ঢাকা ০৯:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ:-
নির্দেশনা পেলে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে সেনাবাহিনী প্রস্তুত: কর্নেল শফিকুল দৌলতপুরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত মৌলভীবাজার সীমান্তে শিশুসহ ৭১ বাংলাদেশীকে ফেরত দিলো বিএসএফ শ্রীমঙ্গলে অনিয়ম-দুর্নীতি ঢাকতে নতুন কারসাজিতে ও ঠিকাদার ব্যর্থ মৌলভীবাজারে জামিনের প্রলোভনে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে প্রতারক গ্রেপ্তার জুড়ীর কৃতি সন্তান শরীফ বিসিএস পুলিশ ক্যাডারে প্রথম আ’লীগের সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় গ্রেপ্তার ৩৩ ডেপুটি জেলারকে একযোগে বদলি আমি জনগণের সেবক হতে চাই, কারো প্রতিযোগী না: মাসুদুজ্জামান জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপে মর্গ্যান স্কুলের সংকট নিরসন মাদরাসার দুই শিক্ষার্থীর একই সাথে মৃত্যু;  শিক্ষক সমিতির শোক দিল্লির দূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রথমবার কৃত্রিম বৃষ্টি এক নতুন দিগন্ত ভেড়ামারায় পদ্মায় তীব্র ভাঙন, আতঙ্কে দিনাতিপাত করছে নদীপাড়ের বাসিন্দারা ভৈরবের পূর্বকান্দা সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক’কে অফিসে ডুকে মারধরের অভিযোগ সুন্দরবনে বিপুল পরিমাণ হরিণ শিকারের ফাঁদ জব্দ কুমিল্লায় ধর্ষণের ঘটনায় দ্রুত বিচারের দাবিতে মহিলা পরিষদের মানববন্ধন আজ ব্যাংক হলিডে, ব্যাংক ও শেয়ারবাজারে সব লেনদেন বন্ধ জুলাই অভ্যুত্থানে বিএনপিসহ অঙ্গ সংগঠনের শহীদ হয়েছে ৭৩৪ নওগাঁয় অতিরিক্ত ধান-চাল মজুদ: দুই মিল ম্যানেজারের অর্থদন্ডসহ জেল নারায়ণগঞ্জে র‍্যাবের অভিযানে অস্ত্র-মাদক ও বিদেশি মুদ্রাসহ আটক-২ ফতুল্লায় আবির ফ্যাশনে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের ঘটনায় বিক্ষোভে ৮ কারখানা বন্ধ সুন্দরবনে হরিণের ফাঁদসহ আটক-১ শিকারী  খোলপেটুয়া নদীরচর থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার শরণখোলায় ৪নং সাউথখালী ইউপি’র উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা বিমানবন্দরে চেকিংয়ে ম্যাগজিন পাওয়ার বিষয়ে যা বললেন উপদেষ্টা আসিফ না’ঞ্জকে সবুজে ঘেরা পরিচ্ছন্ন ও বাসযোগ্য আধুনিক শহর হিসেবে গড়ে তোলা।”-জেলা প্রশাসক ৫ আগস্টের পর থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত ১৩ পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত না’গঞ্জে ‘আ’লীগের দোসর’ আখ্যা দিয়ে সাবেক বিএনপি নেতাকে ‘মারধর’সহ হেনস্তা না’গঞ্জে যৌথবাহিনীর অভিযানে মাদক-অস্ত্রসহ আটক-২ নারী কারবারি কুষ্টিয়ায় মাদক কারবার নিয়ে বিরোধে যুবককে কুপিয়ে হত্যা কুষ্টিয়ায় বাসচাপায় পুলিশ সদস্য নিহত শরণখোলায় লাগসই প্রযুক্তি বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত আমার শিকড় এই মাটির অনেক গভীরে: মাসুদুজ্জামান মাসুদ ঢাকায় ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশ আজ না ফেরার দেশে ‘কাঁটা লাগা’ গার্লখ্যাত শেফালি জারিওয়ালা নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে মাসুদ-পন্টি পরিষদ বিজয়ী ধর্ষণচেষ্টা মামলায় শিক্ষক আটক, পাঠানো হলো কারাগারে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে চালকদের ডাটাবেজ করছে না’গঞ্জ জেলা প্রশাসন ডিএমপির ৬ ডিসির দায়িত্বে রদবদল কুষ্টিয়ায় লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতের হানা, লাশের শরীর তল্লাশি গাইবান্ধায় এইচএসসি পরীক্ষার ১ম দিনে ১২ জন বহিষ্কার, ৪২৯ অনুপস্থিত কুষ্টিয়ায় মাদকের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী দিবস পালিত রায়পুরায় ছয় দফা দাবিতে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি শরণখোলায় পার্টনার স্কুল কংগ্রেস অনুষ্ঠিত সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম সবুজের মায়ের ১ম  মৃত্যুবার্ষিকীতে দোয়া অনুষ্ঠিত আজ থেকে শুরু এইচএসসি পরীক্ষা,পরীক্ষার্থীদের মানতে হবে বিশেষ গাইডলাইন নারায়ণগঞ্জে জোড়া খুন; সাবেক কাউন্সিলর হান্নান ও দুই পুত্রসহ আটক-৪ ডিজিটাল নিরাপত্তা মামলায় খালাস পেলেন কুষ্টিয়ার দুই সাংবাদিক গ্লোবাল টিভির সাংবাদিক মনিরুল আলমকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি ‘মব জাস্টিস’ এক হিংস্র উন্মাদনা: তারেক রহমান দেশের সকল কোচিং সেন্টার বন্ধ ঘোষণা ফতুল্লায় তিতাসের অভিযান: অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নসহ অর্থদন্ড রোটারি ক্লাব অব নারায়ণগঞ্জ মিডটাউনের বর্ষ সমাপ্তি সভা অনুষ্ঠিত ‘মব’ ঠেকাতে কঠোর বার্তা, ব্যর্থ হলেই পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার সাবেক সিইসিকে ‘মব’ সৃষ্টি করে হেনস্থাকারী স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মুজাম্মেল আটক স্রোতের তোড়ে ২৮ যাত্রী নিয়ে মেঘনায় ডুবলো স্পিডবোট কর,কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগ‘ কমপ্লিট শাটডাউনের ঘোষণা এনসিপির কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ, আহত-৪ প্রধান উপদেষ্টাসহ দুদককে উকিল নোটিশ পাঠালেন টিউলিপ সিদ্দিক বিশ্ব পরিবেশ দিবসে মহিলা পরিষদের বৃক্ষরোপণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে ছদ্মবেশে গ্রেপ্তার করল পুলিশ সোনারগাঁয়ে প্রবাসীকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার হুমকিদাতা বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার ‘মব’ সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কড়া হুশিয়ারী দিলো সরকার সাবেক এমপি সাবিনা আক্তার তুহিন গ্রেপ্তার সাবেক সিইসি নূরুল হুদাকে ঘিরে ‘মব’ সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার সাবেক আরেক সিইসি হাবিবুল আউয়াল গ্রেপ্তার না’গঞ্জের প্রবেশমুখে স্থাপত্যশৈলীর ছোয়ায় নির্মিত হবে ‘গেট অব ড্যান্ডি’ শামীম ওসমানের ২টি প্লট ক্রোকসহ ২৯ ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ সাবেক সিইসি কেএম নুরুল হুদা ডিবি হেফাজতে মুন্সিগঞ্জের সাবেক এমপি ফয়সাল বিপ্লব গ্রেপ্তার বিএনপি ক্ষমতায় আসলে সাংবাদিকদের কল্যাণে কাজ করবে: মোস্তফা জামান কুষ্টিয়ায় পাউবোর জমি থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না’গঞ্জে অটোরিকশার স্ট্যান্ড দখল নিতেই বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, নিহত-২ আমাকে অপহরণ করা হয়েছিল, গ্রেপ্তার নয়: মেঘনা আলম  এডিসির সঙ্গেও অনৈতিক সম্পর্ক ছিল বিশ্বপ্রেমিক ডিসি আশরাফের নারায়ণগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জোড়া খুন দুই মাসেও ডিবি প্রধানের শূন্য পদ পূর্ণ হয়নি কর্মস্থলে অনুপস্থিত শরীয়তপুরের বিতর্কিত ডিসি মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন ভিডিও বার্তায় প্রেমিকাকে যা বললেন শরীয়তপুরের সমালোচিত ডিসি আইআরজিসির কাছে যুদ্ধকালীন ক্ষমতা হস্তান্তর করেছেন খামেনি পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি ইকবাল বাহার ডিবি হেফাজতে পরিবেশ সংরক্ষণে জেলা প্রশাসনের গৃহীত পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করেন: জনপ্রশাসন সচিব বঙ্গোপসাগরে বৈরী আবহাওয়ায় মাছ ধরতে পারছে না জেলেরা: নিরাপদ আশ্রয় ফিশিং ট্রলার শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল না’গঞ্জে আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় মাদক-ছিনতাই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ নারায়ণগঞ্জে মাদকাসক্ত ছেলের নির্যাতনের শিকার বাবা-মার হাতেই পুত্র খুন সেনা অভিযানে তিন সপ্তাহে ৫৬ অবৈধ অস্ত্রসহ ৯৯৬ অপরাধী গ্রেপ্তার কমলগঞ্জে ৩ কেজি গাঁজাসহ দুই কারবারি পুলিশের জালে আদমজী বিহারি ক্যাম্পে সেনা অভিযান, অস্ত্রসহ ২ নারী আটক কুষ্টিয়ায় পলিটেকনিক শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু কুষ্টিয়ায় ছাত্রাবাসে কলেজ ছাত্রের মৃত্যু ঘিরে রহস্যের ধূম্রজাল শরণখোলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব সেনাবাহিনীর হাতে আটক হওয়ায় পিতার সংবাদ সম্মেলন কমলগঞ্জে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা কুলাউড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেপ্তার দেশজুড়ে থেমে থেমে বজ্রসহ বৃষ্টি ও ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস ট্রাম্পের হুমকির পর আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ির পাল্টা জবাব ‘যুদ্ধ শুরু হলো’ নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুল এন্ড কলেজে দুর্ধর্ষ চুরি সোনারগাঁয়ে খালপাড় বেড়িবাঁধ থেকে যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার নারায়ণগঞ্জে মানসিক ভারসাম্যহীন অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার ফতুল্লায় ড্রেন থেকে বস্তাবন্দি যুবকের মরদেহ উদ্ধার

