আজ মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর ১৪৬তম জন্মদিন
- আপডেট সময়- ১০:৩২:৫৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫ ৭ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন নিউজ ডেস্ক।।
মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ১৪৬তম জন্মদিন আজ। ১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়াপল্লীতে জন্মগ্রহণ করেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত এই জননেতা। হাজি শারাফত আলী ও বেগম শারাফত আলীর চার সন্তানের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার ছোট। শৈশবে তাঁর ডাক নাম ছিল ‘চেগা মিয়া’।
ইসলামি শিক্ষার উদ্দেশ্যে ১৯০৭ সালে তিনি ভারতের দারুল উলূম দেওবন্দে যান এবং দুই বছর অধ্যয়ন শেষে আসামে ফিরে আসেন। পরবর্তীতে ১৯১৭ সালে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের ভাষণ শুনে তিনি রাজনৈতিকভাবে অনুপ্রাণিত হন।
জন্মদিন উপলক্ষে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
ব্রিটিশবিরোধী গণআন্দোলনের অন্যতম পুরোধা, ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টির আন্দোলন এবং ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার স্বপ্ন বীজ রোপণকারী এই মহান নেতার রাজনৈতিক জীবন ছিল অত্যন্ত সক্রিয় ও সংগ্রামমুখর। শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠাই ছিল তাঁর আজীবনের লক্ষ্য।
১৯১৯ সালে কংগ্রেসে যোগদানের পর তিনি খেলাফত ও অসহযোগ আন্দোলনে অংশ নিয়ে কারাবরণ করেন। ১৯২৬ সালে আসামে প্রথম কৃষক-প্রজা আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। ১৯২৯ সালে আসামের ধুবড়ীতে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাসানচরে কৃষক সম্মেলন আয়োজনের পর থেকেই তাঁর নামের সঙ্গে ‘ভাসানী’ যুক্ত হয়।
ভাষা আন্দোলনেও ছিল তাঁর অগ্রণী ভূমিকা। ১৯৪৮ সালে পাকিস্তানির প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করতে আপত্তি জানালে মওলানা ভাসানী প্রকাশ্যে প্রতিবাদ জানান।
১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে তিনি ছিলেন অন্যতম নেতৃত্বদানকারী ব্যক্তি। ১৯৬৪, ১৯৬৫, ১৯৬৮ সালের আন্দোলনগুলো এবং ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি ভারতে গিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলীর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৭৬ সালে ফারাক্কা বাঁধের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক লংমার্চ করে তিনি নতুন উচ্চতায় পৌঁছান। শ্রমিক, কৃষক ও নিপীড়িত মানুষের অধিকার রক্ষায় আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন তিনি।
মওলানা ভাসানী ১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর ঢাকার পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তাকে টাঙ্গাইলের সন্তোষে দাফন করা হয়।
২০০২ সালে ভাষা আন্দোলনে অবদানের জন্য তাঁকে মরণোত্তর একুশে পদক প্রদান করা হয়। ২০০৪ সালে বিবিসির জরিপে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি তালিকায় তিনি অষ্টম স্থান অর্জন করেন।
নিউজটি শেয়ার করুন..

-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ



































































































