ঢাকা ১০:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫, ২৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ:-
কুষ্টিয়ায় বাকিতে সিগারেট না দেওয়ায় দোকানির কান কামড়ে ছিঁড়ে দিল যুবক বড়লেখায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার-৯ কুষ্টিয়ায় ফের সাংবাদিককে হাতুড়ি-লোহার রড দিয়ে হামলা সিদ্ধিরগঞ্জে গলাকাটা নারীসহ অজ্ঞাত যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার নারায়ণগঞ্জের যানজট নিরসনে ডিসির পাশে চেম্বার ও বিকেএমইএ দিল্লির জঙ্গলে রাজপ্রাসাদ! আওয়াধ রাজ্যের শেষ রাজপুত্রের কাহিনি টেকনাফে ৩০ হাজার পিস ইয়াবাসহ ক্রিস্টাল মেথ জব্দ রাস্তা নয় যেন মরণফাঁদ, চরমদুর্ভোগে ৩ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা কুলাউড়ায় বিপুল পরিমাণে এসকপ কোডিনসহ আটক-১ নারায়ণগঞ্জ সদরে নতুন ইউএনও তাছলিমা শিরিনের যোগদান জায়গা জটিলতায় আটকে আছে সুন্দরগঞ্জের সড়ক উন্নয়ন, বিপাকে পৌরবাসী কমলগঞ্জে ভাইয়ের হাতে ভাই খুনের রহস্য উদ্ঘাটন,আলামত জব্দ  চাঁদপুরে অর্থ লেনদেনের বিরোধে চাচার হাতে ভাতিজা খুন, আটক-৩ না’গঞ্জে যুবদল নেতাসহ ১০জনের ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনের জন্য মহা-কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্তের পথে সাংবাদিক তুহিন হত্যার বিচারের দাবিতে বন্দর উপজেলা প্রেসক্লাবের মানববন্ধন গাজীপুরে নৃশংসভাবে সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে এনইউজে’র মানববন্ধন সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেসক্লাবের বিক্ষোভ  শ্রীমঙ্গলে দুই কেজি গাঁজাসহ গ্রেপ্তার-১ সাংবাদিক তুহিনকে নির্মমভাবে হত্যার প্রতিবাদে কক্সবাজারে বিক্ষোভসহ মানববন্ধন বিপন্ন উপকূল; বাগেরহাটে চারটি আসন বহালের দাবিতে সিইসিকে স্মারকলিপি গাইবান্ধায় শিশুকে জিম্মি করে সুদের টাকা দাবি; গ্রেপ্তার-৪ সাংবাদিক তুহিনকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদে কুষ্টিয়ায় মানবন্ধন পেশাদার সাংবাদিকদের নিরাপত্তায় ‘হলুদ সাংবাদিকতার’ দৌরাত্ম উপড়ে ফেলতে হবে আদিবাসীর অধিকার ছাড়া উন্নয়ন অসম্ভব: গাইবান্ধায় আদিবাসী দিবসে দাবি দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর না’গঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের এডহক কমিটির অনুমোদন গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যায় নারীসহ গ্রেপ্তার-৪ বড়লেখা সীমান্তে রোহিঙ্গাসহ আটক ৮ জনকে পুশইন শ্রীমঙ্গলে ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে বিজয়ী সদর ইউপি টেকনাফে অবৈধ ট্রলিং বোটসহ ১৭ জেলে আটক  কুষ্টিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নারীর মৃত্যু গাজীপুরে ট্রাভেল ব্যাগ থেকে খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ জুড়ীর আলোচিত চেয়ারম্যান শেলু অবশেষে গ্রেপ্তার চাঁদপুরের ক্ষুদে মেসি সোহানের দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান গত দুইদিনে দেশে সাংবাদিকসহ অন্তত ৫ জনকে প্রকাশ্যে হত্যা শরণখোলায় নদীভাঙনে রিং বাঁধ ভেঙে শতশত বিঘা জমি ও বসতবাড়ি বিলীন গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়ে নোয়াব’র গভীর উদ্বেগ বিকেলে চাঁদাবাজি নিয়ে লাইভ, রাতে সাংবাদিককে নৃশংসভাবে গলা কেটে হত্যা অবৈধ বালু উত্তোলনে তিস্তা সেতু ঝুঁকিতে আজ দেশব্যাপী বিজয় র‍্যালি করবে বিএনপি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮৪তম প্রয়াণবার্ষিকী আজ বৈরী আবহাওয়াও প্রকম্পিত সোনারগাঁয়ের বিএনপির এমপি প্রার্থী মান্নানের বিজয় র‍্যালী নারায়ণগঞ্জের দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ম্যাকলিন ফের আইসিটি মামলায় গ্রেপ্তার ধর্মের আড়ালে ২২ কোটি টাকার চাল আত্মসাৎ, সাবেক এমপিসহ অভিযুক্ত-১৫ সুন্দরবনে কীটনাশক ও নৌকাসহ ৮ জেলে আটক না’গঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার নতুন এডহক কমিটির অনুমোদন ‘নতুন বাংলাদেশে’ র‍্যাব বিলুপ্তির পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থার সুস্পষ্ট কাঠামো করবে এনসিপি কুলাউড়ায় অজ্ঞাত কিশোরের ম*র*দেহ উদ্ধার ২৪’র ‘গণঅভ্যুত্থান’ স্মরণে বিএনপির বিজয় মিছিলে যোগ দিতে মাসুদুজ্জামানের আহ্বান পদোন্নতি পেয়ে এডিসি হলেন জাফর সাদিক, স্থলাভিষিক্ত ইউএনও তাছলিমা শিরিন শ্রীমঙ্গলে অবসরজনিত পুলিশ সদস্যকে রাজকীয় বিদায় ভেড়ামারায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের দু’জনের মৃত্যু মাইলস্টোনে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত রজনীর কবরে বিমানবাহিনীর শ্রদ্ধা নিবেদন প্রবীণদের অভিজ্ঞতা আর তরুণদের উদ্যমে ঐক্যবদ্ধভাবে পরিকল্পিত না’গঞ্জ গড়তে চান মাসুদুজ্জামান শ্রীমঙ্গলে অবৈধবালু কারবারি ও সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ গ্রেপ্তার-৩ বড়লেখায় ছিনতাইকৃত মালামালসহ আটক-২ চাঁদপুরে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু, হাসপাতাল ভাঙচুর গোপালগঞ্জের ঘটনা নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করলো সেনাসদর সিলেট রেঞ্জে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী মৌলভীবাজারের দুই কর্মকর্তা ফতুল্লায় সাংবাদিক সামাদ মতিনের সহধর্মিণী সুরাইয়া মতিনের দাফন সম্পন্ন গাজীপুরের কালীগঞ্জে ‘শিখা’ প্রকল্পের কর্মপরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত এবার ৩৭তম বিসিএস’র ১০২ এসি ল্যান্ডকে প্রত্যাহার কুষ্টিয়ায় গণঅভ্যুত্থানের পর জ্বলেনি শহরের ২৬৬ সৌন্দর্যবর্ধক সড়কবাতি খালেদা জিয়া-তারেক