ঢাকা ০১:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
কোনো সংস্কার জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া সম্ভব নয়: মির্জা ফখরুল ভাইরাল শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্রটি ভুয়া দাবি আ’লীগের ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:) উপলক্ষ্যে মুন্সীগঞ্জে জশনে জুলুস অনুষ্ঠিত  ৭১টিভির সিইও সাংবাদিক মোজাম্মেল বাবু-শ্যামল দত্তসহ আটক ৪ সাবেক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী গ্রেপ্তার সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর গ্রেপ্তার পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী(সা.) আজ রাসূলুল্লাহ(সা.)এর জন্ম তারিখ নিয়ে ঐতিহাসিকদের অভিমত: ফেরদৌস আলম শেখ হাসিনার সময় দেশ দুর্নীতির সাগরে নিমজ্জিত ছিল: মন্তব্য ড. ইউনূসের সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন পাঁচ দিনের রিমান্ডে সাংবাদিকদের নামে ঢালাও মামলা অন্তবর্তী সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের ৪’শ ২২জনই বিএনপির : মির্জা ফখরুল সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গ্রেপ্তার দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেকর্ড দামে স্বর্ণ,ভরি ১ লাখ ৩০ হাজার সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলে জ্যোতি চার দিনের রিমান্ডে ইসলামের দৃষ্টিতে সফলতা অর্জন- ফেরদৌস আলম শ্রীমঙ্গলের হোটেল প্যারাগনে আ’লীগ নেতা ঢাকা দক্ষিণ সিটি কাউন্সিলর আটক বকশীগঞ্জে পুলিশের প্রভাব খাটিয়ে জমি দখলের চেষ্টার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন মুন্সীগঞ্জে শাপলা কুড়িয়ে চলে ছিন্নমূল শিশুসহ হাজারো পরিবারের জীবন-জীবিকা  মুন্সীগঞ্জে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে আ’লীগ নেতার বিএনপিতে যোগদান ভৈরবের মৌটুপি গ্রামে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত-১, আহত-৪০ বকশীগঞ্জ চরকাউরিয়া স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দূর্নীতিসহ অর্থ-আত্মসাৎ অভিযোগ  চট্টগ্রামে ৮দফা দাবিতে সংখ্যালঘু সনাতনীদের বৃষ্টিতে ভিজে গণজমায়েত টেকনাফে ভারী বৃষ্টিতে ৫০টিরও বেশি গ্রাম প্লাবিত টঙ্গীবাড়ীতে বিয়ের প্রলোভনে ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ে প্রায় ৮’শ সদস্য এখনো পলাতক  সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলে শাফির রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ শেখ হাসিনাকে বহনকারী ফ্লাইটি যেভাবে রাডারের বাইরে রাখা হয়েছিলো গণতন্ত্র দিবসে দেশ পুনর্গঠনে নতুন বার্তা দিবেন তারেক রহমান মিরপুরে ফজলু হত্যা: শেখ হাসিনা ও ২৫ সাংবাদিকসহ ১৬৫ জনের নামে মামলা না’গঞ্জে বকেয়া বেতনের দাবীতে ক্রোণী গ্রুপের শ্রমিকদের বিক্ষোভ মুন্সীগঞ্জের পদ্মা নদীতে বালু উত্তোলন পয়েন্টে অস্ত্রের মহড়া আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোয় ‘জড়িত’ সেই পুলিশ সদস্য আরাফাত গ্রেপ্তার কোনো