ঢাকা ১০:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ:-
সাংবাদিকদের নয়, বসুন্ধরা মিডিয়াকেই হুমকি দিয়েছি’: হাসনাত আবদুল্লাহ নারায়ণগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার পর ঘাতক স্বামীর থানায় আত্নসমর্পণ কুষ্টিয়ায় অবৈধভাবে পদ্মা নদীর বালু উত্তোলনের দায়ে জেল-জরিমানা চাঁদপুর শহরে হাসান আলী মাঠে অবৈধ দোকানপাট, খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত শিশুরা শরণখোলায় আনোয়ার হোসেন পঞ্চায়েত’র বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন  বিএনপিতে অপকর্মকারীদের তালিকাসহ শুদ্ধি অভিযান শুরু আজ ১০ই মহরম, পবিত্র আশুরা জুড়িতে চা শ্রমিক দম্পতির বিষপানে আত্মহত্যা বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ অসুস্থ জামালউদ্দিন কালুর পাশে ব্যবসায়ী মাসুদুজ্জামান নারায়ণগঞ্জ পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গণি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ রিয়া গোপের পরিবারের পাশে মাসুদুজ্জামান শরণখোলায় ব্যাটারি চালিত ভ্যান উল্টে কিশোর জিহাদের করুণ মৃত্যু মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নির্মিত হচ্ছে কালেক্টরেট স্কুল তানজিন তিশার সন্তান দাবি করে ছবি প্রকাশ করলেন সাংবাদিক জাওয়াদ নির্ঝর ফের বড়লেখা সীমান্তে আটক-১০ শ্রীমঙ্গলে ডিবির অভিযানে বিদেশী মদসহ আটক-১ বন্দরে মাসুদুজ্জামানের পক্ষ থেকে জুলাই আহত ও শহীদদের জন্য দোয়া অনুষ্ঠিত বড়লেখা সীমান্ত এলাকায় বিজিবি’র অভিযানে ভারতীয় পণ্যসহ আটক-২ কুষ্টিয়ায় গোরস্থা‌নে নেয়ার প‌থে গৃহবধূর লাশ আট‌কে দিল পু‌লিশ সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার: বিপুল পরিমাণ মাছ ও সরঞ্জাম জব্দ মৌলভীবাজারে ডিবির পৃথক অভিযানে ইয়াবা গাঁজাসহ গ্রেপ্তার-২ চাঁদপুরে ধনাগোদা নদীতে অবৈধ ভাসমান রেষ্টুরেন্ট, প্রশাসন রহস্যজনক নিশ্চুপ ফতুল্লায় ১৩ বছরের কিশোরী ধর্ষণ মামলার আসামি আজিম গ্রেপ্তার একমাত্র খেলাধুলাই পারে যুবসমাজকে মাদক মুক্ত রাখতে: মোশারফ হোসেন আ’লীগ নেতার বাড়িতে চাঁদাবাজির অভিযোগে পুলিশকে গাছের সঙ্গে বেঁধে পেটালো জনতা এসএসসির ফল প্রস্তুত: জানা গেল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ প্রধান উপদেষ্টার ‘কাউন্টডাউন শুরু’ পোস্ট দেয়া সেই ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী চাকরিচ্যুত না’গঞ্জ জেলা পরিষদের সিইও’র বদলিজনিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত কুলাউড়ায় স্কুল পড়ুয়া তরুণীর রহস্যজনক মৃত্যু নির্দেশনা পেলে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে সেনাবাহিনী প্রস্তুত: কর্নেল শফিকুল দৌলতপুরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত মৌলভীবাজার সীমান্তে শিশুসহ ৭১ বাংলাদেশীকে ফেরত দিলো বিএসএফ শ্রীমঙ্গলে অনিয়ম-দুর্নীতি ঢাকতে নতুন কারসাজিতে ও ঠিকাদার ব্যর্থ মৌলভীবাজারে জামিনের প্রলোভনে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে প্রতারক