রহমানকে ঘেরাও করতে চাওয়া সেই বিএনপি নেতা বহিষ্কার নারায়ণগঞ্জে হকার্স মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে মাসুদুজ্জামান টেকনাফে র‍্যাব-১৫’র অভিযানে শীর্ষ সন্ত্রাসী ২১ মামলার আসামী শফি ডাকাত গ্রেপ্তার শরণখোলায় আন্তর্জাতিক বাঘ দিবস পালিত  ভেড়ামারায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ টঙ্গীতে ৩৬ ঘণ্টা পর ম্যানহোলে নিখোঁজ নারীর মরদেহ উদ্ধার নিউইয়র্কে বন্দুকধারীর গুলিতে ৪জনের মৃত্যু: এক নাগরিক মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে তিনদিন ব্যাপী কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে আড়াইহাজারে  ‘শিখা’ প্রকল্পের কর্মপরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জে ভয়াবহ আগুনে পুড়ল অন্তত ২০টি বসতঘর শ্রীমঙ্গলে নারকোটিসের অভিযানে ৮৬ বোতল বিদেশি মদ জব্দ কুষ্টিয়ায় নৈশপ্রহরীর হাত-পা বেঁধে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার-২ আজ বিশ্ব বাঘ দিবস বাগেরহাটে যৌথবাহিনীর অভিযানে দেশীয় অস্ত্র ও মাদকসহ আটক-৮ তিস্তা সেতু উদ্বোধনে চতুর্থ বিলম্ব: স্থানীয়দের ক্ষোভ  সিজুর মৃত্যু রহস্যে উত্তাল গাইবান্ধা: স্বজনদের দাবি, “পরিকল্পিত হত্যা”  নঈম নিজাম ও বোরহানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা গাজীপুরে শ্রমিকদের ১০ দফা দাবিতে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও মহাসড়ক অবরোধ গুলশানে চাঁদাবাজির সময় বৈষম্যবিরোধীর যুগ্ম আহ্বায়কসহ গ্রেপ্তার-৫ তদন্তে কোনো নিরপরাধ যেনো শাস্তির আওতায় না আসে : না’গঞ্জে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি: একে একে ঝড়ে যাচ্ছে কোমলমতি প্রান, এবার চলে গেল জারিফ বড়লেখার লাতু সীমান্তে ফের ৫ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ মাইলস্টোনে মর্মান্তিক হতাহতের ঘটনায় মহিলা পরিষদের শোকসহ মৌন মিছিল শরণখোলায় ১০ ফুট লম্বা অজগর উদ্ধারের পর সুন্দরবনে অবমুক্ত জুড়ীতে ১০ হাজার মিটার অবৈধ জগৎ বেড় জাল পুড়িয়ে ধ্বংস একশ্রেণীর নব্য রাজাকার-আলবদররা আমার মৃত্যুর গুজব রটাচ্ছে: সেফুদা শিক্ষার পাশাপাশি সন্তানদের পারিবারিক সুশাসন খুবই প্রয়োজন: ডিসি তৌফিকুর রহমান মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্তে নিহতের স্মরনে উদীচীর মোমবাতি প্রজ্বলন মৌলভীবাজারে বিএনপিকে জনগন থেকে বিচ্ছিন্নে মেতেছিল স্বৈরাচারী হাসিনা: রিজভী বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের দাবিতে শরণখোলার কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন মৌলভীবাজার সদর উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে রূপগঞ্জে ‘শিখা’ প্রকল্পের কর্মপরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে বন্দরে ‘শিখা’ প্রকল্পের কর্মপরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত ইউএনও’র হস্তক্ষেপে আশার আলো দেখছে মেরুদণ্ডে আঘাতপ্রাপ্ত রিয়া মনি না’গঞ্জ হকার্স মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ২৫ ব্যবসায়ী পেলেন আর্থিক সহায়তা নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ভারতে যাওয়ার সময় আটক ছয় মরদেহ এখনো সনাক্ত করা যায়নি, ডিএনএ নমুনা দেওয়ার আহ্বান

দিল্লির জঙ্গলে রাজপ্রাসাদ! আওয়াধ রাজ্যের শেষ রাজপুত্রের কাহিনি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময়- ০৬:০১:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫ ৫৬ বার পড়া হয়েছে
ঋতম্ভরা বন্দ্যোপাধ্যায়।।
মাত্র কবছর আগে নিউ দিল্লী রেল স্টেশনে এক মহিলা এক চাকরকে নিয়ে ঘোষণা করেছিলেন তিনি আওয়াধ রাজ্যের রাজরানী। তিনি নিজেকে বেগম – ই – আওয়াধ্ বলে দাবি করেন উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিয়ে সম্পত্তি ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত তিনি স্টেশন ছেড়ে যাবেন না। তিনি স্টেশনের ভি আই পি ওয়েটিং রুমেই থেকে গেলেন। এই ঘটনায় তোলপাড় হয়েছিল রাজধানী।
আজও উত্তর ভারতে আওয়াধ রাজ্যের প্রসঙ্গ বারেবারে উঠে আসে। বর্তমানে মাত্র কয়েকজনই উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউকে এক সময়ে আওয়াধ রাজ্যের রাজধানী হিসেবে চেনেন। কিন্তু, এই রাজ্যের এক রাজপুত্রের কাহিনি অবাক করবে সকলকেই। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর এলেন ব্যারি আওয়াধ রাজ্য এবং সেখানকার রাজপুত্র প্রিন্স সাইরাসকে নিয়ে কিছু তথ্য উপস্থাপন করেন। তিনি দীর্ঘ সময় ধরে আওয়াধ রাজ্যের শেষ পরিবারটিকে খুব কাছ থেকে লক্ষ্য করেছিলেন এবং বেশ কয়েক মাস ধরে প্রিন্স সাইরাসের সাথে কথাও বলেন।
এই প্রসঙ্গে এলেন জানান, “আমি আওয়াধ রাজপরিবারের কথা শুনেছিলাম। তাঁরা ছিলেন শহরের এক বড় রহস্য। তাঁদের গল্প বলতেন পুরোনো দিল্লির চা বিক্রেতা, রিকশাওয়ালা এবং দোকানদাররা। তাঁরা বলতেন, জঙ্গলের মধ্যে একটি প্রাসাদ রয়েছে। যেটি শহর থেকে বিচ্ছিন্ন। সেখানে একজন রাজপুত্র, একজন রাণী এবং একজন রাজকন্যা বাস করতেন। তাঁরা সকলেই মুসলিম রাজ পরিবারের সাথে সম্পর্কিত।” তখন থেকেই এলেন সেই প্রাসাদ এবং সেই পরিবারের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন। তবে, তিনি শুধু দিল্লি এবং উত্তরপ্রদেশেই নয়, বরং তথ্য সংগ্রহ করতে লন্ডন এবং লাহোরেও গিয়েছিলেন।
তিনি বলেছেন, “মানুষজন সর্বত্র রাজপুত্রের সম্পর্কে বিভিন্ন কথা বলত। কিছু লোক বলেন যে আওয়াধের এই পরিবারটি ১৮৫৭ সালের। তখন ব্রিটিশরা তাঁদের সাম্রাজ্যের অবসান ঘটিয়েছিল। ধীরে ধীরে একটি জঙ্গল প্রাসাদের চারপাশে তৈরি হয় এবং সেটি ঘিরে ফেলে। একবার এক ব্যক্তি টেলিফটো লেন্স দিয়ে রাজকন্যার ছবি দেখে জানিয়েছিল ‘মনে হচ্ছে তাঁর চুল অনেক বছর ধরে কাটা হয়নি।’”
