হাতকড়া পরিয়ে ব্যবসায়ীয় কাছ থেকে টাকা নেয়ার অভিযোগ এসআই কুদ্দুসের বিরুদ্ধে
- আপডেট সময়- ০৪:২৪:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫ ৩২ বার পড়া হয়েছে
সবুজ সরকার (বামে) ও অভিযুক্ত এসআই আবদুল কুদ্দুস। ছবি: সংগৃহীত
বিশেষ প্রতিবেদক।।
ঢাকার অদূরে গাজীপুরের শ্রীপুরে এক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তারের নামে হাতকড়া পরিয়ে আটকের পর দুই লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের এসআই কুদ্দুসের বিরুদ্ধে।
আটকের পর ওই ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী হাতকড়া পরা অবস্থায় মোবাইল ফোনে সেলফি তুলে নিজের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করেন। এরপরেই আটক ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দিয়ে টাকাও ফেরত দিয়েছেন অভিযুক্ত এসআই কুদ্দুস। তবে টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন এসআই।
জানা গেছে, গত শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলার নয়নপুর এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী সবুজ সরকার শ্রীপুর উপজেলার ধনুয়া গ্রামের আফতাব উদ্দিন সরকারের ছেলে। তিনি নয়নপুর হানু মার্কেটে মোবাইল ও মোবাইল অ্যাকসেসরিজের ব্যবসা করেন। অভিযুক্ত এসআইয়ের নাম আবদুল কুদ্দুস। তিনি মাওনা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ।
ব্যবসায়ী সবুজ সরকার অভিযোগ করে বলেন, পারিবারিক জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে চাচা সুলতান সরকারের ইশারায় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আবদুল কুদ্দুস তাকে আটক করেন। আটকের পর পানির পাইপের সঙ্গে তাকে হাতকড়া পরিয়ে রাখা হয়। এসময় তার সঙ্গে থাকা দুই লাখ টাকাসহ একটি ব্যাগ ছিনিয়ে নেন পুলিশের ওই এসআই।
পরে ফাঁড়ির পাশে পানির পাইপের সঙ্গে তাকে হাতকড়া পরিয়ে রাখা হয়। ওই অবস্থায় তিনি মোবাইল ফোন থেকে সেলফি তুলে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। মূহুর্তেই ফেসবুক পোস্ট নজরে আসলে তড়িঘড়ি করে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর ছিনিয়ে নেয়া দুই লাখ টাকাও ফেরত পাঠিয়ে দেন এসআই কুদ্দুস।
➤সবুজ সরকারের ফেসবুক পোস্ট:
এ ঘটনা সবুজ সরকার অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। আমার বাবার সঙ্গে চাচা সুলতান উদ্দিন সরকারের জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। আমার চাচার ইশারায় পরিকল্পিতভাবে এসআই কুদ্দুস আমাকে আটক করেছিলেন।’
তবে এ ঘটনায় অভিযুক্ত মাওনা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবদুল কুদ্দুস বলেছেন, তার বড় ভাই সুমন সরকারকে ভেবে সবুজ সরকারকে ভুলক্রমে আটক করা হয়েছিল। তাকে পুলিশ ফাঁড়িতেও নেওয়া হয়নি। জমি সংক্রান্ত বিরোধের কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় তাকে আটক করা হয়। এছাড়া আটকের সময় সবুজ সরকারের কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ সঠিক নয় বলে তিনি অস্বীকার করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গাজীপুরের পুলিশ সুপার ড. চৌধুরী যাবের সাদেক বলেন, ‘বিষয়টি আমি জেনেছি আমার নজরে এসেছে। সবুজ সরকারকে ডেকে পাঠিয়েছি। এ ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
নিউজটি শেয়ার করুন
-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