ঢাকা ০৬:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ:-
গুলিবিদ্ধ হাদির সকল চিকিৎসার ব্যয় সরকার বহন করবে: প্রধান উপদেষ্টা রূপগঞ্জ’কে স্বপ্নের উপজেলায় রূপান্তরিত করতে চান বিএনপির মনোনীত প্রার্থী দিপু ভূঁইয়া খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনায় বিভিন্ন মসজিদে মাসুদুজ্জামানের বিশেষ দোয়া টেকনাফে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৫০ হাজার ইয়াবাসহ আটক-১ খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় জাকির খানের উদ্যোগে দোয়া অনুষ্ঠিত গুলিবিদ্ধ স্বতন্ত্র প্রার্থী ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি, অবস্থা সংকটাপন্ন আজ মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর ১৪৬তম জন্মদিন বেঁচে নেই রাজশাহীতে গর্তে পড়া ২ বছরের শিশু সাজিদ কক্সবাজারে বিজিবির বিশেষ অভিযানে ১০ হাজার ইয়াবাসহ আটক-১ গাইবান্ধায় বিনামূল্যে বীজ-সার পেয়ে প্রান্তিক কৃষকের মুখে স্বস্তির হাসি টেকনাফে র‍্যাবের অভিযানে এক লক্ষ ইয়াবাসহ আটক-২ কক্সবাজারে শরীফ হত্যা মামলার অন্যতম আসামী করিম র‌্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার কুষ্টিয়ায় নারী পুলিশ কনস্টেবলের মোবাইল ছিনতাইয়ের চেষ্টা, যুবক আটক বড়লেখায় রহস্যঘেরা বাংলো বাড়িটি পুলিশ ও গোয়েন্দা নজরদারিতে কুলাউড়ায় আগুনের লেলিহান শিখায় দগ্ধ হয়ে ছোট্ট শিশু রায়হানে মৃত্যু মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যাযজ্ঞ, নতুন যে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলো পুলিশ আমার নির্বাচনী এলাকার নাগরিকের মতামতের ভিত্তিতেই আগামীর না’গঞ্জ গড়বো: মাসুদুজ্জামান নাসিক সিটি পার্কের লেকের ঝোপ থেকে ভাসমান মরদেহ উদ্ধার না’গঞ্জে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামানের বৃক্ষমেলা নিয়ে ব্যতিক্রমী প্রচারণা নদী দখলমুক্ত করাই ছিল সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ: নৌ উপদেষ্টা কারওয়ান বাজারে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ, মোহাম্মদপুরে জোড়া খুন; মা-মেয়েকে হত্যার কারন জানালেন গৃহকর্মীর স্বামী কারাবন্দি সাংবাদিকদের মুক্তি চেয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে সিপিজের চিঠি মৌলভীবাজারে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস পালিত  মাদক নির্মূলে কুষ্টিয়া শহরে যৌথ বাহিনীর অভিযান আগামী দিনে রাষ্ট্র কাঠামো নির্মান করা হবে ৩১ দফার মাধ্যমে: মাসুদুজ্জামান না’গঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পাশে মানবতার কান্ডারী মাসুদুজ্জামান আমরা সবসময় জনগণের পাশে আছি: এসপি মিজানুর নারায়ণগঞ্জের লাখ লাখ শ্রমঘণ্টা যানজটে নষ্ট হচ্ছে; মতবিনিময় সভায় মাসুদুজ্জামান টেকনাফ সীমান্তে মানবপাচার চক্রের ২ সদস্য আটক নির্বাচন বিলম্বের ষড়যন্ত্র জনগণ বরদাস্ত করবে না: ফয়জুল করীম টেকনাফে সড়কে ট্রাক-সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে ঝড়লো ২ যুবকের তাজা প্রান দুর্নীতিমুক্ত থাকতে সচেতনতার পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষা অত্যাবশ্যকীয়: ডিসি রায়হান কবির রাজধানীতে চাঞ্চল্যকর জোড়া খুন; হাতে গ্লাভস পরে মা-মেয়েকে হত্যা বেগম রোকেয়া দিবস আজ খালেদা জিয়ার কিডনি জটিলতায় উদ্বিগ্ন চিকিৎসকরা, অবস্থা অপরিবর্তিত নারায়ণগঞ্জে একযোগে সাত থানায় নতুন ওসিদের যোগদান না’গঞ্জে সুগন্ধা প্লাস রেস্টুরেন্টে বাসি খাবার রাখার দায়ে ১ লাখ টাকা অর্থদন্ড বন্দরবাসীর কাছে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে দোয়া চাইলেন: মাসুদুজ্জামান মৌলভীবাজার মুক্ত দিবস পালিত পালাবদলে হারাতে বসেছে ‘গরু দিয়ে ধান মারাইয়ের ঐতিহ্য  টেকনাফের গহিন পাহাড়ে কোস্ট গার্ডের অভিযান: ৭ নারী শিশু উদ্ধার, আটক-৩ নারায়ণগঞ্জে বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে শ্রমিকের মৃত্যু; ডিপিডিসির ২ প্রকৌশলী বরখাস্ত না’গঞ্জ-৫ আসনের বিএনপি প্রার্থী মাসুদুজ্জামান ছাত্র জনতার মুখোমুখি ‎শুধুমাত্র দেশকে ভালবেসেই বেগম খালেদা জিয়ার জীবন আজ বিপন্ন: শাহ্ আলম অগ্রহায়নের ধান মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক গাইবান্ধা হানাদার মুক্তির ৫৩ বছর: মুক্তিযোদ্ধাদের দেখেই পালালো পাকিস্তানি বাহিনী বন্দর উপজেলার নতুন ইউএনও শিবানী সরকারের যোগদান নাফ নদী সীমান্তে বিজিবির অভিযান: ৫০ হাজার ইয়াবা জব্দ টেকনাফের শীর্ষ সন্ত্রাসী লম্বা মিজানের ঘর থেকে দেশি–বিদেশি অস্ত্রভাণ্ডার উদ্ধার মুন্সীগঞ্জে একই দিনে পৃথক স্থান থেকে নারীসহ ২ মরদেহ উদ্ধার সোনারগাঁয়ে সড়কের পাশে ডোবা থেকে যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার সোনারগাঁয়ে গ্যাস বিস্ফোরণে একই পরিবারের শিশুসহ দগ্ধ-৪ নারায়ণগঞ্জ শহরে আগুনে পুড়লো ৩৫টি কারখানা রায়পুরায় র‍্যাবের অভিযানে ১শ কেজি গাঁজাসহ আটক-২ শীতের দাপটে কাঁপছে চায়ের জনপদ শ্রীমঙ্গল মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনে মনোনয়ন দ্বন্দ্ব: বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত-৮ খালেদা জিয়াকে লন্ডন নেওয়ার সিদ্ধান্ত আরও পেছাচ্ছে নারায়ণগঞ্জে ঝুট মার্কেটে অগ্নিকাণ্ড স্বাধীনতার পরবর্তী ৫৪ বছরে স্বৈরাচারের সর্বোচ্চ নির্যাতনের শিকার খালেদা জিয়া: মাসুদুজ্জামান শ্রীমঙ্গলে নিখোঁজের ৪ দিন পর মানুষিক প্রতিবন্ধী নারীর লাশ মিললো খালে কুষ্টিয়ায় রাজমিস্ত্রীর বাড়ি থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার কমলগঞ্জে ১৪ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার দেশে বড় ধরনের ভূমিকম্পের শঙ্কা, সতর্ক থাকার পরামর্শ আবহাওয়া অধিদপ্তরের নারায়ণগঞ্জে ‘প্রথম আলো’ পত্রিকার সূধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত কুষ্টিয়ায় প্রকাশ্যে যুবককে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা কুলাউড়ার-ভারত সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে যুবক নিহত গাইবান্ধায় নির্জন ভিটায় চা দোকানির রক্তাক্ত নিথর মরদেহ উদ্ধার রামু সীমান্তে বিজিবি অভিযানে ৪০ হাজার ইয়াবাসহ আটক-১ নরসিংদীতে ৪.