ঢাকা ০২:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
মৌলভীবাজার কৃষকলীগ সভাপতি সাদেকুল গ্রেপ্তার সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ৪০০ কোটির পিয়ন জাহাঙ্গীরকে দুদকে তলব মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী-এমপিদের পিএস-এপিএসরাও বানিয়েছেন অঢেল সম্পদসহ অর্থের পাহাড় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে যা বললেন ভারতের পররাষ্ট্র মুখপাত্র পুলিশের আরও ৪ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের অনুমতি দিলো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় টেকনাফে চাচার যোগসাজশে ভাতিজা অপহরণ: অস্ত্রসহ গ্রেফতার-৩ বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ওপর হামলাকারী ছাত্রলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক বেলাল শ্রীঘরে কুলাউড়া ছাত্রলীগ সভাপতি নিয়াজুল তায়েফ গ্রেপ্তার বিয়ের পরে একসঙ্গে এইচএসসি পাস করলেন নাঈম-শারমিন দম্পতি মতিয়া চৌধুরীর জানাজা আজ বাদ জোহর আওয়ামী জোট নেতা মেননের ২৫ হাজার কোটি টাকার সম্পদের খোঁজে দুদক জাতীয় দিবস হিসেবে ৭ই মার্চ বাতিল করায় ক্ষুব্ধ শাওন সনাতনী হিন্দু সম্প্রদায়ের কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা আজ নুনের আবিষ্কার ও অসাধারণ গুনাগুন নীরবেই না ফেরার দেশে চলে গেলেন অগ্নিকন্যা মতিয়া চৌধুরী রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান জায়েদ আলী গ্রেপ্তার ডিএনসিসির সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম গ্রেপ্তার সিআইডি প্রধানের দায়িত্ব নিলেন অতিরিক্ত আইজিপি মতিউর রহমান ২৪ ঘন্টার মধ্যে টমটম চালক হত্যার আসামি জসিম গ্রেপ্তার  সোনারগাঁয়ে বিএনপি নেতা মান্নানের দুঃশাসনের স্বর্গরাজ্য জাতীয় ৮ দিবস বাতিলের প্রতিবাদ জানিয়ে আ’লীগের বিবৃতি আজ থেকে ৩দিন ব্যাপী লালন স্মরণোৎসব শুরু ৮ জাতীয় দিবস বাতিলের আদেশ জারি গণহত্যায় জড়িত সাংবাদিকরাও ছাড় পাবে না: আইন উপদেষ্টা  অবকাশকালীন বেঞ্চ ভেঙে দিলেন প্রধান বিচারপতি এবার এইচএসসিতে ৬৫টি কলেজের কোনো শিক্ষার্থীই পাস করতে পারেনি এইচএসসিতে এইবছর শতভাগ পাস করেছে ১৩৮৮ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিনতাইয়ের অভিযোগে সিদ্ধিরগঞ্জে কৃষকদলের ৪ নেতা আটক ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে পাশের হার কমলেও বেড়েছে জিপিএ-৫ শ্রীমঙ্গলে পৃথক স্থান থেকে দুইটি মরদেহ উদ্ধার কুষ্টিয়ায় চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার মায়ানমারে অপহৃত ১৬ জেলেকে ফেরত আনলো বিজিবি নালার পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু মৌলভীবাজারে মাছ ধরা নিয়ে ঝগড়ার জেরে দু’পক্ষের সংঘর্ষ: নিহত-১  মুন্সীগঞ্জের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এমিলির অর্থের যোগানদাতা জামাতা তারেক  সাতক্ষীরায় নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে লাপাত্তা গৃহবধূ   ময়মনসিংহে