ঢাকা ০২:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ:-
গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশ ঘিরে হামলা-সংঘর্ষে গুলিতে নিহত-৪ দৌলতপুর সীমান্তে বিদেশি পিস্তল ও শর্টগানসহ আটক-২ শরণখোলায় সাপের কামড়ে নারীর মৃত্যু রণক্ষেত্র গোপালগঞ্জ, ১৪৪ ধারা জারি গোপালগঞ্জে এবার ইউএনও’র গাড়ি বহরে হামলা,বহু হতাহত এনসিপির পদযাত্রা ঠেকাতে গোপালগঞ্জে পুলিশের গাড়িতে হামলাসহ আগুন না’গঞ্জে বিগত ছয়মাসের কর্ম ফিরিস্তি ‘মিট দ্যা প্রেস’ এ তুলে ধরলেন ডিসি নওগাঁয় মাকে বাড়িতে ঢুকতে না দেওয়া কুলাঙ্গার ছেলে গ্রেপ্তার কুলাউড়ায় স্ত্রীর মৃত্যুর খবরে তিন ঘণ্টার মধ্যে স্বামীর মৃত্যু শরণখোলায় বাসচাপায় অজ্ঞাত নারীর মৃত্যু শরণখোলা রেঞ্জে অবৈধভাবে মাছ ধরার সময় পাঁচ জেলে আটক পটুয়াখালীতে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী নববধূকে পালাক্রমে ধর্ষণ ভেড়ামারায় মেয়েকে হত্যার অভিযোগ বাবার বিরুদ্ধে, মামলা করলেন মা ভরা মৌসুমে চালের বাজারে অস্থিরতা যুক্তরাষ্ট্রের যৌক্তিক শুল্ক নির্ধারণে আশাবাদী বাংলাদেশ: বাণিজ্য উপদেষ্টা ক্যামব্রিয়ান ও বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান বাশার গ্রেপ্তার মিটফোর্ডে আলোচিত সোহাগ হত্যার অন্যতম আসামি নান্নু না’গঞ্জে গ্রেপ্তার দেশে সর্বপ্রথম নান্দনিক “জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ” নির্মিত হলো নারায়ণগঞ্জে  শ্রীমঙ্গলে আলোচিত কলেজ ছাত্র হৃদয় হত্যার রহস্য উদঘাটনসহ আটক-২ কমলগঞ্জে অ/জ্ঞা/ত ব্যক্তির ভাসমান মৃ/ত/দে/হ উদ্ধার ভাঙ্গায় চলাচলের অনুপযোগী সড়ক সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন ফরিদপুরে সামাজিক সমস্যা নিরসনে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত প্রাচীন অস্পৃশ্য গ্রাম মালানা গণতন্ত্রের নিঃশব্দ সাক্ষী মাউন্ট এভারেস্টের উচ্চতা প্রথম নির্ধারণ করেছেন এক বাঙালি  বাগেরহাটে প্রতিবন্ধী ভাতা প্রদান ও সেবা মূল্যায়ন বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত সোমবার নারায়ণগঞ্জ আসছেন অন্তবর্তী সরকারের ৬ উপদেষ্টা ফ্রান্স প্রবাসীর দায়ের করা চাঁদাবাজি মামলায় অভিযুক্ত জসিম উদ্দিন শ্রীঘরে শরণখোলায় বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে নির্বাচিত হলেন যারা অবৈধ মৎস্য শিকারিদের কবলে হাকালুকি হাওর সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতিতে বিক্ষোভ মিছিল ডেঙ্গু মোকাবেলায় ৩’শ শয্যা হাসপাতালের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম পরিদর্শনে ডিসি পাথর মেরে বর্বরোচিত হত্যার প্রতিবাদে কুষ্টিয়ায় ইসলামী আন্দোলন বিক্ষোভ স্বামীর লিঙ্গ কর্তন: থানা হেফাজতে ‘বিষপানে’ নারীর মৃত্যু, ৩ পুলিশ বরখাস্ত কুলাউড়ার ওসির তৃতীয় দফায় বদলির পর ডিআইজির হস্তক্ষেপ মৌলভীবাজারে শেখ মুজিবের ম‍্যুরাল ভেঙে দিল ছাত্র-জনতা