মার্ডার পুলিশের গুলিতে হয়নি, কিলিং এজেন্ট ছিল: দাবি শেখ হাসিনার সকল শঙ্কা কাটিয়ে চট্টগ্রামে প্রথম নারী ডিসি ফরিদা খানমের যোগদান রাজনৈতিক দলগুলো যা করতে পারেনি শিক্ষার্থীরা তা করে দেখিয়েছে: মান্না তথ্য ও আইসিটি সচিব ওএসডি রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে ১৬ জেলায় লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন যৌথ বাহিনীর অভিযানে কুলাউড়া যুবলীগের সেক্রেটারি গ্রেপ্তার  পদত্যাগ করেছেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম শ্রীমঙ্গলে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের ৭তলা আধুনিক ভবন নির্মাণ কাজ শুরু  মৌলভীবাজার জেলার ৭ থানার ওসি একযোগে বদলি গনঅধিকার ফেরাতে ছাত্র জনতার আন্দোলন অব্যাহত থাকবে: গিয়াস উদ্দিন সিদ্ধিরগঞ্জে চাঁদা দাবিকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ভাংচুর যুব সমাজে আল্লাহর প্রেম ও রাসূলে আদর্শ কমে গেছে: মাও. ফেরদাউস বকশীগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তাকে হত্যা হুমকি সিদ্ধিরগঞ্জে মিলন হত্যার ১মাস ২০দিন পর পটুয়াখালী থেকে লাশ উত্তোলন  মৌলভীবাজারে বন্যার পানি নামলেও দৃশ্যমান ক্ষয়ক্ষতি চিহ্ন   ভৈরব মেঘনা নদীগর্ভে বিলীন ২০টিরও বেশি বসতবাড়ি-ঘর ভৈরবে ট্রেনের ধাক্কায় সেতু থেকে পড়ে ২জনের মৃত্যু  সাইবারসহ সব কালো আইন বাতিল বা প্রয়োজনে সংস্কার করা হবে: প্রধান উপদেষ্টা নাটোরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের সমাবেশ মঞ্চ ভাঙচুর বিশেষ ৬ খাত সংস্কারে আলাদা ছয় কমিশন গঠন, নেতৃত্বে বিশিষ্টজন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের চিহ্নিত বিষয়ে যা বললেন প্রধান উপদেষ্টা রূপগঞ্জ এসিল্যান্ড অফিসে জনদূর্ভোগ চরমে নরসিংদীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের সাথে বিএনপির সংঘর্ষে ১৫ শিক্ষার্থী আহত ফতুল্লায় মাদকবিরোধী মিছিলে সন্ত্রাসী হামলাসহ গুলিবর্ষণে এলাকা রনক্ষেত্র বন্ধ হয়ে গেলো বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন পূর্বাচলে শেখ হাসিনা ও রেহানা পরিবারের নামে বরাদ্দ প্লট বাতিল চেয়ে রিট ড.ইউনূসকে প্রধান করে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ গঠন পুলিশের সব ইউনিটকে যে বার্তা দিলেন আইজিপি ময়নুল ইসলাম সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপি নেতা সন্ত্রাসী শামীম ঢালির বিচারের দাবিতে মানববন্ধন জুড়ীতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৪ কি:মি: সড়ক সংস্কার করলো যুবকরা সীমান্তে উত্তেজনা: ঢাকায় কড়া প্রতিবাদের ৪ দিনের মাথায় ফের হত্যা বরগুনায় মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় কথিত বিএনপি নেতা শাওনের বিরুদ্ধে মামলা দুদকের পরিচালক ও উপপরিচালক পদে বড় রদবদল বৈষম্যমূলক মজুরী ও শ্রম নীতি শ্রমিক অসন্তোষের অন্যতম কারণ- শ্রমিক নেতা গোলক মুন্সীগঞ্জের আড়িয়াল বিলে ড্রেজার আসতে পারবে না: পরিবেশ উপদেষ্টা ভারতীয় সীমান্তে স্কুল ছাত্রী