রাজশাহী ও সিলেট সিটি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে
- আপডেট সময়- ০৪:৩৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ জুন ২০২৩ ১১০ বার পড়া হয়েছে
অনলাইন ডেস্ক।।
রাজশাহী ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। বুধবার (২১ জুন) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে টানা ভোটগ্রহণ চলবে।
দুই সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ উপলক্ষে মোতায়েন করা হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন সদস্যদের। ভোটারদের সুবিধার জন্য এসকল সিটি কর্পোরেশন এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
রাজশাহী সিটি নির্বাচন>>
এবার রাজশাহী সিটিতে ১৫৫টি ভোটকেন্দ্রের ১ হাজার ১৫৩টি ভোটকক্ষে ভোট গ্রহন ভোট চলছে। এই সিটির মোট ভোটারের মধ্যে ১ লাখ ৭১ হাজার ১৬৭ জন পুরুষ, ১ লাখ ৮০ হাজার ৮০৯ জন নারী এবং ছয়জন হিজড়া ভোটার রয়েছেন।
ভোটের পরিবেশ শান্ত সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ রাখতে সাধারণ কেন্দ্রে ১৬ জন এবং গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৭ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছেন। এছাড়া পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে প্রতিটি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি করে মোট ৩০টি মোবাইল ফোর্স, প্রতি তিনটি সাধারণ ওয়ার্ডের একটি করে মোট ১০টি স্ট্রাইকিং ফোর্স প্রতি থানায় একটি করে মোট ছয়টি রিজার্ভ স্ট্রাইকিং ফোর্স, প্রতি দুইটি সাধারণ ওয়ার্ডের জন্য একটি করে মোট ১৬টি র্যাবের টিম রয়েছে।
এছাড়াও পাঁচটি সাধারণ ওয়ার্ডের জন্য এক প্লাটুন করে মোট সাত প্লাটুন স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। অপরদিকে বুধবার পর্যন্ত ৩০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১০ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভোটের মাঠে দায়িত্বে রয়েছেন।
রাজশাহী সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে চারজন, ৩০টি সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১১১ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৪৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মেয়র প্রার্থীরা হলেন>> জাতীয় পার্টির মো. সাইফুল ইসলাম স্বপন, আওয়ামী লীগের এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. মুরশিদ আলম এবং জাকের পার্টির মো. লতিফ আনোয়ার।
সিলেট সিটি নির্বাচন>>
সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনী এলাকায় যান চলাচল সীমিত করা হয়েছে। ক্যামেরার মাধ্যমে নির্বাচন ভবন থেকে ভোটগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ভোটের মাঠে আছে নিজস্ব পর্যবেক্ষক টিমও।
অবাদ ও সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের জন্য সাধারণ কেন্দ্রে ১৬ জন এবং গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৭ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে প্রতিটি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি করে মোট ৪২টি মোবাইল ফোর্স, প্রতি তিনটি সাধারণ ওয়ার্ডের একটি করে মোট ১৪টি স্ট্রাইকিং ফোর্স প্রতি থানায় একটি করে মোট ছয়টি রিজার্ভ স্ট্রাইকিং ফোর্স, প্রতি দুইটি সাধারণ ওয়ার্ডের জন্য একটি করে মোট ২২টি র্যাবের টিম ও পাঁচটি সাধারণ ওয়ার্ডের জন্য এক প্লাটুন করে মোট ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া বুধবার পর্যন্ত ৪২ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১৪ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভোটের মাঠে দায়িত্ব পালন করবেন।
সিটিতে মেয়র পদে আটজন, ৪২টি সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ২৯৪ জন এবং ১২টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৮৬ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মেয়র প্রার্থীরা হলেন>> জাতীয় পার্টির মো. নজরুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাহমুদুল হাসান, আওয়ামী লীগের মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জাকের পার্টির মো. জরিহুল আলম, স্বতন্ত্র মো. আব্দুল হানিফ, মো. ছালাহ উদ্দিন রিমন, মো. শাহজাহান মিয়া এবং মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা।