ঢাকা ০৬:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ:-
গুলিবিদ্ধ হাদির সকল চিকিৎসার ব্যয় সরকার বহন করবে: প্রধান উপদেষ্টা রূপগঞ্জ’কে স্বপ্নের উপজেলায় রূপান্তরিত করতে চান বিএনপির মনোনীত প্রার্থী দিপু ভূঁইয়া খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনায় বিভিন্ন মসজিদে মাসুদুজ্জামানের বিশেষ দোয়া টেকনাফে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৫০ হাজার ইয়াবাসহ আটক-১ খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় জাকির খানের উদ্যোগে দোয়া অনুষ্ঠিত গুলিবিদ্ধ স্বতন্ত্র প্রার্থী ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি, অবস্থা সংকটাপন্ন আজ মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর ১৪৬তম জন্মদিন বেঁচে নেই রাজশাহীতে গর্তে পড়া ২ বছরের শিশু সাজিদ কক্সবাজারে বিজিবির বিশেষ অভিযানে ১০ হাজার ইয়াবাসহ আটক-১ গাইবান্ধায় বিনামূল্যে বীজ-সার পেয়ে প্রান্তিক কৃষকের মুখে স্বস্তির হাসি টেকনাফে র‍্যাবের অভিযানে এক লক্ষ ইয়াবাসহ আটক-২ কক্সবাজারে শরীফ হত্যা মামলার অন্যতম আসামী করিম র‌্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার কুষ্টিয়ায় নারী পুলিশ কনস্টেবলের মোবাইল ছিনতাইয়ের চেষ্টা, যুবক আটক বড়লেখায় রহস্যঘেরা বাংলো বাড়িটি পুলিশ ও গোয়েন্দা নজরদারিতে কুলাউড়ায় আগুনের লেলিহান শিখায় দগ্ধ হয়ে ছোট্ট শিশু রায়হানে মৃত্যু মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যাযজ্ঞ, নতুন যে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলো পুলিশ আমার নির্বাচনী এলাকার নাগরিকের মতামতের ভিত্তিতেই আগামীর না’গঞ্জ গড়বো: মাসুদুজ্জামান নাসিক সিটি পার্কের লেকের ঝোপ থেকে ভাসমান মরদেহ উদ্ধার না’গঞ্জে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামানের বৃক্ষমেলা নিয়ে ব্যতিক্রমী প্রচারণা নদী দখলমুক্ত করাই ছিল সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ: নৌ উপদেষ্টা কারওয়ান বাজারে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ, মোহাম্মদপুরে জোড়া খুন; মা-মেয়েকে হত্যার কারন জানালেন গৃহকর্মীর স্বামী কারাবন্দি সাংবাদিকদের মুক্তি চেয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে সিপিজের চিঠি মৌলভীবাজারে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস পালিত  মাদক নির্মূলে কুষ্টিয়া শহরে যৌথ বাহিনীর অভিযান আগামী দিনে রাষ্ট্র কাঠামো নির্মান করা হবে ৩১ দফার মাধ্যমে: মাসুদুজ্জামান না’গঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পাশে মানবতার কান্ডারী মাসুদুজ্জামান আমরা সবসময় জনগণের পাশে আছি: এসপি মিজানুর নারায়ণগঞ্জের লাখ লাখ শ্রমঘণ্টা যানজটে নষ্ট হচ্ছে; মতবিনিময় সভায় মাসুদুজ্জামান টেকনাফ সীমান্তে মানবপাচার চক্রের ২ সদস্য আটক নির্বাচন বিলম্বের ষড়যন্ত্র জনগণ বরদাস্ত করবে না: ফয়জুল করীম টেকনাফে সড়কে ট্রাক-সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে ঝড়লো ২ যুবকের তাজা প্রান