কুষ্টিয়ায় অটোরিকশাচালকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ রাজধানীর মিটফোর্ডের সামনে নৃশংস হত্যার ঘটনায় মূলহোতাসহ গ্রেপ্তার-৪ রাজধানীতে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ: মৃত্যু নিশ্চিতের পর লাশের ওপর লাফায় ঘাতকরা বিসিএমএ’র নতুন সভাপতি প্রিমিয়ার সিমেন্টের কর্ণধার আমিরুল হক দেওভোগে স্কুলের উন্নয়নে এগিয়ে এলেন মাসুদুজ্জামান বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিসের ১৮ বিচারক’কে অবসরে পাঠাল সরকার ‘হয়রানিমূলক মামলা ও গ্রেপ্তার ঠেকাতে’ ফৌজদারি কার্যবিধি সংশোধনের অধ্যাদেশ জারি যে কারনে পদায়নের ৭২ ঘন্টার মাথায় সোনারগাঁয়ের ওসি ক্লোজড শ্রীমঙ্গলে গৃহবধুর অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধার নারায়ণগঞ্জ কারাগারে ’জুয়াড়ি শাহজাহান’ খ্যাত কয়েদির মৃত্যু গাইবান্ধায় এসএসসিতে অকৃতকার্য: অভিমানে তিন ছাত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা, ২ জন প্রাণ হারালেন সুন্দরবনে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরার সময় ৩ ট্রলারসহ আটক ২৭ জেলে পলাশবাড়ীতে এসএসসিতে ফেলের শোকে ১৬ বছরের লাবণ্যের আত্মহত্যা গাইবান্ধার দুই স্কুলে এসএসসি পরীক্ষায় শূন্য পাসের রেকর্ড শরণখোলায় সিএসও নেটওয়ার্কের সেবা মূল্যায়ন বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত টঙ্গীর শীর্ষ সন্ত্রাসী সৈকতসহ ৬ সহযোগী র‍্যাবের জালে পাকশীতে স্কুলছাত্রী রুপাকে অপহরণচেষ্টা ব্যর্থ, অভিযুক্ত নাইম পলাতক সুন্দরগঞ্জে ওএমএস ডিলার নিয়োগে অনিয়ম: বিক্ষোভে উত্তাল উপজেলা  কমলগঞ্জে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সিগারেটসহ আটক-২  সেফটিক ট্যাংকিতে ঢুকে ৪ জনের মৃত্যু,একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক নির্বাচনের আগে ডিসি-এসপিদের রদবদল হবে আজ এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, যেভাবে রেজাল্ট দেখা যাবে ফের পুলিশের পাঁচ অতিরিক্ত ডিআইজিসহ ১৬ কর্মকর্তাকে বদলি সিদ্ধিরগঞ্জে ধনু হাজী খালের উভয় পাশে ৩’শ চারা রোপণ করলেন ডিসি রূপগঞ্জে ব্যবসায়ী হত্যাকান্ডের ঘটনায় এজাহারনামীয় আসামী রাসেল র‍্যাবের জালে ফতুল্লায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নকরনসহ ৩ প্রতিষ্ঠানকে অর্থদন্ড কুলাউড়ার হাকালুকি হাওরে অবৈধ জাল ধ্বংস ও জরিমানা কুমারখালিতে সন্তানকে হত্যার হুমকি দিয়ে ভাবিকে ‘ধর্ষণ’, দেবর কারাগারে চাঁদপুরে ১৩৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড, দুর্ভোগ চরমে মৌলভীবাজারে অর্ধকোটি টাকার ভারতীয় পন্যসহ আটক-২ ভুল করে স্টেশনে নেমে ধর্ষণের শিকার কিশোরী, যুবক গ্রেপ্তার কুলাউড়া ট্রেন স্টেশনে ভূলবশত নেমে ধর্ষণের শিকার কিশোরী দীর্ঘ ৫১ বছরেও নামফলক নেই মুন্সীগঞ্জ জেলা স্টেডিয়ামের শরণখোলা বিএনপির কমিটির নির্বাচন নিয়ে বিরোধ এখন তুঙ্গে আবরার ফাহাদের দেখানো পথেই রাজনীতি