মূলত, চতুর্দশ শতকে নির্মিত এই প্রাসাদে ভয়ঙ্কর কুকুরও ছিল। পাশাপাশি, সেখানে লেখা ছিল, “কুকুর থেকে সাবধান। যারা ভেতরে প্রবেশ করবে তাদের গুলি করা হবে।” কয়েক বছরের মধ্যে, পরিবারটি কিছু বিদেশি সাংবাদিকের সাথে যোগাযোগ করে সরকারকে দোষারোপ করতেন। তবে সাংবাদিকরা অনেক রসদ পেতে থাকেন। ১৯৯৭ সালে, রাজকুমার এবং রাজকুমারী, টাইমস অফ লন্ডনের সাথে কথা বলার সময় বলেছিলেন যে, তাঁদের মা ব্রিটেন এবং ভারতের বিশ্বাসঘাতকতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে ছিলেন এবং অবশেষে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন।
এলেন এই পরিবার সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানার জন্য ক্রমাগত আগ্রহী ছিলেন। একবার তিনি ফোন পেলেন যে, যুবরাজ সাইরাস তাঁর সাথে দেখা করতে চান। মূলত, এলেন নিজেই সাইরাসের সাথে দেখা করতে চেয়েছিলেন। এরপর সোমবারের এক সন্ধ্যায় যুবরাজ দেখা করতে ডাকেন। এলেন সেখানে গিয়ে দেখেন ১৯ শতকে এখানে লাগানো গাছগুলি বিংশ শতকে ঘন জঙ্গলে পরিণত হয়েছে।
ফোনে, এলেনকে বলা হয়েছিল গাড়িটি যেখানে রাস্তা শেষ হয়েছে সেখানে ছেড়ে যেতে। এর ঠিক পাশেই ছিল মিলিটারি কম্পাউন্ডের বড় প্রাচীর। এলেন কথামত তাঁর ড্রাইভারকে দূরে দাঁড়াতে বলে অপেক্ষা করছিলেন কখন কেউ এসে তাঁকে নিয়ে যাবেন। সেই সময়েই সাইরাস সেখানে উপস্থিত হন।
সাইরাসকে দেখে তাঁর মনে হয়েছিল যে, তিনি এমন একজন ব্যক্তি যিনি বছরের পর বছর ধরে সম্পূর্ণ একাকী জীবনযাপন করছেন। এলেন যখন তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে, তিনি তাঁর সাক্ষাৎকার প্রকাশ করতে চান কিনা, তখন তিনি বলেছিলেন যে, এর জন্য তাঁর বোন রাজকুমারী সকিনার অনুমতি নিতে হবে। এদিকে, এলেন সেখানে বেশ কিছু ঘটনা জানতে পারেন।
জানা যায়, ১৯৭০ সালে সাইরাসের মা হঠাৎ একদিন নতুন দিল্লি রেলওয়ে স্টেশনে আসেন এবং বলেন যে তিনিই বেগম-ই-আওয়াধ। তখন এই সাম্রাজ্যের কোনো নাম-গন্ধও ছিল না। বেগম বলেছিলেন যে যতক্ষণ না তাঁর সাম্রাজ্যের সমস্ত সম্পত্তি পুনরায় সংরক্ষণ করা হয় ততক্ষণ তিনি স্টেশনে থাকবেন। তিনি ভিআইপি ওয়েটিং রুমে থাকতে শুরু করেন।
বেগমের আচরণও ছিল অদ্ভুত। তাঁর কোনো সরকারি যোগাযোগ ছিল না। তাঁকে কিছু বলতে গেলে আগে একটি পৃষ্ঠায় লেখা হতো। তারপর সেটিকে চাকরকে দিয়ে জোরে জোরে পড়তে বলতেন তিনি।
এদিকে, তৎকালীন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সহযোগী অমর রিজভি তাঁর কাছে পৌঁছে তাঁকে অর্থ প্রদানের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু, তিনি রেগে গিয়ে টাকার খামটি ছুঁড়ে ফেলে দেন।