দুর্নীতিমুক্ত থাকতে সচেতনতার পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষা অত্যাবশ্যকীয়: ডিসি রায়হান কবির রাজধানীতে চাঞ্চল্যকর জোড়া খুন; হাতে গ্লাভস পরে মা-মেয়েকে হত্যা বেগম রোকেয়া দিবস আজ খালেদা জিয়ার কিডনি জটিলতায় উদ্বিগ্ন চিকিৎসকরা, অবস্থা অপরিবর্তিত নারায়ণগঞ্জে একযোগে সাত থানায় নতুন ওসিদের যোগদান না’গঞ্জে সুগন্ধা প্লাস রেস্টুরেন্টে বাসি খাবার রাখার দায়ে ১ লাখ টাকা অর্থদন্ড বন্দরবাসীর কাছে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে দোয়া চাইলেন: মাসুদুজ্জামান মৌলভীবাজার মুক্ত দিবস পালিত পালাবদলে হারাতে বসেছে ‘গরু দিয়ে ধান মারাইয়ের ঐতিহ্য  টেকনাফের গহিন পাহাড়ে কোস্ট গার্ডের অভিযান: ৭ নারী শিশু উদ্ধার, আটক-৩ নারায়ণগঞ্জে বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে শ্রমিকের মৃত্যু; ডিপিডিসির ২ প্রকৌশলী বরখাস্ত না’গঞ্জ-৫ আসনের বিএনপি প্রার্থী মাসুদুজ্জামান ছাত্র জনতার মুখোমুখি ‎শুধুমাত্র দেশকে ভালবেসেই বেগম খালেদা জিয়ার জীবন আজ বিপন্ন: শাহ্ আলম অগ্রহায়নের ধান মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক গাইবান্ধা হানাদার মুক্তির ৫৩ বছর: মুক্তিযোদ্ধাদের দেখেই পালালো পাকিস্তানি বাহিনী বন্দর উপজেলার নতুন ইউএনও শিবানী সরকারের যোগদান নাফ নদী সীমান্তে বিজিবির অভিযান: ৫০ হাজার ইয়াবা জব্দ টেকনাফের শীর্ষ সন্ত্রাসী লম্বা মিজানের ঘর থেকে দেশি–বিদেশি অস্ত্রভাণ্ডার উদ্ধার মুন্সীগঞ্জে একই দিনে পৃথক স্থান থেকে নারীসহ ২ মরদেহ উদ্ধার সোনারগাঁয়ে সড়কের পাশে ডোবা থেকে যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার সোনারগাঁয়ে গ্যাস বিস্ফোরণে একই পরিবারের শিশুসহ দগ্ধ-৪ নারায়ণগঞ্জ শহরে আগুনে পুড়লো ৩৫টি কারখানা রায়পুরায় র‍্যাবের অভিযানে ১শ কেজি গাঁজাসহ আটক-২ শীতের দাপটে কাঁপছে চায়ের জনপদ শ্রীমঙ্গল মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনে মনোনয়ন দ্বন্দ্ব: বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত-৮ খালেদা জিয়াকে লন্ডন নেওয়ার সিদ্ধান্ত আরও পেছাচ্ছে নারায়ণগঞ্জে ঝুট মার্কেটে অগ্নিকাণ্ড স্বাধীনতার পরবর্তী ৫৪ বছরে স্বৈরাচারের সর্বোচ্চ নির্যাতনের শিকার খালেদা জিয়া: মাসুদুজ্জামান শ্রীমঙ্গলে নিখোঁজের ৪ দিন পর মানুষিক প্রতিবন্ধী নারীর লাশ মিললো খালে কুষ্টিয়ায় রাজমিস্ত্রীর বাড়ি থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার কমলগঞ্জে ১৪ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার দেশে বড় ধরনের ভূমিকম্পের শঙ্কা, সতর্ক থাকার পরামর্শ আবহাওয়া অধিদপ্তরের নারায়ণগঞ্জে ‘প্রথম আলো’ পত্রিকার সূধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত কুষ্টিয়ায় প্রকাশ্যে যুবককে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা কুলাউড়ার-ভারত সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে যুবক নিহত গাইবান্ধায় নির্জন ভিটায় চা দোকানির রক্তাক্ত নিথর মরদেহ উদ্ধার রামু সীমান্তে বিজিবি অভিযানে ৪০ হাজার ইয়াবাসহ আটক-১ নরসিংদীতে ৪.