সর্বশেষ:-
প্রচ্ছদ /
অর্থ ও বাণিজ্য, আইন আদালত, আবহাওয়া ও জলবায়ু, দূর্নীতি দমন কমিশন(দুদক), দেশজুড়ে, পূর্বাভাস, বাংলাদেশ, বাংলাদেশ পুলিশ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, মুন্সিগঞ্জ
সিরাজদিখানে অবৈধ ড্রেজিংয়ের রমরমা বাণিজ্য: দেখার কেউ নেই
প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময়- ০৩:২৮:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৬৮ বার পড়া হয়েছে
মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে তিন ফসলি জমি, সরকারি খাল,পুকুর ও ডোবা নালা ভরাটের হিড়িক পড়েছে।উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে চলা ইছামতী নদীতে বালুবাহী বাল্কহেড বুঝাই করে বালু এনে তিন ফসলি জমি,সরকারি খাল,পুকুর ও ডোবা নালা ভরাট করা হচ্ছে অনেকটা জোরালো ভাবেই। উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নের বেশির ভাগ এলাকায় ড্রেজিংয়ের এমন কর্মযজ্ঞ অহরহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।দিনরাত বালুবাহী এসব বাল্কহেড বোঝাই করে বালু এনে ফসলি জমি ভরাট করা হচ্ছে।ফলে ক্রমান্বয়ে কমে যাচ্ছে চাষাবাদের জন্য নির্ধারিত জমির পরিমাণ।সেই সাথে প্রভাবশালীরা দখল করে নিচ্ছে উপজেলার বিভিন্ন সরকারি খাল বিল।জানা যায়,স্থানীয় প্রভাবশালী ফারুক,জামাল ও মিঠু প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ড্রেজিং ব্যবসা চালিয়ে ফসলি জামি ও ডোবা নালা ভরাটের কাজ করে যাচ্ছেন।স্থানীয় রাজনৈতিক ও প্রভাবশালী বেশ কয়েকটি সিন্ডিকেট দিনরাত বালুবাহী বাল্কহেড এনে ইছামতী নদীর তীরে নোঙর করে ড্রেজিং চালিয়ে ফসলি জমি ভরাটের কাজ করে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা।উপজেলার যেসব স্থানে বালুমহাল গড়ে তোলা হয়েছে সেসব বালুমহালের বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই তাদের কাছে।প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও তারা তাদের বালু ব্যবসা অবাধে চালিয়ে যাচ্ছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়,উপজেলার রশুনিয়া, ইছাপুরা,বয়রাগাদী,লতাব্দী ও মালখানগর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার জনসাধারণের চলাচলের সরকারি রাস্তার ওপর দিয়ে অথবা রাস্তা ভেদ করে ড্রেজিংয়ের পাইপলাইন স্থাপন করে নিয়েছে।জনসাধারণের চলাচলে অসুবিধার বিষয়টি ভ্রুক্ষেপও করছেন না।ড্রেজার মালিকদের অনেকেই বলছেন তারা ম্যানেজ করেই ড্রেজিং ও বালুর ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।এদিকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সম্প্রতি বেশ কয়েকটি স্থানে অভিযান পরিচালনার করে ড্রেজিংয়ের পাইপলাইন অপসারণ করা হয়।কিন্তু প্রশাসনের লোকজন চলে যাওয়ার পর পুনরায় পাইপলাইন স্থাপন করে তারা ব্যবসা চলমান রাখছেন।এদিকে সম্প্রতি শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সিরাজদিখানের ড্রেজিং ব্যবসা হাত বদল হয়ে সেগুলো এখন চলে যাচ্ছে বিএনপি নেতাকর্মীদের দখলে।তবে,স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহিন হালদার বলেন,বালু ব্যবসা এখন আর নেই।সব বন্ধ করে দিছে এলাকার ছেলেপেলেরা।তিনি আরো জানান,আমাদের এদিকে কোন তিন ফসলি জমি নেই,যা ভরাটা করা হচ্ছে সেগুলো হলো ডোবা নালা।আরেক ইউপি সদস্য জাকির হোসেন বলেন,আমার ড্রেজার ব্যবসা ৫ আগস্টের পর বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।কোনো ঝামেলায় পড়ার আগেই ড্রেজার মেশিনটিও তার মূল মালিক নিয়ে গেছে।এ বিষয়ে বালু ব্যবসায়ী রিন্টু জানালেন ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তন হওয়ায় আমাদের ডেজার বন্ধ।আমরা যে সময় ড্রেজার চালাতাম সেই সময় সিরাজদিখান থানা মাসোয়ারা দিয়ে (নগদ) ড্রেজার চালিয়েছি।এখন আমাদের সময় ভালো না,তাই আপাতত বন্ধ।বর্তমানে যে যার মতো করে ড্রেজার চালু রাখছেন।এ বিষয়ে ড্রেজার ব্যবসায়ী অপু জানালেন,বর্তমানে সরকার পরিবর্তন।তাই আমাদের ড্রেজারটি বন্ধ রাখা হয়েছে।আমি কোন দলের সাথে সম্পৃক্ততা রাখি না। আমরা এলাকায় শান্তিপ্রিয় মানুষ।অশান্তি সৃষ্টি করে ব্যবসা করি না।এই ব্যবসার ব্যাপারে আনিসুর রহমান বিদ্যা বলেন,থানা পুলিশ সাংবাদিক সবাইকে ম্যানেজ করে আমি ড্রেজার চালাতাম। এখন আমার ব্যবসা আমি গুটিয়ে নিয়েছি।
এ বিষয়ে সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদ জানান,পর্যাপ্ত পরিমাণে পুলিশ প্রশাসন না থাকায় ড্রেজারদের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হচ্ছে না।