বিএসটিআই’র আয়োজনে ‘বিশ্ব মান দিবস-২০২৪’ অনুষ্ঠিত কুলাউড়ায় পূজামণ্ডপে শিশুদের মারধরের ঘটনায় এক তরুণী আটক ডিজিএফআই’র নতুন ডিজি জাহাঙ্গীর আলম খোকন দাসের সর্বজনীন পূজা এককথায় দরিদ্রদের সেবা মুন্সীগঞ্জের চরাঞ্চলে আ’লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ: ৪৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা সাতক্ষীরার বাংলাদেশ-ভারত সীমানায় ইছামতীতে প্রতিমা বিসর্জনে শেষ হলো দূর্গাপূজা পাকশীতে রেলের সমস্যা ও সম্ভাবনা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত কুতুবদিয়ায় এখনো জ্বলছে এলপিজিবাহী জাহাজের আগুন, নিয়ন্ত্রণে আসেনি রাউজানে বিএনপির দু’গ্রুপের ভয়াবহ সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ-২ দূর্গোৎসবে পুজামন্ডপ কেন পাহারা দিতে হবে প্রশ্ন❓মুন্সীগঞ্জে রিজভী বকশীগঞ্জে ‘আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস’ পালিত দৌলতপুরে মসজিদ-কবরস্থানের টাকা নিয়ে বিএনপির দু’গ্রুপ সংঘর্ষে আহত-৮ দূর্গোৎসবকে ঘিরে সারাদেশে ৩১৩ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন শ্রীমঙ্গলে লাইন মেরামত করতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে যুবকের মৃত্যু চাঁদাবাজ ও দখলদারদের বিএনপিতে স্থান নেই: ইকবাল হোসেন  সাবেক এমপি জিল্লুর রহমানের ছোট ভাই আতাউর গ্রেপ্তার বকশীগঞ্জে সাপ্তাহিক ১দিন দোকান-কর্মচারীদের ছুটির দাবীতে বিক্ষোভ ময়মনসিংহে শান্তিপূর্ন পরিবেশে পালিত হচ্ছে দুর্গোৎসব ঈশ্বরদীতে চলন্ত ট্রেন থেকে পরে যুবকের মৃত্যু  ভারতে পালানোর সময় সাবেক এমপি শিমুলের দুই সহযোগীসহ আটক-৩ সৌরশক্তি থেকে উৎপন্ন বিদ্যুৎ যুক্ত হবে জাতীয় গ্রিডে শ্যামনগরের যশোরেশ্বরী মন্দিরে প্রতিমার মাথার স্বর্ণের মুকুট চুরি সাতক্ষীরায় গৃহবধূকে জ*বা*ই করে হ*ত্যা  বিএনপি নেতা রবিকে গ্রেফতারে বাসায় পুলিশের অভিযান তাঁতীবাজার পূজামণ্ডপে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ,ছুরিকাঘাতে আহত-৫ কমলগঞ্জ আ’লীগের সহ-সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বাদশা গ্রেপ্তার সন্ত্রাস-চাঁদাবাজ ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে সিদ্ধিরগঞ্জে ছাত্রদলের বিক্ষোভ এমপিওভুক্ত সহ ৩ দফা দাবিতে ১৫ অক্টোবর লংমার্চ কর্মসূচি  দীপ্ত টিভির তামিম হত্যাকান্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার-৫ দীপ্ত টিভির তামিম খূনের ঘটনায় বিএনপি নেতা রবিকে শো’কজ শারদীয় দুর্গোৎসবে সব ধরনের নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে: সেনাপ্রধান দীপ্ত টিভির তামিম হত্যাকান্ডে বিএনপি নেতা রবি ও মাদক কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা মিলেছে দুর্গোৎসবে এখন পর্যন্ত ৩৫ অপ্রীতিকর ঘটনায় আটক-১৭ : আইজিপি কণ্ঠশিল্পী ইভার বিরুদ্ধে ফকির গ্রুপের এমডির মানহানি মামলা দুর্গাপূজায় কোন বিশৃঙ্খলা বা অপতৎপরতার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা: আইজিপি