১ মাত্রার ভূমিকম্প, আবারও ২দিনের মাথায় কেঁপে উঠল ঢাকা টেকনাফ সীমান্তে আবারও উত্তেজনা; নাফ নদী থেকে ২ বাংলাদেশি জেলে নিখোঁজ শরণখোলায় আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও র‍্যালি অনুষ্ঠিত টেকনাফে কোস্টগার্ডের অভিযানে গোলা-বারুদসহ দেশীয় অস্ত্র জব্দ না’গঞ্জে চাঞ্চল্যকর ক্লু-লেস হত্যাকান্ড; স্ত্রীর পরকীয়ার বলি সুমন, স্ত্রীসহ গ্রেপ্তার-৬ নারায়ণগঞ্জ ও বন্দরবাসীর দীর্ঘদিনের কাঙ্ক্ষিত কদম-রসুল সেতুর টেস্ট পাইলিংয়ের উদ্বোধন অসুস্থ খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ধানের শীষের কান্ডারী মাসুদুজ্জামানের দোয়া দেশজুড়ে আলোচিত ৮ কুকুরছানাকে ডুবিয়ে হত্যার অভিযোগে নিশি খাতুন গ্রেপ্তার নারায়ণগঞ্জে পোষা বিড়ালে কবুতরের বাচ্চা খাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত-১ সারাদেশে ১ মাসের জন্য অবকাশে নিম্ন আদালত বাংলা একাডেমির ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ রায়পুরায় জুয়েলারি ব্যবসায়ীকে গু*লি করে হ*ত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা শতকোটি ঘনফুট গ্যাস মজুদ মৌলভীবাজারে খালেদা জিয়া’র সুস্থতা কামনায় তারেক জিয়া পরিষদ না’গঞ্জ মহানগরের দোয়া অনুষ্ঠিত উখিয়ায় বস্তাবন্দী নারীর লাশ উদ্ধার;  মামলার মূল আসামি স্বামী জসিম উদ্দিন গ্রেপ্তার গাইবান্ধায় প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ধর্ষণের শিকার মাদ্রাসার ছাত্রী আবারও মধ্যরাতে ঢাকাসহ ৪ বিভাগে ৪.৯ মাত্রার ভূমিকম্প  সেন্ট মার্টিনমুখী জাহাজ আবারও সমুদ্রে আরও ৭৭ উপজেলায় নতুন ইউএনও নিয়োগ দিয়েছে সরকার আজ ১লা ডিসেম্বর, মহান গৌরবময় বিজয়ের মাস শুরু সব ধরনের জ্বালানি তেলের বাড়তি দাম, আজ থেকে কার্যকর তিন মাসেই কোটিপতি বনে গেছেন রাজনগর উপজেলা পরিষদের সিএ অনুপ দাস টেকনাফের দক্ষিণ শিলখালী থেকে ৫ জন অপহৃত সারা দেশের মানুষের দোয়া আল্লাহ তায়ালা ফিরিয়ে দেবেন না; মাসুদুজ্জামান খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় মাসুদুজ্জামানের দোয়াসহ গরু সদকা ‎ভুল তথ্যের কারণে ৫৪ বছর যাবৎ বাংলাদেশ দাঁড়াতে পারেনি: নঈম জাহাঙ্গীর নারায়ণগঞ্জে নতুন পুলিশ সুপার(এসপি) মিজানুর রহমানের যোগদান এবার নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে নতুন মোর; নির্বাচনের ঘোষণা ‘কিং মেকার’ মো. আলীর সিদ্ধিরগঞ্জে চাঞ্চল্যকর তাকবির হত্যাকান্ড ও মুক্তিপন রহস্য উদ্ঘাটন কক্সবাজারে ৯০ হাজার ইয়াবাসহ বাস হেল্পার আটক নান্দাইলে আগুনে পুড়ে ছাই হলো বসতঘর,সর্বস্ব হারিয়ে অসহায় পরিবার