করছে এনসিপি-নাহিদ কুতুবপুরে বিএনপির নতুন সদস্য সংগ্রহ’সহ নবায়ন কর্মসূচীর উদ্বোধন লোকসংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীনের মৃত্যুর গুজব, যা জানালেন স্বামী যেভাবে দেখা যাবে এসএসসি সমমানের পরীক্ষার ফল শরীয়তপুরের নবনিযুক্ত জেলা প্রশাসক তাহসিনা বেগম মিডিয়ার প্রতি হুমকি: জাতীয় প্রেস ক্লাবের উদ্বেগ সাংবাদিকদের হুমকি প্রদর্শন অনভিপ্রেত ও অগ্রহণযোগ্য: বিএফইউজে-ডিইউজের ‘গ্রিন এন্ড ক্লিন’ কর্মসূচির আওতায় ১ দিনে দেড় হাজার বৃক্ষরোপণ করলেন ডিসি নারায়ণগঞ্জ-০৫’র এমপি প্রার্থী মাসুদুজ্জামানের মায়ের মৃত্যু বার্ষিকীতে দোয়া অনুষ্ঠিত সুন্দরবনে ১’শ ফুট মালা ফাঁদ উদ্ধার, হরিণ শিকারের চেষ্টা ব্যর্থ শ্রীমঙ্গলে চা বাগানে গাছে বাঁধা অবস্থা যুবকের মরদেহ উদ্ধার কমলগঞ্জে ব্যাটারীচালিত অটোরিক্সা চোর চক্রের ৪ সদস্য আটক কুলাউড়ায় ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে যুবকের আ/ত্ম/হ/ত্যা মৌলভীবাজারে কিশোর গ্যাংয়ের ছয় সদস্য ছুরিসহ গ্রেপ্তার ২৪’র গণঅভ্যুত্থানকে কোনোভাবেই বেহাত হতে দেব না : নওগাঁয় নাহিদ ইসলাম গাজীপুরে চাঁদাবাজির অভিযোগে বিএনপির চার নেতা বহিষ্কার সাংবাদিকদের নয়, বসুন্ধরা মিডিয়াকেই হুমকি দিয়েছি’: হাসনাত আবদুল্লাহ নারায়ণগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার পর ঘাতক স্বামীর থানায় আত্নসমর্পণ কুষ্টিয়ায় অবৈধভাবে পদ্মা নদীর বালু উত্তোলনের দায়ে জেল-জরিমানা চাঁদপুর শহরে হাসান আলী মাঠে অবৈধ দোকানপাট, খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত শিশুরা শরণখোলায় আনোয়ার হোসেন পঞ্চায়েত’র বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন  বিএনপিতে অপকর্মকারীদের তালিকাসহ শুদ্ধি অভিযান শুরু আজ ১০ই মহরম, পবিত্র আশুরা জুড়িতে চা শ্রমিক দম্পতির বিষপানে আত্মহত্যা বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ অসুস্থ জামালউদ্দিন কালুর পাশে ব্যবসায়ী মাসুদুজ্জামান নারায়ণগঞ্জ পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গণি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ রিয়া গোপের পরিবারের পাশে মাসুদুজ্জামান শরণখোলায় ব্যাটারি চালিত ভ্যান উল্টে কিশোর জিহাদের করুণ মৃত্যু মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নির্মিত হচ্ছে কালেক্টরেট স্কুল তানজিন তিশার সন্তান দাবি করে ছবি প্রকাশ করলেন সাংবাদিক জাওয়াদ নির্ঝর ফের বড়লেখা সীমান্তে আটক-১০

বাবাই জীবনের পরম ছায়াসঙ্গী, পিতৃ দিবসে শ্রদ্ধা-ভালোবাসা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময়- ১১:৫২:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুন ২০২৪ ১৯২ বার পড়া হয়েছে

 

পিতাই ধর্ম,পিতাই স্বর্গ’

ঋতম্ভরা বন্দোপাধ্যায়,কলকাতা।।
“বিশ্ব পিতা তুমি হে প্রভু ,
আমাদের প্রার্থনা এই শুধু ,
তোমারই করুণা,হতে বঞ্চিত না হয় কভু” !