শারদীয় দুর্গোৎসবের মহাষ্টমী ও কুমারীপূজা আজ না’গঞ্জ মহিলা পরিষদ নেতৃবৃন্দের পূজামণ্ডপ পরিদর্শনসহ শুভেচ্ছা বিনিময়  কলকাতা বাঙালির দুর্গাপূজা মুসলিমদেরও বড় আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্যের উৎসব শ্রীমঙ্গলের বালিশিরা রিসোর্ট থেকে সাবেক সচিবের মরদেহ উদ্ধার  কাকডাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের সময় নারীসহ আটক-৪  সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হেনেস্তার শিকার এশিয়ান টিভির স্টাফ রিপোর্টার ফরিদ রায়পুরায় পূজামণ্ডপ ভাঙচুর গুজব ছড়ানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন রাজনগর ইউপি চেয়ারম্যানের গোডাউন থেকে অবৈধ ভারতীয় চিনি উদ্ধার ময়মনসিংহ সাব-রেজিস্টার জাহিদ হাসানের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারের অভিযোগ মায়ানমার নৌবাহিনীর গুলিতে বাংলাদেশি জেলে নিহত আহত-২  ঈশ্বরদীতে লিচু বাগান থেকে যুবকের র*ক্তা*ক্ত লা*শ উদ্ধার দৌলতপুরে পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা অভাবে হাজার হেক্টর ফসলি জমি নষ্ঠ ফ্লোরিডার অঙ্গরাজ্যে আছড়ে পড়েছে হারিকেন মিল্টন, ভয়াবহ বিপর্যয়ের শঙ্কা  আজ মহা সপ্তমী পুজার্চনা মৌলভীবাজারে ডিবির অভিযানে ইয়াবাসহ আটক-২ ভারতের বিখ্যাত শিল্পপতি টাটা গ্রুপের কর্ণধার রতন টাটা মারা গেছেন পুলিশের কাজের অগ্রগতি ফেরাতে ১০ থানায় ৫০ গাড়ি হস্তান্তর  এবার সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের জামিন মঞ্জুর  বিঘ্নে পূজা উৎযাপনের লক্ষ্যে র‍্যাব সচেষ্ট রয়েছে: র‍্যাব ডিজি সাতক্ষীরায় আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু ও মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উৎযাপিত টংঙ্গীবাড়ীতে বালু দস্যুদের অস্ত্রের মহড়ায় আতংকে এলাকাবাসী  চলছে ষষ্ঠী পূজা; শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু আজ সদরপুরের চরবিষ্ণুপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ হাজারো মানুষের হৃদয়ের মনিকোঠায় বেঁচে আছেন নাজমুল হক হিন্দু সম্প্রদায়ের শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু আজ মহাষষ্ঠী শারদীয় দুর্গাপূজার ছুটি বাড়লো আরও একদিন হাজত থেকেই মুক্ত সাবেক এমপি সাবের হোসেন চৌধুরী ফতুল্লার যুবলীগ নেতা আজমত উল্লাহ্ গ্রেপ্তার ঈশ্বরদী ইউএনও অফিস লুটপাট ও ভাঙচুর

মুন্সীগঞ্জে গণআন্দোলনে তাওহীদের শরীরে বৃদ্ধ গুলি এখনো বহন করছে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময়- ০৭:১৪:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০ বার পড়া হয়েছে

মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ

 