হাফলং ভারতের সুইজারল্যান্ড মৃত্যুকূপের সন্ধানে সারা বিশ্বের পরিযায়ী পাখি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময়- ০৬:৪৫:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ ২১৯ বার পড়া হয়েছে

 

ঋতম্ভরা বন্দ্যোপাধ্যায়,কলকাতা।।

 

পাখিরা কি জানতে পারে মৃত্যুর দিনক্ষণ ? নিজের এলাকায় স্বাভাবিক ভাবে কোন পাখিকে মরতে দেখেছেন কখনো ? নিশ্চয় নয়।জানেন তো পাখিরা বংশ বিস্তারের জন্য কোথায় যায় । কিন্তু পাখিরা মৃত্যুর উদ্দেশ্যে কোথায় যায়?তারা কি জানতে পারে তাদের মৃত্যুর দিনক্ষণ? পাখিদের মধ্যেও কি শক্তিশালী জ্যোতিষী রয়েছে? ডিমসাদের ভূমি হাফলঙ্গের থেকে মাত্র ৭ কিলোমিটার দূরে জটিঙ্গা।
আমার বাবা সেখানে গিয়ে দেখে এসেছেন সুদূর জার্মানী, রাশিয়ার সাইবেরিয়া ,চীন,কোরিয়া ,অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, কানাডা সহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের পাখিরা জটিঙ্গাকে বেছে নিয়েছে না ফেরার দেশে যাওয়ার কেন্দ্র। প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাস থেকে নবেম্বর পর্যন্ত হাজার হাজার রঙ বেরঙের পাখি ঝাঁকে ঝাঁকে ছুটে আসে সুউচ্চ পাহাড়ের কোণে জটিঙ্গায়। তাদের কিচির মিচির গানে মুখরিত হয়ে ওঠে এই সুদৃশ্য জনপদ। ফুলে ফুলে ভাড়া জটিঙ্গার গাছে গাছে তাদের ছোটাছুটি দেখার মতো। তারপর এক সময় তারা ঝাপিয়ে পড়ে ভারত –বাংলাদেশের দুই পাহাড়ের মাঝখানে এক কিলোমিটার নিচে বয়ে যাওয়া খর শ্রোতা নদীতে। তারপর বিলীন হয়ে যায় নদী গর্ভে।
জটিঙ্গা পাহাড়ের একেবারে শীর্ষে অবস্থিত। দীর্ঘ তিন মাস ধরে চলে তাদের মৃত্যু বরণ। সারা বিশ্বের ৪০০ বিজ্ঞানী এদের নিয়ে কয়েক যুগ থেকে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু এখানো কোন সমাধান সুত্র খুঁজে পান নি। জটিঙ্গা পাহাড়ের বুকে অসংখ্য স্থায়ী তাঁবু খাটিয়ে বিজ্ঞানীরা দিনরাত গবেষণা করে চলেছেন এখনো।দূর দূর থেকে আসা পর্যটকদের জন্য অসম সরকার একটি সুদৃশ্য পর্যবেক্ষন বাংলো তথা গেস্ট হাউস নির্মাণ করেছে পাহাড়ের অনেকটা উঁচু অবস্থানে। গেস্ট হাউসের নিচে একটি ফলক শোভা পাচ্ছে। তাতে লেখা রয়েছে, “ বিশ্বের পরিযায়ী পাখিরা এখানে ছুটে আসে ,এবং আত্মহত্যা করে” ।
এখানে এলে যেমন দুচোখের শান্তি পাওয়া যাবে,তেমনি তাদের মৃত্যুতে গভীর শোকের ছায়াও নেমে আসবে। তবে অনেক স্থানীয উপজাতিরা এই পাখিদের আগমনের সুযোগ নিয়ে পাখিদের শিকারও করে থাকেন। এটা নির্মম ও জঘন্য। সরকার ও স্থানীয ডিমসা শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের এগিয়ে এসেছেন এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে।