১ মাত্রার ভূমিকম্প, আবারও ২দিনের মাথায় কেঁপে উঠল ঢাকা টেকনাফ সীমান্তে আবারও উত্তেজনা; নাফ নদী থেকে ২ বাংলাদেশি জেলে নিখোঁজ শরণখোলায় আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও র‍্যালি অনুষ্ঠিত টেকনাফে কোস্টগার্ডের অভিযানে গোলা-বারুদসহ দেশীয় অস্ত্র জব্দ না’গঞ্জে চাঞ্চল্যকর ক্লু-লেস হত্যাকান্ড; স্ত্রীর পরকীয়ার বলি সুমন, স্ত্রীসহ গ্রেপ্তার-৬ নারায়ণগঞ্জ ও বন্দরবাসীর দীর্ঘদিনের কাঙ্ক্ষিত কদম-রসুল সেতুর টেস্ট পাইলিংয়ের উদ্বোধন অসুস্থ খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ধানের শীষের কান্ডারী মাসুদুজ্জামানের দোয়া দেশজুড়ে আলোচিত ৮ কুকুরছানাকে ডুবিয়ে হত্যার অভিযোগে নিশি খাতুন গ্রেপ্তার নারায়ণগঞ্জে পোষা বিড়ালে কবুতরের বাচ্চা খাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত-১ সারাদেশে ১ মাসের জন্য অবকাশে নিম্ন আদালত বাংলা একাডেমির ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ রায়পুরায় জুয়েলারি ব্যবসায়ীকে গু*লি করে হ*ত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা শতকোটি ঘনফুট গ্যাস মজুদ মৌলভীবাজারে খালেদা জিয়া’র সুস্থতা কামনায় তারেক জিয়া পরিষদ না’গঞ্জ মহানগরের দোয়া অনুষ্ঠিত উখিয়ায় বস্তাবন্দী নারীর লাশ উদ্ধার;  মামলার মূল আসামি স্বামী জসিম উদ্দিন গ্রেপ্তার গাইবান্ধায় প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ধর্ষণের শিকার মাদ্রাসার ছাত্রী আবারও মধ্যরাতে ঢাকাসহ ৪ বিভাগে ৪.৯ মাত্রার ভূমিকম্প  সেন্ট মার্টিনমুখী জাহাজ আবারও সমুদ্রে আরও ৭৭ উপজেলায় নতুন ইউএনও নিয়োগ দিয়েছে সরকার আজ ১লা ডিসেম্বর, মহান গৌরবময় বিজয়ের মাস শুরু সব ধরনের জ্বালানি তেলের বাড়তি দাম, আজ থেকে কার্যকর তিন মাসেই কোটিপতি বনে গেছেন রাজনগর উপজেলা পরিষদের সিএ অনুপ দাস টেকনাফের দক্ষিণ শিলখালী থেকে ৫ জন অপহৃত সারা দেশের মানুষের দোয়া আল্লাহ তায়ালা ফিরিয়ে দেবেন না; মাসুদুজ্জামান খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় মাসুদুজ্জামানের দোয়াসহ গরু সদকা ‎ভুল তথ্যের কারণে ৫৪ বছর যাবৎ বাংলাদেশ দাঁড়াতে পারেনি: নঈম জাহাঙ্গীর নারায়ণগঞ্জে নতুন পুলিশ সুপার(এসপি) মিজানুর রহমানের যোগদান এবার নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে নতুন মোর; নির্বাচনের ঘোষণা ‘কিং মেকার’ মো. আলীর সিদ্ধিরগঞ্জে চাঞ্চল্যকর তাকবির হত্যাকান্ড ও মুক্তিপন রহস্য উদ্ঘাটন কক্সবাজারে ৯০ হাজার ইয়াবাসহ বাস হেল্পার আটক নান্দাইলে আগুনে পুড়ে ছাই হলো বসতঘর,সর্বস্ব হারিয়ে অসহায় পরিবার

বাবাই জীবনের পরম ছায়াসঙ্গী, পিতৃ দিবসে শ্রদ্ধা-ভালোবাসা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময়- ১১:৫২:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুন ২০২৪ ২৬৯ বার পড়া হয়েছে

 

পিতাই ধর্ম,পিতাই স্বর্গ’

ঋতম্ভরা বন্দোপাধ্যায়,কলকাতা।।
“বিশ্ব পিতা তুমি হে প্রভু ,
আমাদের প্রার্থনা এই শুধু ,
তোমারই করুণা,হতে বঞ্চিত না হয় কভু” !