বৈষম্যবিরোধে আন্দোলনে স্কুল ছাত্র তাওহিদের শরীরে বৃদ্ধ হয় ২২টি গুলি।এখনো তার শরীরে বহন করছেন ৭টি গুলি।দেড় মাসেরও অধিক সময় ধরে শরীরে এখনো ৭টি গুলি বহন করে চলেছে সে। চিকিৎসকরা অপারেশন করে ইতিমধ্যে তার শরীর হতে ১৫টি গুলি বের করে এনেছেন।তাওহিদ মুন্সীগঞ্জের টংঙ্গীবাড়ী উপজেলার বালিগাওঁ গ্রামের আবুল কালামের ছেলে।সে বালিগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র।তার বাবা আবুল কালাম পেশায় একজন কৃষক।তাওহিদ গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে মুন্সীগঞ্জ সুপার মার্কেট এলাকায় অংশগ্রহণ করেছিলেন।ওই আন্দোলন চলাকালীন সময়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ তাদের ওপর গুলি ছুড়লে তাওহিদের দু চোখ-কান কপাল মাথাসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে মোট ২২টি গুলিবিদ্ধ হয়।চোখে গুলিবিদ্ধ হওয়ার  দু-চোখে কোন কিছুই দেখছিলোনা সে।চোখ দিয়ে ঝড়ছিল রক্ত।মুহুমুহু গুলির শব্দে বাচঁতে চোখ বুজেঁই রাস্তা দিয়ে দৌড়াচ্ছিলো।পরে তার গুলিবৃদ্ধ অবস্থা দেখতে পেয়ে অন্যা আন্দোলনকারীরা তাকে নিয়ে যায় মুন্সীগঞ্জের গোয়লপাড়ায় নাসরিন বেগম নামের এক নারীর বাসায়।সে সময় হাসপাতাল এলাকাসহ বিভিন্নস্থানে পুলিশ ও সরকার দলীয় লোকজনের হামলা চলছিল।তাই তাওহিদকে ডাক্তার দেখানো সম্ভব হয়নি।ওই বাড়িতেই মৃত্যুর যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিল সে।বিনা চিকিৎসায় সারাদিন ও একরাত আতঙ্ক ভয়ে পুরো রাত জেগে কাটে তার এদিকে ছেলের গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পান তার বাবা আবুল কালাম।ছেলেকে দেখতে ছেলের আশ্রয় নেওয়ার স্থানের কাছে এসেও একদিকে যানবাহন সংকট অন্যদিকে আশ্রয়দাতার বাধাঁর মুখে ওই সময় দেখতে পারেননি ছেলেকে। আশ্রয়দাতা নাসরিন বেগম ভয়ে সে সময় তাওহিদের বাবাকে তার বাড়ির ঠিকানা দেননি। তাছাড়া বারণ করেছিলেন তার বাড়িতে আসতে। কারণ তিনি ওই সময় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অনেকেই বাড়িতে গোপনে আশ্রয় দিয়েছিলেন।বিষয়টি জানাজানি হলে আটক হতে পারেন পুলিশের হাতে সে ভয়ে বার বার বাড়িতে আসতে নিষেধ করেন তাওহিদের বাবাকে।ঠিকানা না পেয়ে তাওহিদের বাবা ছেলের আশ্রয়দাতার বাড়ির আশে-পাশের স্থাণ দিয়ে ঘুরে ফিরে যান বাড়িতে।বাড়িতে ফিরে দেখেন স্ত্রী তাওহিদের মা ছেলের শোকে হার্ট অ্যাটাক করেছেন মুখ বাঁকা হয়ে গেছে তার।ডাক্তার দেখবেন ডাক্তারও পাচ্ছিলো না সে সময়।একদিকে ছেলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় অন্য বাড়িতে আশ্রয়ে অন্যদিকে স্ত্রীর হার্ট অ্যাটাকে কাতর হয়ে পরেন মনির হোসেন।তারপরেও যোগাযোগ রাখছিলেন ছেলের আশ্রয়দাতা নাসরিন বেগমের সাথে।পরে নাসরিন বেগম বলেন ভোর রাত ৫টার দিকে সে সময় মানুষজন রাস্তাঘাটে ততো থাকেনা যদি তাওহিদের বাবা অন্য কোন মহিলাকে সাথে নিয়ে আশ্রয়দাতা নাসরিনের বাড়িতে যায় তবে গোপনে তাওহিদকে তুলে দিবেন তাদের হাতে।ছেলেকে পেতে আশ্রয়দাতার শর্ত অনুযায়ী ৫ আগষ্ট ভোর রাত ৪টার দিকে তাওহিদের চাচিকে সাথে নিয়ে ছুটে যান তাওহিদের বাবা ২০ কিলোমিটার দূরে আশ্রয়দাতার বাড়িতে।পরে আশ্রয়দাতা তাওহিদকে তুলে দেন তার পিতার হতে।৫ আগস্ট ভোরে তাওহিদকে নিয়ে তার বাবা চলে আসেন বাড়িতে।  