গুয়াহাটি থেকে সড়কপথে ১২ ঘণ্টা। ট্রেনে মাত্র ৫ ঘন্টার পথ হাফলং। সডাক পথে যেতে যেতে চোখে পড়বে দীর্ঘ ঘন অরণ্য। লঙ্কায় পৌছনের পর শুরু হবে পাহাড়ের পথ। হাফলং এর কাছাকাছি এলেই চোখে পড়বে ফুলে ফলে ভরা ভারতের দ্বিতীয় সুইজারল্যন্ড। লাল ,সাদা ,হলুদের পাহাড়। অনেক উঁচুতে শীতের সময় বরফ পড়তে দেখা যায়। ঘন মেঘের কুয়াশার আস্তরণ ভেদ করে জটিঙ্গায় যেতে হয়। হাফলং এর স্থায়ী বাসিন্দাদের ৩৫ শতাংশ বাঙালি। বাকিরা ডিমসা সম্প্রদায়ের। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে এই অঞ্চলটি ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল। নিষিদ্ধ সংগঠন ডিমা হালম ড়াউগা {ডি এচডি নুনিসা} , ব্ল্যাক উইডো {ডি এচ ডি গড়লোসা],পৃথক রাজ্যের দাবিতে সশস্ত্র সংগ্রামের ডাক দিয়ে মারাত্মক অস্ত্র একে ৪৭, মর্টার, মেশিনগান, রকেট লঞ্চার নিয়ে দীর্ঘ লড়াই করেছিল। সুরক্ষা কর্মী ,নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠীর গোলাগুলিতে ৫ হাজারের বেশি মনুস প্রাণ হরিয়েছিলেন। অনেক ঝুঁকি নিয়ে আমার বাবা সাংবাদিক মানস বন্দ্যোপাধ্যায় অজ্ঞাত স্থানে মাটির নিচে দেখা করেন ডি এচ ডির সর্বাধিনায়ক দিলীপ নুনিসার সঙ্গে। সে এক বিশাল কাহিনী। তারপর মানস বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের মূল স্রোতে ফিরে আস্তে রাজি করান। দিলীপ নুনিসা যুদ্ধ বিরতিতে রাজি হন। এরপর দিল্লিতে নর্থ ব্লকে গোপন আড্ডার বাইরের বেশ কয়েকজনকে নিয়ে প্রথমে স্বরাষ্ট্র সচিব {নর্থ ইস্ট} আর এ সি জৈনের সঙ্গে দেখা করেন। দ্বিতীয় দফায় দেখা করেন উপ প্রধানমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লাল কৃষ্ণ আদবানির সঙ্গে। এই ব্যপারে সহযোগিতা করেছিলেন সেই সময়ের বিজেপি সভাপতি এম বেংকাইয়াহ নাইডু ও সুষমা স্বরাজ।
তারপর এসেছিল ২০০৩ সালের ১ জানুয়ারী। দিলীপ নুনিসা ৬ মাসের জন্য যুদ্ধ বিরতি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
এরপর একে একে ব্ল্যাক উইডো তথা ডি এচ ডি গড়লসা ,বেঙ্গলি টাইগার ফোর্স ,এন এফ টি ত্রিপুরার নয়নবাসি ওরফে এস নকবার বরক মানস বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে মূল স্রোতে ফিরে আসেন। শান্তি ফিরে আসে পুরো অঞ্চলে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