গ্রেপ্তার জুড়ীর কৃতি সন্তান শরীফ বিসিএস পুলিশ ক্যাডারে প্রথম আ’লীগের সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় গ্রেপ্তার ৩৩ ডেপুটি জেলারকে একযোগে বদলি আমি জনগণের সেবক হতে চাই, কারো প্রতিযোগী না: মাসুদুজ্জামান জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপে মর্গ্যান স্কুলের সংকট নিরসন মাদরাসার দুই শিক্ষার্থীর একই সাথে মৃত্যু;  শিক্ষক সমিতির শোক দিল্লির দূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রথমবার কৃত্রিম বৃষ্টি এক নতুন দিগন্ত ভেড়ামারায় পদ্মায় তীব্র ভাঙন, আতঙ্কে দিনাতিপাত করছে নদীপাড়ের বাসিন্দারা ভৈরবের পূর্বকান্দা সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক’কে অফিসে ডুকে মারধরের অভিযোগ সুন্দরবনে বিপুল পরিমাণ হরিণ শিকারের ফাঁদ জব্দ কুমিল্লায় ধর্ষণের ঘটনায় দ্রুত বিচারের দাবিতে মহিলা পরিষদের মানববন্ধন আজ ব্যাংক হলিডে, ব্যাংক ও শেয়ারবাজারে সব লেনদেন বন্ধ জুলাই অভ্যুত্থানে বিএনপিসহ অঙ্গ সংগঠনের শহীদ হয়েছে ৭৩৪ নওগাঁয় অতিরিক্ত ধান-চাল মজুদ: দুই মিল ম্যানেজারের অর্থদন্ডসহ জেল নারায়ণগঞ্জে র‍্যাবের অভিযানে অস্ত্র-মাদক ও বিদেশি মুদ্রাসহ আটক-২ ফতুল্লায় আবির ফ্যাশনে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের ঘটনায় বিক্ষোভে ৮ কারখানা বন্ধ সুন্দরবনে হরিণের ফাঁদসহ আটক-১ শিকারী  খোলপেটুয়া নদীরচর থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার শরণখোলায় ৪নং সাউথখালী ইউপি’র উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা বিমানবন্দরে চেকিংয়ে ম্যাগজিন পাওয়ার বিষয়ে যা বললেন উপদেষ্টা আসিফ না’ঞ্জকে সবুজে ঘেরা পরিচ্ছন্ন ও বাসযোগ্য আধুনিক শহর হিসেবে গড়ে তোলা।”-জেলা প্রশাসক ৫ আগস্টের পর থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত ১৩ পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত না’গঞ্জে ‘আ’লীগের দোসর’ আখ্যা দিয়ে সাবেক বিএনপি নেতাকে ‘মারধর’সহ হেনস্তা না’গঞ্জে যৌথবাহিনীর অভিযানে মাদক-অস্ত্রসহ আটক-২ নারী কারবারি কুষ্টিয়ায় মাদক কারবার নিয়ে বিরোধে যুবককে কুপিয়ে হত্যা কুষ্টিয়ায় বাসচাপায় পুলিশ সদস্য নিহত শরণখোলায় লাগসই প্রযুক্তি বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত আমার শিকড় এই মাটির অনেক গভীরে: মাসুদুজ্জামান মাসুদ ঢাকায় ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশ আজ না ফেরার দেশে ‘কাঁটা লাগা’ গার্লখ্যাত শেফালি জারিওয়ালা নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে মাসুদ-পন্টি পরিষদ বিজয়ী ধর্ষণচেষ্টা মামলায় শিক্ষক আটক, পাঠানো হলো কারাগারে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে চালকদের ডাটাবেজ করছে না’গঞ্জ জেলা প্রশাসন ডিএমপির ৬ ডিসির দায়িত্বে রদবদল কুষ্টিয়ায় লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতের হানা, লাশের শরীর তল্লাশি গাইবান্ধায় এইচএসসি পরীক্ষার ১ম দিনে ১২ জন বহিষ্কার, ৪২৯ অনুপস্থিত