সড়ক ও জনপদের স্টিকার লাগানো গাড়িতে ৭ লাখ ইয়াবা, আটক ৩
![](https://samakalinkagoj.com/wp-content/themes/newspaper-pro/assets/images/reporter.jpg)
- আপডেট সময় : ০৩:৪৬:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪ ১৩৬ বার পড়া হয়েছে
![](https://samakalinkagoj.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
অনলাইন ডেস্ক।।
কক্সবাজারের টেকনাফ হয়ে মেরিন ড্রাইভ পার হচ্ছিল সড়ক ও জনপদ বিভাগের লোগো সম্বলিত স্টিকার লাগানো বিলাস বহুল (এসইউভি) পাজেরো জীপ। ওই গাড়িতে তল্লাশি করেই পাওয়া যায় ৭ লাখ নিষিদ্ধ ইয়াবা ট্যাবলেট। জব্দকৃত ইয়াবার বাজার মূল্য ৩ কোটি টাকারও বেশি। গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত আত্মসমর্পণকৃত ইয়াবাকারবারি আবদুল আমিনকে (৪০) তার ৩ সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৫।
সোমবার (২০ মে) দিবাগত রাতে বিলাস বহুল (এসইউভি) পাজারো জীপে করে ইয়াবা টেবলেট কক্সবাজার পাচারকালে উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়ন সংলগ্ন মেরিন ড্রাইভের পাটুয়ারটেক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, টেকনাফের পৌরসভার ডেইল পাড়া গ্রামের হাজী মোহাম্মদ আলীর পুত্র আব্দুল আমিন (৪০),টেকনাফ সদর ইউনিয়নের গোদারবিল গ্রামেন আবু সৈয়দ এর ছেলে মোহাম্মদ আবদুল্লাহ (৩৫), একই গ্রামের মৃত মোহাম্মদ কাশেমের ছেলে
নুরুল আবসার (২৮) ও টেকনাফের ডেইল পাড়া গ্রামের মৃত দীল মোহাম্মদ এর ছেলে জাফর আলম (২৬)।
জানা গেছে, আব্দুল আমিন একজন কুখ্যাত মাদক কারবারি ইয়াবা সম্রাট ও পার্শ্ববর্তী দেশ হতে মাদক চোরাকারবারীর অন্যতম হোতা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত আত্মসমর্পণ কৃত ইয়াবা কারবারি। এছাড়া টেকনাফ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আবু সৈয়দ এর ছেলে, তার সাথে ভগ্নিপতি রয়েছে। শনিবার(১৯ মে) র্যাব-১৫ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এইসকল তথ্য জানায়, র্যাব-১৫ এর উপ-অধিনায়ক মেজর শরিফুল আহসান।
তিনি জানান, আটককৃত আবদুল্লাহর পিতা আবু সৈয়দের মালিকানাধীন বিলাসবহুল গাড়িতেটিতে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর এর লোগো লাগানো ছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দিতেই ইয়াবা কারবারিরা এই পন্থা অবলম্বন করেছিল বলে জানায় র্যাব।
এছাড়াও আত্মসমর্পণ কৃত ইয়াবা কারবারি আবদুল আমিনের বিরুদ্ধে কক্সবাজারসহ সারাদেশের বিভিন্ন থানায় ১১টিরও অধিক মামলা রয়েছে। তার ভাগ্নে মোহাম্মদ আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে দুইটি মামলা রয়েছে। নুরুল আবসারে একটি মাদক মামলা রয়েছে। এছাড়া জাফর আলমের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় নারী ও নির্যাতন দমন আইনে ২টি মামলা রয়েছে ।
র্যাব আরো জানায়, মিয়ানমার থেকে আসা ইয়াবা ট্যাবলেটগুলো বাংলাদেশে সরবরাহ করছিল মিয়ানমারের বাসিন্দা বার্মাইয়া সিরাজ। তথ্য মতে আরো জানা গেছে তার মাধ্যমেই দেশে বেশির ভাগ ইয়াবা টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আসে।