সর্বশেষ:-
প্রচ্ছদ /
অর্থ ও বাণিজ্য, আইন আদালত, আন্তর্জাতিক, আবহাওয়া ও জলবায়ু, জেলা প্রশাসক কার্যালয়, টুঙ্গীবাড়ী, দূর্নীতি দমন কমিশন(দুদক), দেশজুড়ে, নারী ও শিশু, বাংলাদেশ, মুন্সিগঞ্জ
টংঙ্গীবাড়ীতে ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতু নির্মানে ধীরগতি
প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময়- ০৪:৪৪:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪ ৯ বার পড়া হয়েছে
মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি।।
মুন্সীগঞ্জের টংঙ্গীবাড়ী উপজেলার বালিগাওঁ বাজারের সেতু নির্মাণ কাজে চলছে ধীরগতি। মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুর মাওয়া সংযোগ সড়কের বালিগাওঁ বাজার এলাকায় তালতলা ডহুরী খালের উপরে চলছে এই সেতু নির্মাণ কাজ।মূল সেতুর নির্মাণ কাজ ইতিমধ্যে শেষ হলেও সেতুটি ব্যবহার উপযোগী করে যাতায়াতের জন্য খুলে দিতে খুব ধীরগতিতে কাজ করছে ঠিকাদার বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।এছাড়া সেতুর দুপাশের সংযোগ সড়কে বালু ফেলে রাখায় ওই বালু গাড়ির চাকার সাথে পিষ্ট হয়ে উড়ে বালিগাওঁ বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঢুকছে।এতে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন ওই বাজারের ব্যবসায়ীরা।সারাক্ষণ ওই এলাকায় সেতুর বালি ওড়ায় মারাত্বক ভাবে দূষিত হচ্ছে ওই এলাকার পরিবেশ।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ইতিমধ্যে মূল সেতুর কাজ শেষ হলেও সেতুর রেলিং নির্মাণ কাজ এখনো শেষ করা হয়নি।ব্রীজের পূর্বপাশের আংশিক অংশে রেলিঙের কাজ হয়েছে।এছাড়া পুরো সেতু এখনো রেলিং বসানো বাকি রয়েছে।তবে সেতুর দু’পাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণে বিলম্ব হওয়ায় বিরম্বনায় পড়েছে এই সেতুর দুপাশের গুরম্নত্বপূর্ণ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো।এছাড়া ওই পথে যাতায়াতকারীরা পরেছেন চরম ভোগান্তিতে।নির্মাণাধীন সেতুর পাশের আগের বেইলি সেতুটি দিন দিন নাজুক হয়ে পরেছে।নতুন সেতুর নির্মাণের অপেড়্গায় পুরানো বেইলি সেতুটি দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় সেতুর দু’পাশে স্টিলের অংশ বিশেষ স্থানে স্থানে ভেঙ্গে যাচ্ছে।সড়ক ও জনপদ বিভাগ আগামী জানুয়ারি মাসের মধ্যে সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে বললেও ঠিকাদার কর্তৃপড়্গ বলছে ফেব্রুয়ারিমাস নাগাদ শেষ হতে পারে সেতু নির্মাণ কাজ।স্থানীয় আকবর সিকদার বলেন, সেতুর কাজ পুরোপুরি বন্ধ।সেতুর লোকজন এখান হতে তাদের অফিস নিয়ে গেছে।কোনো লোকজন নাই।তারা সেতুর দু’পাশে সংযোগ সড়কের জন্য বালি ফেলে রাখায় এই সেতুর পাশ দিয়ে চলতে মানুষের অনেক কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু ঠিকাদার কোন কাজই করছে না।বালিগাঁও বাজারের ব্যবসায়ী মো:আজিজুল বলেন,নতুন সেতুর আশায় আগের পুরানো বেইলি সেতুটি জোড়াজির্ণ হচ্ছে।ওই জরার্জিন সেতুর উপর দিয়েই আলু ভর্তি,কাঠ ভর্তি ট্রাক চলাচল করছে।যে কোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে বেইলি সেতুটি। তাছাড়া সেতুর এখানে সব সময় যানজট লেগে থাকে।ব্রীজের দু’পাশে বালু ফেলে রাখায় বাইপ্রাস সড়কটি একবারে সরম্ন হয়ে পরেছে।একটি ট্রাক বাইপ্রাসে ঢুকলে অটো রিক্রা সাইড দিতে কষ্ট হয়ে। এতে সব সময় যানজট লেগে থাকে।
অপর ব্যবসায়ী সজীব বলেন,আমাদের বীজের গোড়ায় দোকান।ব্রীজের দুপাশের সড়ক নির্মাণ করতে গিয়ে আমাদের দোকানের সামনে বালি ফেলে রাখছে।এখন গাড়ি গেলেই বালু উড়ে আমাদের দোকানের ভিতরে ঢুকছে।আমরা ঠিকমতো ব্যবসা করতে পারছিনা।এদিকে ঠিকাদারও কাজ বন্ধ করে রাখছে কবে কাজ শেষ করে তারাই ভালো বলতে পারে।ওই ব্রীজের দেখভালের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এনডিই এর সুপারভাইজার রতন আলী বলেন, আমাদের অন্য আরেকটি ব্রীজে এই ব্রীজের শ্রমিকরা আজ কাজ করেছে।তাই এই ব্রীজে আজ কোন শ্রমিক আমাদের নেই।আমাদের এখানে ব্রীজে কাজ শেষ হয়েছে।রেলিঙের পশ্চিম পাশের অংশের কাজ বাকি আছে।আমরা ফেব্রুয়ারির মধ্যে কাজ শেষ করবো।এ ব্যাপারে মুন্সীগঞ্জ সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নাজমুস হোসেন সাকিব বলেন,ওই সেতুর কাজ শেষ পর্যায়ে। জানুয়ারি মাসের মধ্যে সেতুটি হেন্ডওভার হবে আসা করছি।সেতুটি নির্মাণ ব্যয় ১৫ কোটি টাকার মতো বলেও জানান তিনি।