স্বর্ণা হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন  সোনারগাঁয়ে নতুন ইউএনও’র দায়িত্বে ফারজানা রহমান ২৫ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক(ডিসি) নিয়োগ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ পাবনা কারাগারে থাকা ঈশ্বরদীর ১২ নেতাকর্মীরা মুক্ত মৌলভীবাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে লক্ষাধিক ঘনফুট বালু জব্দ  মাসদাইর আ’লীগ ৮নং ওয়ার্ড সভাপতি আতাউর প্রধান ছাড়া বিএনপির চলেই না দেশের বর্তমান সংবিধান পরিবর্তন আনা উচিত: মুন্সীগঞ্জে সারজিস ইবি’র শেখ হাসিনা হলে থাকা বহিরাগত ছাত্রীদের নেমে যাওয়ার নির্দেশ বিএনপির আশ্রয়ে বহাল তবিয়তে এনায়েতনগরের জনবিচ্ছিন্ন মেম্বার এমপির সহচর শাহজাহান দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মৃত্যু-৩, হাসপাতালে-৪০৩ দেশের বিভিন্ন সীমান্তে নজরদারি বাড়িয়েছে বিজিবি: সতর্ক অবস্থানে বিএসএফ সিরাজদিখানে অবৈধ ড্রেজিংয়ের রমরমা বাণিজ্য: দেখার কেউ নেই বিড়ম্বনা-দুশ্চিন্তা বিত্তবানদেরই বেশি,সর্বহারাদের তা নেই.! ছেলে জয়ের আশ্বাসেই দেশ ছাড়তে রাজি হন শেখ হাসিনা অর্থপাচার মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন বিএনপির ৮ শীর্ষ নেতা মৌলভীবাজারে নবাগত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেনের যোগদান মৌলভীবাজারে বকেয়া মজুরির দাবিতে চা-শ্রমিকদের মানববন্ধন  না’গঞ্জের পলাতক সাবেক এমপি শামীম ওসমানের দেখা মিললো দিল্লিতে  না’গঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব টিপুর উপর হামলা  রূপগঞ্জে ফের গাজী টায়ার কারখানায় লুটপাট চালিয়ে আগুন দিলো দুর্বৃত্তরা মহাভারতের চিত্রনাট্যের জাদুকরী রূপকার ছিলেন উর্দু কবি রাহী মাসুম রেজা  কুষ্টিয়া সাংস্কৃতিক কর্মীর সমবেত কন্ঠে দশ মিনিটে ৩বার জাতীয় সংগীত সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করায় হামলা মারধরে আহত-১০ জাতীয় শিক্ষক দিবসে ‘গুরু বন্দনা’ সাবেক ভূমিমন্ত্রী পুত্র তমাল অস্ত্র-মাদক সহ র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার কক্সবাজারে যৌথবাহিনীর অভিযানে বিপুল অস্ত্র-গোলাবারুদ সহ গ্রেপ্তার-৮ নবীজীকে নিয়ে কটূক্তি করা কিশোর সেনাবাহিনীর হেফাজতে: আইএসপিআর পূর্বানুমতি ছাড়া পর্যটকরা সেন্টমার্টিনে যেতে পারবে না..! বেক্সিমকো গ্রুপের সব সম্পত্তি ক্রোক করে রিসিভার নিয়োগে হাইকোর্টের রুল স্বেচ্ছাসেবক দলের আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাহীন’র বিশাল সংবর্ধনা ইসলামী যুব আন্দোলন টেকনাফ দক্ষিণ শাখা’র পৌর কমিটি গঠন

বাবাই জীবনের পরম ছায়াসঙ্গী, পিতৃ দিবসে শ্রদ্ধা-ভালোবাসা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময়- ১১:৫২:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুন ২০২৪ ৫৪ বার পড়া হয়েছে

 

পিতাই ধর্ম,পিতাই স্বর্গ’

ঋতম্ভরা বন্দোপাধ্যায়,কলকাতা।।
“বিশ্ব পিতা তুমি হে প্রভু ,
আমাদের প্রার্থনা এই শুধু ,
তোমারই করুণা,হতে বঞ্চিত না হয় কভু” !