যৌনপীড়ন, ধর্ষণ ও নারী সুরক্ষায় আমাদের করণীয়

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময়- ০৯:৩১:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫ ১২৫ বার পড়া হয়েছে

 

মোঃ ফেরদৌস আলম।।

বাংলাদেশে যৌনপীড়ন ও ধর্ষণের ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। নারীরা আজও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ধর্ষণ ও যৌন সহিংসতার ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, নারী সুরক্ষা নীতিমালা এবং বিভিন্ন সামাজিক উদ্যোগ সত্ত্বেও এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না। বাংলাদেশে যৌনপীড়ন ও ধর্ষণের বর্তমান অবস্থা, এর পেছনের কারণ, আইনি কাঠামো, সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং নারী সুরক্ষায় আমাদের করণীয় –

বাংলাদেশে যৌনপীড়ন ও ধর্ষণের বর্তমান অবস্থা:
গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতি বছর হাজার হাজার নারী ও শিশু যৌন সহিংসতার শিকার হয়। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের তথ্য মতে, ২০২২ সালে ১,০০০ এরও বেশি ধর্ষণের ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। তবে বাস্তবে এই সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতে পারে, কারণ অনেক ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীরা সামাজিক লজ্জা, ভয় ও আইনি জটিলতার কারণে অভিযোগ দায়ের করে না।
ধর্ষণের শিকার নারী ও শিশুদের মধ্যে বেশিরভাগই গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দা। তবে শহরাঞ্চলেও এই ধরনের ঘটনা কম নয়। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের পরিবার, আদিবাসী সম্প্রদায় এবং প্রতিবন্ধী নারী ও শিশুরা বেশি ঝুঁকিতে থাকে। সাম্প্রতিক সময়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত কিছু ঘটনা সমাজকে স্তম্ভিত করেছে। যেমন, স্কুলছাত্রী, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী, এমনকি শিশুদেরও ধর্ষণের শিকার হওয়ার খবর নিয়মিত প্রকাশ পাচ্ছে।