এদিকে, এলেন ক্রমাগত সাইরাসের সাথে দেখা করছিলেন। তিনি ১৯৭০ সাল পর্যন্ত তাঁর পরিবারের লোকদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেন। প্রিন্স সাইরাসের বোন সকিনা তাঁকে একটি বই উপহার দেন। এতে তাঁর সমগ্র জীবনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ছিল। এসবের মাঝেই এক রাতে সাইরাস তাঁকে ডেকে জানান যে তাঁর বোন সকিনা মারা গেছে।
অ্যালেন জানতে পেরেছিলেন যে সাইরাসের দুই খুড়তুতো ভাই ওয়াহিদা এবং খালেদা পাকিস্তানের লাহোরে বাস করতেন। ওয়াহিদা বহু বছর শিক্ষকতা করেছেন বলেও জানতে পারেন তিনি। সাইরাস বিশেষ কারোর সাথে কথা বলতেন না। তবে, তিনি মাঝে মাঝে প্রাসাদের কাছে অবস্থিত আর্থ স্টেশনের রক্ষীদের সাথে কথা বলতেন। ২০১৭ সালের নভেম্বরে, যখন প্রহরীরা সাইরাসকে বেশ কয়েক দিন সেখানে দেখতে পাননি, তখন তাঁরা পুলিশকে জানান। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সেখানে একটি কঙ্কাল দেখতে পায়। ময়নাতদন্ত শেষে পুলিশ তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করে। তাঁর কবরের নামকরণ করা হয়েছে DD33B।
এই কাহিনী সর্বৈব সত্য। এখনও ঘন জঙ্গলের মাঝে পড়ে রয়েছে সেই ভগ্ন রাজপ্রাসাদ। ভুতের বাড়ির মতো।
কিছু কাল আগে কলকাতায় এক রিকশা চালক নিজেকে হায়দরাবাদের নিজাম পরিবারের সদস্য বলে দাবি করায় এক সাংবাদিক তার খোঁজে এক ভগ্ন,শীর্ণ, জর্জরিত ঝুগগিতে গিয়ে তার দেখা পান। জীর্ণ কুটুরিতে গিয়ে পুরোনো রাজ বৈভবের অনেক নিদর্শন খুঁজে পাওয়া গেছে। আচরণেও সেই নবাবী আদব কায়দা। পুরোনো নথিপত্রে পাওয়া গেছে তার নিজাম পরিবারের সম্পর্কের প্রমাণ পত্র। এমন অনেকেই রয়েছেন ছড়িয়ে ছিটিয়ে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

ট্যাগস:-

দিল্লির জঙ্গলে রাজপ্রাসাদ! আওয়াধ রাজ্যের শেষ রাজপুত্রের কাহিনি

আপডেট সময়- ০৬:০১:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫
ঋতম্ভরা বন্দ্যোপাধ্যায়।।
মাত্র কবছর আগে নিউ দিল্লী রেল স্টেশনে এক মহিলা এক চাকরকে নিয়ে ঘোষণা করেছিলেন তিনি আওয়াধ রাজ্যের রাজরানী। তিনি নিজেকে বেগম – ই – আওয়াধ্ বলে দাবি করেন উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিয়ে সম্পত্তি ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত তিনি স্টেশন ছেড়ে যাবেন না। তিনি স্টেশনের ভি আই পি ওয়েটিং রুমেই থেকে গেলেন। এই ঘটনায় তোলপাড় হয়েছিল রাজধানী।
আজও উত্তর ভারতে আওয়াধ রাজ্যের প্রসঙ্গ বারেবারে উঠে আসে। বর্তমানে মাত্র কয়েকজনই উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউকে এক সময়ে আওয়াধ রাজ্যের রাজধানী হিসেবে চেনেন। কিন্তু, এই রাজ্যের এক রাজপুত্রের কাহিনি অবাক করবে সকলকেই। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর এলেন ব্যারি আওয়াধ রাজ্য এবং সেখানকার রাজপুত্র প্রিন্স সাইরাসকে নিয়ে কিছু তথ্য উপস্থাপন করেন। তিনি দীর্ঘ সময় ধরে আওয়াধ রাজ্যের শেষ পরিবারটিকে খুব কাছ থেকে লক্ষ্য করেছিলেন এবং বেশ কয়েক মাস ধরে প্রিন্স সাইরাসের সাথে কথাও বলেন।