আহা এই গানের পিছনে লুকিয়ে আছে বাবা ও সন্তানের ভালোবাসার ছোঁয়া । পিতৃ দিবস পালন করা হয় এই ১৬ জুনে, কারন এই দিনে সন্তান তাঁর বাবার প্রতি ভালোবাসা আর কৃতজ্ঞতা কে প্রকাশ করে এই সময় টাকে সুযোগ করে দেয় এদিন। যেহেতু বাবারা সবসময়ই সন্তানের লালনপালন করা,পথ প্রদর্শক হয়ে থাকা সে জন্য তাদের ভূমিকা কে তো স্বীকার করতেই হবে। এই পিতৃ দিবস কে ওয়াশিংটনের স্পোকেনের সোনোরো স্মার্ট ডডকে কৃতিত্ব দেয় এই দিবস কে পালন করার জন্য । পৃথিবীর সব বাবার প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা দেওয়ার জন্য এবং তাদের প্রকাশের ইচ্ছা পূরণ করার এই আশা কে সম্পন্ন করাতেই এই পিতৃ দিবস পালন করা হয়। বাবাদের প্রতি ভালোবাসা জানাতে প্রতি বছর এই পিতৃ দিবস পালন করা হয় ১৬ জুনে। মা’রা যেমন সন্তানের ছত্রছায়া হয় , ঠিক তেমন ভাবে বাবারা ও হলো সন্তানের পথছায়া । বাবা’রা দিন রাত পরিশ্রম করে নিজেদের সন্তানের জন্য । মা’রা যেমন ঘরে ও বাইরে কাজ করে সামলায় সব কিছু করে সংসার করে সন্তানের দেখাশোনা করে ঠিক তেমন ভাবে বাবা’রা ঘরে ও বাইরে কাজ করে । সন্তানের সাথে সময় কাটানোর মুহূর্ত এবং চলার পথে প্রদর্শক হয় বাবা। বাবারা সন্তানের সব রকমের আব্দার মেটাতে তাদের জন্য কতকিছু না করে ! আমি যখন খুব পুচকি ও ছোট্ট ছিলাম, আমার বাবা আমার দুটি হাত ধরে হাঁটা শেখাতেন। ” গুটি গুটি পা পা যথায় ইচ্ছা তথায় যা” বলে বাবা এঘর থেকে ওঘরে হাঁটাতেন। একটু বড় হলে যখন হামাগুড়ি ছেড়ে গুটি গুটি পায়ে হাঁটতে লাগলাম তখন বাবা আমাদের সল্ট লেকের ফ্ল্যাটে হাঁটু গেড়ে ঘোড়া হয়ে বসতেন। আমি বাবার পিঠে বসতাম। বাবা চলতে শুরু করতেন, আমি খুব মজা পেতাম। অনেক সময় বাবা ঘোড়া হয়ে বসলে আমি বাবার কাঁধের দুপাশে চেপে বসতাম। বাবা দাঁড়িয়ে উঠে আমার দুটি হাত ধরে গান গাইতে গাইতে সারা ঘর ঘুরতেন। খুব মনে পড়ে শ্যামল মিত্রর সেই বিখ্যাত গানটি। বাবার সেই গান,” ঐ ঝিরি ঝিরি পিয়ালের কুঞ্জে ,গুনগুন মৌমাছি গুঞ্জে, ওই যে বনছায় পাখিরা গান গায়, মন যে চায় সেথা হাসিতে””। বাবা তখন খুব ভালো গাইতেন। বেশ কিছু অনুষ্ঠানেও গাইতেন। বাবা হারমোনিয়াম নিয়ে গাইতে বসলে গানের মাঝেই আমি হারমোনিয়ামের রিডে দুম করে চাপ দিতাম। বেসুরো হয়ে যেতো গান। বাবাকে দেখলেই আমি বলতাম,” বাব ওই ঝিলিঝলি পিয়াল ” গানটি করো না। আমার তখন মাত্র ৩ বছর বয়স। মা সারাদিন যেমন আঁচল দিয়ে আগলে রাখেন,বাবা তখন ব্যস্ত আমার জন্য কী কী জিনিস আনা যায়। বাবা দিল্লিতে সাংবাদিকতা করতেন। পুরো বছর দিল্লিতে