আহা এই গানের পিছনে লুকিয়ে আছে বাবা ও সন্তানের ভালোবাসার ছোঁয়া । পিতৃ দিবস পালন করা হয় এই ১৬ জুনে, কারন এই দিনে সন্তান তাঁর বাবার প্রতি ভালোবাসা আর কৃতজ্ঞতা কে প্রকাশ করে এই সময় টাকে সুযোগ করে দেয় এদিন। যেহেতু বাবারা সবসময়ই সন্তানের লালনপালন করা,পথ প্রদর্শক হয়ে থাকা সে জন্য তাদের ভূমিকা কে তো স্বীকার করতেই হবে। এই পিতৃ দিবস কে ওয়াশিংটনের স্পোকেনের সোনোরো স্মার্ট ডডকে কৃতিত্ব দেয় এই দিবস কে পালন করার জন্য । পৃথিবীর সব বাবার প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা দেওয়ার জন্য এবং তাদের প্রকাশের ইচ্ছা পূরণ করার এই আশা কে সম্পন্ন করাতেই এই পিতৃ দিবস পালন করা হয়। বাবাদের প্রতি ভালোবাসা জানাতে প্রতি বছর এই পিতৃ দিবস পালন করা হয় ১৬ জুনে। মা’রা যেমন সন্তানের ছত্রছায়া হয় , ঠিক তেমন ভাবে বাবারা ও হলো সন্তানের পথছায়া । বাবা’রা দিন রাত পরিশ্রম করে নিজেদের সন্তানের জন্য । মা’রা যেমন ঘরে ও বাইরে কাজ করে সামলায় সব কিছু করে সংসার করে সন্তানের দেখাশোনা করে ঠিক তেমন ভাবে বাবা’রা ঘরে ও বাইরে কাজ করে । সন্তানের সাথে সময় কাটানোর মুহূর্ত এবং চলার পথে প্রদর্শক হয় বাবা। বাবারা সন্তানের সব রকমের আব্দার মেটাতে তাদের জন্য কতকিছু না করে ! আমি যখন খুব পুচকি ও ছোট্ট ছিলাম, আমার বাবা আমার দুটি হাত ধরে হাঁটা শেখাতেন। ” গুটি গুটি পা পা যথায় ইচ্ছা তথায় যা” বলে বাবা এঘর থেকে ওঘরে হাঁটাতেন। একটু বড় হলে যখন হামাগুড়ি ছেড়ে গুটি গুটি পায়ে হাঁটতে লাগলাম তখন বাবা আমাদের সল্ট লেকের ফ্ল্যাটে হাঁটু গেড়ে ঘোড়া হয়ে বসতেন। আমি বাবার পিঠে বসতাম। বাবা চলতে শুরু করতেন, আমি খুব মজা পেতাম। অনেক সময় বাবা ঘোড়া হয়ে বসলে আমি বাবার কাঁধের দুপাশে চেপে বসতাম। বাবা দাঁড়িয়ে উঠে আমার দুটি হাত ধরে গান গাইতে গাইতে সারা ঘর ঘুরতেন। খুব মনে পড়ে শ্যামল মিত্রর সেই বিখ্যাত গানটি। বাবার সেই গান,” ঐ ঝিরি ঝিরি পিয়ালের কুঞ্জে ,গুনগুন মৌমাছি গুঞ্জে, ওই যে বনছায় পাখিরা গান গায়, মন যে চায় সেথা হাসিতে””। বাবা তখন খুব ভালো গাইতেন। বেশ কিছু অনুষ্ঠানেও গাইতেন। বাবা হারমোনিয়াম নিয়ে গাইতে বসলে গানের মাঝেই আমি হারমোনিয়ামের রিডে দুম করে চাপ দিতাম। বেসুরো হয়ে যেতো গান। বাবাকে দেখলেই আমি বলতাম,” বাব ওই ঝিলিঝলি পিয়াল ” গানটি করো না। আমার তখন মাত্র ৩ বছর বয়স। মা সারাদিন যেমন আঁচল দিয়ে আগলে রাখেন,বাবা তখন ব্যস্ত আমার জন্য কী কী জিনিস আনা যায়। বাবা দিল্লিতে সাংবাদিকতা করতেন। পুরো বছর