কুষ্টিয়ায় মাদকের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী দিবস পালিত রায়পুরায় ছয় দফা দাবিতে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি শরণখোলায় পার্টনার স্কুল কংগ্রেস অনুষ্ঠিত সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম সবুজের মায়ের ১ম  মৃত্যুবার্ষিকীতে দোয়া অনুষ্ঠিত আজ থেকে শুরু এইচএসসি পরীক্ষা,পরীক্ষার্থীদের মানতে হবে বিশেষ গাইডলাইন নারায়ণগঞ্জে জোড়া খুন; সাবেক কাউন্সিলর হান্নান ও দুই পুত্রসহ আটক-৪ ডিজিটাল নিরাপত্তা মামলায় খালাস পেলেন কুষ্টিয়ার দুই সাংবাদিক গ্লোবাল টিভির সাংবাদিক মনিরুল আলমকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি ‘মব জাস্টিস’ এক হিংস্র উন্মাদনা: তারেক রহমান দেশের সকল কোচিং সেন্টার বন্ধ ঘোষণা ফতুল্লায় তিতাসের অভিযান: অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নসহ অর্থদন্ড রোটারি ক্লাব অব নারায়ণগঞ্জ মিডটাউনের বর্ষ সমাপ্তি সভা অনুষ্ঠিত ‘মব’ ঠেকাতে কঠোর বার্তা, ব্যর্থ হলেই পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার সাবেক সিইসিকে ‘মব’ সৃষ্টি করে হেনস্থাকারী স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মুজাম্মেল আটক স্রোতের তোড়ে ২৮ যাত্রী নিয়ে মেঘনায় ডুবলো স্পিডবোট কর,কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগ‘ কমপ্লিট শাটডাউনের ঘোষণা এনসিপির কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ, আহত-৪ প্রধান উপদেষ্টাসহ দুদককে উকিল নোটিশ পাঠালেন টিউলিপ সিদ্দিক বিশ্ব পরিবেশ দিবসে মহিলা পরিষদের বৃক্ষরোপণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে ছদ্মবেশে গ্রেপ্তার করল পুলিশ সোনারগাঁয়ে প্রবাসীকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার হুমকিদাতা বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার ‘মব’ সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কড়া হুশিয়ারী দিলো সরকার সাবেক এমপি সাবিনা আক্তার তুহিন গ্রেপ্তার সাবেক সিইসি নূরুল হুদাকে ঘিরে ‘মব’ সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার সাবেক আরেক সিইসি হাবিবুল আউয়াল গ্রেপ্তার না’গঞ্জের প্রবেশমুখে স্থাপত্যশৈলীর ছোয়ায় নির্মিত হবে ‘গেট অব ড্যান্ডি’ শামীম ওসমানের ২টি প্লট ক্রোকসহ ২৯ ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ সাবেক সিইসি কেএম নুরুল হুদা ডিবি হেফাজতে মুন্সিগঞ্জের সাবেক এমপি ফয়সাল বিপ্লব গ্রেপ্তার বিএনপি ক্ষমতায় আসলে সাংবাদিকদের কল্যাণে কাজ করবে: মোস্তফা জামান

মুন্সীগঞ্জে গণআন্দোলনে তাওহীদের শরীরে বৃদ্ধ গুলি এখনো বহন করছে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময়- ০৭:১৪:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩৪ বার পড়া হয়েছে

মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ

 

