বিচ্ছেদের কারন আমার স্বামী শারীরিকভাবে অক্ষম : সানাই
- আপডেট সময়- ০৬:৫৫:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ জুন ২০২৩ ২১৬ বার পড়া হয়েছে
অনলাইন ডেস্ক।।
ব্যাক্তিগত জীবনে দাম্পত্য কলহ ও বিয়ে বিচ্ছেদ নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত-সমালোচিত হচ্ছেন মডেল ও অভিনেত্রী সানাই মাহবুব।
গত ২২ মে (বুধবার) প্রথম নিজ ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে ‘বিচ্ছেদ স্বাভাবিক ব্যাপার, জীবনেরই অংশ’ শীর্ষক স্ট্যাটাস দিয়ে ডিভোর্সের ইঙ্গিত দিয়ে পেজে স্বামী ব্যাংক কর্মকর্তা আবু সালেহ মুসার সঙ্গে ডিভোর্সের অফিশিয়াল কাজ শুরুর কথা জানান সানাই।
তার স্বামীকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে,এ নিয়ে শুক্রবার ফেসবুকেও নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন সানাই। তার দাবি, তার স্বামীর দাবি সত্যি নয়, তাকে তিনি মারধর করেননি। তাছাড়া আমি কোন দুঃখে আমার স্বামীকে মারতে যাব? আর কিডনি ড্যামেজ করে দিয়েছি মানে? আসেন আপনারা সবাই মিলে পপুলার কিংবা ল্যাবএইডে গিয়ে আমার স্বামীর কিডনি পরীক্ষা করে দেখি। রিপোর্ট কি আসে। সেখানেই প্রমাণ হবে কিডনি ঠিক আছে কিনা।
ব্যক্তিগত জীবনে ব্যাংকার আবু ছালেহ মুসার সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন মডেল অভিনেত্রী সানাই মাহবুব। সম্প্রতি এ ঘর ভাঙছে বলে নিজেই জানিয়েছেন সানাই। তবে অনেকগুলো কারণ সামনে আসলেও ঠিক কি কারণে বিচ্ছেদ হচ্ছে তা স্পষ্ট ছিলো না।
তবে এবার সামনে আনলেন নতুন আরেক কারণ। সানাই জানালেন, এ সংসার আর করা হচ্ছে না। স্বামী আবু সালেহ মুসার শারীরিক অক্ষমতার কারণে তার থেকে আলাদা হতে হয়েছে।
তিনি বলেন, আমার স্বামী শারীরিক ভাবে অক্ষম। অনেক ডাক্তার দেখিয়েছি। কাউন্সিলিংয়ের কাছে নিয়েছি কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। বিয়ের রাতেই তার সমস্যার কথা জানতে পারি। বিষয়টি মেনে নিয়ে তারপরও চিকিৎসা করাই। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। সেও অনেক হারবাল ঔষধ খেয়েছেন। তাতেও কোনো ধরনের লাভ হয়নি। তার পরিবার তার ব্যাপারে উদাসীন। তারা আমার মিডিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে। তাদের সন্তান অক্ষম জানার পরও আমাকে এভাবেই মানিয়ে নিতে বলে। এভাবে তো আর চলতে পারে না। তাই বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেওয়া।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২৭ মে পারিবারিক আয়োজনে কাউকে না জানিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে চেয়েছিল সানাইয়ের পরিবার। পরে ঠিকই জানাজানি হয়ে যায়। সানাইয়ের পৈতৃক নিবাস নীলফামারীতে। তার স্বামী মুসার বাড়িও একই জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলি ইউনিয়নের দক্ষিণ দুরাকুঠি এলাকায়।
নিউজটি শেয়ার করুন
-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