দিল্লিতে থাকতেন। একবছর পর যখন মাত্র দুসপ্তাহের জন্য বাড়িতে আসতেন ছোট্ট আমি দরজার পিছনে লুকিয়ে উঁকি দিতাম। বাবা ঘরে ঢুকেই আমাকে খুঁজতেন। লুকোচুরির পর আমাকে ধরে আবার কোলে নিতেন। আমি মাকে বলতাম,” মা ,আমাদের বাড়িতে বাবা কতদিন থাকবে?” সবাই হেসে উঠতো। দিল্লিতে খুব ভালো জামাকাপড় পাওয়া যায়। বাবা আমার জন্য বাছা বাছা পোশাক আনতেন। কখনো সাইজে অনেক বড়,নয়তো এতো ছোট যে পরাই যেত না । সেই দিনগুলি স্বপ্নের মতো মনে পড়ে। মা আমার স্কুল থেকে শুরু করে ইউনিভার্সিটি পড়ার সময় পর্যন্ত আমাকে প্রতিষ্ঠানে নিয়ে যাওয়া,নিয়ে আসার সব কাজ করতেন। স্নান করিয়ে রান্নার কাজ শেষ করে খাইয়ে পড়াতে বসতেন। বাবা দিল্লিতে নিয়ে যেতেন সকলকে বছরে একবার। পার্লামেন্টে এমন কোন সাংসদ,মন্ত্রী ছিলেন না,যাদের সঙ্গে বাবা আমাকে পরিচয় করিয়ে না দিতেন। বাবার সুরক্ষিত অফিসে যেতাম। কার্ড জোগাড় করতেন বাবা। কংগ্রেস,বিজেপি , সিপিএম ছাড়াও সব দলের নেতাদের কাছে যেতাম বাবার সঙ্গে। এআই ইউ ডি এফ নেতা বদরউদ্দিন আজমল, আসনের মুখ্য মন্ত্রী তরুণ গগৈ, সর্বানন্দ সোনোয়াল,হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, রেলমন্ত্রী রাজেন গোহাই, তখনকার সর্বেসর্বা কংগ্রেসের সোনিয়া গান্ধী, অম্বিকা সোনি, পি সি জোশি, সন্তোষ মোহন দেব,বিজেপির কবীন্দ্র পুরকায়স্থ, অসম গন পরিষদ নেতা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বীরেন বৈশ্য সহ অসংখ্য নেতা, মহানেতা, অভিনেতার সান্নিধ্যে এসেছি বাবার জন্য। আমার জন্য বাবা আপ্রাণ পরিশ্রম করতেন। আজকের দিনে তাই বাবাকে অনেক অনেক শ্রদ্ধা জানাই। মা ও খুব সহযোগিতা করতেন বাবার সঙ্গে। বাবার জন্যই আমি আজ এতোটা এগিয়ে যেতে পেরেছি। বাবাকে যেদিন বললাম,আমি কিন্তু কারও সুপারিশে কোন চাকরি করবো না। বাবা খুব অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন। আমি শুধু বাবার পেশাকেই পছন্দ করেছি। এটা নিয়েই থাকতে চাই। বাবা আমার জীবনের ধ্রুবতারা তাই বাবার নাম কে আমি জীবনে স্মরণীয় ও বরণীয় করে রাখতে চাই। বাবারা সন্তানের জন্ম দেয় যাতে গুটিগুটি পায়ে সন্তান চলতে শুরু করা থেকে জীবন যুদ্ধে যেন পুরোদমে ছুটতে পারে। ভবিষ্যত প্রজন্মের উজ্জ্বল আলোর সঙ্গে এগিয়ে চলার জন্য। বাবারা চাইলে সন্তানের জন্য সব কিছু উজাড় করে দেয় তাদের কলিজা দিয়ে যাতে সন্তান ভালো ভাবে থাকতে পারে(সুস্থ থাকে)। বাবারা সন্তানের ছোট ছোট হাত ধরে নিয়ে যায় সব জায়গায় ঘোরাতে। খেলনা কিনতে চাইলে বা কোনও কিছু সাজগোজ জিনিস