সর্বশেষ:-
প্রচ্ছদ /
অর্থ ও বাণিজ্য, আইন আদালত, ইসলাম ও জীবন, কমলগঞ্জ, দূর্নীতি দমন কমিশন(দুদক), দেশজুড়ে, নারী ও শিশু, বাংলাদেশ, বাংলাদেশ পুলিশ, সিলেট
কমলগঞ্জে চাঞ্চল্যকর পূর্ণিমা রেলি হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আলামত উদ্ধার

প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময়- ০৫:৩৯:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫ ২৫ বার পড়া হয়েছে

তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগরের আলোচিত পূর্ণিমা রেলি (১০) হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আলামত, রক্তমাখা দা উদ্ধার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আসামি উজ্জ্বল বাউরী ওরফে ডন (২৩) ও অপর আসামি দিবস রেংগেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানিয়েছে, গত ৫ই ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে পূর্ণিমা রেলিকে হত্যা করেছে। কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈয়দ ইফতেখার হোসেন জানান, হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তারকৃত উজ্জ্বল বাউরী ডনকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তাকে নিয়ে হত্যা কাণ্ড ঘটানোর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলে মৃতদেহের ২০ ফুট দূরে চা গাছের ঝোপঝাড় এর মধ্যে লুকানো অবস্থায় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা (যার ওপর শুকনো রক্ত ছিল) এবং আসামি ডনের বাড়ির পেছনে মাটির নিচ থেকে বাইসাইকেলের প্যাডেল উদ্ধার করা হয়। উল্লেখ্য, মৃতদেহের পাশ থেকে একটি ভাঙা বাইসাইকেলের প্যাডেল আগেই জব্দ করা হয়েছিল। গত ৬ই ফেব্রুয়ারি কমলগঞ্জের শমশেরনগর চা বাগানের ৬ নম্বর টিলা থেকে চা শ্রমিক কন্যা পূর্ণিমা রেলির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। হত্যার রহস্য উদঘাটন এবং জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে ঘটনাস্থল থেকে জব্দ করা ৩ জোড়া স্যান্ডেল, একটি বাইসাইকেলের প্যাডেল এবং পুরাতন একটি গামছার সূত্র ধরে তদন্ত শুরু হয়। এরপর, গত ২২শে ফেব্রুয়ারি রাতে দিবস রেংগেট (১৯) এবং ২৩শে ফেব্রুয়ারি ভোররাতে উজ্জ্বল বাউরী ওরফে ডন (২৩) কে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তাদের মৌলভীবাজার আদালতে পাঠানো হলে আসামি দিবস রেংগেট স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানায়, সে পূর্ণিমা রেলিকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিল, কিন্তু ব্যর্থ হয়ে ঘটনা ধামাচাপা দিতে গলা ও হাতের কব্জি কেটে হত্যা করে।
নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগস:-

-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