সে সময় চিকিৎসা দেওয়ার সুযোগ ছিলনা।তাই বাড়িতেই রেখে দেন ছেলেকে।পরে ৬ আগস্ট দেখেন ছেলের পেটে বৃদ্ধ গুলির স্থানগুলো পেকে সাদা হয়ে রয়েছে।মনির হোসেন নিজেই তাওহিদের পেটে চাপ দিয়ে বের করে আনেন ৪টি গুলি।পরে ৬ আগস্ট তারিখে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।কিন্তু ওই হাসপাতালে তাওহিদের শরীর হতে কোন গুলি বের করেনি।পরে ১৬ আগষ্ট তাকে নেওয়া হয় ঢাকাস্থ আগারগাঁওয়ের সেনাবাহিনী পরিচালিত সিএমএম হাসপাতালে ওখানে নেওয়ার পরে ১৭ আগস্ট ৩টা ২৪ আগস্ট ৪টা এভাবে মোট ১৫টি গুলি বের করা হয়।এখনো তাওহিদের শরীরে ৭টি গুলি রয়েছে।এ ব্যাপারে তাওহিদ বলেন,বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্য গত ৪ আগস্ট তিন বন্ধুকে সাথে নিয়ে সকাল ৭টায় বাড়ি হতে বেরিয়ে পরি। মুন্সীগঞ্জ সদরের সুপার মার্কেট এলাকায় যাওয়ার পরে দেখি সে সময় অল্প কয়জন লোক হয়েছে। তখন পুলিশ কিছুতেই রাস্তায় আমাদের দাঁড়াতে দিচ্ছিলো না।পরে আমরা এদিক সেদিক ঘুড়াঘুড়ি করছিলাম।বেলা বাড়ার সাথে সাথে অনেক লোকজন আসতে থাকে।পরে আমরা মুন্সীগঞ্জ সুপার মার্কেট এলাকায় দাঁড়িয়ে আন্দোলন করতে থাকি।বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ আমাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে আমার শরীরে মোট ২২টি গুলি লাগে।আমার দু-চোখেও গুলি লাগায় আমি চোখে কিছুই দেখতেছিলামনা।তখন চারদিকে গুলির শব্দ হচ্ছিল।আমি ভয়ে রাস্তা দিয়ে চোখ বুজে দৌড়াচ্ছিলাম।গুলি লাগায় আমার চোখ দিয়ে রক্ত ঝড়ছিল।সে সময় অন্য আন্দোলনকারী বন্ধুরা আমাকে মুন্সীগঞ্জ শহরের গোয়লপাড়া গ্রামের একটি বাড়িতে নিয়ে যায়।ওখানে নাসরিন বেগম নামের এক মহিলা আমাদের অনেক অন্দোলনকারীদের আশ্রয় দেয়।ওই ভদ্র মহিলার স্বামী বিদেশে থাকেন।ওনি আমাদের খুব কষ্টে বাড়ির মধ্যে লুকিয়ে রাখেন।একদিকে শরীরে যন্ত্রণা অন্যদিকে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের লোকজনের ভয়ে খুব আতঙ্কে সময় কাটছিলো আমাদের। সারারাত ভয়ে আতঙ্কে কাটিয়ে দেই।পরে সকালে বাবা গিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসে আমাকে।এসে দেখি মা হার্ট অ্যাটাক করেছে মুখ বাঁকা হয়ে আছে।পরে আমি বাবাকে বলি আমাকে বাইরে নিলে সমস্যা হতে পারে আমার কিছু হবেনা তুমি মাকে ডাক্তার দেখাও।বাবা মাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যায়।পরে দুপুরে শুনি দেশ স্বাধীন হয়েছে আমরা মুক্ত হয়েছি। পরে আমি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ও সিএমএম হাসপাতালে চিকিৎসা নেই।আমার দু-চোখে কপালে ও মাথায় এখনো ৭টি গুলি আছে। ডাক্তার বলছে আস্তে আস্তে বের করতে হবে।মাঝে মধ্যেই খুব যন্ত্রণা হয়।আমার চিকিৎসা চলছে।এ ব্যাপারে তাওহিদের বাবা মনির হোসেন বলেন, তাওহিদ আমাদের না বলেই আন্দোলনে গিয়েছিল। আমি বিষয়টি জানতাম না।গুলি লাগার পরে আমার ছোট ছেলে আমাকে বলে ভাইয়া আন্দোলনে গিয়ে গুলি খেয়েছে এক বাড়িতে আছে।আমি ছুটে যাই সেই বাড়ির কাছে।