ঢাকা ০৯:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ:-
কুষ্টিয়ায় আব্দুল করিম কলেজের খেলার মাঠ দখল করে ব্লক তৈরি না’গঞ্জে ট্রাফিক পুলিশের মাঝে ছাতা, স্যালাইন, মাক্সসহ বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ উলামা পরিষদ ও খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত না’গঞ্জকে স্বাস্থ্যসম্মত ও মানবিক শহরে রূপান্তর হবে-৩’শ শয্যা হাসপাতাল পরিদর্শনে ডিসি জাহিদুল বাংলাদেশ ক্লথ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশ’র সভাপতি হলেন প্রবীর কুমার সাহা ইয়ার্ন মার্চেন্ট নির্বাচনে মাহফুজুর রহমানের নেতৃত্বে এসোসিয়েট গ্রুপে ৬ প্রার্থীর মনোনয়ন জমা মুন্সীগঞ্জের আড়িয়াল বিলে ধান কাটলেন দুই উপদেষ্টা গজারিয়ায় ১৫ হাজার লিটার চোরাই তেলসহ লরি জব্দ করল জনতা সারাদেশে তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন ২০০১ সালের পর আর দেশে দেখা মিলেনি-নাসের রহমান  শ্রীমঙ্গলে অপহরণ মামলার আসামী রাজু বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার  না’গঞ্জ ৩’শ শয্যা হাসপাতাল পরিদর্শন; সেবার মানোন্নয়নে ৫টি হুইল চেয়ার প্রদান করেন ডিসি আশুলিয়া থেকে মৃত্যুদণ্ড সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-১১ কলারোয়ায় মায়ের হাতে দেড় বছরের শিশু কন্যা খুন কুষ্টিয়ায় দলিল লেখক ঘুষ দাবি করায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা সিদ্ধিরগঞ্জ থানা জিয়া সৈনিক দলের  পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা অবশেষে ফরিদপুরে বদলি আড়াইহাজারের বিতর্কিত ওসি এনায়েত হোসেন শেরপুরে মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকের ওপর হামলা: যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক-৩ শ্রীমঙ্গলে পর্নোগ্রাফি মামলার আসামি হুমায়ুন গ্রেপ্তার কাস্মীরে হা*মলা; ভারত-পাকিস্তান ‘যু*দ্ধের’ শঙ্কা ক্রমশ বাড়ছে দৌলতপুরে এসএসসি পরীক্ষায় শতভাগ শিক্ষার্থী অনুপস্থিত, প্রধান শিক্ষককে নোটিশ পটুয়াখালীতে হিজাব না খোলায় ৪ পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্র নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পারভেজ হত্যা মামলার প্রধান আসামি মেহেরাজ গাইবান্ধায় গ্রেপ্তার মুন্সীগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে পদত্যাগ করে ছাত্রদলে যোগদান  সোনারগাঁয়ে নারকোটিসের অভিযানে ১৮ হাজার ৫’শ ইয়াবাসহ আটক-২ রূপগঞ্জে রায়হান হত্যা মামলায় একই পরিবারের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার উত্তরার খিলখেতে স্থানীয় দোকানপাটে নিয়মিত চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার-২ মুহাম্মদ ফাউন্ডেশন’র পক্ষ থেকে হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে হুইল চেয়ার বিতরণ  সংস্কারের নামে নাটক মঞ্চস্থ না করে দ্রুত নির্বাচন দিন: রুমিন ফারহানা সিলেট রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ শ্রীমঙ্গল থানার ওসি