এই প্রসঙ্গে এলেন জানান, “আমি আওয়াধ রাজপরিবারের কথা শুনেছিলাম। তাঁরা ছিলেন শহরের এক বড় রহস্য। তাঁদের গল্প বলতেন পুরোনো দিল্লির চা বিক্রেতা, রিকশাওয়ালা এবং দোকানদাররা। তাঁরা বলতেন, জঙ্গলের মধ্যে একটি প্রাসাদ রয়েছে। যেটি শহর থেকে বিচ্ছিন্ন। সেখানে একজন রাজপুত্র, একজন রাণী এবং একজন রাজকন্যা বাস করতেন। তাঁরা সকলেই মুসলিম রাজ পরিবারের সাথে সম্পর্কিত।” তখন থেকেই এলেন সেই প্রাসাদ এবং সেই পরিবারের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন। তবে, তিনি শুধু দিল্লি এবং উত্তরপ্রদেশেই নয়, বরং তথ্য সংগ্রহ করতে লন্ডন এবং লাহোরেও গিয়েছিলেন।
তিনি বলেছেন, “মানুষজন সর্বত্র রাজপুত্রের সম্পর্কে বিভিন্ন কথা বলত। কিছু লোক বলেন যে আওয়াধের এই পরিবারটি ১৮৫৭ সালের। তখন ব্রিটিশরা তাঁদের সাম্রাজ্যের অবসান ঘটিয়েছিল। ধীরে ধীরে একটি জঙ্গল প্রাসাদের চারপাশে তৈরি হয় এবং সেটি ঘিরে ফেলে। একবার এক ব্যক্তি টেলিফটো লেন্স দিয়ে রাজকন্যার ছবি দেখে জানিয়েছিল ‘মনে হচ্ছে তাঁর চুল অনেক বছর ধরে কাটা হয়নি।’”
মূলত, চতুর্দশ শতকে নির্মিত এই প্রাসাদে ভয়ঙ্কর কুকুরও ছিল। পাশাপাশি, সেখানে লেখা ছিল, “কুকুর থেকে সাবধান। যারা ভেতরে প্রবেশ করবে তাদের গুলি করা হবে।” কয়েক বছরের মধ্যে, পরিবারটি কিছু বিদেশি সাংবাদিকের সাথে যোগাযোগ করে সরকারকে দোষারোপ করতেন। তবে সাংবাদিকরা অনেক রসদ পেতে থাকেন। ১৯৯৭ সালে, রাজকুমার এবং রাজকুমারী, টাইমস অফ লন্ডনের সাথে কথা বলার সময় বলেছিলেন যে, তাঁদের মা ব্রিটেন এবং ভারতের বিশ্বাসঘাতকতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে ছিলেন এবং অবশেষে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন।
এলেন এই পরিবার সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানার জন্য ক্রমাগত আগ্রহী ছিলেন। একবার তিনি ফোন পেলেন যে, যুবরাজ সাইরাস তাঁর সাথে দেখা করতে চান। মূলত, এলেন নিজেই সাইরাসের সাথে দেখা করতে চেয়েছিলেন। এরপর সোমবারের এক সন্ধ্যায় যুবরাজ দেখা করতে ডাকেন। এলেন সেখানে গিয়ে দেখেন ১৯ শতকে এখানে লাগানো গাছগুলি বিংশ শতকে ঘন জঙ্গলে পরিণত হয়েছে।
ফোনে, এলেনকে বলা হয়েছিল গাড়িটি যেখানে রাস্তা শেষ হয়েছে সেখানে ছেড়ে যেতে। এর ঠিক পাশেই ছিল মিলিটারি কম্পাউন্ডের বড় প্রাচীর। এলেন কথামত তাঁর ড্রাইভারকে দূরে দাঁড়াতে বলে অপেক্ষা করছিলেন কখন কেউ এসে তাঁকে নিয়ে যাবেন। সেই সময়েই সাইরাস সেখানে উপস্থিত হন।
