এখনো স্বাভাবিক হয়নি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,অনিশ্চয়তায় অভিভাবক-শিক্ষার্থীরা
- আপডেট সময়- ০৪:৫২:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৪ ৪১ বার পড়া হয়েছে
অনলাইন ডেস্ক।।
সারাদেশে চলমান অস্থিরতা পরিস্থিতিতে এখনো স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রমে ফিরতে পারেনি স্কুল- কলেজগুলো। বার্ষিক পরীক্ষা কীভাবে হবে সেটিও এখনো ঠিক হয়নি। সেই সাথে আগামী বছর দশম শ্রেণির বিভাগভিত্তিক বিভাজন কীভাবে হবে তা নিয়ে চিন্তায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগন। এ অবস্থায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে সুনির্দিষ্ট রূপরেখা প্রণয়নের তাগিদ দিয়েছেন শিক্ষা গবেষকদের।
চলতি বছর থেকে নবম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রমে কার্যক্রম চলছে। সেই অনুযায়ী বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ নেই। কিন্তু আগের শিক্ষাক্রমে ফেরত গেলে নবম থেকে দশম শ্রেণিতে উত্তীর্ণদের বিভাগভিত্তিক বিভাজন কীভাবে হবে, এ নিয়ে সংশয় ও চিন্তিত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
এক শিক্ষার্থী জানায়, কে কোনটা পাবে বা এখনও কোনটা সিলেবাস এই সম্পর্কে কিছুই জানি না তারা।
নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী প্রথম থেকে ৩য় এবং ৬ষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণিতে কার্যক্রম চলছে। এখন আগের শিক্ষাক্রম অনুযায়ী পরীক্ষা চালু করা হলে সেটি কীভাবে হবে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা চান শিক্ষক- শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগন।
পাইলট উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় অধ্যক্ষ বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীরা অনিশ্চয়তার মধ্যে আছে।’
এ দিকে শিক্ষা গবেষকরা বলছেন, এখনও স্কুল-কলেজে লেখা পড়ার স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে আসেনি। শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ক্ষতিও হয়েছে। এই অবস্থায় সুনির্দিষ্ট রূপরেখা শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অতি দ্রুততম সময়ে ঠিক করতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মজিবুর রহমান বলেন, ‘এই হযবরল অবস্থা থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায় হলো একটা শিক্ষা কমিশন গঠন করা। এটা মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টার নেতৃত্বে হতে পারে। বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে এ কমিশন গঠন করতে হবে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড বলছে, দ্রুতই পরীক্ষাসহ শিক্ষাক্রমের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দিক নির্দেশনা দেওয়া হবে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সদস্য অধ্যাপক রবিউল কবীর চৌধুরী বলেন, মূল্যায়ন নিয়ে এক ধরনের একটি বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। এ জন্য সুদৃঢ়ভাবে সবাই যাতে বুঝতে পারে সেরকম নির্দেশনা সমস্ত স্কুলে পৌঁছে দেওয়া হবে।
তাছার এরই মধ্যে আগামী বছরের জন্য বইয়ের পরিমার্জনের কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে এনসিটিবি।
নিউজটি শেয়ার করুন
-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