ঢাকা ০৬:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ:-
গুলিবিদ্ধ হাদির সকল চিকিৎসার ব্যয় সরকার বহন করবে: প্রধান উপদেষ্টা রূপগঞ্জ’কে স্বপ্নের উপজেলায় রূপান্তরিত করতে চান বিএনপির মনোনীত প্রার্থী দিপু ভূঁইয়া খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনায় বিভিন্ন মসজিদে মাসুদুজ্জামানের বিশেষ দোয়া টেকনাফে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৫০ হাজার ইয়াবাসহ আটক-১ খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় জাকির খানের উদ্যোগে দোয়া অনুষ্ঠিত গুলিবিদ্ধ স্বতন্ত্র প্রার্থী ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি, অবস্থা সংকটাপন্ন আজ মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর ১৪৬তম জন্মদিন বেঁচে নেই রাজশাহীতে গর্তে পড়া ২ বছরের শিশু সাজিদ কক্সবাজারে বিজিবির বিশেষ অভিযানে ১০ হাজার ইয়াবাসহ আটক-১ গাইবান্ধায় বিনামূল্যে বীজ-সার পেয়ে প্রান্তিক কৃষকের মুখে স্বস্তির হাসি টেকনাফে র‍্যাবের অভিযানে এক লক্ষ ইয়াবাসহ আটক-২ কক্সবাজারে শরীফ হত্যা মামলার অন্যতম আসামী করিম র‌্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার কুষ্টিয়ায় নারী পুলিশ কনস্টেবলের মোবাইল ছিনতাইয়ের চেষ্টা, যুবক আটক বড়লেখায় রহস্যঘেরা বাংলো বাড়িটি পুলিশ ও গোয়েন্দা নজরদারিতে কুলাউড়ায় আগুনের লেলিহান শিখায় দগ্ধ হয়ে ছোট্ট শিশু রায়হানে মৃত্যু মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যাযজ্ঞ, নতুন যে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলো পুলিশ আমার নির্বাচনী এলাকার নাগরিকের মতামতের ভিত্তিতেই আগামীর না’গঞ্জ গড়বো: মাসুদুজ্জামান নাসিক সিটি পার্কের লেকের ঝোপ থেকে ভাসমান মরদেহ উদ্ধার না’গঞ্জে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামানের বৃক্ষমেলা নিয়ে ব্যতিক্রমী প্রচারণা নদী দখলমুক্ত করাই ছিল সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ: নৌ উপদেষ্টা কারওয়ান বাজারে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ, মোহাম্মদপুরে জোড়া খুন; মা-মেয়েকে হত্যার কারন জানালেন গৃহকর্মীর স্বামী কারাবন্দি সাংবাদিকদের মুক্তি চেয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে সিপিজের চিঠি মৌলভীবাজারে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস পালিত  মাদক নির্মূলে কুষ্টিয়া শহরে যৌথ বাহিনীর অভিযান আগামী দিনে রাষ্ট্র কাঠামো নির্মান করা হবে ৩১ দফার মাধ্যমে: মাসুদুজ্জামান না’গঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পাশে মানবতার কান্ডারী মাসুদুজ্জামান আমরা সবসময় জনগণের পাশে আছি: এসপি মিজানুর নারায়ণগঞ্জের লাখ লাখ শ্রমঘণ্টা যানজটে নষ্ট হচ্ছে; মতবিনিময় সভায় মাসুদুজ্জামান টেকনাফ সীমান্তে মানবপাচার চক্রের ২ সদস্য আটক নির্বাচন বিলম্বের ষড়যন্ত্র জনগণ বরদাস্ত করবে না: ফয়জুল করীম টেকনাফে সড়কে ট্রাক-সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে ঝড়লো ২ যুবকের তাজা প্রান দুর্নীতিমুক্ত থাকতে সচেতনতার পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষা অত্যাবশ্যকীয়: ডিসি রায়হান কবির রাজধানীতে চাঞ্চল্যকর জোড়া খুন; হাতে গ্লাভস পরে মা-মেয়েকে হত্যা বেগম রোকেয়া দিবস আজ খালেদা জিয়ার কিডনি জটিলতায় উদ্বিগ্ন চিকিৎসকরা, অবস্থা অপরিবর্তিত নারায়ণগঞ্জে একযোগে সাত থানায় নতুন ওসিদের যোগদান না’গঞ্জে সুগন্ধা প্লাস রেস্টুরেন্টে বাসি খাবার রাখার দায়ে ১ লাখ টাকা অর্থদন্ড বন্দরবাসীর কাছে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে দোয়া চাইলেন: মাসুদুজ্জামান মৌলভীবাজার মুক্ত দিবস পালিত পালাবদলে হারাতে বসেছে ‘গরু দিয়ে ধান মারাইয়ের ঐতিহ্য  টেকনাফের গহিন পাহাড়ে কোস্ট গার্ডের অভিযান: ৭ নারী শিশু উদ্ধার, আটক-৩ নারায়ণগঞ্জে বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে শ্রমিকের মৃত্যু; ডিপিডিসির ২ প্রকৌশলী বরখাস্ত না’গঞ্জ-৫ আসনের বিএনপি প্রার্থী মাসুদুজ্জামান ছাত্র জনতার মুখোমুখি ‎শুধুমাত্র দেশকে ভালবেসেই বেগম খালেদা জিয়ার জীবন আজ বিপন্ন: শাহ্ আলম অগ্রহায়নের ধান মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক গাইবান্ধা হানাদার মুক্তির ৫৩ বছর: মুক্তিযোদ্ধাদের দেখেই পালালো পাকিস্তানি বাহিনী বন্দর উপজেলার নতুন ইউএনও শিবানী সরকারের যোগদান নাফ নদী সীমান্তে বিজিবির অভিযান: ৫০ হাজার ইয়াবা জব্দ টেকনাফের শীর্ষ সন্ত্রাসী লম্বা মিজানের ঘর থেকে দেশি–বিদেশি অস্ত্রভাণ্ডার উদ্ধার মুন্সীগঞ্জে একই দিনে পৃথক স্থান থেকে নারীসহ ২ মরদেহ উদ্ধার সোনারগাঁয়ে সড়কের পাশে ডোবা থেকে যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার সোনারগাঁয়ে গ্যাস বিস্ফোরণে একই পরিবারের শিশুসহ দগ্ধ-৪ নারায়ণগঞ্জ শহরে আগুনে পুড়লো ৩৫টি কারখানা রায়পুরায় র‍্যাবের অভিযানে ১শ কেজি গাঁজাসহ আটক-২ শীতের দাপটে কাঁপছে চায়ের জনপদ শ্রীমঙ্গল মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনে মনোনয়ন দ্বন্দ্ব: বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত-৮ খালেদা জিয়াকে লন্ডন নেওয়ার সিদ্ধান্ত আরও পেছাচ্ছে নারায়ণগঞ্জে ঝুট মার্কেটে অগ্নিকাণ্ড স্বাধীনতার পরবর্তী ৫৪ বছরে স্বৈরাচারের সর্বোচ্চ নির্যাতনের শিকার খালেদা জিয়া: মাসুদুজ্জামান শ্রীমঙ্গলে নিখোঁজের ৪ দিন পর মানুষিক প্রতিবন্ধী নারীর লাশ মিললো খালে কুষ্টিয়ায় রাজমিস্ত্রীর বাড়ি থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার কমলগঞ্জে ১৪ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার দেশে বড় ধরনের ভূমিকম্পের শঙ্কা, সতর্ক থাকার পরামর্শ আবহাওয়া অধিদপ্তরের নারায়ণগঞ্জে ‘প্রথম আলো’ পত্রিকার সূধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত কুষ্টিয়ায় প্রকাশ্যে যুবককে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা কুলাউড়ার-ভারত সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে যুবক নিহত গাইবান্ধায় নির্জন ভিটায় চা দোকানির রক্তাক্ত নিথর মরদেহ উদ্ধার রামু সীমান্তে বিজিবি অভিযানে ৪০ হাজার ইয়াবাসহ আটক-১ নরসিংদীতে ৪.