আহা এই গানের পিছনে লুকিয়ে আছে বাবা ও সন্তানের ভালোবাসার ছোঁয়া । পিতৃ দিবস পালন করা হয় এই ১৬ জুনে, কারন এই দিনে সন্তান তাঁর বাবার প্রতি ভালোবাসা আর কৃতজ্ঞতা কে প্রকাশ করে এই সময় টাকে সুযোগ করে দেয় এদিন। যেহেতু বাবারা সবসময়ই সন্তানের লালনপালন করা,পথ প্রদর্শক হয়ে থাকা সে জন্য তাদের ভূমিকা কে তো স্বীকার করতেই হবে। এই পিতৃ দিবস কে ওয়াশিংটনের স্পোকেনের সোনোরো স্মার্ট ডডকে কৃতিত্ব দেয় এই দিবস কে পালন করার জন্য । পৃথিবীর সব বাবার প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা দেওয়ার জন্য এবং তাদের প্রকাশের ইচ্ছা পূরণ করার এই আশা কে সম্পন্ন করাতেই এই পিতৃ দিবস পালন করা হয়। বাবাদের প্রতি ভালোবাসা জানাতে প্রতি বছর এই পিতৃ দিবস পালন করা হয় ১৬ জুনে। মা’রা যেমন সন্তানের ছত্রছায়া হয় , ঠিক তেমন ভাবে বাবারা ও হলো সন্তানের পথছায়া । বাবা’রা দিন রাত পরিশ্রম করে নিজেদের সন্তানের জন্য । মা’রা যেমন ঘরে ও বাইরে কাজ করে সামলায় সব কিছু করে সংসার করে সন্তানের দেখাশোনা করে ঠিক তেমন ভাবে বাবা’রা ঘরে ও বাইরে কাজ করে । সন্তানের সাথে সময় কাটানোর মুহূর্ত এবং চলার পথে প্রদর্শক হয় বাবা। বাবারা সন্তানের সব রকমের আব্দার মেটাতে তাদের জন্য কতকিছু না করে ! আমি যখন খুব পুচকি ও ছোট্ট ছিলাম, আমার বাবা আমার দুটি হাত ধরে হাঁটা শেখাতেন। ” গুটি গুটি পা পা যথায় ইচ্ছা তথায় যা” বলে বাবা এঘর থেকে ওঘরে হাঁটাতেন। একটু বড় হলে যখন হামাগুড়ি ছেড়ে গুটি গুটি পায়ে হাঁটতে লাগলাম তখন বাবা আমাদের সল্ট লেকের ফ্ল্যাটে হাঁটু গেড়ে ঘোড়া হয়ে বসতেন। আমি বাবার পিঠে বসতাম। বাবা চলতে শুরু করতেন, আমি খুব মজা পেতাম। অনেক সময় বাবা ঘোড়া হয়ে বসলে আমি বাবার কাঁধের দুপাশে চেপে বসতাম। বাবা দাঁড়িয়ে উঠে আমার দুটি হাত ধরে গান গাইতে গাইতে সারা ঘর ঘুরতেন। খুব মনে পড়ে শ্যামল মিত্রর সেই বিখ্যাত গানটি। বাবার সেই গান,” ঐ ঝিরি ঝিরি পিয়ালের কুঞ্জে ,গুনগুন মৌমাছি গুঞ্জে, ওই যে বনছায় পাখিরা গান গায়, মন যে চায় সেথা হাসিতে””। বাবা তখন খুব ভালো গাইতেন। বেশ কিছু অনুষ্ঠানেও গাইতেন। বাবা হারমোনিয়াম নিয়ে গাইতে বসলে গানের মাঝেই আমি হারমোনিয়ামের রিডে দুম করে চাপ দিতাম। বেসুরো হয়ে যেতো গান। বাবাকে দেখলেই আমি বলতাম,” বাব ওই ঝিলিঝলি পিয়াল ” গানটি করো না। আমার তখন মাত্র ৩ বছর বয়স। মা সারাদিন যেমন আঁচল দিয়ে আগলে রাখেন,বাবা তখন ব্যস্ত আমার জন্য কী কী জিনিস আনা যায়। বাবা দিল্লিতে সাংবাদিকতা করতেন। পুরো বছর দিল্লিতে