টিসিবির পণ্য তালিকায় নতুন যুক্ত হচ্ছে চা-লবণ-ডিটারজেন্ট ও সাবান

- আপডেট সময়- ০৮:০৪:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২৭ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন নিউজ ডেস্ক।।
সামনে নভেম্বর মাস থেকে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য তালিকায় যোগ হবে পাঁচ পণ্য। এই পণ্য তালিকায় রয়েছে চা, লবণ, ডিটারজেন্ট ও দুই ধরনের সাবান।
সোমবার(৩০) দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে টিসিবির উপকারভোগী নির্বাচন ও সক্রিয়করণ বিষয়ক এক সভায় এ কথা জানান বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন উপদেষ্টা।
সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক, ঢাকার পার্শ্ববর্তী সব জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারেরা অংশ নেন।
টিসিবির কার্যক্রম পরিচালনায় সরকার প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়ে থাকে। এতে বাজারের চাহিদা ও সরবরাহে সমতা তৈরি হয় উল্লেখ করে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, টিসিবির চলমান বিক্রয় কার্যক্রমের সাথে নতুন পাঁচটি পণ্য দরিদ্র মানুষকে আরেকটু স্বস্তি দিবে একই সাথে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ভূমিকা রাখবে।
উপদেষ্টা বলেন, ‘সরকার টিসিবির কার্যক্রম গতিশীল করতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এক কোটি উপকারভোগী সঠিকভাবে নির্বাচন করতে দায়িত্বশীল কর্মকর্তা হিসেবে আপনাদের উদ্যোগী হয়ে কাজ করতে হবে। দরিদ্র মানুষ যেন সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর বাইরে না থাকে–সেটা নিশ্চিত করতে হবে।’
এসব করতে পারলে বাংলাদেশ একটি কল্যাণমুখী রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে উঠবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রকৃত উপকারভোগীর কাছে টিসিবির স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড পৌঁছে যাক–এটা আমার প্রত্যাশা। কার্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে তার পরিচয় হোক সে দরিদ্র-অসহায় মানুষ, সরকারের সহযোগিতা তার প্রাপ্য।’
বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘সঠিক উপকারভোগী নির্বাচনে সনাক্তকরণ মূল সমস্যা হিসেবে সামনে আসছে। এর পাশাপাশি সিটি করপোরেশনের কার্যক্রমে গতি কিছুটা কম। সমস্যা যেহেতু চিহ্নিত হয়েছে, আশা করি দ্রুতই কাজটি সম্পন্ন হবে।’
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রফতানি) মো. আব্দুর রহিম খান ও ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) চেয়ারম্যান বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ফয়শল আজাদ।
সভায় টিসিবির স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডের সর্বশেষ তথ্য অবহিত করা হয়। এতে বলা হয়, বর্তমানে মোট সক্রিয় কার্ডের সংখ্যা ৬০ লাখ ৩৪ হাজার ৩১৬। সক্রিয়করণ অপেক্ষমান কার্ডের সংখ্যা ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৪৫৪।