১ মাত্রার ভূমিকম্প, আবারও ২দিনের মাথায় কেঁপে উঠল ঢাকা টেকনাফ সীমান্তে আবারও উত্তেজনা; নাফ নদী থেকে ২ বাংলাদেশি জেলে নিখোঁজ শরণখোলায় আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও র‍্যালি অনুষ্ঠিত টেকনাফে কোস্টগার্ডের অভিযানে গোলা-বারুদসহ দেশীয় অস্ত্র জব্দ না’গঞ্জে চাঞ্চল্যকর ক্লু-লেস হত্যাকান্ড; স্ত্রীর পরকীয়ার বলি সুমন, স্ত্রীসহ গ্রেপ্তার-৬ নারায়ণগঞ্জ ও বন্দরবাসীর দীর্ঘদিনের কাঙ্ক্ষিত কদম-রসুল সেতুর টেস্ট পাইলিংয়ের উদ্বোধন অসুস্থ খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ধানের শীষের কান্ডারী মাসুদুজ্জামানের দোয়া দেশজুড়ে আলোচিত ৮ কুকুরছানাকে ডুবিয়ে হত্যার অভিযোগে নিশি খাতুন গ্রেপ্তার নারায়ণগঞ্জে পোষা বিড়ালে কবুতরের বাচ্চা খাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত-১ সারাদেশে ১ মাসের জন্য অবকাশে নিম্ন আদালত বাংলা একাডেমির ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ রায়পুরায় জুয়েলারি ব্যবসায়ীকে গু*লি করে হ*ত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা শতকোটি ঘনফুট গ্যাস মজুদ মৌলভীবাজারে খালেদা জিয়া’র সুস্থতা কামনায় তারেক জিয়া পরিষদ না’গঞ্জ মহানগরের দোয়া অনুষ্ঠিত উখিয়ায় বস্তাবন্দী নারীর লাশ উদ্ধার;  মামলার মূল আসামি স্বামী জসিম উদ্দিন গ্রেপ্তার গাইবান্ধায় প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ধর্ষণের শিকার মাদ্রাসার ছাত্রী আবারও মধ্যরাতে ঢাকাসহ ৪ বিভাগে ৪.৯ মাত্রার ভূমিকম্প  সেন্ট মার্টিনমুখী জাহাজ আবারও সমুদ্রে আরও ৭৭ উপজেলায় নতুন ইউএনও নিয়োগ দিয়েছে সরকার আজ ১লা ডিসেম্বর, মহান গৌরবময় বিজয়ের মাস শুরু সব ধরনের জ্বালানি তেলের বাড়তি দাম, আজ থেকে কার্যকর তিন মাসেই কোটিপতি বনে গেছেন রাজনগর উপজেলা পরিষদের সিএ অনুপ দাস টেকনাফের দক্ষিণ শিলখালী থেকে ৫ জন অপহৃত সারা দেশের মানুষের দোয়া আল্লাহ তায়ালা ফিরিয়ে দেবেন না; মাসুদুজ্জামান খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় মাসুদুজ্জামানের দোয়াসহ গরু সদকা ‎ভুল তথ্যের কারণে ৫৪ বছর যাবৎ বাংলাদেশ দাঁড়াতে পারেনি: নঈম জাহাঙ্গীর নারায়ণগঞ্জে নতুন পুলিশ সুপার(এসপি) মিজানুর রহমানের যোগদান এবার নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে নতুন মোর; নির্বাচনের ঘোষণা ‘কিং মেকার’ মো. আলীর সিদ্ধিরগঞ্জে চাঞ্চল্যকর তাকবির হত্যাকান্ড ও মুক্তিপন রহস্য উদ্ঘাটন কক্সবাজারে ৯০ হাজার ইয়াবাসহ বাস হেল্পার আটক নান্দাইলে আগুনে পুড়ে ছাই হলো বসতঘর,সর্বস্ব হারিয়ে অসহায় পরিবার

যৌনপীড়ন, ধর্ষণ ও নারী সুরক্ষায় আমাদের করণীয়

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময়- ০৯:৩১:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫ ২৯৯ বার পড়া হয়েছে

 

মোঃ ফেরদৌস আলম।।

বাংলাদেশে যৌনপীড়ন ও ধর্ষণের ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। নারীরা আজও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ধর্ষণ ও যৌন সহিংসতার ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, নারী সুরক্ষা নীতিমালা এবং বিভিন্ন সামাজিক উদ্যোগ সত্ত্বেও এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না। বাংলাদেশে যৌনপীড়ন ও ধর্ষণের বর্তমান অবস্থা, এর পেছনের কারণ, আইনি কাঠামো, সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং নারী সুরক্ষায় আমাদের করণীয় –

বাংলাদেশে যৌনপীড়ন ও ধর্ষণের বর্তমান অবস্থা:
গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতি বছর হাজার হাজার নারী ও শিশু যৌন সহিংসতার শিকার হয়। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের তথ্য মতে, ২০২২ সালে ১,০০০ এরও বেশি ধর্ষণের ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। তবে বাস্তবে এই সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতে পারে, কারণ অনেক ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীরা সামাজিক লজ্জা, ভয় ও আইনি জটিলতার কারণে অভিযোগ দায়ের করে না।
ধর্ষণের শিকার নারী ও শিশুদের মধ্যে বেশিরভাগই গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দা। তবে শহরাঞ্চলেও এই ধরনের ঘটনা কম নয়। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের পরিবার, আদিবাসী সম্প্রদায় এবং প্রতিবন্ধী নারী ও শিশুরা বেশি ঝুঁকিতে থাকে। সাম্প্রতিক সময়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত কিছু ঘটনা সমাজকে স্তম্ভিত করেছে। যেমন, স্কুলছাত্রী, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী, এমনকি শিশুদেরও ধর্ষণের শিকার হওয়ার খবর নিয়মিত প্রকাশ পাচ্ছে।

যৌনপীড়ন ও ধর্ষণের পেছনের কারণ:
যৌনপীড়ন ও ধর্ষণের ঘটনা বৃদ্ধির পেছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে। প্রথমত, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দৃষ্টিভঙ্গি। বাংলাদেশের সমাজে এখনও নারীকে পুরুষের চেয়ে নিম্নস্তরের হিসেবে দেখা হয়। নারীরা পুরুষের সম্পত্তি বা ভোগের বস্তু হিসেবে বিবেচিত হয়। এই মানসিকতা যৌন সহিংসতাকে উৎসাহিত করে।
দ্বিতীয়ত, আইনের দুর্বল প্রয়োগ। বাংলাদেশে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ধর্ষণের জন্য কঠোর শাস্তির বিধান থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে আইনের সঠিক প্রয়োগ হয় না। পুলিশ ও আদালতের দীর্ঘসূত্রতা, সাক্ষ্য-প্রমাণের অভাব এবং ভুক্তভোগীদের প্রতি সামাজিক চাপের কারণে অনেক অপরাধী শাস্তি এড়িয়ে যায়।

তৃতীয়ত, শিক্ষা ও সচেতনতার অভাব। অনেক ক্ষেত্রে যৌন সহিংসতার শিকার নারী ও শিশুরা জানেই না যে তাদের অধিকার কী এবং কীভাবে আইনি সহায়তা পাওয়া যায়। এছাড়া, পুরুষদের মধ্যে নারী অধিকার ও সম্মান সম্পর্কে সচেতনতার অভাব রয়েছে।
চতুর্থত, অর্থনৈতিক অসচ্ছলতা। দারিদ্র্য ও বেকারত্বের কারণে অনেক পুরুষ হতাশায় ভোগে, যা তাদের সহিংস আচরণের দিকে ঠেলে দেয়। এছাড়া, নিম্ন আয়ের পরিবারের নারী ও শিশুরা সহিংসতার শিকার হলে তাদের পক্ষে আইনি লড়াই চালানো কঠিন হয়ে পড়ে।