থাকতেন। একবছর পর যখন মাত্র দুসপ্তাহের জন্য বাড়িতে আসতেন ছোট্ট আমি দরজার পিছনে লুকিয়ে উঁকি দিতাম। বাবা ঘরে ঢুকেই আমাকে খুঁজতেন। লুকোচুরির পর আমাকে ধরে আবার কোলে নিতেন। আমি মাকে বলতাম,” মা ,আমাদের বাড়িতে বাবা কতদিন থাকবে?” সবাই হেসে উঠতো। দিল্লিতে খুব ভালো জামাকাপড় পাওয়া যায়। বাবা আমার জন্য বাছা বাছা পোশাক আনতেন। কখনো সাইজে অনেক বড়,নয়তো এতো ছোট যে পরাই যেত না । সেই দিনগুলি স্বপ্নের মতো মনে পড়ে। মা আমার স্কুল থেকে শুরু করে ইউনিভার্সিটি পড়ার সময় পর্যন্ত আমাকে প্রতিষ্ঠানে নিয়ে যাওয়া,নিয়ে আসার সব কাজ করতেন। স্নান করিয়ে রান্নার কাজ শেষ করে খাইয়ে পড়াতে বসতেন। বাবা দিল্লিতে নিয়ে যেতেন সকলকে বছরে একবার। পার্লামেন্টে এমন কোন সাংসদ,মন্ত্রী ছিলেন না,যাদের সঙ্গে বাবা আমাকে পরিচয় করিয়ে না দিতেন। বাবার সুরক্ষিত অফিসে যেতাম। কার্ড জোগাড় করতেন বাবা। কংগ্রেস,বিজেপি , সিপিএম ছাড়াও সব দলের নেতাদের কাছে যেতাম বাবার সঙ্গে। এআই ইউ ডি এফ নেতা বদরউদ্দিন আজমল, আসনের মুখ্য মন্ত্রী তরুণ গগৈ, সর্বানন্দ সোনোয়াল,হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, রেলমন্ত্রী রাজেন গোহাই, তখনকার সর্বেসর্বা কংগ্রেসের সোনিয়া গান্ধী, অম্বিকা সোনি, পি সি জোশি, সন্তোষ মোহন দেব,বিজেপির কবীন্দ্র পুরকায়স্থ, অসম গন পরিষদ নেতা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বীরেন বৈশ্য সহ অসংখ্য নেতা, মহানেতা, অভিনেতার সান্নিধ্যে এসেছি বাবার জন্য। আমার জন্য বাবা আপ্রাণ পরিশ্রম করতেন। আজকের দিনে তাই বাবাকে অনেক অনেক শ্রদ্ধা জানাই। মা ও খুব সহযোগিতা করতেন বাবার সঙ্গে। বাবার জন্যই আমি আজ এতোটা এগিয়ে যেতে পেরেছি। বাবাকে যেদিন বললাম,আমি কিন্তু কারও সুপারিশে কোন চাকরি করবো না। বাবা খুব অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন। আমি শুধু বাবার পেশাকেই পছন্দ করেছি। এটা নিয়েই থাকতে চাই। বাবা আমার জীবনের ধ্রুবতারা তাই বাবার নাম কে আমি জীবনে স্মরণীয় ও বরণীয় করে রাখতে চাই। বাবারা সন্তানের জন্ম দেয় যাতে গুটিগুটি পায়ে সন্তান চলতে শুরু করা থেকে জীবন যুদ্ধে যেন পুরোদমে ছুটতে পারে। ভবিষ্যত প্রজন্মের উজ্জ্বল আলোর সঙ্গে এগিয়ে চলার জন্য। বাবারা চাইলে সন্তানের জন্য সব কিছু উজাড় করে দেয় তাদের কলিজা দিয়ে যাতে সন্তান ভালো ভাবে থাকতে পারে(সুস্থ থাকে)। বাবারা সন্তানের ছোট ছোট হাত ধরে নিয়ে যায় সব জায়গায় ঘোরাতে। খেলনা কিনতে চাইলে বা কোনও কিছু সাজগোজ জিনিস বা খাবার