বা খাবার কিনতে চাইলে সঙ্গে সঙ্গে কিনে দেয় এই হয় বাবাদের ভালোবাসা । বাবারা বাইরে থেকে সব কাজ সেরে এসে নিয়ে তারপর রাতে সময় কাটায় সন্তানদের সাথে যখন ঘরে থাকে। বাবার কাছে একটা না অনেক ,অনেক আব্দার পায় সন্তানরা ঘরে থাকলে । বেশ মজা হয় যখন বাবার পিঠের পিছনে চড়ে বাবার হাতটি ধরে দোলনার মতো দোল খাওয়া হয়। বাবার হাতটি ধরে সন্তানের ছোট্ট হাত যাতে পড়ে না যায়। আনন্দ লাগে বাবাকে ঘোড়া বানাতে পেছন পিঠে পুরো বসে টগবগ টগবগ করে দৌড় করানো হয়। সত্যিই চমৎকার সেসব সময় কাটানোর মুহূর্ত আড্ডা দেওয়া বাবার সাথে কত কিছু খেলা খুব ভালো লাগতো। একটু যদি কোনও ভুল কাজ করা হয় তাহলে একমাত্র পিতাই সন্তানকে বোঝায় যে কোনটা ভুল কোনটা ঠিক! তবে হ্যাঁ সন্তানের জন্য বাবারা প্রচুর খাটে যাতে সন্তান কষ্ট না পায় কোনও কিছু তে। কারণ সন্তানরা চায় বাবার সাথে সময় কাটাবে আনন্দ করবে। বাবা ছাড়া এই আব্দার গুলো কেউ পূরণ করতে পারবে না এটা সন্তানরা বোঝে,তাই তো সবসময়ই সন্তানরা এসব এর জন্য বাবা কে সবসময় চায়।

নিউজটি শেয়ার করুন..

ট্যাগস:-

বাবাই জীবনের পরম ছায়াসঙ্গী, পিতৃ দিবসে শ্রদ্ধা-ভালোবাসা

আপডেট সময়- ১১:৫২:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুন ২০২৪

 

পিতাই ধর্ম,পিতাই স্বর্গ’

ঋতম্ভরা বন্দোপাধ্যায়,কলকাতা।।
“বিশ্ব পিতা তুমি হে প্রভু ,
আমাদের প্রার্থনা এই শুধু ,
তোমারই করুণা,হতে বঞ্চিত না হয় কভু” !
আহা এই গানের পিছনে লুকিয়ে আছে বাবা ও সন্তানের ভালোবাসার ছোঁয়া । পিতৃ দিবস পালন করা হয় এই ১৬ জুনে, কারন এই দিনে সন্তান তাঁর বাবার প্রতি ভালোবাসা আর কৃতজ্ঞতা কে প্রকাশ করে এই সময় টাকে সুযোগ করে দেয় এদিন। যেহেতু বাবারা সবসময়ই সন্তানের লালনপালন করা,পথ প্রদর্শক হয়ে থাকা সে জন্য তাদের ভূমিকা কে তো স্বীকার করতেই হবে। এই পিতৃ দিবস কে ওয়াশিংটনের স্পোকেনের সোনোরো স্মার্ট ডডকে কৃতিত্ব দেয় এই দিবস কে পালন করার জন্য । পৃথিবীর সব বাবার প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা দেওয়ার জন্য এবং তাদের প্রকাশের ইচ্ছা পূরণ করার এই আশা কে সম্পন্ন করাতেই এই পিতৃ দিবস পালন করা হয়। বাবাদের প্রতি ভালোবাসা জানাতে প্রতি বছর এই পিতৃ দিবস পালন করা হয় ১৬ জুনে। মা’রা যেমন সন্তানের ছত্রছায়া হয় , ঠিক তেমন ভাবে বাবারা ও হলো সন্তানের পথছায়া । বাবা’রা দিন রাত পরিশ্রম করে নিজেদের সন্তানের জন্য । মা’রা যেমন ঘরে ও বাইরে কাজ করে সামলায় সব কিছু করে সংসার করে সন্তানের দেখাশোনা করে