আইনি কাঠামো ও এর সীমাবদ্ধতা:
বাংলাদেশে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধিত ২০২০) ধর্ষণ ও যৌন সহিংসতার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে। এই আইনে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। এছাড়া, নারী ও শিশু নির্যাতনের অন্যান্য রূপ যেমন, যৌন হয়রানি, এসিড নিক্ষেপ, বাল্যবিবাহ ইত্যাদির বিরুদ্ধেও শাস্তির বিধান রয়েছে।
তবে আইনের সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। প্রথমত, অনেক ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীরা আইনি সহায়তা পায় না। দ্বিতীয়ত, পুলিশ ও আদালতের দীর্ঘসূত্রতা এবং দুর্নীতির কারণে অনেক অপরাধী শাস্তি এড়িয়ে যায়। তৃতীয়ত, আইনের প্রয়োগে সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রভাব পড়ে। অনেক ক্ষেত্রে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা আইনের ঊর্ধ্বে থেকে যায়।

গণমাধ্যমের ভূমিকা:
গণমাধ্যম যৌনপীড়ন ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে টেলিভিশন, পত্রিকা ও অনলাইন মিডিয়ায় যৌন সহিংসতার ঘটনা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। এই আলোচনা সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধি করেছে এবং ভুক্তভোগীদের সাহস জুগিয়েছে।
তবে গণমাধ্যমের কিছু নেতিবাচক দিকও রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীর ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করা হয়, যা তাদের সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করে। এছাড়া, কিছু মিডিয়া সংবাদকে সেনসেশনাল করে তোলে, যা ভুক্তভোগীর মানসিক অবস্থাকে আরও খারাপ করে।

নারী সুরক্ষায় আমাদের করণীয়:
যৌনপীড়ন ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হলে আমাদের সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। নারী নিরাপত্তা, সুরক্ষা ও সমতা নিশ্চিত করা সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব। এ লক্ষ্যে আমাদের নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করা উচিত:

১. সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন:
লিঙ্গ ভিত্তিক কুসংস্কার দূরীকরণ: নারীদের প্রতি সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে কাজ করতে হবে। নারী ও পুরুষের সমান অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। লিঙ্গ ভিত্তিক কুসংস্কার ও বৈষম্য দূর করতে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এ জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও গণমাধ্যমকে এগিয়ে আসতে হবে।
পুরুষদের সম্পৃক্ততা: পুরুষদের নারী নিরাপত্তা ও সমতা বিষয়ে সচেতন ও সম্পৃক্ত করতে হবে। নারী সুরক্ষা শুধু নারীদের বিষয় নয়, পুরুষদেরও এই লড়াইয়ে অংশ নিতে হবে। পুরুষদের মধ্যে নারী অধিকার ও সম্মান সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।

২. আইনি সংস্কার ও প্রয়োগ: নারী নির্যাতন ও বৈষম্য রোধে বিদ্যমান আইনগুলির সংস্কার ও প্রয়োগ কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। পুলিশ ও আদালতের দীর্ঘসূত্রতা কমাতে হবে এবং ভুক্তভোগীদের জন্য দ্রুত বিচার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। এছাড়া, আইনি সহায়তা প্রদানের জন্য সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে হবে। ধর্ষণ, যৌন হয়রানি, গৃহস্থালি সহিংসতা ইত্যাদির বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার ও শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
৩. নারী ও শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত: নারী ও শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। স্কুল, কলেজ ও কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কঠোর নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। এছাড়া, নারী ও শিশুদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করতে হবে।নারীদের জন্য জরুরি হেল্পলাইন ও সহায়তা কেন্দ্র স্থাপন করতে হবে।
৪. শিক্ষা ও সচেতনতা: স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে লিঙ্গ সমতা ও নারী