কিন্তু যে মহিলা ওকে আশ্রয় দিয়েছে সেই মহিলা আমাকে জানায় আপনি এখোন বাড়িতে আসলে আমার বিপদ হবে।তাছাড়া এখানে অনেক আন্দোলনকারীরা আছে তাদেরও বিপদ হবে।তাই আমি আমার ছেলের সাথে দেখাটাও করতে পারছিলাম না।পরে বাড়িতে ফিরে এসে দেখি স্ত্রী হার্ট অ্যাটাক করেছে।মুখ বাঁকা হয়ে গেছে।সব বন্ধ ডাক্তার দেখাবো সেই স্থানও নাই।আমি সবসময় আমার ছেলেকে আশ্রয় দেওয়া ওই মহিলার সাথে যোগাযোগ করছিলাম।মহিলা আমাকে ৫ তারিখ ভোর ৫টা বাঁজে তাওহিদের মায়ের বয়সী কাউকে নিয়ে যেতে বলে।পরে আমি তাওহিদের চাচিকে সাথে নিয়ে ওই বাড়িতে গেলে ওই মহিলা তাওহিদকে আমার হাতে তুলে দেয়।বাড়িতে এনে  আমি তাওহিদকে ভয়ে চিকিৎসাও দিতে পারছিলাম না।নিজেই তাওহিদের পেটে বৃদ্ধ  ৪ গুলি বের করে আনি।এখোন ওকে সিএমএম হাসপাতালে চিকিৎসা দিচ্ছি।ওর দুচোখে কপালে মাথায় এখনো ৭ গুলি রয়েছে।ডাক্তার বলছে একেক করে বের করবে।তিনি আরো বলেন,ওই সমস্ত গুলি বের করতে যদি টাকা পয়সা কম খরচ হয় তাহলে আমি বহন করতে পারাবো আর টাকা বেশি লাগলে আমার পক্ষে বহন করা সম্ভব হবেনা। আমি কৃষক মানুষ। গত ২৩ সেপ্টেম্বর বিকালে টংঙ্গীবাড়ী প্রেসক্লাবে জামায়াতে ইসলামির অর্থ সহায়তা নিতে এসে এসব কথা বলেন তাওহিদ ও তার বাবা মনির হোসেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস:-

মুন্সীগঞ্জে গণআন্দোলনে তাওহীদের শরীরে বৃদ্ধ গুলি এখনো বহন করছে

আপডেট সময়- ০৭:১৪:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ

 

বৈষম্যবিরোধে আন্দোলনে স্কুল ছাত্র তাওহিদের শরীরে বৃদ্ধ হয় ২২টি গুলি।এখনো তার শরীরে বহন করছেন ৭টি গুলি।দেড় মাসেরও অধিক সময় ধরে শরীরে এখনো ৭টি গুলি বহন করে চলেছে সে। চিকিৎসকরা অপারেশন করে ইতিমধ্যে তার শরীর হতে ১৫টি গুলি বের করে এনেছেন।তাওহিদ মুন্সীগঞ্জের টংঙ্গীবাড়ী উপজেলার বালিগাওঁ গ্রামের আবুল কালামের ছেলে।সে বালিগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র।তার বাবা আবুল কালাম পেশায় একজন কৃষক।তাওহিদ গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে মুন্সীগঞ্জ সুপার মার্কেট এলাকায় অংশগ্রহণ করেছিলেন।ওই আন্দোলন চলাকালীন সময়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ তাদের ওপর গুলি ছুড়লে তাওহিদের দু চোখ-কান কপাল মাথাসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে মোট ২২টি গুলিবিদ্ধ হয়।চোখে গুলিবিদ্ধ হওয়ার  দু-চোখে কোন কিছুই দেখছিলোনা সে।চোখ দিয়ে ঝড়ছিল রক্ত।মুহুমুহু গুলির শব্দে বাচঁতে চোখ বুজেঁই রাস্তা দিয়ে দৌড়াচ্ছিলো।পরে তার গুলিবৃদ্ধ অবস্থা দেখতে পেয়ে অন্যা আন্দোলনকারীরা তাকে নিয়ে যায় মুন্সীগঞ্জের গোয়লপাড়ায় নাসরিন বেগম নামের এক নারীর বাসায়।সে সময় হাসপাতাল এলাকাসহ বিভিন্নস্থানে পুলিশ ও সরকার দলীয় লোকজনের হামলা চলছিল।তাই তাওহিদকে ডাক্তার দেখানো সম্ভব হয়নি।ওই বাড়িতেই মৃত্যুর যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিল সে।