ঢাকা-না’গঞ্জ সহ বিভিন্ন স্থানে দখল আর চাঁদাবাজির হাতবদল, নগরবাসীর ক্ষোভ
- আপডেট সময়- ০৩:২৮:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৪ ৪৯ বার পড়া হয়েছে
অনলাইন ডেস্ক।।
রাজধানী ঢাকা-নারায়নগঞ্জ সহ দেশের প্রায় অধিকাংশ এলাকায় পুরোনোদের সরিয়ে নতুন করে গড়ে তোলা হচ্ছে দখলদার আর চাঁদাবাজি সিন্ডিকেট।
বিশেষ করে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নামে ক্ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অফিস দখলে নেয়ার বহু সত্যতা মিলেছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে জায়গায় ফুটপাত দখল করে বসানো হচ্ছে দোকান। এমন দখল আর চাঁদাবাজির ধারাবাহিকতা আর দেখতে চান না সাধারণ জনগন। তাদের সকলের প্রত্যাশা অন্তর্বর্তী সরকার এ ব্যাপারে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
প্রসঙ্গত,ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনে একনায়ক আওয়ামী লীগ শাসন ব্যবস্থার অবসান হয়েছে। এখন চাওয়া দুর্নীতি, লুটপাট, চাঁদাবাজিসহ দুষ্ট চক্রের অবসান।
কিন্তু এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার শুরু হতে না হতেই নতুন করে দখলদারি প্রতিষ্ঠা করতে রাজধানী ও নারায়ণগঞ্জ সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মরিয়া হয়ে ওঠতে দেখা যাচ্ছে বিএনপির নেতাকর্মীদের।
আওয়ামী লীগের ফেলে যাওয়া ইউনিট অফিসে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের সাইনবোর্ডের দেখা মিলছে। আবার কোথাও ফুটপাত দখল করে, এমনকি দেয়ালে নিজেদের দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠার চেষ্টা দেখা গেছে।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে এমন কিছু অফিসে গেলে দলীয় কোন কর্মীর দেখা পাওয়া যায়নি। নেই কোনো কার্যক্রমও। স্থানীয়রা জানান, অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নেয়ার আগে বিশেষ করে পুলিশ ও সরকারবিহীন সময়ে এসব দখল করা হয়েছে। আশঙ্কা আছে পুরাতন চাঁদাবাজদের জায়গায় নতুন চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট গড়ে ওঠার।
মোহম্মদপুরের শ্যামলী ক্লাব। খেলার মাঠে এই ক্লাবটিকেই ছাত্রলীগ, যুবলীগ নিজেদের অফিস বানিয়ে ফেলে। স্থানীয়দের অভিযোগ, চাঁদাবাজির টাকা ভাগাভাগি করা হতো এখানে। সবার প্রত্যাশা আগামীতে সত্যিকার অর্থেই ক্রীড়া ও মানস গঠনে এলাকার কেন্দ্রবিন্দু হোক এইসকল ক্লাব।
এদিকে ঢাকার অদূরে পাশ্ববর্তী জেলা নারায়ণগঞ্জেও এমন চিত্র দেখা গেছে,পরিবহন থেকে শুরু করে হাট, মাঠ,ঘাট ফুটপাত সহ অনেক স্থাপনা দখল করে নিয়েছে বিএনপি।
এমনকি সকল ক্লাবগুলোকেও নিজস্ব সাইনবোর্ড জুলিয়ে রেখেছে।বাদ পরেনি সরকারি জমিও। নারায়ণগঞ্জ ঘুরে চারপাশে এমন চিত্র দেখা গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, বিআইডব্লিউটি এর ৬০ লাখ টাকায় সরকারি ঘাট ইজারা পেয়েও তারা যেতে পারছে না, দখল করে নিয়েছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। অথচ তারা কোনো দলীয় ব্যান্যারে এ ঘাট ইজারা নেননি বলেও স্পষ্ট জানিয়েছেন ভুক্তভোগী। এছাড়াও অন্যান্য আরও অনেক প্রতিষ্ঠান তো আছেই।
অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে তো বটেই বিএনপির শীর্ষ নেতারা বারবার দখলদারি, চাঁদাবাজি থেকে রাজনৈতিক কর্মীদের দূরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু তৃণমূলের এর প্রতিফলন কমই দেখা যাচ্ছে।
সম্প্রতি একটি সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছিলেন, কোথাও কোনো চাঁদাবাজি হলে আমাকে জানাবেন। এই ধরণের অপকর্ম যারা করবেন তাদের ছাড় নেই।