আজ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৯তম প্রয়াণ দিবস

- আপডেট সময়- ০৩:৪৫:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫ ৪৩ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন নিউজ ডেস্ক।।
২৭ আগস্ট আজ! বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৭৬ সালের এই দিনে তিনি বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (তৎকালীন পিজি হাসপাতাল) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। পরে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে সমাহিত করা হয়। প্রতি বছরের মতো এবারও কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনগুলো নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
১৮৯৯ সালের ২৪ মে (১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ) পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন বিদ্রোহী কবি। তার ডাকনাম ছিল ‘দুখু মিয়া’। কবিতা, সংগীত, উপন্যাস, গল্প, নাটক, প্রবন্ধসহ সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় তিনি নিজস্ব স্বাক্ষর রেখেছেন। তিনি একাধারে ছিলেন সাংবাদিক, গায়ক এবং অভিনেতা। সংগীতে তার অজস্র রাগ-রাগিনী আজও অমর হয়ে আছে।
নজরুল ছিলেন প্রেম, দ্রোহ, সাম্যবাদ ও জাগরণের কবি। তার লেখা কবিতা ও গান শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে জাতিকে সংগ্রামে উদ্বুদ্ধ করেছে। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে তার গান ও কবিতা ছিল প্রেরণার উৎস। অসাম্প্রদায়িক চেতনার পথিকৃৎ এই লেখক তার লেখনীর মাধ্যমে জাতীয় জীবনে ব্যাপক ভূমিকা পালন করেন।
১৯৭২ সালের ২৪ মে স্বাধীন বাংলাদেশের তৎকালীন সরকার কবি নজরুলকে সপরিবারে ঢাকায় নিয়ে আসে। তাকে দেওয়া হয় জাতীয় কবির মর্যাদা। বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে তার অবদানের জন্য ১৯৭৪ সালের ৯ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এক বিশেষ সমাবর্তনে তাকে সম্মানসূচক ডি-লিট ডিগ্রি প্রদান করে। একই বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি তিনি একুশে পদকে ভূষিত হন।
কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদসংলগ্ন তার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ফাতেহা পাঠ, দোয়া মাহফিল, আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। কবির কালজয়ী সৃষ্টি ও তার আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার জন্য এসব আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
নিউজটি শেয়ার করুন..

-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