কিনতে চাইলে সঙ্গে সঙ্গে কিনে দেয় এই হয় বাবাদের ভালোবাসা । বাবারা বাইরে থেকে সব কাজ সেরে এসে নিয়ে তারপর রাতে সময় কাটায় সন্তানদের সাথে যখন ঘরে থাকে। বাবার কাছে একটা না অনেক ,অনেক আব্দার পায় সন্তানরা ঘরে থাকলে । বেশ মজা হয় যখন বাবার পিঠের পিছনে চড়ে বাবার হাতটি ধরে দোলনার মতো দোল খাওয়া হয়। বাবার হাতটি ধরে সন্তানের ছোট্ট হাত যাতে পড়ে না যায়। আনন্দ লাগে বাবাকে ঘোড়া বানাতে পেছন পিঠে পুরো বসে টগবগ টগবগ করে দৌড় করানো হয়। সত্যিই চমৎকার সেসব সময় কাটানোর মুহূর্ত আড্ডা দেওয়া বাবার সাথে কত কিছু খেলা খুব ভালো লাগতো। একটু যদি কোনও ভুল কাজ করা হয় তাহলে একমাত্র পিতাই সন্তানকে বোঝায় যে কোনটা ভুল কোনটা ঠিক! তবে হ্যাঁ সন্তানের জন্য বাবারা প্রচুর খাটে যাতে সন্তান কষ্ট না পায় কোনও কিছু তে। কারণ সন্তানরা চায় বাবার সাথে সময় কাটাবে আনন্দ করবে। বাবা ছাড়া এই আব্দার গুলো কেউ পূরণ করতে পারবে না এটা সন্তানরা বোঝে,তাই তো সবসময়ই সন্তানরা এসব এর জন্য বাবা কে সবসময় চায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস:-

বাবাই জীবনের পরম ছায়াসঙ্গী, পিতৃ দিবসে শ্রদ্ধা-ভালোবাসা

আপডেট সময়- ১১:৫২:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুন ২০২৪

 

পিতাই ধর্ম,পিতাই স্বর্গ’

ঋতম্ভরা বন্দোপাধ্যায়,কলকাতা।।
“বিশ্ব পিতা তুমি হে প্রভু ,
আমাদের প্রার্থনা এই শুধু ,
তোমারই করুণা,হতে বঞ্চিত না হয় কভু” !
আহা এই গানের পিছনে লুকিয়ে আছে বাবা ও সন্তানের ভালোবাসার ছোঁয়া । পিতৃ দিবস পালন করা হয় এই ১৬ জুনে, কারন এই দিনে সন্তান তাঁর বাবার প্রতি ভালোবাসা আর কৃতজ্ঞতা কে প্রকাশ করে এই সময় টাকে সুযোগ করে দেয় এদিন। যেহেতু বাবারা সবসময়ই সন্তানের লালনপালন করা,পথ প্রদর্শক হয়ে থাকা সে জন্য তাদের ভূমিকা কে তো স্বীকার করতেই হবে। এই পিতৃ দিবস কে ওয়াশিংটনের স্পোকেনের সোনোরো স্মার্ট ডডকে কৃতিত্ব দেয় এই দিবস কে পালন করার জন্য । পৃথিবীর সব বাবার প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা দেওয়ার জন্য এবং তাদের প্রকাশের ইচ্ছা পূরণ করার এই আশা কে সম্পন্ন করাতেই এই পিতৃ দিবস পালন করা হয়। বাবাদের প্রতি ভালোবাসা জানাতে প্রতি বছর এই পিতৃ দিবস পালন করা হয় ১৬ জুনে। মা’রা যেমন সন্তানের ছত্রছায়া হয় , ঠিক তেমন ভাবে বাবারা ও হলো সন্তানের পথছায়া । বাবা’রা দিন রাত পরিশ্রম করে নিজেদের সন্তানের জন্য । মা’রা যেমন ঘরে ও বাইরে কাজ করে সামলায় সব কিছু করে সংসার করে সন্তানের