বৈষম্যবিরোধে আন্দোলনে স্কুল ছাত্র তাওহিদের শরীরে বৃদ্ধ হয় ২২টি গুলি।এখনো তার শরীরে বহন করছেন ৭টি গুলি।দেড় মাসেরও অধিক সময় ধরে শরীরে এখনো ৭টি গুলি বহন করে চলেছে সে। চিকিৎসকরা অপারেশন করে ইতিমধ্যে তার শরীর হতে ১৫টি গুলি বের করে এনেছেন।তাওহিদ মুন্সীগঞ্জের টংঙ্গীবাড়ী উপজেলার বালিগাওঁ গ্রামের আবুল কালামের ছেলে।সে বালিগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র।তার বাবা আবুল কালাম পেশায় একজন কৃষক।তাওহিদ গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে মুন্সীগঞ্জ সুপার মার্কেট এলাকায় অংশগ্রহণ করেছিলেন।ওই আন্দোলন চলাকালীন সময়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ তাদের ওপর গুলি ছুড়লে তাওহিদের দু চোখ-কান কপাল মাথাসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে মোট ২২টি গুলিবিদ্ধ হয়।চোখে গুলিবিদ্ধ হওয়ার  দু-চোখে কোন কিছুই দেখছিলোনা সে।চোখ দিয়ে ঝড়ছিল রক্ত।মুহুমুহু গুলির শব্দে বাচঁতে চোখ বুজেঁই রাস্তা দিয়ে দৌড়াচ্ছিলো।পরে তার গুলিবৃদ্ধ অবস্থা দেখতে পেয়ে অন্যা আন্দোলনকারীরা তাকে নিয়ে যায় মুন্সীগঞ্জের গোয়লপাড়ায় নাসরিন বেগম নামের এক নারীর বাসায়।সে সময় হাসপাতাল এলাকাসহ বিভিন্নস্থানে পুলিশ ও সরকার দলীয় লোকজনের হামলা চলছিল।তাই তাওহিদকে ডাক্তার দেখানো সম্ভব হয়নি।ওই বাড়িতেই মৃত্যুর যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিল সে।বিনা চিকিৎসায় সারাদিন ও একরাত আতঙ্ক ভয়ে পুরো রাত জেগে কাটে তার এদিকে ছেলের গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পান তার বাবা আবুল কালাম।ছেলেকে দেখতে ছেলের আশ্রয় নেওয়ার স্থানের কাছে এসেও একদিকে যানবাহন সংকট অন্যদিকে আশ্রয়দাতার বাধাঁর মুখে ওই সময় দেখতে পারেননি ছেলেকে। আশ্রয়দাতা নাসরিন বেগম ভয়ে সে সময় তাওহিদের বাবাকে তার বাড়ির ঠিকানা দেননি। তাছাড়া বারণ করেছিলেন তার বাড়িতে আসতে। কারণ তিনি ওই সময় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অনেকেই বাড়িতে গোপনে আশ্রয় দিয়েছিলেন।বিষয়টি জানাজানি হলে আটক হতে পারেন পুলিশের হাতে সে ভয়ে বার বার বাড়িতে আসতে নিষেধ করেন তাওহিদের বাবাকে।ঠিকানা না পেয়ে তাওহিদের বাবা ছেলের আশ্রয়দাতার বাড়ির আশে-পাশের স্থাণ দিয়ে ঘুরে ফিরে যান বাড়িতে।বাড়িতে ফিরে দেখেন স্ত্রী তাওহিদের মা ছেলের শোকে হার্ট অ্যাটাক করেছেন মুখ বাঁকা হয়ে গেছে তার।ডাক্তার দেখবেন ডাক্তারও পাচ্ছিলো না সে সময়।একদিকে ছেলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় অন্য বাড়িতে আশ্রয়ে অন্যদিকে স্ত্রীর হার্ট অ্যাটাকে কাতর হয়ে পরেন মনির হোসেন।তারপরেও যোগাযোগ রাখছিলেন ছেলের আশ্রয়দাতা নাসরিন বেগমের সাথে।পরে নাসরিন বেগম বলেন ভোর রাত ৫টার দিকে সে সময় মানুষজন রাস্তাঘাটে ততো থাকেনা যদি তাওহিদের বাবা অন্য কোন মহিলাকে সাথে নিয়ে আশ্রয়দাতা নাসরিনের বাড়িতে যায় তবে গোপনে তাওহিদকে তুলে দিবেন তাদের হাতে।ছেলেকে পেতে আশ্রয়দাতার শর্ত অনুযায়ী ৫ আগষ্ট ভোর রাত ৪টার দিকে তাওহিদের চাচিকে সাথে নিয়ে ছুটে যান তাওহিদের বাবা ২০ কিলোমিটার দূরে আশ্রয়দাতার বাড়িতে।