সর্বশেষ:-
সিলেটে অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে ফের বন্যা: তলিয়েছে ৪০ হেক্টর কৃষি জমি
প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময়- ০৭:১০:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪ ৫৫ বার পড়া হয়েছে
তিমিরবনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের জুড়ীতে তিনদিনের টানা বৃষ্টিতে ও পাহাড়ী ঢলে ফের বন্যা হয়েছে। পানি বন্দি হয়ে পড়েছেন শতাধিক পরিবার। পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে ৪০ হেক্টর কৃষি জমি। এতে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার উৎকন্ঠায় দিন পার করছেন। সোমবার ও মঙ্গলবার এবং বুধবার অতিবৃষ্টিতে আকস্মিক এ বন্যার শঙ্কা দেখা দেয়। সরেজমিনে উপজেলার কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, টানা দুই দিনের ভারী বর্ষনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্ধি হয়ে পড়েছেন এ এলাকার শতাধিক পরিবার। জুড়ী নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে পানি ছুই ছুই অবস্থায় রয়েছে। গ্রামীণ অনেক সড়ক ও জুড়ী-ফুলতলা সড়কের কয়েকটি স্থানে পানি উঠে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এতে জনসাধারণ ভোগান্তিতে পড়েছেন। এসব সড়কে গাড়ী থেকে নেমে হাটু, কোমর সমান পানিতে পারাপার করতে হয়। পানির মধ্যে যানবাহন বন্ধ হয়ে গেলে যাত্রী চালক মিলে টেলে পার করতে দেখা গেছে। অতিবৃষ্টির কারনে কয়েকটি জায়গায় পাহাড় ধ্বস হয়েছে। এদিকে হঠাৎ করে পানি বেড়ে যাওয়ায় কয়েকটি ইউনিয়নে রোপন করা আমন ধান পানিতে নিমজ্জিত হয়ে রয়েছে। ধান পানিতে তলিয়ে নষ্ট হওয়ার শঙ্কায় দিন কাটছে কৃষকের। জুড়ীর ফুলতলা ইউনিয়নের তানভীর চৌধুরী বলেন, টানা দুইদিনের যে বৃষ্টি এতে করে আমাদের এলাকার সাধারণ মানুষ ও কৃষক ভাইয়েরা বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। আমরা এখন সবার সহযোগিতা চাচ্ছি। জুড়ীর সাগরনাল ইউনিয়নের কামরান হোসেন জানান, ইউনিয়নের কয়কটি এলাকা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এরকম টানা বৃষ্টি হলে ২০২২ সালের বন্যা থেকে ভয়াবহ পরিস্থিতি হতে পারে। কৃষক ও দিনমজুর মানুষের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি বলেন। জুড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল আলম খান জানান, অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলের কারনে উপজেলার ৪০ হেক্টর আমন ধান পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। এতে অনেক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।
নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগস:-
-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