ঠিক তেমন ভাবে বাবা’রা ঘরে ও বাইরে কাজ করে । সন্তানের সাথে সময় কাটানোর মুহূর্ত এবং চলার পথে প্রদর্শক হয় বাবা। বাবারা সন্তানের সব রকমের আব্দার মেটাতে তাদের জন্য কতকিছু না করে ! আমি যখন খুব পুচকি ও ছোট্ট ছিলাম, আমার বাবা আমার দুটি হাত ধরে হাঁটা শেখাতেন। ” গুটি গুটি পা পা যথায় ইচ্ছা তথায় যা” বলে বাবা এঘর থেকে ওঘরে হাঁটাতেন। একটু বড় হলে যখন হামাগুড়ি ছেড়ে গুটি গুটি পায়ে হাঁটতে লাগলাম তখন বাবা আমাদের সল্ট লেকের ফ্ল্যাটে হাঁটু গেড়ে ঘোড়া হয়ে বসতেন। আমি বাবার পিঠে বসতাম। বাবা চলতে শুরু করতেন, আমি খুব মজা পেতাম। অনেক সময় বাবা ঘোড়া হয়ে বসলে আমি বাবার কাঁধের দুপাশে চেপে বসতাম। বাবা দাঁড়িয়ে উঠে আমার দুটি হাত ধরে গান গাইতে গাইতে সারা ঘর ঘুরতেন। খুব মনে পড়ে শ্যামল মিত্রর সেই বিখ্যাত গানটি। বাবার সেই গান,” ঐ ঝিরি ঝিরি পিয়ালের কুঞ্জে ,গুনগুন মৌমাছি গুঞ্জে, ওই যে বনছায় পাখিরা গান গায়, মন যে চায় সেথা হাসিতে””। বাবা তখন খুব ভালো গাইতেন। বেশ কিছু অনুষ্ঠানেও গাইতেন। বাবা হারমোনিয়াম নিয়ে গাইতে বসলে গানের মাঝেই আমি হারমোনিয়ামের রিডে দুম করে চাপ দিতাম। বেসুরো হয়ে যেতো গান। বাবাকে দেখলেই আমি বলতাম,” বাব ওই ঝিলিঝলি পিয়াল ” গানটি করো না। আমার তখন মাত্র ৩ বছর বয়স। মা সারাদিন যেমন আঁচল দিয়ে আগলে রাখেন,বাবা তখন ব্যস্ত আমার জন্য কী কী জিনিস আনা যায়। বাবা দিল্লিতে সাংবাদিকতা করতেন। পুরো বছর দিল্লিতে থাকতেন। একবছর পর যখন মাত্র দুসপ্তাহের জন্য বাড়িতে আসতেন ছোট্ট আমি দরজার পিছনে লুকিয়ে উঁকি দিতাম। বাবা ঘরে ঢুকেই আমাকে খুঁজতেন। লুকোচুরির পর আমাকে ধরে আবার কোলে নিতেন। আমি মাকে বলতাম,” মা ,আমাদের বাড়িতে বাবা কতদিন থাকবে?” সবাই হেসে উঠতো। দিল্লিতে খুব ভালো জামাকাপড় পাওয়া যায়। বাবা আমার জন্য বাছা বাছা পোশাক আনতেন। কখনো সাইজে অনেক বড়,নয়তো এতো ছোট যে পরাই যেত না । সেই দিনগুলি স্বপ্নের মতো মনে পড়ে। মা আমার স্কুল থেকে শুরু করে ইউনিভার্সিটি পড়ার সময় পর্যন্ত আমাকে প্রতিষ্ঠানে নিয়ে যাওয়া,নিয়ে আসার সব কাজ করতেন। স্নান করিয়ে রান্নার কাজ শেষ করে খাইয়ে পড়াতে বসতেন। বাবা দিল্লিতে নিয়ে যেতেন সকলকে বছরে একবার। পার্লামেন্টে এমন কোন সাংসদ,মন্ত্রী ছিলেন না,যাদের সঙ্গে বাবা আমাকে পরিচয় করিয়ে না দিতেন। বাবার সুরক্ষিত অফিসে যেতাম। কার্ড জোগাড় করতেন বাবা। কংগ্রেস,বিজেপি , সিপিএম ছাড়াও সব দলের নেতাদের কাছে যেতাম বাবার সঙ্গে। এআই ইউ ডি এফ নেতা বদরউদ্দিন আজমল, আসনের