শতকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ফতুল্লার ক্রিকেট স্টেডিয়াম করুনাবস্থায় : বিসিবি সভাপতি

- আপডেট সময়- ০৯:০১:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫ ৪৪ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের(রিয়া গোপ) করুণ দশা দেখে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
রোববার (২৪ আগস্ট) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে কোয়াব ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে ‘ক্রিকেট ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড আইডিয়া’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিসিবি সভাপতি বলেন, এখানে আসার সময় আমি ফতুল্লা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম দেখে আসলাম। আমার কান্না পাচ্ছিল, কী করুণ অবস্থা। এখানে আমাদের ক্রিকেটার শাহরিয়ার নাফিজ অস্ট্রেলিয়ার সাথে সেঞ্চুরি করেছিল।
সেই মাঠের অবস্থা দেখলাম অত্যন্ত করুণ। ক্রিকেট খেলার বড় উপাদান হলো ফ্যাসিলিটি। সেই ফ্যাসিলিটির যে করুণ অবস্থা তা দেখে এলাম ফতুল্লা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে। আমার মনে হয়, এখানে অনেক কিছু করার আছে।
তিনি নারায়ণগঞ্জে ক্রিকেটের সম্ভাবনা তুলে ধরে বলেন, “নারায়ণগঞ্জের ছেলে জিসান টপ-২০ তে অর্ধশত করেছে। কিন্তু জিসানের যেখানে অনুশীলন করার সুযোগ, তার সাথে ওই ইনিংস মিলাতে পারছিলাম না। এর মধ্য দিয়েই জিসানের মতো খেলোয়াড় উঠে এসেছে। এখানে ৩টি উইকেট আছে, আমরা অন্তত ২০টি উইকেট তৈরি করবো। মাঠকে ১২ মাস খেলার উপযোগী করবো।
খেলোয়াড়দের ফ্যাসিলিটি বৃদ্ধি করবো এবং জেলা পর্যায়ে অন্তত লেভেল-৩ কোচ নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে নারায়ণগঞ্জকে এতটাই স্বাবলম্বী করতে চাই, যেন খেলোয়াড়দের আর ঢাকায় যেতে না হয়।
বিসিবির সভাপতি আরও বলেন, “নারায়ণগঞ্জ একটি সম্ভাবনাময় শহর। এখানে নাকি ক্রিকেটার তৈরি হয় না, কিন্তু ক্রিকেটের ইতিহাস তৈরি হয়। আমরা চেষ্টা করবো নারায়ণগঞ্জে একটি হাই পারফর্মিং সেন্টার গড়ে তুলতে। ইনডোর স্টেডিয়াম ও আউটডোর ফ্যাসিলিটি ডেভেলপ করতে পারলে অনায়াসে এখানে হাই পারফর্মিং সেন্টার চালু করা সম্ভব হবে।
এখানের ক্রীড়া ঐতিহ্যের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “নারায়ণগঞ্জ আমাদের জন্য একটি আইডিওলজিক্যাল জায়গা। আমরা যখন ফুটবল খেলতাম, তখন বড় বড় ফুটবলাররা এখান থেকে আসতেন। ক্রিকেটের ইতিহাসও বেশ বড়। আমি যখন ক্রিকেট খেলতাম, তখন এখানকার খেলোয়াড়দের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জের সাথে আমার সুসম্পর্ক তৈরি হয়। তখন বিভিন্ন লীগ অনুষ্ঠিত হতো, এখানকার ক্লাব থেকে খেলোয়াড় উঠে ঢাকায় গিয়ে খেলতো। এখনো ক্রিকেটের প্রতি এখানকার মানুষের যে আগ্রহ দেখলাম, তা আমাকে আনন্দিত করেছে।
এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম, জেলা প্রশাসক(ডিসি) জাহিদুল ইসলাম মিঞা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) আলমগীর হুসাইন, সিসিডিএমের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাসুদুজ্জামান মাসুদ, কোয়াব জেলার সভাপতি জাকারিয়া ইমতিয়াজ, সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ, জেলা ক্রীড়া সংস্থার এডহক কমিটির সদস্য নূর জামাল হাসান, গোলাম গাউস প্রমুখ।
নিউজটি শেয়ার করুন..

-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