নঈম নিজাম ও বোরহানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

- আপডেট সময়- ১১:৩৪:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫ ৪৯ বার পড়া হয়েছে

এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২৮ অগাস্ট দিন ঠিক করা হয়েছে..!
অনলাইন নিউজ ডেস্ক।।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলায় দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের সাবেক সম্পাদক নঈম নিজামসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
রোববার(২৭ জুলাই) এ আদেশ দেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক নূরে আলম।
পরোয়ানা জারি হওয়া অন্যরা হলেন-বাংলাদেশ প্রতিদিন প্রকাশক ময়নাল হোসেন চৌধুরী এবং বাংলা ইনসাইডার পত্রিকার প্রধান সম্পাদক সৈয়দ বোরহান কবীর।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী জুয়েল মিয়া বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে সিআইডি। গত ২ জুন তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন আমলে গ্রহণ করা হয়।
“আসামিদের আজ আদালতে হাজির হতে সমন জারি করা হয়। তবে তারা কেউই আদালতে হাজির হননি। এর ফলে বাদীপক্ষ থেকে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়। আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।”
গ্রেপ্তার সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বিচারক আগামী ২৮ আগস্ট দিন ঠিক করেছেন বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি নঈম নিজামসহ সাত জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেন। আদালত এ অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে সিআইডি নির্দেশ দিয়েছিল।
মামলায় আরও যাদের আসামি করা হয় তারা হলেন-, ফেইসবুক পেইজ ভাইরাল প্রতিদিনের অ্যাডমিন, বর্ণনাকারী, ভিডিও প্রস্ততকারী ও টেকনিশিয়ান। গত বছরের ২০ নভেম্বর তিনজনকে অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেন সিআইডির এসআই তরিকুল ইসলাম।
মামলায় ২৭ পৃষ্ঠার আরজিতে বলা হয়, ২০২১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় ‘নুসরাতকে দিয়ে বিচ্ছু সামশু সিন্ডিকেটের ফের ষড়যন্ত্রমূলক মামলা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত করা হয়। তা অনলাইনেও দেওয়া হয়।
সেখানে বলা হয়, “নুসরাতের আইনজীবী হলেন ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেন। একুশে অগাস্ট গ্রেনেড হামলার সঙ্গে ব্যারিস্টার এম সারোয়ারের জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
“তিনি রাষ্ট্রবিরোধী গুজব ও অপপ্রচারকারী চক্রের অন্যতম হোতা। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র এবং নাশকতার একাধিক মামলা রয়েছে। মুনিয়া ইস্যু নিয়ে তারা এর আগেও রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছিলেন।”
মামলায় সারোয়ার বলেছেন, তিনি নুসরাতের আইনজীবী নন। নুসরাতের মামলার নারাজি আবেদনের শুনানিতে অংশ নিয়েছিলেন।
২০২১ সালের ৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ইনসাইডার পত্রিকায় ‘কে এই সারোয়ার’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের কথাও মামলায় উল্লেখ করা হয়।
নিউজটি শেয়ার করুন

-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