আমিনুল  রায়পুরায় শারীরিক প্রতিবন্ধীকে হুইল চেয়ার উপহার দিলেন মানবিক ইউএনও  ৩৬ দিনে নয়, বিএনপির ১৬ বছরের সংগ্রাম ও গণবিস্ফোরণের ফল: রুমিন ফারহানা জুড়ীতে ডিবির বিশেষ অভিযানে ৪’শ ১০পিস ইয়াবাসহ আটক-১ মুন্সীগঞ্জে অটোরিক্সা ছিনতাইকালে অস্ত্র ও বোমাসহ যুবদল কর্মী গ্রেপ্তার কুমারখালী পৌরসভায় ৪৩ মাসের বেতন বকেয়া: ফটকে তালা মুন্সীগঞ্জে ৬ টন আলু হিমাগারে সংরক্ষণ করতে না পেরে বিপাকে কৃষক ছাত্রদলের পারভেজ হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে বড়লেখায় মানববন্ধন  মৌলভীবাজারে A One ব্রেড এন্ড বিস্কুট ফ্যাক্টরিকে ২ লাখ টাকা জরিমানা টিকটকে পরিচয়ে প্রেম-বিয়ে, স্ত্রী’র মর্যাদার দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে  গজারিয়ায় তুচ্ছ ঘটনায় দুই দল শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ,আহত- ৪ বিএনপি নেতার রাস্তা উদ্ধোধনে আওয়ামী লীগ নারায়ণগঞ্জে চাঞ্চল্যকর সোহান হত্যা মামলার প্রধাম আসামি কাজল গ্রেপ্তার সংবাদপত্র হকার্স সমিতির সাবেক পরিচালক আর নেই ভিক্টোরিয়া হাসপাতালকে আধুনিকতায় নতুন রূপে গড়ে তোলা হবে: ডিসি শেরপুর থানার বিশেষ অভিযানে দুই’শ পিস ইয়াবাসহ আটক-১ পটুয়াখালীর দুমকীতে ৮০ বছরের বৃদ্ধাকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে অভিযুক্ত গ্রেপ্তার কুষ্টিয়ায় সোন্দাহ স্কুলের গাছে ঝুলছিল নৈশপ্রহরীর মরদেহ কমলগঞ্জে ১’শ ষাট পিস ইয়াবাসহ পুলিশের জালে মাদক কারবারী গাইবান্ধায় ৬ দফা দাবি আদায়ে ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষকদের মানববন্ধন শ্রীমঙ্গল উপজেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক মতবিনিময় সভা মৌলভীবাজারের কৃষকরা ধান কেটে চোঁখে মুখে হাসির ঝিলিক আজ থেকে আপিল বিভাগের আরও দুটি বেঞ্চে চলবে বিচারকার্য নারায়ণগঞ্জে পাভেল হত্যার প্রধান আসামি ‘কবুতর বাবু’ বরিশালে গ্রেপ্তার  ঈশ্বরদীতে উপজেলা হ্যান্ডেলিং শ্রমিক ইউনিয়নের তৃণমূল কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত বড়লেখায় যুবলীগ নেতা মিলাদ শ্রীঘরে  গাজীপুরে ২ শিশুকে হত্যার ঘটনায় মা জড়িত: পুলিশ বাউফলে ইয়াবাসহ স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা গ্রেপ্তার অস্থিতিশীল কাঁচা বাজার: বাজারে সবজি প্রচুর থাকলেও ৮০ টাকার নিচে মিলছেই না টঙ্গীতে ২ শিশুর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার গাইবান্ধায় প্রেমের টানে ভাগ্নের হাত ধরে মামী উধাও  শ্রীমঙ্গলে নিষিদ্ধ কোডিন সহ আটক-১ ভৈরবের গজারিয়া ইউনিয়নে মাদক’ বিরোধী র‍্যালী ও পথসভা মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলকে জেলার শ্রেষ্ঠ থানা ঘোষণা  সুন্দরগঞ্জে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা: জাপা নেতা ও কলেজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলা মুন্সীগঞ্জের টংঙ্গীবাড়ীতে চেয়ারম্যানকে গুলি করে মারার হুমকি পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা বন্ধ পটুয়াখালী সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা.শামীম আল আজাদকে ‘ওএসডি কুলাউড়ায় দখলকৃত ২ কোটি টাকা সমমূল্যের সরকারি জমি উদ্ধার  শ্রীমঙ্গলে বজ্রপাতে মারাত্মকভাবে আহত পিতা-পুত্র  ফরিদপুরে হজ্ব যাত্রীদের নিয়ে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত গাজায় ইসরাইলী বর্বর গনহত্যার প্রতিবাদে মৌলভীবাজারে বিক্ষোভ সমাবেশ কলাপাড়ায় বিএনপি কার্যালয়সহ চার দোকান পুড়ে ছাই টেকনাফে বিজিবির অভিযানে এক লক্ষ পিস ইয়াবাসহ আটক-১ ২৪’এ ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের মাঝে জেলা পরিষদের আর্থিক অনুদান প্রদান নারায়ণগঞ্জে মুরাদ হত্যার পলাতক আসামি ২১ বছর পর র‍্যাবের জালে জিলাপি খেতে চাওয়া ইটনা থানার সেই ওসি মনোয়ার প্রত্যাহার বাউফলে দাখিল পরীক্ষা কেন্দ্রে  বিশেষ সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ সাংবাদিক ও কবি সৌমিত্র দেব আর নেই গাইবান্ধা-২ আসনের সাবেক এমপি সারোয়ার কবীর গ্রেপ্তার গাইবান্ধায় এসএসসি পরীক্ষায় নকলের মহোৎসব: ১ শিক্ষকসহ ১০ পরীক্ষার্থী বহিষ্কার কুষ্টিয়ায় ট্রাকের ধাক্কায় বৃদ্ধ নিহত গাজাবাসীর প্রতি সংহতির বার্তা নিয়ে না’গঞ্জ জেলা প্রশাসকের বর্ণীল পহেলা বৈশাখ পালন নির্দেশ না মানায় হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুদান স্থগিত করলেন ট্রাম্প প্রশাসন চট্টগ্রামে আ’লীগ একাধিক নেতাকর্মীদের বাড়িতে দিনভর লুটপাট-হামলা-ভাঙচুর দেশবাসীকে নববর্ষ সম্প্রীতিসহ জাতীয় ঐক্যের বার্তা দিলেন সেনাপ্রধান দীর্ঘদিন কারাভোগের পর অবশেষে মুক্ত সাবেক ছাত্রদল নেতা জাকির খান “মার্চ ফর গাজা” শক্তিশালী বার্তা হিসেবে বিশ্বজুড়ে প্রতিধ্বনিত হবে কুষ্টিয়ায় র‍্যাবের অভিযানে অপহরণকারী গ্রেপ্তার ও অপহৃত ভিকটিম উদ্ধার গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করতে বলায় সামরিক কর্মকর্তাদের বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেতানিয়াহুর গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, না’গঞ্জে বিক্ষোভ কিছু উপদেষ্টার পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার খায়েশ জন্মেছে: মুন্সীগঞ্জে ড.আসাদুজ্জামান গাজায় গণহত্যা বন্ধে দাবিতে সাতক্ষীরা শিবিরের বিক্ষোভ শ্রীমঙ্গলের জাগছড়া চা বাগান থেকে ১৫ ফুট লম্বা অজগর উদ্ধার  কমলগঞ্জে যৌথবাহিনীর অভিযানে লাখ টাকা জরিমানা ও কারাদণ্ড নারায়ণগঞ্জে বস্তাবন্দি দুই নারীসহ এক শিশুর অর্ধগলিত খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার জাকির খানের মুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই,রোববার মুক্ত মৌলভীবাজারে আইনজীবী সুজন মিসকিলিং’র শিকার; চাঞ্চল্যকর তথ্য; গ্রেপ্তার ৫ প্রতারণার অভিযোগে জাতীয় নাগরিক কমিটির নেত্রী দিলশাদ পুলিশি হেফাজতে কুষ্টিয়ায় চুরির অভিযোগে রিক্সা চালককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উত্তরায় মেট্রোরেল চোরাই পণ্যের অনুসন্ধানের সময় তিন সাংবাদিকদের উপর হামলা গ্রেপ্তার-১