বিনা চিকিৎসায় সারাদিন ও একরাত আতঙ্ক ভয়ে পুরো রাত জেগে কাটে তার এদিকে ছেলের গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পান তার বাবা আবুল কালাম।ছেলেকে দেখতে ছেলের আশ্রয় নেওয়ার স্থানের কাছে এসেও একদিকে যানবাহন সংকট অন্যদিকে আশ্রয়দাতার বাধাঁর মুখে ওই সময় দেখতে পারেননি ছেলেকে। আশ্রয়দাতা নাসরিন বেগম ভয়ে সে সময় তাওহিদের বাবাকে তার বাড়ির ঠিকানা দেননি। তাছাড়া বারণ করেছিলেন তার বাড়িতে আসতে। কারণ তিনি ওই সময় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অনেকেই বাড়িতে গোপনে আশ্রয় দিয়েছিলেন।বিষয়টি জানাজানি হলে আটক হতে পারেন পুলিশের হাতে সে ভয়ে বার বার বাড়িতে আসতে নিষেধ করেন তাওহিদের বাবাকে।ঠিকানা না পেয়ে তাওহিদের বাবা ছেলের আশ্রয়দাতার বাড়ির আশে-পাশের স্থাণ দিয়ে ঘুরে ফিরে যান বাড়িতে।বাড়িতে ফিরে দেখেন স্ত্রী তাওহিদের মা ছেলের শোকে হার্ট অ্যাটাক করেছেন মুখ বাঁকা হয়ে গেছে তার।ডাক্তার দেখবেন ডাক্তারও পাচ্ছিলো না সে সময়।একদিকে ছেলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় অন্য বাড়িতে আশ্রয়ে অন্যদিকে স্ত্রীর হার্ট অ্যাটাকে কাতর হয়ে পরেন মনির হোসেন।তারপরেও যোগাযোগ রাখছিলেন ছেলের আশ্রয়দাতা নাসরিন বেগমের সাথে।পরে নাসরিন বেগম বলেন ভোর রাত ৫টার দিকে সে সময় মানুষজন রাস্তাঘাটে ততো থাকেনা যদি তাওহিদের বাবা অন্য কোন মহিলাকে সাথে নিয়ে আশ্রয়দাতা নাসরিনের বাড়িতে যায় তবে গোপনে তাওহিদকে তুলে দিবেন তাদের হাতে।ছেলেকে পেতে আশ্রয়দাতার শর্ত অনুযায়ী ৫ আগষ্ট ভোর রাত ৪টার দিকে তাওহিদের চাচিকে সাথে নিয়ে ছুটে যান তাওহিদের বাবা ২০ কিলোমিটার দূরে আশ্রয়দাতার বাড়িতে।পরে আশ্রয়দাতা তাওহিদকে তুলে দেন তার পিতার হতে।৫ আগস্ট ভোরে তাওহিদকে নিয়ে তার বাবা চলে আসেন বাড়িতে।  সে সময় চিকিৎসা দেওয়ার সুযোগ ছিলনা।তাই বাড়িতেই রেখে দেন ছেলেকে।পরে ৬ আগস্ট দেখেন ছেলের পেটে বৃদ্ধ গুলির স্থানগুলো পেকে সাদা হয়ে রয়েছে।মনির হোসেন নিজেই তাওহিদের পেটে চাপ দিয়ে বের করে আনেন ৪টি গুলি।পরে ৬ আগস্ট তারিখে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।কিন্তু ওই হাসপাতালে তাওহিদের শরীর হতে কোন গুলি বের করেনি।পরে ১৬ আগষ্ট তাকে নেওয়া হয় ঢাকাস্থ আগারগাঁওয়ের সেনাবাহিনী পরিচালিত সিএমএম হাসপাতালে ওখানে নেওয়ার পরে ১৭ আগস্ট ৩টা ২৪ আগস্ট ৪টা এভাবে মোট ১৫টি গুলি বের করা হয়।এখনো তাওহিদের শরীরে ৭টি গুলি রয়েছে।এ ব্যাপারে তাওহিদ বলেন,বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্য গত ৪ আগস্ট তিন বন্ধুকে সাথে নিয়ে সকাল ৭টায় বাড়ি হতে বেরিয়ে পরি। মুন্সীগঞ্জ সদরের সুপার মার্কেট এলাকায় যাওয়ার পরে দেখি সে সময় অল্প কয়জন লোক হয়েছে। তখন পুলিশ কিছুতেই রাস্তায় আমাদের দাঁড়াতে দিচ্ছিলো না।পরে আমরা এদিক সেদিক ঘুড়াঘুড়ি করছিলাম।বেলা বাড়ার সাথে সাথে অনেক লোকজন আসতে থাকে।পরে আমরা মুন্সীগঞ্জ সুপার মার্কেট এলাকায় দাঁড়িয়ে আন্দোলন করতে থাকি।বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ আমাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে আমার শরীরে মোট ২২টি গুলি লাগে।আমার দু-চোখেও গুলি লাগায় আমি চোখে কিছুই দেখতেছিলামনা।তখন চারদিকে গুলির শব্দ হচ্ছিল।আমি ভয়ে রাস্তা দিয়ে চোখ বুজে দৌড়াচ্ছিলাম।গুলি লাগায় আমার চোখ দিয়ে রক্ত ঝড়ছিল।সে সময় অন্য আন্দোলনকারী বন্ধুরা আমাকে মুন্সীগঞ্জ শহরের গোয়লপাড়া গ্রামের একটি বাড়িতে নিয়ে যায়।ওখানে নাসরিন বেগম নামের এক মহিলা আমাদের অনেক অন্দোলনকারীদের আশ্রয় দেয়।ওই ভদ্র মহিলার স্বামী বিদেশে থাকেন।ওনি আমাদের খুব কষ্টে বাড়ির মধ্যে লুকিয়ে রাখেন।একদিকে শরীরে যন্ত্রণা অন্যদিকে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের লোকজনের ভয়ে খুব আতঙ্কে সময় কাটছিলো আমাদের। সারারাত ভয়ে আতঙ্কে কাটিয়ে দেই।পরে সকালে বাবা গিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসে আমাকে।এসে দেখি মা হার্ট অ্যাটাক করেছে মুখ বাঁকা হয়ে আছে।পরে আমি বাবাকে বলি আমাকে বাইরে নিলে সমস্যা হতে পারে আমার কিছু হবেনা তুমি মাকে ডাক্তার দেখাও।বাবা মাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যায়।পরে দুপুরে শুনি দেশ স্বাধীন হয়েছে আমরা মুক্ত হয়েছি। পরে আমি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ও সিএমএম হাসপাতালে চিকিৎসা নেই।আমার দু-চোখে কপালে ও মাথায় এখনো ৭টি গুলি আছে। ডাক্তার বলছে আস্তে আস্তে বের করতে হবে।মাঝে মধ্যেই খুব যন্ত্রণা হয়।আমার চিকিৎসা চলছে।এ ব্যাপারে তাওহিদের বাবা মনির হোসেন বলেন, তাওহিদ আমাদের না বলেই আন্দোলনে গিয়েছিল। আমি বিষয়টি জানতাম না।গুলি লাগার পরে আমার ছোট ছেলে আমাকে বলে ভাইয়া আন্দোলনে গিয়ে গুলি খেয়েছে এক বাড়িতে আছে।আমি ছুটে যাই সেই বাড়ির কাছে।কিন্তু যে মহিলা ওকে আশ্রয় দিয়েছে সেই মহিলা আমাকে জানায় আপনি এখোন বাড়িতে আসলে আমার বিপদ হবে।তাছাড়া এখানে অনেক আন্দোলনকারীরা আছে তাদেরও বিপদ হবে।তাই আমি আমার ছেলের সাথে দেখাটাও করতে পারছিলাম না।পরে বাড়িতে ফিরে এসে দেখি স্ত্রী হার্ট অ্যাটাক করেছে।মুখ বাঁকা হয়ে গেছে।সব বন্ধ ডাক্তার দেখাবো সেই স্থানও নাই।আমি সবসময় আমার ছেলেকে আশ্রয় দেওয়া ওই মহিলার সাথে যোগাযোগ করছিলাম।মহিলা আমাকে ৫ তারিখ ভোর ৫টা বাঁজে তাওহিদের মায়ের বয়সী কাউকে নিয়ে যেতে বলে।পরে আমি তাওহিদের চাচিকে সাথে নিয়ে ওই বাড়িতে গেলে ওই মহিলা তাওহিদকে আমার হাতে তুলে দেয়।বাড়িতে এনে  আমি তাওহিদকে ভয়ে চিকিৎসাও দিতে পারছিলাম না।নিজেই তাওহিদের পেটে বৃদ্ধ  ৪ গুলি বের করে আনি।এখোন ওকে সিএমএম হাসপাতালে চিকিৎসা দিচ্ছি।ওর দুচোখে কপালে মাথায় এখনো ৭ গুলি রয়েছে।ডাক্তার বলছে একেক করে বের করবে।তিনি আরো বলেন,ওই সমস্ত গুলি বের করতে যদি টাকা পয়সা কম খরচ হয় তাহলে আমি বহন করতে পারাবো আর টাকা বেশি লাগলে আমার পক্ষে বহন করা সম্ভব হবেনা। আমি কৃষক মানুষ। গত ২৩ সেপ্টেম্বর বিকালে টংঙ্গীবাড়ী প্রেসক্লাবে জামায়াতে ইসলামির অর্থ সহায়তা নিতে এসে এসব কথা বলেন তাওহিদ ও তার বাবা মনির হোসেন।