থাকতেন। একবছর পর যখন মাত্র দুসপ্তাহের জন্য বাড়িতে আসতেন ছোট্ট আমি দরজার পিছনে লুকিয়ে উঁকি দিতাম। বাবা ঘরে ঢুকেই আমাকে খুঁজতেন। লুকোচুরির পর আমাকে ধরে আবার কোলে নিতেন। আমি মাকে বলতাম,” মা ,আমাদের বাড়িতে বাবা কতদিন থাকবে?” সবাই হেসে উঠতো। দিল্লিতে খুব ভালো জামাকাপড় পাওয়া যায়। বাবা আমার জন্য বাছা বাছা পোশাক আনতেন। কখনো সাইজে অনেক বড়,নয়তো এতো ছোট যে পরাই যেত না । সেই দিনগুলি স্বপ্নের মতো মনে পড়ে। মা আমার স্কুল থেকে শুরু করে ইউনিভার্সিটি পড়ার সময় পর্যন্ত আমাকে প্রতিষ্ঠানে নিয়ে যাওয়া,নিয়ে আসার সব কাজ করতেন। স্নান করিয়ে রান্নার কাজ শেষ করে খাইয়ে পড়াতে বসতেন। বাবা দিল্লিতে নিয়ে যেতেন সকলকে বছরে একবার। পার্লামেন্টে এমন কোন সাংসদ,মন্ত্রী ছিলেন না,যাদের সঙ্গে বাবা আমাকে পরিচয় করিয়ে না দিতেন। বাবার সুরক্ষিত অফিসে যেতাম। কার্ড জোগাড় করতেন বাবা। কংগ্রেস,বিজেপি , সিপিএম ছাড়াও সব দলের নেতাদের কাছে যেতাম বাবার সঙ্গে। এআই ইউ ডি এফ নেতা বদরউদ্দিন আজমল, আসনের মুখ্য মন্ত্রী তরুণ গগৈ, সর্বানন্দ সোনোয়াল,হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, রেলমন্ত্রী রাজেন গোহাই, তখনকার সর্বেসর্বা কংগ্রেসের সোনিয়া গান্ধী, অম্বিকা সোনি, পি সি জোশি, সন্তোষ মোহন দেব,বিজেপির কবীন্দ্র পুরকায়স্থ, অসম গন পরিষদ নেতা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বীরেন বৈশ্য সহ অসংখ্য নেতা, মহানেতা, অভিনেতার সান্নিধ্যে এসেছি বাবার জন্য। আমার জন্য বাবা আপ্রাণ পরিশ্রম করতেন। আজকের দিনে তাই বাবাকে অনেক অনেক শ্রদ্ধা জানাই। মা ও খুব সহযোগিতা করতেন বাবার সঙ্গে। বাবার জন্যই আমি আজ এতোটা এগিয়ে যেতে পেরেছি। বাবাকে যেদিন বললাম,আমি কিন্তু কারও সুপারিশে কোন চাকরি করবো না। বাবা খুব অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন। আমি শুধু বাবার পেশাকেই পছন্দ করেছি। এটা নিয়েই থাকতে চাই। বাবা আমার জীবনের ধ্রুবতারা তাই বাবার নাম কে আমি জীবনে স্মরণীয় ও বরণীয় করে রাখতে চাই। বাবারা সন্তানের জন্ম দেয় যাতে গুটিগুটি পায়ে সন্তান চলতে শুরু করা থেকে জীবন যুদ্ধে যেন পুরোদমে ছুটতে পারে। ভবিষ্যত প্রজন্মের উজ্জ্বল আলোর সঙ্গে এগিয়ে চলার জন্য। বাবারা চাইলে সন্তানের জন্য সব কিছু উজাড় করে দেয় তাদের কলিজা দিয়ে যাতে সন্তান ভালো ভাবে থাকতে পারে(সুস্থ থাকে)। বাবারা সন্তানের ছোট ছোট হাত ধরে নিয়ে যায় সব জায়গায় ঘোরাতে। খেলনা কিনতে চাইলে বা কোনও কিছু সাজগোজ জিনিস বা খাবার