মুখ্য মন্ত্রী তরুণ গগৈ, সর্বানন্দ সোনোয়াল,হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, রেলমন্ত্রী রাজেন গোহাই, তখনকার সর্বেসর্বা কংগ্রেসের সোনিয়া গান্ধী, অম্বিকা সোনি, পি সি জোশি, সন্তোষ মোহন দেব,বিজেপির কবীন্দ্র পুরকায়স্থ, অসম গন পরিষদ নেতা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বীরেন বৈশ্য সহ অসংখ্য নেতা, মহানেতা, অভিনেতার সান্নিধ্যে এসেছি বাবার জন্য। আমার জন্য বাবা আপ্রাণ পরিশ্রম করতেন। আজকের দিনে তাই বাবাকে অনেক অনেক শ্রদ্ধা জানাই। মা ও খুব সহযোগিতা করতেন বাবার সঙ্গে। বাবার জন্যই আমি আজ এতোটা এগিয়ে যেতে পেরেছি। বাবাকে যেদিন বললাম,আমি কিন্তু কারও সুপারিশে কোন চাকরি করবো না। বাবা খুব অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন। আমি শুধু বাবার পেশাকেই পছন্দ করেছি। এটা নিয়েই থাকতে চাই। বাবা আমার জীবনের ধ্রুবতারা তাই বাবার নাম কে আমি জীবনে স্মরণীয় ও বরণীয় করে রাখতে চাই। বাবারা সন্তানের জন্ম দেয় যাতে গুটিগুটি পায়ে সন্তান চলতে শুরু করা থেকে জীবন যুদ্ধে যেন পুরোদমে ছুটতে পারে। ভবিষ্যত প্রজন্মের উজ্জ্বল আলোর সঙ্গে এগিয়ে চলার জন্য। বাবারা চাইলে সন্তানের জন্য সব কিছু উজাড় করে দেয় তাদের কলিজা দিয়ে যাতে সন্তান ভালো ভাবে থাকতে পারে(সুস্থ থাকে)। বাবারা সন্তানের ছোট ছোট হাত ধরে নিয়ে যায় সব জায়গায় ঘোরাতে। খেলনা কিনতে চাইলে বা কোনও কিছু সাজগোজ জিনিস বা খাবার কিনতে চাইলে সঙ্গে সঙ্গে কিনে দেয় এই হয় বাবাদের ভালোবাসা । বাবারা বাইরে থেকে সব কাজ সেরে এসে নিয়ে তারপর রাতে সময় কাটায় সন্তানদের সাথে যখন ঘরে থাকে। বাবার কাছে একটা না অনেক ,অনেক আব্দার পায় সন্তানরা ঘরে থাকলে । বেশ মজা হয় যখন বাবার পিঠের পিছনে চড়ে বাবার হাতটি ধরে দোলনার মতো দোল খাওয়া হয়। বাবার হাতটি ধরে সন্তানের ছোট্ট হাত যাতে পড়ে না যায়। আনন্দ লাগে বাবাকে ঘোড়া বানাতে পেছন পিঠে পুরো বসে টগবগ টগবগ করে দৌড় করানো হয়। সত্যিই চমৎকার সেসব সময় কাটানোর মুহূর্ত আড্ডা দেওয়া বাবার সাথে কত কিছু খেলা খুব ভালো লাগতো। একটু যদি কোনও ভুল কাজ করা হয় তাহলে একমাত্র পিতাই সন্তানকে বোঝায় যে কোনটা ভুল কোনটা ঠিক! তবে হ্যাঁ সন্তানের জন্য বাবারা প্রচুর খাটে যাতে সন্তান কষ্ট না পায় কোনও কিছু তে। কারণ সন্তানরা চায় বাবার সাথে সময় কাটাবে আনন্দ করবে। বাবা ছাড়া এই আব্দার গুলো কেউ পূরণ করতে পারবে না এটা সন্তানরা বোঝে,তাই তো সবসময়ই সন্তানরা এসব এর জন্য বাবা কে সবসময় চায়।