দেখাশোনা করে ঠিক তেমন ভাবে বাবা’রা ঘরে ও বাইরে কাজ করে । সন্তানের সাথে সময় কাটানোর মুহূর্ত এবং চলার পথে প্রদর্শক হয় বাবা। বাবারা সন্তানের সব রকমের আব্দার মেটাতে তাদের জন্য কতকিছু না করে ! আমি যখন খুব পুচকি ও ছোট্ট ছিলাম, আমার বাবা আমার দুটি হাত ধরে হাঁটা শেখাতেন। ” গুটি গুটি পা পা যথায় ইচ্ছা তথায় যা” বলে বাবা এঘর থেকে ওঘরে হাঁটাতেন। একটু বড় হলে যখন হামাগুড়ি ছেড়ে গুটি গুটি পায়ে হাঁটতে লাগলাম তখন বাবা আমাদের সল্ট লেকের ফ্ল্যাটে হাঁটু গেড়ে ঘোড়া হয়ে বসতেন। আমি বাবার পিঠে বসতাম। বাবা চলতে শুরু করতেন, আমি খুব মজা পেতাম। অনেক সময় বাবা ঘোড়া হয়ে বসলে আমি বাবার কাঁধের দুপাশে চেপে বসতাম। বাবা দাঁড়িয়ে উঠে আমার দুটি হাত ধরে গান গাইতে গাইতে সারা ঘর ঘুরতেন। খুব মনে পড়ে শ্যামল মিত্রর সেই বিখ্যাত গানটি। বাবার সেই গান,” ঐ ঝিরি ঝিরি পিয়ালের কুঞ্জে ,গুনগুন মৌমাছি গুঞ্জে, ওই যে বনছায় পাখিরা গান গায়, মন যে চায় সেথা হাসিতে””। বাবা তখন খুব ভালো গাইতেন। বেশ কিছু অনুষ্ঠানেও গাইতেন। বাবা হারমোনিয়াম নিয়ে গাইতে বসলে গানের মাঝেই আমি হারমোনিয়ামের রিডে দুম করে চাপ দিতাম। বেসুরো হয়ে যেতো গান। বাবাকে দেখলেই আমি বলতাম,” বাব ওই ঝিলিঝলি পিয়াল ” গানটি করো না। আমার তখন মাত্র ৩ বছর বয়স। মা সারাদিন যেমন আঁচল দিয়ে আগলে রাখেন,বাবা তখন ব্যস্ত আমার জন্য কী কী জিনিস আনা যায়। বাবা দিল্লিতে সাংবাদিকতা করতেন। পুরো বছর দিল্লিতে থাকতেন। একবছর পর যখন মাত্র দুসপ্তাহের জন্য বাড়িতে আসতেন ছোট্ট আমি দরজার পিছনে লুকিয়ে উঁকি দিতাম। বাবা ঘরে ঢুকেই আমাকে খুঁজতেন। লুকোচুরির পর আমাকে ধরে আবার কোলে নিতেন। আমি মাকে বলতাম,” মা ,আমাদের বাড়িতে বাবা কতদিন থাকবে?” সবাই হেসে উঠতো। দিল্লিতে খুব ভালো জামাকাপড় পাওয়া যায়। বাবা আমার জন্য বাছা বাছা পোশাক আনতেন। কখনো সাইজে অনেক বড়,নয়তো এতো ছোট যে পরাই যেত না । সেই দিনগুলি স্বপ্নের মতো মনে পড়ে। মা আমার স্কুল থেকে শুরু করে ইউনিভার্সিটি পড়ার সময় পর্যন্ত আমাকে প্রতিষ্ঠানে নিয়ে যাওয়া,নিয়ে আসার সব কাজ করতেন। স্নান করিয়ে রান্নার কাজ শেষ করে খাইয়ে পড়াতে বসতেন। বাবা দিল্লিতে নিয়ে যেতেন সকলকে বছরে একবার। পার্লামেন্টে এমন কোন সাংসদ,মন্ত্রী ছিলেন না,যাদের সঙ্গে বাবা আমাকে পরিচয় করিয়ে না দিতেন। বাবার সুরক্ষিত অফিসে যেতাম। কার্ড জোগাড় করতেন বাবা। কংগ্রেস,বিজেপি , সিপিএম ছাড়াও সব দলের নেতাদের কাছে যেতাম বাবার সঙ্গে। এআই ইউ ডি এফ নেতা বদরউদ্দিন আজমল, আসনের