কিনতে চাইলে সঙ্গে সঙ্গে কিনে দেয় এই হয় বাবাদের ভালোবাসা । বাবারা বাইরে থেকে সব কাজ সেরে এসে নিয়ে তারপর রাতে সময় কাটায় সন্তানদের সাথে যখন ঘরে থাকে। বাবার কাছে একটা না অনেক ,অনেক আব্দার পায় সন্তানরা ঘরে থাকলে । বেশ মজা হয় যখন বাবার পিঠের পিছনে চড়ে বাবার হাতটি ধরে দোলনার মতো দোল খাওয়া হয়। বাবার হাতটি ধরে সন্তানের ছোট্ট হাত যাতে পড়ে না যায়। আনন্দ লাগে বাবাকে ঘোড়া বানাতে পেছন পিঠে পুরো বসে টগবগ টগবগ করে দৌড় করানো হয়। সত্যিই চমৎকার সেসব সময় কাটানোর মুহূর্ত আড্ডা দেওয়া বাবার সাথে কত কিছু খেলা খুব ভালো লাগতো। একটু যদি কোনও ভুল কাজ করা হয় তাহলে একমাত্র পিতাই সন্তানকে বোঝায় যে কোনটা ভুল কোনটা ঠিক! তবে হ্যাঁ সন্তানের জন্য বাবারা প্রচুর খাটে যাতে সন্তান কষ্ট না পায় কোনও কিছু তে। কারণ সন্তানরা চায় বাবার সাথে সময় কাটাবে আনন্দ করবে। বাবা ছাড়া এই আব্দার গুলো কেউ পূরণ করতে পারবে না এটা সন্তানরা বোঝে,তাই তো সবসময়ই সন্তানরা এসব এর জন্য বাবা কে সবসময় চায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস:-

বাবাই জীবনের পরম ছায়াসঙ্গী, পিতৃ দিবসে শ্রদ্ধা-ভালোবাসা

আপডেট সময়- ১১:৫২:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুন ২০২৪

 

পিতাই ধর্ম,পিতাই স্বর্গ’

ঋতম্ভরা বন্দোপাধ্যায়,কলকাতা।।
“বিশ্ব পিতা তুমি হে প্রভু ,
আমাদের প্রার্থনা এই শুধু ,
তোমারই করুণা,হতে বঞ্চিত না হয় কভু” !
আহা এই গানের পিছনে লুকিয়ে আছে বাবা ও সন্তানের ভালোবাসার ছোঁয়া । পিতৃ দিবস পালন করা হয় এই ১৬ জুনে, কারন এই দিনে সন্তান তাঁর বাবার প্রতি ভালোবাসা আর কৃতজ্ঞতা কে প্রকাশ করে এই সময় টাকে সুযোগ করে দেয় এদিন। যেহেতু বাবারা সবসময়ই সন্তানের লালনপালন করা,পথ প্রদর্শক হয়ে থাকা সে জন্য তাদের ভূমিকা কে তো স্বীকার করতেই হবে। এই পিতৃ দিবস কে ওয়াশিংটনের স্পোকেনের সোনোরো স্মার্ট ডডকে কৃতিত্ব দেয় এই দিবস কে পালন করার জন্য । পৃথিবীর সব বাবার প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা দেওয়ার জন্য এবং তাদের প্রকাশের ইচ্ছা পূরণ করার এই আশা কে সম্পন্ন করাতেই এই পিতৃ দিবস পালন করা হয়। বাবাদের প্রতি ভালোবাসা জানাতে প্রতি বছর এই পিতৃ দিবস পালন করা হয় ১৬ জুনে। মা’রা যেমন সন্তানের ছত্রছায়া হয় , ঠিক তেমন ভাবে বাবারা ও হলো সন্তানের পথছায়া । বাবা’রা দিন রাত পরিশ্রম করে নিজেদের সন্তানের জন্য । মা’রা যেমন ঘরে ও বাইরে কাজ করে সামলায় সব কিছু করে সংসার করে সন্তানের