিক্ষাগত যোগ্যতা ডাউন চাওয়ার পরও শিক্ষার সনদ চাওয়ার কথা না। তবে এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে, সেটি আমরা খতিয়ে দেখব।’

কয়েক মাস এনআইডির ভারপ্রাপ্ত ডিজির দায়িত্ব পালন করা অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার আরও জানান, ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা তার এখতিয়ারভুক্ত বেশিরভাগ ‘গ’ ক্যাটাগরির সংশোধনের আবেদনের ফাইল ডিজির কাছে পাঠিয়ে দেন। অথচ, ‘গ’ ক্যাটাগরির আবেদন নিষ্পত্তি করার দায়িত্ব তার। কিন্তু তিনি সেটি করেন না।

এ প্রসঙ্গে জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.)  বলেন, ‘অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে ঢাকায় এনআইডি সংশোধনের জন্য অনেক বেশি আবেদন পড়ে। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা প্রতিনিয়ত দ্রুততার সঙ্গে এনআইডির সেবা প্রদানে সচেষ্ট। তবে, সেবাগ্রহীতার কাছ থেকে বিলম্ব বা হয়রানি বা অসংগতি সম্পর্কিত অভিযোগ পাওয়া গেলে অথবা কমিশনের নজরে এলে তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’

‘এনআইডি সংশোধনে নির্দিষ্ট বিধি ও পদ্ধতি আছে। প্রত্যেকটি এনআইডির সংশোধনী আবেদন সেভাবেই বিবেচনা করার কথা। এক্ষেত্রে কোনো প্রকার অযৌক্তিক কাগজপত্র চেয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করার প্রশ্নই আসে না। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে কমিশন থেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’

তথ্য :স/কা/~ঢাকা পোস্ট