যৌনপীড়ন ও ধর্ষণের পেছনের কারণ:
যৌনপীড়ন ও ধর্ষণের ঘটনা বৃদ্ধির পেছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে। প্রথমত, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দৃষ্টিভঙ্গি। বাংলাদেশের সমাজে এখনও নারীকে পুরুষের চেয়ে নিম্নস্তরের হিসেবে দেখা হয়। নারীরা পুরুষের সম্পত্তি বা ভোগের বস্তু হিসেবে বিবেচিত হয়। এই মানসিকতা যৌন সহিংসতাকে উৎসাহিত করে।
দ্বিতীয়ত, আইনের দুর্বল প্রয়োগ। বাংলাদেশে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ধর্ষণের জন্য কঠোর শাস্তির বিধান থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে আইনের সঠিক প্রয়োগ হয় না। পুলিশ ও আদালতের দীর্ঘসূত্রতা, সাক্ষ্য-প্রমাণের অভাব এবং ভুক্তভোগীদের প্রতি সামাজিক চাপের কারণে অনেক অপরাধী শাস্তি এড়িয়ে যায়।

তৃতীয়ত, শিক্ষা ও সচেতনতার অভাব। অনেক ক্ষেত্রে যৌন সহিংসতার শিকার নারী ও শিশুরা জানেই না যে তাদের অধিকার কী এবং কীভাবে আইনি সহায়তা পাওয়া যায়। এছাড়া, পুরুষদের মধ্যে নারী অধিকার ও সম্মান সম্পর্কে সচেতনতার অভাব রয়েছে।
চতুর্থত, অর্থনৈতিক অসচ্ছলতা। দারিদ্র্য ও বেকারত্বের কারণে অনেক পুরুষ হতাশায় ভোগে, যা তাদের সহিংস আচরণের দিকে ঠেলে দেয়। এছাড়া, নিম্ন আয়ের পরিবারের নারী ও শিশুরা সহিংসতার শিকার হলে তাদের পক্ষে আইনি লড়াই চালানো কঠিন হয়ে পড়ে।

আইনি কাঠামো ও এর সীমাবদ্ধতা:
বাংলাদেশে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধিত ২০২০) ধর্ষণ ও যৌন সহিংসতার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে। এই আইনে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। এছাড়া, নারী ও শিশু নির্যাতনের অন্যান্য রূপ যেমন, যৌন হয়রানি, এসিড নিক্ষেপ, বাল্যবিবাহ ইত্যাদির বিরুদ্ধেও শাস্তির বিধান রয়েছে।
তবে আইনের সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। প্রথমত, অনেক ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীরা আইনি সহায়তা পায় না। দ্বিতীয়ত, পুলিশ ও আদালতের দীর্ঘসূত্রতা এবং দুর্নীতির কারণে অনেক অপরাধী শাস্তি এড়িয়ে যায়। তৃতীয়ত, আইনের প্রয়োগে সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রভাব পড়ে। অনেক ক্ষেত্রে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা আইনের ঊর্ধ্বে থেকে যায়।

গণমাধ্যমের ভূমিকা:
গণমাধ্যম যৌনপীড়ন ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে টেলিভিশন, পত্রিকা ও অনলাইন মিডিয়ায় যৌন সহিংসতার ঘটনা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। এই আলোচনা সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধি করেছে এবং ভুক্তভোগীদের সাহস জুগিয়েছে।
তবে গণমাধ্যমের কিছু নেতিবাচক দিকও রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীর ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করা হয়, যা তাদের সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করে। এছাড়া, কিছু মিডিয়া সংবাদকে সেনসেশনাল করে তোলে, যা ভুক্তভোগীর মানসিক অবস্থাকে আরও খারাপ করে।

নারী সুরক্ষায় আমাদের করণীয়:
যৌনপীড়ন ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হলে আমাদের সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। নারী নিরাপত্তা, সুরক্ষা ও সমতা নিশ্চিত করা সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব। এ লক্ষ্যে আমাদের নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করা উচিত:

১. সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন:
লিঙ্গ ভিত্তিক কুসংস্কার দূরীকরণ: নারীদের প্রতি সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে কাজ করতে হবে। নারী ও পুরুষের সমান অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। লিঙ্গ ভিত্তিক কুসংস্কার ও বৈষম্য দূর করতে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এ জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও গণমাধ্যমকে এগিয়ে আসতে হবে।
পুরুষদের সম্পৃক্ততা: পুরুষদের নারী নিরাপত্তা ও সমতা বিষয়ে সচেতন ও সম্পৃক্ত করতে হবে। নারী সুরক্ষা শুধু নারীদের বিষয় নয়, পুরুষদেরও এই লড়াইয়ে অংশ নিতে হবে। পুরুষদের মধ্যে নারী অধিকার ও সম্মান সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।