দেখাশোনা করে ঠিক তেমন ভাবে বাবা’রা ঘরে ও বাইরে কাজ করে । সন্তানের সাথে সময় কাটানোর মুহূর্ত এবং চলার পথে প্রদর্শক হয় বাবা। বাবারা সন্তানের সব রকমের আব্দার মেটাতে তাদের জন্য কতকিছু না করে ! আমি যখন খুব পুচকি ও ছোট্ট ছিলাম, আমার বাবা আমার দুটি হাত ধরে হাঁটা শেখাতেন। ” গুটি গুটি পা পা যথায় ইচ্ছা তথায় যা” বলে বাবা এঘর থেকে ওঘরে হাঁটাতেন। একটু বড় হলে যখন হামাগুড়ি ছেড়ে গুটি গুটি পায়ে হাঁটতে লাগলাম তখন বাবা আমাদের সল্ট লেকের ফ্ল্যাটে হাঁটু গেড়ে ঘোড়া হয়ে বসতেন। আমি বাবার পিঠে বসতাম। বাবা চলতে শুরু করতেন, আমি খুব মজা পেতাম। অনেক সময় বাবা ঘোড়া হয়ে বসলে আমি বাবার কাঁধের দুপাশে চেপে বসতাম। বাবা দাঁড়িয়ে উঠে আমার দুটি হাত ধরে গান গাইতে গাইতে সারা ঘর ঘুরতেন। খুব মনে পড়ে শ্যামল মিত্রর সেই বিখ্যাত গানটি। বাবার সেই গান,” ঐ ঝিরি ঝিরি পিয়ালের কুঞ্জে ,গুনগুন মৌমাছি গুঞ্জে, ওই যে বনছায় পাখিরা গান গায়, মন যে চায় সেথা হাসিতে””। বাবা তখন খুব ভালো গাইতেন। বেশ কিছু অনুষ্ঠানেও গাইতেন। বাবা হারমোনিয়াম নিয়ে গাইতে বসলে গানের মাঝেই আমি হারমোনিয়ামের রিডে দুম করে চাপ দিতাম। বেসুরো হয়ে যেতো গান। বাবাকে দেখলেই আমি বলতাম,” বাব ওই ঝিলিঝলি পিয়াল ” গানটি করো না। আমার তখন মাত্র ৩ বছর বয়স। মা সারাদিন যেমন আঁচল দিয়ে আগলে রাখেন,বাবা তখন ব্যস্ত আমার জন্য কী কী জিনিস আনা যায়। বাবা দিল্লিতে সাংবাদিকতা করতেন। পুরো বছর দিল্লিতে থাকতেন। একবছর পর যখন মাত্র দুসপ্তাহের জন্য বাড়িতে আসতেন ছোট্ট আমি দরজার পিছনে লুকিয়ে উঁকি দিতাম। বাবা ঘরে ঢুকেই আমাকে খুঁজতেন। লুকোচুরির পর আমাকে ধরে আবার কোলে নিতেন। আমি মাকে বলতাম,” মা ,আমাদের বাড়িতে বাবা কতদিন থাকবে?” সবাই হেসে উঠতো। দিল্লিতে খুব ভালো জামাকাপড় পাওয়া যায়। বাবা আমার জন্য বাছা বাছা পোশাক আনতেন। কখনো সাইজে অনেক বড়,নয়তো এতো ছোট যে পরাই যেত না । সেই দিনগুলি স্বপ্নের মতো মনে পড়ে। মা আমার স্কুল থেকে শুরু করে ইউনিভার্সিটি পড়ার সময় পর্যন্ত আমাকে প্রতিষ্ঠানে নিয়ে যাওয়া,নিয়ে আসার সব কাজ করতেন। স্নান করিয়ে রান্নার কাজ শেষ করে খাইয়ে পড়াতে বসতেন। বাবা দিল্লিতে নিয়ে যেতেন সকলকে বছরে একবার। পার্লামেন্টে এমন কোন সাংসদ,মন্ত্রী ছিলেন না,যাদের সঙ্গে বাবা আমাকে পরিচয় করিয়ে না দিতেন। বাবার সুরক্ষিত অফিসে যেতাম। কার্ড জোগাড় করতেন বাবা। কংগ্রেস,বিজেপি , সিপিএম ছাড়াও সব দলের নেতাদের কাছে যেতাম বাবার সঙ্গে। এআই ইউ ডি এফ নেতা বদরউদ্দিন আজমল, আসনের