পরে আশ্রয়দাতা তাওহিদকে তুলে দেন তার পিতার হতে।৫ আগস্ট ভোরে তাওহিদকে নিয়ে তার বাবা চলে আসেন বাড়িতে।  সে সময় চিকিৎসা দেওয়ার সুযোগ ছিলনা।তাই বাড়িতেই রেখে দেন ছেলেকে।পরে ৬ আগস্ট দেখেন ছেলের পেটে বৃদ্ধ গুলির স্থানগুলো পেকে সাদা হয়ে রয়েছে।মনির হোসেন নিজেই তাওহিদের পেটে চাপ দিয়ে বের করে আনেন ৪টি গুলি।পরে ৬ আগস্ট তারিখে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।কিন্তু ওই হাসপাতালে তাওহিদের শরীর হতে কোন গুলি বের করেনি।পরে ১৬ আগষ্ট তাকে নেওয়া হয় ঢাকাস্থ আগারগাঁওয়ের সেনাবাহিনী পরিচালিত সিএমএম হাসপাতালে ওখানে নেওয়ার পরে ১৭ আগস্ট ৩টা ২৪ আগস্ট ৪টা এভাবে মোট ১৫টি গুলি বের করা হয়।এখনো তাওহিদের শরীরে ৭টি গুলি রয়েছে।এ ব্যাপারে তাওহিদ বলেন,বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্য গত ৪ আগস্ট তিন বন্ধুকে সাথে নিয়ে সকাল ৭টায় বাড়ি হতে বেরিয়ে পরি। মুন্সীগঞ্জ সদরের সুপার মার্কেট এলাকায় যাওয়ার পরে দেখি সে সময় অল্প কয়জন লোক হয়েছে। তখন পুলিশ কিছুতেই রাস্তায় আমাদের দাঁড়াতে দিচ্ছিলো না।পরে আমরা এদিক সেদিক ঘুড়াঘুড়ি করছিলাম।বেলা বাড়ার সাথে সাথে অনেক লোকজন আসতে থাকে।পরে আমরা মুন্সীগঞ্জ সুপার মার্কেট এলাকায় দাঁড়িয়ে আন্দোলন করতে থাকি।বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ আমাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে আমার শরীরে মোট ২২টি গুলি লাগে।আমার দু-চোখেও গুলি লাগায় আমি চোখে কিছুই দেখতেছিলামনা।তখন চারদিকে গুলির শব্দ হচ্ছিল।আমি ভয়ে রাস্তা দিয়ে চোখ বুজে দৌড়াচ্ছিলাম।গুলি লাগায় আমার চোখ দিয়ে রক্ত ঝড়ছিল।সে সময় অন্য আন্দোলনকারী বন্ধুরা আমাকে মুন্সীগঞ্জ শহরের গোয়লপাড়া গ্রামের একটি বাড়িতে নিয়ে যায়।ওখানে নাসরিন বেগম নামের এক মহিলা আমাদের অনেক অন্দোলনকারীদের আশ্রয় দেয়।ওই ভদ্র মহিলার স্বামী বিদেশে থাকেন।ওনি আমাদের খুব কষ্টে বাড়ির মধ্যে লুকিয়ে রাখেন।একদিকে শরীরে যন্ত্রণা অন্যদিকে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের লোকজনের ভয়ে খুব আতঙ্কে সময় কাটছিলো আমাদের। সারারাত ভয়ে আতঙ্কে কাটিয়ে দেই।পরে সকালে বাবা গিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসে আমাকে।এসে দেখি মা হার্ট অ্যাটাক করেছে মুখ বাঁকা হয়ে আছে।পরে আমি বাবাকে বলি আমাকে বাইরে নিলে সমস্যা হতে পারে আমার কিছু হবেনা তুমি মাকে ডাক্তার দেখাও।বাবা মাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যায়।পরে দুপুরে শুনি দেশ স্বাধীন হয়েছে আমরা মুক্ত হয়েছি। পরে আমি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ও সিএমএম হাসপাতালে চিকিৎসা নেই।আমার দু-চোখে কপালে ও মাথায় এখনো ৭টি গুলি আছে। ডাক্তার বলছে আস্তে আস্তে বের করতে হবে।মাঝে মধ্যেই খুব যন্ত্রণা হয়।আমার চিকিৎসা চলছে।এ ব্যাপারে তাওহিদের বাবা মনির হোসেন বলেন, তাওহিদ আমাদের না বলেই আন্দোলনে গিয়েছিল। আমি বিষয়টি জানতাম না।গুলি লাগার পরে আমার ছোট ছেলে আমাকে বলে ভাইয়া আন্দোলনে গিয়ে গুলি খেয়েছে এক বাড়িতে আছে।