যৌনপীড়ন, ধর্ষণ ও নারী সুরক্ষায় আমাদের করণীয়

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময়- ০৯:৩১:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫ ৫৯ বার পড়া হয়েছে

 

মোঃ ফেরদৌস আলম।।

বাংলাদেশে যৌনপীড়ন ও ধর্ষণের ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। নারীরা আজও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ধর্ষণ ও যৌন সহিংসতার ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, নারী সুরক্ষা নীতিমালা এবং বিভিন্ন সামাজিক উদ্যোগ সত্ত্বেও এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না। বাংলাদেশে যৌনপীড়ন ও ধর্ষণের বর্তমান অবস্থা, এর পেছনের কারণ, আইনি কাঠামো, সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং নারী সুরক্ষায় আমাদের করণীয় –

বাংলাদেশে যৌনপীড়ন ও ধর্ষণের বর্তমান অবস্থা:
গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতি বছর হাজার হাজার নারী ও শিশু যৌন সহিংসতার শিকার হয়। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের তথ্য মতে, ২০২২ সালে ১,০০০ এরও বেশি ধর্ষণের ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। তবে বাস্তবে এই সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতে পারে, কারণ অনেক ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীরা সামাজিক লজ্জা, ভয় ও আইনি জটিলতার কারণে অভিযোগ দায়ের করে না।
ধর্ষণের শিকার নারী ও শিশুদের মধ্যে বেশিরভাগই গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দা। তবে শহরাঞ্চলেও এই ধরনের ঘটনা কম নয়। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের পরিবার, আদিবাসী সম্প্রদায় এবং প্রতিবন্ধী নারী ও শিশুরা বেশি ঝুঁকিতে থাকে। সাম্প্রতিক সময়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত কিছু ঘটনা সমাজকে স্তম্ভিত করেছে। যেমন, স্কুলছাত্রী, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী, এমনকি শিশুদেরও ধর্ষণের শিকার হওয়ার খবর নিয়মিত প্রকাশ পাচ্ছে।

যৌনপীড়ন ও ধর্ষণের পেছনের কারণ:
যৌনপীড়ন ও ধর্ষণের ঘটনা বৃদ্ধির পেছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে। প্রথমত, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দৃষ্টিভঙ্গি। বাংলাদেশের সমাজে এখনও নারীকে পুরুষের চেয়ে নিম্নস্তরের হিসেবে দেখা হয়। নারীরা পুরুষের সম্পত্তি বা ভোগের বস্তু হিসেবে বিবেচিত হয়। এই মানসিকতা যৌন সহিংসতাকে উৎসাহিত করে।
দ্বিতীয়ত, আইনের দুর্বল প্রয়োগ। বাংলাদেশে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ধর্ষণের জন্য কঠোর শাস্তির বিধান থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে আইনের সঠিক প্রয়োগ হয় না। পুলিশ ও আদালতের দীর্ঘসূত্রতা, সাক্ষ্য-প্রমাণের অভাব এবং ভুক্তভোগীদের প্রতি সামাজিক চাপের কারণে অনেক অপরাধী শাস্তি এড়িয়ে যায়।

তৃতীয়ত, শিক্ষা ও সচেতনতার অভাব। অনেক ক্ষেত্রে যৌন সহিংসতার শিকার নারী ও শিশুরা জানেই না যে তাদের অধিকার কী এবং কীভাবে আইনি সহায়তা পাওয়া যায়। এছাড়া, পুরুষদের মধ্যে নারী অধিকার ও সম্মান সম্পর্কে সচেতনতার অভাব রয়েছে।
চতুর্থত, অর্থনৈতিক অসচ্ছলতা। দারিদ্র্য ও বেকারত্বের কারণে অনেক পুরুষ হতাশায় ভোগে, যা তাদের সহিংস আচরণের দিকে ঠেলে দেয়। এছাড়া, নিম্ন আয়ের পরিবারের নারী ও শিশুরা সহিংসতার শিকার হলে তাদের পক্ষে আইনি লড়াই চালানো কঠিন হয়ে পড়ে।