সাইরাসকে দেখে তাঁর মনে হয়েছিল যে, তিনি এমন একজন ব্যক্তি যিনি বছরের পর বছর ধরে সম্পূর্ণ একাকী জীবনযাপন করছেন। এলেন যখন তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে, তিনি তাঁর সাক্ষাৎকার প্রকাশ করতে চান কিনা, তখন তিনি বলেছিলেন যে, এর জন্য তাঁর বোন রাজকুমারী সকিনার অনুমতি নিতে হবে। এদিকে, এলেন সেখানে বেশ কিছু ঘটনা জানতে পারেন।
জানা যায়, ১৯৭০ সালে সাইরাসের মা হঠাৎ একদিন নতুন দিল্লি রেলওয়ে স্টেশনে আসেন এবং বলেন যে তিনিই বেগম-ই-আওয়াধ। তখন এই সাম্রাজ্যের কোনো নাম-গন্ধও ছিল না। বেগম বলেছিলেন যে যতক্ষণ না তাঁর সাম্রাজ্যের সমস্ত সম্পত্তি পুনরায় সংরক্ষণ করা হয় ততক্ষণ তিনি স্টেশনে থাকবেন। তিনি ভিআইপি ওয়েটিং রুমে থাকতে শুরু করেন।
বেগমের আচরণও ছিল অদ্ভুত। তাঁর কোনো সরকারি যোগাযোগ ছিল না। তাঁকে কিছু বলতে গেলে আগে একটি পৃষ্ঠায় লেখা হতো। তারপর সেটিকে চাকরকে দিয়ে জোরে জোরে পড়তে বলতেন তিনি।
এদিকে, তৎকালীন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সহযোগী অমর রিজভি তাঁর কাছে পৌঁছে তাঁকে অর্থ প্রদানের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু, তিনি রেগে গিয়ে টাকার খামটি ছুঁড়ে ফেলে দেন।
এদিকে, এলেন ক্রমাগত সাইরাসের সাথে দেখা করছিলেন। তিনি ১৯৭০ সাল পর্যন্ত তাঁর পরিবারের লোকদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেন। প্রিন্স সাইরাসের বোন সকিনা তাঁকে একটি বই উপহার দেন। এতে তাঁর সমগ্র জীবনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ছিল। এসবের মাঝেই এক রাতে সাইরাস তাঁকে ডেকে জানান যে তাঁর বোন সকিনা মারা গেছে।
অ্যালেন জানতে পেরেছিলেন যে সাইরাসের দুই খুড়তুতো ভাই ওয়াহিদা এবং খালেদা পাকিস্তানের লাহোরে বাস করতেন। ওয়াহিদা বহু বছর শিক্ষকতা করেছেন বলেও জানতে পারেন তিনি। সাইরাস বিশেষ কারোর সাথে কথা বলতেন না। তবে, তিনি মাঝে মাঝে প্রাসাদের কাছে অবস্থিত আর্থ স্টেশনের রক্ষীদের সাথে কথা বলতেন। ২০১৭ সালের নভেম্বরে, যখন প্রহরীরা সাইরাসকে বেশ কয়েক দিন সেখানে দেখতে পাননি, তখন তাঁরা পুলিশকে জানান। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সেখানে একটি কঙ্কাল দেখতে পায়। ময়নাতদন্ত শেষে পুলিশ তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করে। তাঁর কবরের নামকরণ করা হয়েছে DD33B।
এই কাহিনী সর্বৈব সত্য। এখনও ঘন জঙ্গলের মাঝে পড়ে রয়েছে সেই ভগ্ন রাজপ্রাসাদ। ভুতের বাড়ির মতো।
কিছু কাল আগে কলকাতায় এক রিকশা চালক নিজেকে হায়দরাবাদের নিজাম পরিবারের সদস্য বলে দাবি করায় এক সাংবাদিক তার খোঁজে এক ভগ্ন,শীর্ণ, জর্জরিত ঝুগগিতে গিয়ে তার দেখা পান। জীর্ণ কুটুরিতে গিয়ে পুরোনো রাজ বৈভবের অনেক নিদর্শন খুঁজে পাওয়া গেছে। আচরণেও সেই নবাবী আদব কায়দা। পুরোনো নথিপত্রে পাওয়া গেছে তার নিজাম পরিবারের সম্পর্কের প্রমাণ পত্র। এমন অনেকেই রয়েছেন ছড়িয়ে ছিটিয়ে।