মুখ্য মন্ত্রী তরুণ গগৈ, সর্বানন্দ সোনোয়াল,হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, রেলমন্ত্রী রাজেন গোহাই, তখনকার সর্বেসর্বা কংগ্রেসের সোনিয়া গান্ধী, অম্বিকা সোনি, পি সি জোশি, সন্তোষ মোহন দেব,বিজেপির কবীন্দ্র পুরকায়স্থ, অসম গন পরিষদ নেতা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বীরেন বৈশ্য সহ অসংখ্য নেতা, মহানেতা, অভিনেতার সান্নিধ্যে এসেছি বাবার জন্য। আমার জন্য বাবা আপ্রাণ পরিশ্রম করতেন। আজকের দিনে তাই বাবাকে অনেক অনেক শ্রদ্ধা জানাই। মা ও খুব সহযোগিতা করতেন বাবার সঙ্গে। বাবার জন্যই আমি আজ এতোটা এগিয়ে যেতে পেরেছি। বাবাকে যেদিন বললাম,আমি কিন্তু কারও সুপারিশে কোন চাকরি করবো না। বাবা খুব অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন। আমি শুধু বাবার পেশাকেই পছন্দ করেছি। এটা নিয়েই থাকতে চাই। বাবা আমার জীবনের ধ্রুবতারা তাই বাবার নাম কে আমি জীবনে স্মরণীয় ও বরণীয় করে রাখতে চাই। বাবারা সন্তানের জন্ম দেয় যাতে গুটিগুটি পায়ে সন্তান চলতে শুরু করা থেকে জীবন যুদ্ধে যেন পুরোদমে ছুটতে পারে। ভবিষ্যত প্রজন্মের উজ্জ্বল আলোর সঙ্গে এগিয়ে চলার জন্য। বাবারা চাইলে সন্তানের জন্য সব কিছু উজাড় করে দেয় তাদের কলিজা দিয়ে যাতে সন্তান ভালো ভাবে থাকতে পারে(সুস্থ থাকে)। বাবারা সন্তানের ছোট ছোট হাত ধরে নিয়ে যায় সব জায়গায় ঘোরাতে। খেলনা কিনতে চাইলে বা কোনও কিছু সাজগোজ জিনিস বা খাবার কিনতে চাইলে সঙ্গে সঙ্গে কিনে দেয় এই হয় বাবাদের ভালোবাসা । বাবারা বাইরে থেকে সব কাজ সেরে এসে নিয়ে তারপর রাতে সময় কাটায় সন্তানদের সাথে যখন ঘরে থাকে। বাবার কাছে একটা না অনেক ,অনেক আব্দার পায় সন্তানরা ঘরে থাকলে । বেশ মজা হয় যখন বাবার পিঠের পিছনে চড়ে বাবার হাতটি ধরে দোলনার মতো দোল খাওয়া হয়। বাবার হাতটি ধরে সন্তানের ছোট্ট হাত যাতে পড়ে না যায়। আনন্দ লাগে বাবাকে ঘোড়া বানাতে পেছন পিঠে পুরো বসে টগবগ টগবগ করে দৌড় করানো হয়। সত্যিই চমৎকার সেসব সময় কাটানোর মুহূর্ত আড্ডা দেওয়া বাবার সাথে কত কিছু খেলা খুব ভালো লাগতো। একটু যদি কোনও ভুল কাজ করা হয় তাহলে একমাত্র পিতাই সন্তানকে বোঝায় যে কোনটা ভুল কোনটা ঠিক! তবে হ্যাঁ সন্তানের জন্য বাবারা প্রচুর খাটে যাতে সন্তান কষ্ট না পায় কোনও কিছু তে। কারণ সন্তানরা চায় বাবার সাথে সময় কাটাবে আনন্দ করবে। বাবা ছাড়া এই আব্দার গুলো কেউ পূরণ করতে পারবে না এটা সন্তানরা বোঝে,তাই তো সবসময়ই সন্তানরা এসব এর জন্য বাবা কে সবসময় চায়।