আইনি কাঠামো ও এর সীমাবদ্ধতা:
বাংলাদেশে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধিত ২০২০) ধর্ষণ ও যৌন সহিংসতার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে। এই আইনে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। এছাড়া, নারী ও শিশু নির্যাতনের অন্যান্য রূপ যেমন, যৌন হয়রানি, এসিড নিক্ষেপ, বাল্যবিবাহ ইত্যাদির বিরুদ্ধেও শাস্তির বিধান রয়েছে।
তবে আইনের সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। প্রথমত, অনেক ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীরা আইনি সহায়তা পায় না। দ্বিতীয়ত, পুলিশ ও আদালতের দীর্ঘসূত্রতা এবং দুর্নীতির কারণে অনেক অপরাধী শাস্তি এড়িয়ে যায়। তৃতীয়ত, আইনের প্রয়োগে সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রভাব পড়ে। অনেক ক্ষেত্রে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা আইনের ঊর্ধ্বে থেকে যায়।

গণমাধ্যমের ভূমিকা:
গণমাধ্যম যৌনপীড়ন ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে টেলিভিশন, পত্রিকা ও অনলাইন মিডিয়ায় যৌন সহিংসতার ঘটনা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। এই আলোচনা সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধি করেছে এবং ভুক্তভোগীদের সাহস জুগিয়েছে।
তবে গণমাধ্যমের কিছু নেতিবাচক দিকও রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীর ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করা হয়, যা তাদের সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করে। এছাড়া, কিছু মিডিয়া সংবাদকে সেনসেশনাল করে তোলে, যা ভুক্তভোগীর মানসিক অবস্থাকে আরও খারাপ করে।

নারী সুরক্ষায় আমাদের করণীয়:
যৌনপীড়ন ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হলে আমাদের সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। নারী নিরাপত্তা, সুরক্ষা ও সমতা নিশ্চিত করা সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব। এ লক্ষ্যে আমাদের নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করা উচিত:

১. সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন:
লিঙ্গ ভিত্তিক কুসংস্কার দূরীকরণ: নারীদের প্রতি সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে কাজ করতে হবে। নারী ও পুরুষের সমান অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। লিঙ্গ ভিত্তিক কুসংস্কার ও বৈষম্য দূর করতে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এ জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও গণমাধ্যমকে এগিয়ে আসতে হবে।
পুরুষদের সম্পৃক্ততা: পুরুষদের নারী নিরাপত্তা ও সমতা বিষয়ে সচেতন ও সম্পৃক্ত করতে হবে। নারী সুরক্ষা শুধু নারীদের বিষয় নয়, পুরুষদেরও এই লড়াইয়ে অংশ নিতে হবে। পুরুষদের মধ্যে নারী অধিকার ও সম্মান সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।

২. আইনি সংস্কার ও প্রয়োগ: নারী নির্যাতন ও বৈষম্য রোধে বিদ্যমান আইনগুলির সংস্কার ও প্রয়োগ কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। পুলিশ ও আদালতের দীর্ঘসূত্রতা কমাতে হবে এবং ভুক্তভোগীদের জন্য দ্রুত বিচার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। এছাড়া, আইনি সহায়তা প্রদানের জন্য সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে হবে। ধর্ষণ, যৌন হয়রানি, গৃহস্থালি সহিংসতা ইত্যাদির বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার ও শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
৩. নারী ও শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত: নারী ও শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। স্কুল, কলেজ ও কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কঠোর নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। এছাড়া, নারী ও শিশুদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করতে হবে।নারীদের জন্য জরুরি হেল্পলাইন ও সহায়তা কেন্দ্র স্থাপন করতে হবে।
৪. শিক্ষা ও সচেতনতা: স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে লিঙ্গ সমতা ও নারী