২. আইনি সংস্কার ও প্রয়োগ: নারী নির্যাতন ও বৈষম্য রোধে বিদ্যমান আইনগুলির সংস্কার ও প্রয়োগ কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। পুলিশ ও আদালতের দীর্ঘসূত্রতা কমাতে হবে এবং ভুক্তভোগীদের জন্য দ্রুত বিচার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। এছাড়া, আইনি সহায়তা প্রদানের জন্য সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে হবে। ধর্ষণ, যৌন হয়রানি, গৃহস্থালি সহিংসতা ইত্যাদির বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার ও শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
৩. নারী ও শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত: নারী ও শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। স্কুল, কলেজ ও কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কঠোর নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। এছাড়া, নারী ও শিশুদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করতে হবে।নারীদের জন্য জরুরি হেল্পলাইন ও সহায়তা কেন্দ্র স্থাপন করতে হবে।
৪. শিক্ষা ও সচেতনতা: স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে লিঙ্গ সমতা ও নারী

অধিকার বিষয়ক শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। নারী নিরাপত্তা ও সমতা সম্পর্কে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রচারাভিযান চালানো প্রয়োজন। নারী সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। নারী ও শিশুদের তাদের অধিকার ও আইনি সহায়তা সম্পর্কে জানাতে হবে। এ জন্য বিভিন্ন কর্মশালা, সেমিনার ও প্রচারণা চালাতে হবে।
৫. পরিবার ও সমাজের ভূমিকা: পরিবার থেকে নারীদের প্রতি সম্মান ও সমতা শিক্ষা দিতে হবে। সমাজের সকল স্তরে নারীদের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলতে হবে।
৬. নারী ক্ষমতায়ন:
অর্থনৈতিক স্বাধীনতা: নারীদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।
রাজনৈতিক অংশগ্রহণ: নারীদের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করতে হবে, যাতে তারা নীতি নির্ধারণে ভূমিকা রাখতে পারে।

৭. সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ:
সরকারি নীতি: সরকারকে নারী নিরাপত্তা ও সমতা নিশ্চিত করতে কার্যকর নীতি ও কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে।
বেসরকারি সংস্থা: এনজিও ও সুশীল সমাজকে নারী অধিকার রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে।

যৌনপীড়ন ও ধর্ষণ একটি সামাজিক ব্যাধি, যা সমাজের প্রতিটি স্তরকে প্রভাবিত করে। এই সমস্যা সমাধানে নারী নিরাপত্তা ও সমতা নিশ্চিত করতে আমাদের সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে। আইনের সঠিক প্রয়োগ, সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন, সচেতনতা বৃদ্ধি এবং নারী ও শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার মাধ্যমে আমরা একটি নিরাপদ ও সমতাভিত্তিক সমাজ গড়ে তুলতে পারি। নারী সুরক্ষা শুধু নারীর বিষয় নয়, এটি সমগ্র সমাজের দায়িত্ব। আসুন, আমরা সবাই মিলে এই লড়াইয়ে অংশ নিই এবং একটি নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ে তুলি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস:-

যৌনপীড়ন, ধর্ষণ ও নারী সুরক্ষায় আমাদের করণীয়

আপডেট সময়- ০৯:৩১:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫

 

মোঃ ফেরদৌস আলম।।

বাংলাদেশে যৌনপীড়ন ও ধর্ষণের ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। নারীরা আজও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ধর্ষণ ও যৌন সহিংসতার ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, নারী সুরক্ষা নীতিমালা এবং বিভিন্ন সামাজিক উদ্যোগ সত্ত্বেও এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না। বাংলাদেশে যৌনপীড়ন ও ধর্ষণের বর্তমান অবস্থা, এর পেছনের কারণ, আইনি কাঠামো, সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং নারী সুরক্ষায় আমাদের করণীয় –