অধিকার বিষয়ক শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। নারী নিরাপত্তা ও সমতা সম্পর্কে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রচারাভিযান চালানো প্রয়োজন। নারী সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। নারী ও শিশুদের তাদের অধিকার ও আইনি সহায়তা সম্পর্কে জানাতে হবে। এ জন্য বিভিন্ন কর্মশালা, সেমিনার ও প্রচারণা চালাতে হবে।
৫. পরিবার ও সমাজের ভূমিকা: পরিবার থেকে নারীদের প্রতি সম্মান ও সমতা শিক্ষা দিতে হবে। সমাজের সকল স্তরে নারীদের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলতে হবে।
৬. নারী ক্ষমতায়ন:
অর্থনৈতিক স্বাধীনতা: নারীদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।
রাজনৈতিক অংশগ্রহণ: নারীদের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করতে হবে, যাতে তারা নীতি নির্ধারণে ভূমিকা রাখতে পারে।

৭. সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ:
সরকারি নীতি: সরকারকে নারী নিরাপত্তা ও সমতা নিশ্চিত করতে কার্যকর নীতি ও কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে।
বেসরকারি সংস্থা: এনজিও ও সুশীল সমাজকে নারী অধিকার রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে।

যৌনপীড়ন ও ধর্ষণ একটি সামাজিক ব্যাধি, যা সমাজের প্রতিটি স্তরকে প্রভাবিত করে। এই সমস্যা সমাধানে নারী নিরাপত্তা ও সমতা নিশ্চিত করতে আমাদের সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে। আইনের সঠিক প্রয়োগ, সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন, সচেতনতা বৃদ্ধি এবং নারী ও শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার মাধ্যমে আমরা একটি নিরাপদ ও সমতাভিত্তিক সমাজ গড়ে তুলতে পারি। নারী সুরক্ষা শুধু নারীর বিষয় নয়, এটি সমগ্র সমাজের দায়িত্ব। আসুন, আমরা সবাই মিলে এই লড়াইয়ে অংশ নিই এবং একটি নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ে তুলি।

নিউজটি শেয়ার করুন..

ট্যাগস:-

যৌনপীড়ন, ধর্ষণ ও নারী সুরক্ষায় আমাদের করণীয়

আপডেট সময়- ০৯:৩১:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫

 

মোঃ ফেরদৌস আলম।।

বাংলাদেশে যৌনপীড়ন ও ধর্ষণের ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। নারীরা আজও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ধর্ষণ ও যৌন সহিংসতার ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, নারী সুরক্ষা নীতিমালা এবং বিভিন্ন সামাজিক উদ্যোগ সত্ত্বেও এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না। বাংলাদেশে যৌনপীড়ন ও ধর্ষণের বর্তমান অবস্থা, এর পেছনের কারণ, আইনি কাঠামো, সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং নারী সুরক্ষায় আমাদের করণীয় –

বাংলাদেশে যৌনপীড়ন ও ধর্ষণের বর্তমান অবস্থা:
গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতি বছর হাজার হাজার নারী ও শিশু যৌন সহিংসতার শিকার হয়। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের তথ্য মতে, ২০২২ সালে ১,০০০ এরও বেশি ধর্ষণের ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। তবে বাস্তবে এই সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতে পারে, কারণ অনেক ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীরা সামাজিক লজ্জা, ভয় ও আইনি জটিলতার কারণে অভিযোগ দায়ের করে না।
ধর্ষণের শিকার নারী ও শিশুদের মধ্যে বেশিরভাগই গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দা। তবে শহরাঞ্চলেও এই ধরনের ঘটনা কম নয়। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের পরিবার, আদিবাসী সম্প্রদায় এবং প্রতিবন্ধী নারী ও শিশুরা বেশি ঝুঁকিতে থাকে। সাম্প্রতিক সময়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত কিছু ঘটনা সমাজকে স্তম্ভিত করেছে। যেমন, স্কুলছাত্রী, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী, এমনকি শিশুদেরও ধর্ষণের শিকার হওয়ার খবর নিয়মিত প্রকাশ পাচ্ছে।