অধিকার বিষয়ক শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। নারী নিরাপত্তা ও সমতা সম্পর্কে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রচারাভিযান চালানো প্রয়োজন। নারী সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। নারী ও শিশুদের তাদের অধিকার ও আইনি সহায়তা সম্পর্কে জানাতে হবে। এ জন্য বিভিন্ন কর্মশালা, সেমিনার ও প্রচারণা চালাতে হবে।
৫. পরিবার ও সমাজের ভূমিকা: পরিবার থেকে নারীদের প্রতি সম্মান ও সমতা শিক্ষা দিতে হবে। সমাজের সকল স্তরে নারীদের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলতে হবে।
৬. নারী ক্ষমতায়ন:
অর্থনৈতিক স্বাধীনতা: নারীদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।
রাজনৈতিক অংশগ্রহণ: নারীদের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করতে হবে, যাতে তারা নীতি নির্ধারণে ভূমিকা রাখতে পারে।

৭. সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ:
সরকারি নীতি: সরকারকে নারী নিরাপত্তা ও সমতা নিশ্চিত করতে কার্যকর নীতি ও কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে।
বেসরকারি সংস্থা: এনজিও ও সুশীল সমাজকে নারী অধিকার রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে।

যৌনপীড়ন ও ধর্ষণ একটি সামাজিক ব্যাধি, যা সমাজের প্রতিটি স্তরকে প্রভাবিত করে। এই সমস্যা সমাধানে নারী নিরাপত্তা ও সমতা নিশ্চিত করতে আমাদের সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে। আইনের সঠিক প্রয়োগ, সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন, সচেতনতা বৃদ্ধি এবং নারী ও শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার মাধ্যমে আমরা একটি নিরাপদ ও সমতাভিত্তিক সমাজ গড়ে তুলতে পারি। নারী সুরক্ষা শুধু নারীর বিষয় নয়, এটি সমগ্র সমাজের দায়িত্ব। আসুন, আমরা সবাই মিলে এই লড়াইয়ে অংশ নিই এবং একটি নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ে তুলি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস:-

যৌনপীড়ন, ধর্ষণ ও নারী সুরক্ষায় আমাদের করণীয়

আপডেট সময়- ০৯:৩১:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫

 

মোঃ ফেরদৌস আলম।।

বাংলাদেশে যৌনপীড়ন ও ধর্ষণের ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। নারীরা আজও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ধর্ষণ ও যৌন সহিংসতার ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, নারী সুরক্ষা নীতিমালা এবং বিভিন্ন সামাজিক উদ্যোগ সত্ত্বেও এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না। বাংলাদেশে যৌনপীড়ন ও ধর্ষণের বর্তমান অবস্থা, এর পেছনের কারণ, আইনি কাঠামো, সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং নারী সুরক্ষায় আমাদের করণীয় –

বাংলাদেশে যৌনপীড়ন ও ধর্ষণের বর্তমান অবস্থা:
গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতি বছর হাজার হাজার নারী ও শিশু যৌন সহিংসতার শিকার হয়। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের তথ্য মতে, ২০২২ সালে ১,০০০ এরও বেশি ধর্ষণের ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। তবে বাস্তবে এই সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতে পারে, কারণ অনেক ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীরা সামাজিক লজ্জা, ভয় ও আইনি জটিলতার কারণে অভিযোগ দায়ের করে না।
ধর্ষণের শিকার নারী ও শিশুদের মধ্যে বেশিরভাগই গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দা। তবে শহরাঞ্চলেও এই ধরনের ঘটনা কম নয়। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের পরিবার, আদিবাসী সম্প্রদায় এবং প্রতিবন্ধী নারী ও শিশুরা বেশি ঝুঁকিতে থাকে। সাম্প্রতিক সময়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত কিছু ঘটনা সমাজকে স্তম্ভিত করেছে। যেমন, স্কুলছাত্রী, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী, এমনকি শিশুদেরও ধর্ষণের শিকার হওয়ার খবর নিয়মিত প্রকাশ পাচ্ছে।