বাংলাদেশে যৌনপীড়ন ও ধর্ষণের বর্তমান অবস্থা:
গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতি বছর হাজার হাজার নারী ও শিশু যৌন সহিংসতার শিকার হয়। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের তথ্য মতে, ২০২২ সালে ১,০০০ এরও বেশি ধর্ষণের ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। তবে বাস্তবে এই সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতে পারে, কারণ অনেক ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীরা সামাজিক লজ্জা, ভয় ও আইনি জটিলতার কারণে অভিযোগ দায়ের করে না।
ধর্ষণের শিকার নারী ও শিশুদের মধ্যে বেশিরভাগই গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দা। তবে শহরাঞ্চলেও এই ধরনের ঘটনা কম নয়। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের পরিবার, আদিবাসী সম্প্রদায় এবং প্রতিবন্ধী নারী ও শিশুরা বেশি ঝুঁকিতে থাকে। সাম্প্রতিক সময়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত কিছু ঘটনা সমাজকে স্তম্ভিত করেছে। যেমন, স্কুলছাত্রী, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী, এমনকি শিশুদেরও ধর্ষণের শিকার হওয়ার খবর নিয়মিত প্রকাশ পাচ্ছে।

যৌনপীড়ন ও ধর্ষণের পেছনের কারণ:
যৌনপীড়ন ও ধর্ষণের ঘটনা বৃদ্ধির পেছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে। প্রথমত, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দৃষ্টিভঙ্গি। বাংলাদেশের সমাজে এখনও নারীকে পুরুষের চেয়ে নিম্নস্তরের হিসেবে দেখা হয়। নারীরা পুরুষের সম্পত্তি বা ভোগের বস্তু হিসেবে বিবেচিত হয়। এই মানসিকতা যৌন সহিংসতাকে উৎসাহিত করে।
দ্বিতীয়ত, আইনের দুর্বল প্রয়োগ। বাংলাদেশে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ধর্ষণের জন্য কঠোর শাস্তির বিধান থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে আইনের সঠিক প্রয়োগ হয় না। পুলিশ ও আদালতের দীর্ঘসূত্রতা, সাক্ষ্য-প্রমাণের অভাব এবং ভুক্তভোগীদের প্রতি সামাজিক চাপের কারণে অনেক অপরাধী শাস্তি এড়িয়ে যায়।

তৃতীয়ত, শিক্ষা ও সচেতনতার অভাব। অনেক ক্ষেত্রে যৌন সহিংসতার শিকার নারী ও শিশুরা জানেই না যে তাদের অধিকার কী এবং কীভাবে আইনি সহায়তা পাওয়া যায়। এছাড়া, পুরুষদের মধ্যে নারী অধিকার ও সম্মান সম্পর্কে সচেতনতার অভাব রয়েছে।
চতুর্থত, অর্থনৈতিক অসচ্ছলতা। দারিদ্র্য ও বেকারত্বের কারণে অনেক পুরুষ হতাশায় ভোগে, যা তাদের সহিংস আচরণের দিকে ঠেলে দেয়। এছাড়া, নিম্ন আয়ের পরিবারের নারী ও শিশুরা সহিংসতার শিকার হলে তাদের পক্ষে আইনি লড়াই চালানো কঠিন হয়ে পড়ে।

আইনি কাঠামো ও এর সীমাবদ্ধতা:
বাংলাদেশে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধিত ২০২০) ধর্ষণ ও যৌন সহিংসতার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে। এই আইনে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। এছাড়া, নারী ও শিশু নির্যাতনের অন্যান্য রূপ যেমন, যৌন হয়রানি, এসিড নিক্ষেপ, বাল্যবিবাহ ইত্যাদির বিরুদ্ধেও শাস্তির বিধান রয়েছে।
তবে আইনের সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। প্রথমত, অনেক ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীরা আইনি সহায়তা পায় না। দ্বিতীয়ত, পুলিশ ও আদালতের দীর্ঘসূত্রতা এবং দুর্নীতির কারণে অনেক অপরাধী শাস্তি এড়িয়ে যায়। তৃতীয়ত, আইনের প্রয়োগে সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রভাব পড়ে। অনেক ক্ষেত্রে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা আইনের ঊর্ধ্বে থেকে যায়।

গণমাধ্যমের ভূমিকা:
গণমাধ্যম যৌনপীড়ন ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে টেলিভিশন, পত্রিকা ও অনলাইন মিডিয়ায় যৌন সহিংসতার ঘটনা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। এই আলোচনা সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধি করেছে এবং ভুক্তভোগীদের সাহস জুগিয়েছে।
তবে গণমাধ্যমের কিছু নেতিবাচক দিকও রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীর ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করা হয়, যা তাদের সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করে। এছাড়া, কিছু মিডিয়া সংবাদকে সেনসেশনাল করে তোলে, যা ভুক্তভোগীর মানসিক অবস্থাকে আরও খারাপ করে।