মুখ্য মন্ত্রী তরুণ গগৈ, সর্বানন্দ সোনোয়াল,হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, রেলমন্ত্রী রাজেন গোহাই, তখনকার সর্বেসর্বা কংগ্রেসের সোনিয়া গান্ধী, অম্বিকা সোনি, পি সি জোশি, সন্তোষ মোহন দেব,বিজেপির কবীন্দ্র পুরকায়স্থ, অসম গন পরিষদ নেতা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বীরেন বৈশ্য সহ অসংখ্য নেতা, মহানেতা, অভিনেতার সান্নিধ্যে এসেছি বাবার জন্য। আমার জন্য বাবা আপ্রাণ পরিশ্রম করতেন। আজকের দিনে তাই বাবাকে অনেক অনেক শ্রদ্ধা জানাই। মা ও খুব সহযোগিতা করতেন বাবার সঙ্গে। বাবার জন্যই আমি আজ এতোটা এগিয়ে যেতে পেরেছি। বাবাকে যেদিন বললাম,আমি কিন্তু কারও সুপারিশে কোন চাকরি করবো না। বাবা খুব অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন। আমি শুধু বাবার পেশাকেই পছন্দ করেছি। এটা নিয়েই থাকতে চাই। বাবা আমার জীবনের ধ্রুবতারা তাই বাবার নাম কে আমি জীবনে স্মরণীয় ও বরণীয় করে রাখতে চাই। বাবারা সন্তানের জন্ম দেয় যাতে গুটিগুটি পায়ে সন্তান চলতে শুরু করা থেকে জীবন যুদ্ধে যেন পুরোদমে ছুটতে পারে। ভবিষ্যত প্রজন্মের উজ্জ্বল আলোর সঙ্গে এগিয়ে চলার জন্য। বাবারা চাইলে সন্তানের জন্য সব কিছু উজাড় করে দেয় তাদের কলিজা দিয়ে যাতে সন্তান ভালো ভাবে থাকতে পারে(সুস্থ থাকে)। বাবারা সন্তানের ছোট ছোট হাত ধরে নিয়ে যায় সব জায়গায় ঘোরাতে। খেলনা কিনতে চাইলে বা কোনও কিছু সাজগোজ জিনিস বা খাবার কিনতে চাইলে সঙ্গে সঙ্গে কিনে দেয় এই হয় বাবাদের ভালোবাসা । বাবারা বাইরে থেকে সব কাজ সেরে এসে নিয়ে তারপর রাতে সময় কাটায় সন্তানদের সাথে যখন ঘরে থাকে। বাবার কাছে একটা না অনেক ,অনেক আব্দার পায় সন্তানরা ঘরে থাকলে । বেশ মজা হয় যখন বাবার পিঠের পিছনে চড়ে বাবার হাতটি ধরে দোলনার মতো দোল খাওয়া হয়। বাবার হাতটি ধরে সন্তানের ছোট্ট হাত যাতে পড়ে না যায়। আনন্দ লাগে বাবাকে ঘোড়া বানাতে পেছন পিঠে পুরো বসে টগবগ টগবগ করে দৌড় করানো হয়। সত্যিই চমৎকার সেসব সময় কাটানোর মুহূর্ত আড্ডা দেওয়া বাবার সাথে কত কিছু খেলা খুব ভালো লাগতো। একটু যদি কোনও ভুল কাজ করা হয় তাহলে একমাত্র পিতাই সন্তানকে বোঝায় যে কোনটা ভুল কোনটা ঠিক! তবে হ্যাঁ সন্তানের জন্য বাবারা প্রচুর খাটে যাতে সন্তান কষ্ট না পায় কোনও কিছু তে। কারণ সন্তানরা চায় বাবার সাথে সময় কাটাবে আনন্দ করবে। বাবা ছাড়া এই আব্দার গুলো কেউ পূরণ করতে পারবে না এটা সন্তানরা বোঝে,তাই তো সবসময়ই সন্তানরা এসব এর জন্য বাবা কে সবসময় চায়।