যৌনপীড়ন ও ধর্ষণের পেছনের কারণ:
যৌনপীড়ন ও ধর্ষণের ঘটনা বৃদ্ধির পেছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে। প্রথমত, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দৃষ্টিভঙ্গি। বাংলাদেশের সমাজে এখনও নারীকে পুরুষের চেয়ে নিম্নস্তরের হিসেবে দেখা হয়। নারীরা পুরুষের সম্পত্তি বা ভোগের বস্তু হিসেবে বিবেচিত হয়। এই মানসিকতা যৌন সহিংসতাকে উৎসাহিত করে।
দ্বিতীয়ত, আইনের দুর্বল প্রয়োগ। বাংলাদেশে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ধর্ষণের জন্য কঠোর শাস্তির বিধান থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে আইনের সঠিক প্রয়োগ হয় না। পুলিশ ও আদালতের দীর্ঘসূত্রতা, সাক্ষ্য-প্রমাণের অভাব এবং ভুক্তভোগীদের প্রতি সামাজিক চাপের কারণে অনেক অপরাধী শাস্তি এড়িয়ে যায়।

তৃতীয়ত, শিক্ষা ও সচেতনতার অভাব। অনেক ক্ষেত্রে যৌন সহিংসতার শিকার নারী ও শিশুরা জানেই না যে তাদের অধিকার কী এবং কীভাবে আইনি সহায়তা পাওয়া যায়। এছাড়া, পুরুষদের মধ্যে নারী অধিকার ও সম্মান সম্পর্কে সচেতনতার অভাব রয়েছে।
চতুর্থত, অর্থনৈতিক অসচ্ছলতা। দারিদ্র্য ও বেকারত্বের কারণে অনেক পুরুষ হতাশায় ভোগে, যা তাদের সহিংস আচরণের দিকে ঠেলে দেয়। এছাড়া, নিম্ন আয়ের পরিবারের নারী ও শিশুরা সহিংসতার শিকার হলে তাদের পক্ষে আইনি লড়াই চালানো কঠিন হয়ে পড়ে।

আইনি কাঠামো ও এর সীমাবদ্ধতা:
বাংলাদেশে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধিত ২০২০) ধর্ষণ ও যৌন সহিংসতার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে। এই আইনে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। এছাড়া, নারী ও শিশু নির্যাতনের অন্যান্য রূপ যেমন, যৌন হয়রানি, এসিড নিক্ষেপ, বাল্যবিবাহ ইত্যাদির বিরুদ্ধেও শাস্তির বিধান রয়েছে।
তবে আইনের সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। প্রথমত, অনেক ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীরা আইনি সহায়তা পায় না। দ্বিতীয়ত, পুলিশ ও আদালতের দীর্ঘসূত্রতা এবং দুর্নীতির কারণে অনেক অপরাধী শাস্তি এড়িয়ে যায়। তৃতীয়ত, আইনের প্রয়োগে সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রভাব পড়ে। অনেক ক্ষেত্রে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা আইনের ঊর্ধ্বে থেকে যায়।

গণমাধ্যমের ভূমিকা:
গণমাধ্যম যৌনপীড়ন ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে টেলিভিশন, পত্রিকা ও অনলাইন মিডিয়ায় যৌন সহিংসতার ঘটনা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। এই আলোচনা সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধি করেছে এবং ভুক্তভোগীদের সাহস জুগিয়েছে।
তবে গণমাধ্যমের কিছু নেতিবাচক দিকও রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীর ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করা হয়, যা তাদের সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করে। এছাড়া, কিছু মিডিয়া সংবাদকে সেনসেশনাল করে তোলে, যা ভুক্তভোগীর মানসিক অবস্থাকে আরও খারাপ করে।

নারী সুরক্ষায় আমাদের করণীয়:
যৌনপীড়ন ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হলে আমাদের সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। নারী নিরাপত্তা, সুরক্ষা ও সমতা নিশ্চিত করা সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব। এ লক্ষ্যে আমাদের নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করা উচিত:

১. সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন:
লিঙ্গ ভিত্তিক কুসংস্কার দূরীকরণ: নারীদের প্রতি সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে কাজ করতে হবে। নারী ও পুরুষের সমান অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। লিঙ্গ ভিত্তিক কুসংস্কার ও বৈষম্য দূর করতে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এ জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও গণমাধ্যমকে এগিয়ে আসতে হবে।
পুরুষদের সম্পৃক্ততা: পুরুষদের নারী নিরাপত্তা ও সমতা বিষয়ে সচেতন ও সম্পৃক্ত করতে হবে। নারী সুরক্ষা শুধু নারীদের বিষয় নয়, পুরুষদেরও এই লড়াইয়ে অংশ নিতে হবে। পুরুষদের মধ্যে নারী অধিকার ও সম্মান সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।

২. আইনি সংস্কার ও প্রয়োগ: নারী নির্যাতন ও বৈষম্য রোধে বিদ্যমান আইনগুলির সংস্কার ও প্রয়োগ কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। পুলিশ ও আদালতের দীর্ঘসূত্রতা কমাতে হবে এবং ভুক্তভোগীদের জন্য দ্রুত বিচার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। এছাড়া, আইনি সহায়তা প্রদানের জন্য সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে হবে। ধর্ষণ, যৌন হয়রানি, গৃহস্থালি সহিংসতা ইত্যাদির বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার ও শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
৩. নারী ও শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত: নারী ও শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। স্কুল, কলেজ ও কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কঠোর নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। এছাড়া, নারী ও শিশুদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করতে হবে।নারীদের জন্য জরুরি হেল্পলাইন ও সহায়তা কেন্দ্র স্থাপন করতে হবে।
৪. শিক্ষা ও সচেতনতা: স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে লিঙ্গ সমতা ও নারী

অধিকার বিষয়ক শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। নারী নিরাপত্তা ও সমতা সম্পর্কে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রচারাভিযান চালানো প্রয়োজন। নারী সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। নারী ও শিশুদের তাদের অধিকার ও আইনি সহায়তা সম্পর্কে জানাতে হবে। এ জন্য বিভিন্ন কর্মশালা, সেমিনার ও প্রচারণা চালাতে হবে।
৫. পরিবার ও সমাজের ভূমিকা: পরিবার থেকে নারীদের প্রতি সম্মান ও সমতা শিক্ষা দিতে হবে। সমাজের সকল স্তরে নারীদের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলতে হবে।
৬. নারী ক্ষমতায়ন:
অর্থনৈতিক স্বাধীনতা: নারীদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।
রাজনৈতিক অংশগ্রহণ: নারীদের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করতে হবে, যাতে তারা নীতি নির্ধারণে ভূমিকা রাখতে পারে।

৭. সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ:
সরকারি নীতি: সরকারকে নারী নিরাপত্তা ও সমতা নিশ্চিত করতে কার্যকর নীতি ও কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে।
বেসরকারি সংস্থা: এনজিও ও সুশীল সমাজকে নারী অধিকার রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে।

যৌনপীড়ন ও ধর্ষণ একটি সামাজিক ব্যাধি, যা সমাজের প্রতিটি স্তরকে প্রভাবিত করে। এই সমস্যা সমাধানে নারী নিরাপত্তা ও সমতা নিশ্চিত করতে আমাদের সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে। আইনের সঠিক প্রয়োগ, সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন, সচেতনতা বৃদ্ধি এবং নারী ও শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার মাধ্যমে আমরা একটি নিরাপদ ও সমতাভিত্তিক সমাজ গড়ে তুলতে পারি। নারী সুরক্ষা শুধু নারীর বিষয় নয়, এটি সমগ্র সমাজের দায়িত্ব। আসুন, আমরা সবাই মিলে এই লড়াইয়ে অংশ নিই এবং একটি নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ে তুলি।