যৌনপীড়ন ও ধর্ষণের পেছনের কারণ:
যৌনপীড়ন ও ধর্ষণের ঘটনা বৃদ্ধির পেছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে। প্রথমত, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দৃষ্টিভঙ্গি। বাংলাদেশের সমাজে এখনও নারীকে পুরুষের চেয়ে নিম্নস্তরের হিসেবে দেখা হয়। নারীরা পুরুষের সম্পত্তি বা ভোগের বস্তু হিসেবে বিবেচিত হয়। এই মানসিকতা যৌন সহিংসতাকে উৎসাহিত করে।
দ্বিতীয়ত, আইনের দুর্বল প্রয়োগ। বাংলাদেশে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ধর্ষণের জন্য কঠোর শাস্তির বিধান থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে আইনের সঠিক প্রয়োগ হয় না। পুলিশ ও আদালতের দীর্ঘসূত্রতা, সাক্ষ্য-প্রমাণের অভাব এবং ভুক্তভোগীদের প্রতি সামাজিক চাপের কারণে অনেক অপরাধী শাস্তি এড়িয়ে যায়।

তৃতীয়ত, শিক্ষা ও সচেতনতার অভাব। অনেক ক্ষেত্রে যৌন সহিংসতার শিকার নারী ও শিশুরা জানেই না যে তাদের অধিকার কী এবং কীভাবে আইনি সহায়তা পাওয়া যায়। এছাড়া, পুরুষদের মধ্যে নারী অধিকার ও সম্মান সম্পর্কে সচেতনতার অভাব রয়েছে।
চতুর্থত, অর্থনৈতিক অসচ্ছলতা। দারিদ্র্য ও বেকারত্বের কারণে অনেক পুরুষ হতাশায় ভোগে, যা তাদের সহিংস আচরণের দিকে ঠেলে দেয়। এছাড়া, নিম্ন আয়ের পরিবারের নারী ও শিশুরা সহিংসতার শিকার হলে তাদের পক্ষে আইনি লড়াই চালানো কঠিন হয়ে পড়ে।

আইনি কাঠামো ও এর সীমাবদ্ধতা:
বাংলাদেশে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধিত ২০২০) ধর্ষণ ও যৌন সহিংসতার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে। এই আইনে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। এছাড়া, নারী ও শিশু নির্যাতনের অন্যান্য রূপ যেমন, যৌন হয়রানি, এসিড নিক্ষেপ, বাল্যবিবাহ ইত্যাদির বিরুদ্ধেও শাস্তির বিধান রয়েছে।
তবে আইনের সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। প্রথমত, অনেক ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীরা আইনি সহায়তা পায় না। দ্বিতীয়ত, পুলিশ ও আদালতের দীর্ঘসূত্রতা এবং দুর্নীতির কারণে অনেক অপরাধী শাস্তি এড়িয়ে যায়। তৃতীয়ত, আইনের প্রয়োগে সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রভাব পড়ে। অনেক ক্ষেত্রে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা আইনের ঊর্ধ্বে থেকে যায়।

গণমাধ্যমের ভূমিকা:
গণমাধ্যম যৌনপীড়ন ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে টেলিভিশন, পত্রিকা ও অনলাইন মিডিয়ায় যৌন সহিংসতার ঘটনা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। এই আলোচনা সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধি করেছে এবং ভুক্তভোগীদের সাহস জুগিয়েছে।
তবে গণমাধ্যমের কিছু নেতিবাচক দিকও রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীর ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করা হয়, যা তাদের সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করে। এছাড়া, কিছু মিডিয়া সংবাদকে সেনসেশনাল করে তোলে, যা ভুক্তভোগীর মানসিক অবস্থাকে আরও খারাপ করে।

নারী সুরক্ষায় আমাদের করণীয়:
যৌনপীড়ন ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হলে আমাদের সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। নারী নিরাপত্তা, সুরক্ষা ও সমতা নিশ্চিত করা সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব। এ লক্ষ্যে আমাদের নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করা উচিত:

১. সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন:
লিঙ্গ ভিত্তিক কুসংস্কার দূরীকরণ: নারীদের প্রতি সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে কাজ করতে হবে। নারী ও পুরুষের সমান অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। লিঙ্গ ভিত্তিক কুসংস্কার ও বৈষম্য দূর করতে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এ জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও গণমাধ্যমকে এগিয়ে আসতে হবে।
পুরুষদের সম্পৃক্ততা: পুরুষদের নারী নিরাপত্তা ও সমতা বিষয়ে সচেতন ও সম্পৃক্ত করতে হবে। নারী সুরক্ষা শুধু নারীদের বিষয় নয়, পুরুষদেরও এই লড়াইয়ে অংশ নিতে হবে। পুরুষদের মধ্যে নারী অধিকার ও সম্মান সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।

২. আইনি সংস্কার ও প্রয়োগ: নারী নির্যাতন ও বৈষম্য রোধে বিদ্যমান আইনগুলির সংস্কার ও প্রয়োগ কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। পুলিশ ও আদালতের দীর্ঘসূত্রতা কমাতে হবে এবং ভুক্তভোগীদের জন্য দ্রুত বিচার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। এছাড়া, আইনি সহায়তা প্রদানের জন্য সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে হবে। ধর্ষণ, যৌন হয়রানি, গৃহস্থালি সহিংসতা ইত্যাদির বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার ও শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
৩. নারী ও শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত: নারী ও শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। স্কুল, কলেজ ও কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কঠোর নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। এছাড়া, নারী ও শিশুদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করতে হবে।নারীদের জন্য জরুরি হেল্পলাইন ও সহায়তা কেন্দ্র স্থাপন করতে হবে।
৪. শিক্ষা ও সচেতনতা: স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে লিঙ্গ সমতা ও নারী

অধিকার বিষয়ক শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। নারী নিরাপত্তা ও সমতা সম্পর্কে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রচারাভিযান চালানো প্রয়োজন। নারী সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। নারী ও শিশুদের তাদের অধিকার ও আইনি সহায়তা সম্পর্কে জানাতে হবে। এ জন্য বিভিন্ন কর্মশালা, সেমিনার ও প্রচারণা চালাতে হবে।
৫. পরিবার ও সমাজের ভূমিকা: পরিবার থেকে নারীদের প্রতি সম্মান ও সমতা শিক্ষা দিতে হবে। সমাজের সকল স্তরে নারীদের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলতে হবে।
৬. নারী ক্ষমতায়ন:
অর্থনৈতিক স্বাধীনতা: নারীদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।
রাজনৈতিক অংশগ্রহণ: নারীদের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করতে হবে, যাতে তারা নীতি নির্ধারণে ভূমিকা রাখতে পারে।

৭. সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ:
সরকারি নীতি: সরকারকে নারী নিরাপত্তা ও সমতা নিশ্চিত করতে কার্যকর নীতি ও কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে।
বেসরকারি সংস্থা: এনজিও ও সুশীল সমাজকে নারী অধিকার রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে।

যৌনপীড়ন ও ধর্ষণ একটি সামাজিক ব্যাধি, যা সমাজের প্রতিটি স্তরকে প্রভাবিত করে। এই সমস্যা সমাধানে নারী নিরাপত্তা ও সমতা নিশ্চিত করতে আমাদের সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে। আইনের সঠিক প্রয়োগ, সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন, সচেতনতা বৃদ্ধি এবং নারী ও শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার মাধ্যমে আমরা একটি নিরাপদ ও সমতাভিত্তিক সমাজ গড়ে তুলতে পারি। নারী সুরক্ষা শুধু নারীর বিষয় নয়, এটি সমগ্র সমাজের দায়িত্ব। আসুন, আমরা সবাই মিলে এই লড়াইয়ে অংশ নিই এবং একটি নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ে তুলি।