আমি ছুটে যাই সেই বাড়ির কাছে।কিন্তু যে মহিলা ওকে আশ্রয় দিয়েছে সেই মহিলা আমাকে জানায় আপনি এখোন বাড়িতে আসলে আমার বিপদ হবে।তাছাড়া এখানে অনেক আন্দোলনকারীরা আছে তাদেরও বিপদ হবে।তাই আমি আমার ছেলের সাথে দেখাটাও করতে পারছিলাম না।পরে বাড়িতে ফিরে এসে দেখি স্ত্রী হার্ট অ্যাটাক করেছে।মুখ বাঁকা হয়ে গেছে।সব বন্ধ ডাক্তার দেখাবো সেই স্থানও নাই।আমি সবসময় আমার ছেলেকে আশ্রয় দেওয়া ওই মহিলার সাথে যোগাযোগ করছিলাম।মহিলা আমাকে ৫ তারিখ ভোর ৫টা বাঁজে তাওহিদের মায়ের বয়সী কাউকে নিয়ে যেতে বলে।পরে আমি তাওহিদের চাচিকে সাথে নিয়ে ওই বাড়িতে গেলে ওই মহিলা তাওহিদকে আমার হাতে তুলে দেয়।বাড়িতে এনে  আমি তাওহিদকে ভয়ে চিকিৎসাও দিতে পারছিলাম না।নিজেই তাওহিদের পেটে বৃদ্ধ  ৪ গুলি বের করে আনি।এখোন ওকে সিএমএম হাসপাতালে চিকিৎসা দিচ্ছি।ওর দুচোখে কপালে মাথায় এখনো ৭ গুলি রয়েছে।ডাক্তার বলছে একেক করে বের করবে।তিনি আরো বলেন,ওই সমস্ত গুলি বের করতে যদি টাকা পয়সা কম খরচ হয় তাহলে আমি বহন করতে পারাবো আর টাকা বেশি লাগলে আমার পক্ষে বহন করা সম্ভব হবেনা। আমি কৃষক মানুষ। গত ২৩ সেপ্টেম্বর বিকালে টংঙ্গীবাড়ী প্রেসক্লাবে জামায়াতে ইসলামির অর্থ সহায়তা নিতে এসে এসব কথা বলেন তাওহিদ ও তার বাবা মনির হোসেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস:-

মুন্সীগঞ্জে গণআন্দোলনে তাওহীদের শরীরে বৃদ্ধ গুলি এখনো বহন করছে

আপডেট সময়- ০৭:১৪:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ

 

বৈষম্যবিরোধে আন্দোলনে স্কুল ছাত্র তাওহিদের শরীরে বৃদ্ধ হয় ২২টি গুলি।এখনো তার শরীরে বহন করছেন ৭টি গুলি।দেড় মাসেরও অধিক সময় ধরে শরীরে এখনো ৭টি গুলি বহন করে চলেছে সে। চিকিৎসকরা অপারেশন করে ইতিমধ্যে তার শরীর হতে ১৫টি গুলি বের করে এনেছেন।তাওহিদ মুন্সীগঞ্জের টংঙ্গীবাড়ী উপজেলার বালিগাওঁ গ্রামের আবুল কালামের ছেলে।সে বালিগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র।তার বাবা আবুল কালাম পেশায় একজন কৃষক।তাওহিদ গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে মুন্সীগঞ্জ সুপার মার্কেট এলাকায় অংশগ্রহণ করেছিলেন।ওই আন্দোলন চলাকালীন সময়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ তাদের ওপর গুলি ছুড়লে তাওহিদের দু চোখ-কান কপাল মাথাসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে মোট ২২টি গুলিবিদ্ধ হয়।চোখে গুলিবিদ্ধ হওয়ার  দু-চোখে কোন কিছুই দেখছিলোনা সে।চোখ দিয়ে ঝড়ছিল রক্ত।মুহুমুহু গুলির শব্দে বাচঁতে চোখ বুজেঁই রাস্তা দিয়ে দৌড়াচ্ছিলো।পরে তার গুলিবৃদ্ধ অবস্থা দেখতে পেয়ে অন্যা আন্দোলনকারীরা তাকে নিয়ে যায় মুন্সীগঞ্জের গোয়লপাড়ায় নাসরিন বেগম নামের এক নারীর বাসায়।সে সময় হাসপাতাল এলাকাসহ বিভিন্নস্থানে পুলিশ ও সরকার দলীয় লোকজনের হামলা চলছিল।তাই তাওহিদকে ডাক্তার দেখানো সম্ভব হয়নি।ওই বাড়িতেই মৃত্যুর যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিল সে।