ট্যাগস:-

হাফলং ভারতের সুইজারল্যান্ড মৃত্যুকূপের সন্ধানে সারা বিশ্বের পরিযায়ী পাখি

আপডেট সময়- ০৬:৪৫:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

 

ঋতম্ভরা বন্দ্যোপাধ্যায়,কলকাতা।।

 

পাখিরা কি জানতে পারে মৃত্যুর দিনক্ষণ ? নিজের এলাকায় স্বাভাবিক ভাবে কোন পাখিকে মরতে দেখেছেন কখনো ? নিশ্চয় নয়।জানেন তো পাখিরা বংশ বিস্তারের জন্য কোথায় যায় । কিন্তু পাখিরা মৃত্যুর উদ্দেশ্যে কোথায় যায়?তারা কি জানতে পারে তাদের মৃত্যুর দিনক্ষণ? পাখিদের মধ্যেও কি শক্তিশালী জ্যোতিষী রয়েছে? ডিমসাদের ভূমি হাফলঙ্গের থেকে মাত্র ৭ কিলোমিটার দূরে জটিঙ্গা।
আমার বাবা সেখানে গিয়ে দেখে এসেছেন সুদূর জার্মানী, রাশিয়ার সাইবেরিয়া ,চীন,কোরিয়া ,অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, কানাডা সহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের পাখিরা জটিঙ্গাকে বেছে নিয়েছে না ফেরার দেশে যাওয়ার কেন্দ্র। প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাস থেকে নবেম্বর পর্যন্ত হাজার হাজার রঙ বেরঙের পাখি ঝাঁকে ঝাঁকে ছুটে আসে সুউচ্চ পাহাড়ের কোণে জটিঙ্গায়। তাদের কিচির মিচির গানে মুখরিত হয়ে ওঠে এই সুদৃশ্য জনপদ। ফুলে ফুলে ভাড়া জটিঙ্গার গাছে গাছে তাদের ছোটাছুটি দেখার মতো। তারপর এক সময় তারা ঝাপিয়ে পড়ে ভারত –বাংলাদেশের দুই পাহাড়ের মাঝখানে এক কিলোমিটার নিচে বয়ে যাওয়া খর শ্রোতা নদীতে। তারপর বিলীন হয়ে যায় নদী গর্ভে।
জটিঙ্গা পাহাড়ের একেবারে শীর্ষে অবস্থিত। দীর্ঘ তিন মাস ধরে চলে তাদের মৃত্যু বরণ। সারা বিশ্বের ৪০০ বিজ্ঞানী এদের নিয়ে কয়েক যুগ থেকে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু এখানো কোন সমাধান সুত্র খুঁজে পান নি। জটিঙ্গা পাহাড়ের বুকে অসংখ্য স্থায়ী তাঁবু খাটিয়ে বিজ্ঞানীরা দিনরাত গবেষণা করে চলেছেন এখনো।দূর দূর থেকে আসা পর্যটকদের জন্য অসম সরকার একটি সুদৃশ্য পর্যবেক্ষন বাংলো তথা গেস্ট হাউস নির্মাণ করেছে পাহাড়ের অনেকটা উঁচু অবস্থানে। গেস্ট হাউসের নিচে একটি ফলক শোভা পাচ্ছে। তাতে লেখা রয়েছে, “ বিশ্বের পরিযায়ী পাখিরা এখানে ছুটে আসে ,এবং আত্মহত্যা করে” ।
এখানে এলে যেমন দুচোখের শান্তি পাওয়া যাবে,তেমনি তাদের মৃত্যুতে গভীর শোকের ছায়াও নেমে আসবে। তবে অনেক স্থানীয উপজাতিরা এই পাখিদের আগমনের সুযোগ নিয়ে পাখিদের শিকারও করে থাকেন। এটা নির্মম ও জঘন্য। সরকার ও স্থানীয ডিমসা শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের এগিয়ে এসেছেন এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে।
গুয়াহাটি থেকে সড়কপথে ১২ ঘণ্টা। ট্রেনে মাত্র ৫ ঘন্টার পথ হাফলং। সডাক পথে যেতে যেতে চোখে পড়বে দীর্ঘ ঘন অরণ্য। লঙ্কায় পৌছনের পর শুরু হবে পাহাড়ের পথ। হাফলং এর কাছাকাছি এলেই চোখে পড়বে ফুলে ফলে ভরা ভারতের দ্বিতীয় সুইজারল্যন্ড। লাল ,সাদা ,হলুদের পাহাড়। অনেক উঁচুতে শীতের সময় বরফ পড়তে দেখা যায়। ঘন মেঘের কুয়াশার আস্তরণ ভেদ করে জটিঙ্গায় যেতে হয়। হাফলং এর স্থায়ী বাসিন্দাদের ৩৫ শতাংশ বাঙালি। বাকিরা ডিমসা সম্প্রদায়ের। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে এই অঞ্চলটি ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল। নিষিদ্ধ সংগঠন ডিমা হালম ড়াউগা {ডি এচডি নুনিসা} , ব্ল্যাক উইডো {ডি এচ ডি গড়লোসা],পৃথক রাজ্যের দাবিতে সশস্ত্র সংগ্রামের ডাক দিয়ে মারাত্মক অস্ত্র একে ৪৭, মর্টার, মেশিনগান, রকেট লঞ্চার নিয়ে দীর্ঘ লড়াই করেছিল। সুরক্ষা কর্মী ,নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠীর গোলাগুলিতে ৫ হাজারের বেশি মনুস প্রাণ হরিয়েছিলেন। অনেক ঝুঁকি নিয়ে আমার বাবা সাংবাদিক মানস বন্দ্যোপাধ্যায় অজ্ঞাত স্থানে মাটির নিচে দেখা করেন ডি এচ ডির সর্বাধিনায়ক দিলীপ নুনিসার সঙ্গে। সে এক বিশাল কাহিনী। তারপর মানস বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের মূল স্রোতে ফিরে আস্তে রাজি করান। দিলীপ নুনিসা যুদ্ধ বিরতিতে রাজি হন। এরপর দিল্লিতে নর্থ ব্লকে গোপন আড্ডার বাইরের বেশ কয়েকজনকে নিয়ে প্রথমে স্বরাষ্ট্র সচিব {নর্থ ইস্ট} আর এ সি জৈনের সঙ্গে দেখা করেন। দ্বিতীয় দফায় দেখা করেন উপ প্রধানমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লাল কৃষ্ণ আদবানির সঙ্গে। এই ব্যপারে সহযোগিতা করেছিলেন সেই সময়ের বিজেপি সভাপতি এম বেংকাইয়াহ নাইডু ও সুষমা স্বরাজ।
তারপর এসেছিল ২০০৩ সালের ১ জানুয়ারী। দিলীপ নুনিসা ৬ মাসের জন্য যুদ্ধ বিরতি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
এরপর একে একে ব্ল্যাক উইডো তথা ডি এচ ডি গড়লসা ,বেঙ্গলি টাইগার ফোর্স ,এন এফ টি ত্রিপুরার নয়নবাসি ওরফে এস নকবার বরক মানস বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে মূল স্রোতে ফিরে আসেন। শান্তি ফিরে আসে পুরো অঞ্চলে।