র্যাবের নতুন মুখপাত্র কমান্ডার আরাফাত
- আপডেট সময়- ০৭:০০:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ১০৮ বার পড়া হয়েছে
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।
পুলিশের এলিট ফোর্সেস র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ানের (র্যাব) লিগ্যাল অ্যন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক হিসেবে নতুনভাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন কমান্ডার আরাফাত ইসলাম।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) তিনি এই দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।কমান্ডার আরাফাত ইসলাম কমান্ডার খন্দকার আল মঈনের স্থানে স্থলাভিষিক্ত হলেন।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সিনিয়র সহকারী পরিচালক এএসপি আ ন ম ইমরান খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একজন চৌকস অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ১৯৯৫ সালে ৩৫তম বিএমএ লং কোর্স সফলভাবে সম্পন্ন করে, বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৯৭ সালের ১ জুলাই এক্সিকিউটিভ ব্রাঞ্চে কমিশন লাভ করেন।চাকুরী জীবনে তিনি দীর্ঘদিন নৌবাহিনীতে ছোট ও মাঝারি বিভিন্ন ধরনের যুদ্ধ জাহাজের অধিনায়ক হিসেবে অত্যন্ত সুনাম ও আস্থার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। কমান্ডার আরাফাত ইসলাম দেশ ও বিদেশে নৌবাহিনীর বিভিন্ন অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ওপর দক্ষতার সঙ্গে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।
কমান্ডার আরাফাত ২০২২ সালের ২৬ ডিসেম্বর প্রেষণে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন( র্যাব) ফোর্সেসে যোগদান করেন। তিনি ২০২৩ সালের ২০ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত র্যাব-১৩’র অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। র্যাব-১৩ এর অধিনায়ক হিসেবে তিনি চৌকস, সততা, দক্ষতা ও একনিষ্ঠভাবে দীর্ঘ ১ বছর ৩ মাস সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে র্যাবের আভিযানিক কর্মকাণ্ডকে ত্বরান্বিত করতে বিশেষ অভূতপূর্ব ভূমিকা পালন করেছেন।
এছাড়াও তিনি রংপুর বিভাগীয় অঞ্চলে জঙ্গি দমন অভিযান, ক্লুলেস নানান ধরনের হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন, মাদকবিরোধী অভিযানসহ অন্যান্য অপরাধমুলক কর্মকান্ড দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি র্যাব-১৩ এ দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে র্যাব-১৩ প্রথম বারের মতো ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে প্রশাসনিক দক্ষতায় শ্রেষ্ঠত্ব হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।
কমান্ডার আরাফাত ইসলাম ২০০৭ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত র্যাব-৪ ও ৫ এর উপ-পরিচালক হিসেবে সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন বলেও জানান এএসপি আ ন ম ইমরান খান।
তিনি আরও বলেন, কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বাংলাদেশ কোস্টগার্ডে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে লেবানন এবং সাউথ সুদানে এ সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি র্যাবে কর্মরত থাকা অবস্থায় পেশাগত দক্ষতা প্রদর্শনের মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশ পদক বিপিএম (সেবা), বাংলাদেশ নৌবাহিনী হতে নৌ উৎকর্ষতা পদক (এনইউপি) এবং কোস্টগার্ড হতে প্রেসিডেন্ট কোস্ট গার্ড মেডেল (পিসিজিএম) এ ভূষিত হয়েছেন। এছাড়াও কমান্ডার আরাফাত নৌপ্রধানের প্রশংসা এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন থেকে ফোর্স কমান্ডার’স কমেন্ডেশন প্রাপ্ত হয়েছেন।
কমান্ডার আরাফাত ইসলাম নেভিগেশন অ্যান্ড ডাইরেকশনের ওপর বিশেষ স্পেশালাইজেশন সম্পন্ন করেছেন। তিনি আবহাওয়াবিদ্যায় উচ্চশিক্ষা অর্জন ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হতে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়াও তিনি একজন অভিজ্ঞতা সম্পন্ন চৌকস অফিসার। কর্মক্ষেত্রে অত্যন্ত সততা, পেশাদারত্ব, পারদর্শিতা, উৎকর্ষতা ও বিচক্ষণতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে সুনাম অর্জন করে আসছেন।