বিনা চিকিৎসায় সারাদিন ও একরাত আতঙ্ক ভয়ে পুরো রাত জেগে কাটে তার এদিকে ছেলের গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পান তার বাবা আবুল কালাম।ছেলেকে দেখতে ছেলের আশ্রয় নেওয়ার স্থানের কাছে এসেও একদিকে যানবাহন সংকট অন্যদিকে আশ্রয়দাতার বাধাঁর মুখে ওই সময় দেখতে পারেননি ছেলেকে। আশ্রয়দাতা নাসরিন বেগম ভয়ে সে সময় তাওহিদের বাবাকে তার বাড়ির ঠিকানা দেননি। তাছাড়া বারণ করেছিলেন তার বাড়িতে আসতে। কারণ তিনি ওই সময় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অনেকেই বাড়িতে গোপনে আশ্রয় দিয়েছিলেন।বিষয়টি জানাজানি হলে আটক হতে পারেন পুলিশের হাতে সে ভয়ে বার বার বাড়িতে আসতে নিষেধ করেন তাওহিদের বাবাকে।ঠিকানা না পেয়ে তাওহিদের বাবা ছেলের আশ্রয়দাতার বাড়ির আশে-পাশের স্থাণ দিয়ে ঘুরে ফিরে যান বাড়িতে।বাড়িতে ফিরে দেখেন স্ত্রী তাওহিদের মা ছেলের শোকে হার্ট অ্যাটাক করেছেন মুখ বাঁকা হয়ে গেছে তার।ডাক্তার দেখবেন ডাক্তারও পাচ্ছিলো না সে সময়।একদিকে ছেলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় অন্য বাড়িতে আশ্রয়ে অন্যদিকে স্ত্রীর হার্ট অ্যাটাকে কাতর হয়ে পরেন মনির হোসেন।তারপরেও যোগাযোগ রাখছিলেন ছেলের আশ্রয়দাতা নাসরিন বেগমের সাথে।পরে নাসরিন বেগম বলেন ভোর রাত ৫টার দিকে সে সময় মানুষজন রাস্তাঘাটে ততো থাকেনা যদি তাওহিদের বাবা অন্য কোন মহিলাকে সাথে নিয়ে আশ্রয়দাতা নাসরিনের বাড়িতে যায় তবে গোপনে তাওহিদকে তুলে দিবেন তাদের হাতে।ছেলেকে পেতে আশ্রয়দাতার শর্ত অনুযায়ী ৫ আগষ্ট ভোর রাত ৪টার দিকে তাওহিদের চাচিকে সাথে নিয়ে ছুটে যান তাওহিদের বাবা ২০ কিলোমিটার দূরে আশ্রয়দাতার বাড়িতে।পরে আশ্রয়দাতা তাওহিদকে তুলে দেন তার পিতার হতে।৫ আগস্ট ভোরে তাওহিদকে নিয়ে তার বাবা চলে আসেন বাড়িতে।  সে সময় চিকিৎসা দেওয়ার সুযোগ ছিলনা।তাই বাড়িতেই রেখে দেন ছেলেকে।পরে ৬ আগস্ট দেখেন ছেলের পেটে বৃদ্ধ গুলির স্থানগুলো পেকে সাদা হয়ে রয়েছে।মনির হোসেন নিজেই তাওহিদের পেটে চাপ দিয়ে বের করে আনেন ৪টি গুলি।পরে ৬ আগস্ট তারিখে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।কিন্তু ওই হাসপাতালে তাওহিদের শরীর হতে কোন গুলি বের করেনি।পরে ১৬ আগষ্ট তাকে নেওয়া হয় ঢাকাস্থ আগারগাঁওয়ের সেনাবাহিনী পরিচালিত সিএমএম হাসপাতালে ওখানে নেওয়ার পরে ১৭ আগস্ট ৩টা ২৪ আগস্ট ৪টা এভাবে মোট ১৫টি গুলি বের করা হয়।এখনো তাওহিদের শরীরে ৭টি গুলি রয়েছে।এ ব্যাপারে তাওহিদ বলেন,বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্য গত ৪ আগস্ট তিন বন্ধুকে সাথে নিয়ে সকাল ৭টায় বাড়ি হতে বেরিয়ে পরি। মুন্সীগঞ্জ সদরের সুপার মার্কেট এলাকায় যাওয়ার পরে দেখি সে সময় অল্প কয়জন লোক হয়েছে। তখন পুলিশ কিছুতেই রাস্তায় আমাদের দাঁড়াতে দিচ্ছিলো না।পরে আমরা এদিক সেদিক ঘুড়াঘুড়ি করছিলাম।বেলা বাড়ার সাথে সাথে অনেক লোকজন আসতে থাকে।পরে আমরা মুন্সীগঞ্জ সুপার মার্কেট এলাকায় দাঁড়িয়ে আন্দোলন করতে থাকি।বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ আমাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে আমার শরীরে মোট ২২টি গুলি লাগে।আমার দু-চোখেও গুলি লাগায় আমি চোখে কিছুই দেখতেছিলামনা।তখন চারদিকে গুলির শব্দ হচ্ছিল।আমি ভয়ে রাস্তা দিয়ে চোখ বুজে দৌড়াচ্ছিলাম।গুলি লাগায় আমার চোখ দিয়ে রক্ত ঝড়ছিল।সে সময় অন্য আন্দোলনকারী বন্ধুরা আমাকে মুন্সীগঞ্জ শহরের গোয়লপাড়া গ্রামের একটি বাড়িতে নিয়ে যায়।ওখানে নাসরিন বেগম নামের এক মহিলা আমাদের অনেক অন্দোলনকারীদের আশ্রয় দেয়।ওই ভদ্র মহিলার স্বামী বিদেশে থাকেন।ওনি আমাদের খুব কষ্টে বাড়ির মধ্যে লুকিয়ে রাখেন।একদিকে শরীরে যন্ত্রণা অন্যদিকে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের লোকজনের ভয়ে খুব আতঙ্কে সময় কাটছিলো আমাদের। সারারাত ভয়ে আতঙ্কে কাটিয়ে দেই।পরে সকালে বাবা গিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসে আমাকে।এসে দেখি মা হার্ট অ্যাটাক করেছে মুখ বাঁকা হয়ে আছে।পরে আমি বাবাকে বলি আমাকে বাইরে নিলে সমস্যা হতে পারে আমার কিছু হবেনা তুমি মাকে ডাক্তার দেখাও।বাবা মাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যায়।পরে দুপুরে শুনি দেশ স্বাধীন হয়েছে আমরা মুক্ত হয়েছি। পরে আমি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ও সিএমএম হাসপাতালে চিকিৎসা নেই।আমার দু-চোখে কপালে ও মাথায় এখনো ৭টি গুলি আছে। ডাক্তার বলছে আস্তে আস্তে বের করতে হবে।মাঝে মধ্যেই খুব যন্ত্রণা হয়।আমার চিকিৎসা চলছে।এ ব্যাপারে তাওহিদের বাবা মনির হোসেন বলেন, তাওহিদ আমাদের না বলেই আন্দোলনে গিয়েছিল। আমি বিষয়টি জানতাম না।গুলি লাগার পরে আমার ছোট ছেলে আমাকে বলে ভাইয়া আন্দোলনে গিয়ে গুলি খেয়েছে এক বাড়িতে আছে।আমি ছুটে যাই সেই বাড়ির কাছে।কিন্তু যে মহিলা ওকে আশ্রয় দিয়েছে সেই মহিলা আমাকে জানায় আপনি এখোন বাড়িতে আসলে আমার বিপদ হবে।তাছাড়া এখানে অনেক আন্দোলনকারীরা আছে তাদেরও বিপদ হবে।তাই আমি আমার ছেলের সাথে দেখাটাও করতে পারছিলাম না।পরে বাড়িতে ফিরে এসে দেখি স্ত্রী হার্ট অ্যাটাক করেছে।মুখ বাঁকা হয়ে গেছে।সব বন্ধ ডাক্তার দেখাবো সেই স্থানও নাই।আমি সবসময় আমার ছেলেকে আশ্রয় দেওয়া ওই মহিলার সাথে যোগাযোগ করছিলাম।মহিলা আমাকে ৫ তারিখ ভোর ৫টা বাঁজে তাওহিদের মায়ের বয়সী কাউকে নিয়ে যেতে বলে।পরে আমি তাওহিদের চাচিকে সাথে নিয়ে ওই বাড়িতে গেলে ওই মহিলা তাওহিদকে আমার হাতে তুলে দেয়।বাড়িতে এনে  আমি তাওহিদকে ভয়ে চিকিৎসাও দিতে পারছিলাম না।নিজেই তাওহিদের পেটে বৃদ্ধ  ৪ গুলি বের করে আনি।এখোন ওকে সিএমএম হাসপাতালে চিকিৎসা দিচ্ছি।ওর দুচোখে কপালে মাথায় এখনো ৭ গুলি রয়েছে।ডাক্তার বলছে একেক করে বের করবে।তিনি আরো বলেন,ওই সমস্ত গুলি বের করতে যদি টাকা পয়সা কম খরচ হয় তাহলে আমি বহন করতে পারাবো আর টাকা বেশি লাগলে আমার পক্ষে বহন করা সম্ভব হবেনা। আমি কৃষক মানুষ। গত ২৩ সেপ্টেম্বর বিকালে টংঙ্গীবাড়ী প্রেসক্লাবে জামায়াতে ইসলামির অর্থ সহায়তা নিতে এসে এসব কথা বলেন তাওহিদ ও তার বাবা মনির হোসেন।