নারী সুরক্ষায় আমাদের করণীয়:
যৌনপীড়ন ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হলে আমাদের সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। নারী নিরাপত্তা, সুরক্ষা ও সমতা নিশ্চিত করা সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব। এ লক্ষ্যে আমাদের নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করা উচিত:

১. সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন:
লিঙ্গ ভিত্তিক কুসংস্কার দূরীকরণ: নারীদের প্রতি সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে কাজ করতে হবে। নারী ও পুরুষের সমান অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। লিঙ্গ ভিত্তিক কুসংস্কার ও বৈষম্য দূর করতে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এ জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও গণমাধ্যমকে এগিয়ে আসতে হবে।
পুরুষদের সম্পৃক্ততা: পুরুষদের নারী নিরাপত্তা ও সমতা বিষয়ে সচেতন ও সম্পৃক্ত করতে হবে। নারী সুরক্ষা শুধু নারীদের বিষয় নয়, পুরুষদেরও এই লড়াইয়ে অংশ নিতে হবে। পুরুষদের মধ্যে নারী অধিকার ও সম্মান সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।

২. আইনি সংস্কার ও প্রয়োগ: নারী নির্যাতন ও বৈষম্য রোধে বিদ্যমান আইনগুলির সংস্কার ও প্রয়োগ কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। পুলিশ ও আদালতের দীর্ঘসূত্রতা কমাতে হবে এবং ভুক্তভোগীদের জন্য দ্রুত বিচার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। এছাড়া, আইনি সহায়তা প্রদানের জন্য সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে হবে। ধর্ষণ, যৌন হয়রানি, গৃহস্থালি সহিংসতা ইত্যাদির বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার ও শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
৩. নারী ও শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত: নারী ও শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। স্কুল, কলেজ ও কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কঠোর নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। এছাড়া, নারী ও শিশুদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করতে হবে।নারীদের জন্য জরুরি হেল্পলাইন ও সহায়তা কেন্দ্র স্থাপন করতে হবে।
৪. শিক্ষা ও সচেতনতা: স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে লিঙ্গ সমতা ও নারী

অধিকার বিষয়ক শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। নারী নিরাপত্তা ও সমতা সম্পর্কে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রচারাভিযান চালানো প্রয়োজন। নারী সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। নারী ও শিশুদের তাদের অধিকার ও আইনি সহায়তা সম্পর্কে জানাতে হবে। এ জন্য বিভিন্ন কর্মশালা, সেমিনার ও প্রচারণা চালাতে হবে।
৫. পরিবার ও সমাজের ভূমিকা: পরিবার থেকে নারীদের প্রতি সম্মান ও সমতা শিক্ষা দিতে হবে। সমাজের সকল স্তরে নারীদের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলতে হবে।
৬. নারী ক্ষমতায়ন:
অর্থনৈতিক স্বাধীনতা: নারীদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।
রাজনৈতিক অংশগ্রহণ: নারীদের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করতে হবে, যাতে তারা নীতি নির্ধারণে ভূমিকা রাখতে পারে।

৭. সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ:
সরকারি নীতি: সরকারকে নারী নিরাপত্তা ও সমতা নিশ্চিত করতে কার্যকর নীতি ও কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে।
বেসরকারি সংস্থা: এনজিও ও সুশীল সমাজকে নারী অধিকার রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে।

যৌনপীড়ন ও ধর্ষণ একটি সামাজিক ব্যাধি, যা সমাজের প্রতিটি স্তরকে প্রভাবিত করে। এই সমস্যা সমাধানে নারী নিরাপত্তা ও সমতা নিশ্চিত করতে আমাদের সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে। আইনের সঠিক প্রয়োগ, সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন, সচেতনতা বৃদ্ধি এবং নারী ও শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার মাধ্যমে আমরা একটি নিরাপদ ও সমতাভিত্তিক সমাজ গড়ে তুলতে পারি। নারী সুরক্ষা শুধু নারীর বিষয় নয়, এটি সমগ্র সমাজের দায়িত্ব। আসুন, আমরা সবাই মিলে এই লড়াইয়ে অংশ নিই এবং একটি নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ে তুলি।