সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করা এখন সময়ের দাবি: অর্থমন্ত্রী
- আপডেট সময়- ০১:২০:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ জুন ২০২৩ ৮৯ বার পড়া হয়েছে
অনলাইন নিউজ ডেস্ক।।
২০২৩-২৪ অর্থবছর থেকেই বাংলাদেশে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করা সম্ভব হবে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, পেনশন সুবিধা ভোগ করতে পারবেন সুবিধা ভোগীরা। দেশের বাইরে কর্মরত বাংলাদেশি নাগরিকরাও অংশগ্রহণ করতে পারবেন এ স্কিমের আওতায়।
বাজেট অধিবেশন বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, “আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট বক্তব্যে আমি সর্বজনীন পেনশন পদ্ধতি প্রবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম।
কাজটি এরই মধ্যে অনেকটাই গুছিয়ে এগিয়ে নিয়ে এসেছি। মহান জাতীয় সংসদে ‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন-২০২৩’ পাস হয়েছে। আশা করছি, ২০২৩-২৪ অর্থবছর থেকেই বাংলাদেশে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করা সম্ভব হবে। প্রস্তাবিত এ স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হলে ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী একজন সুবিধাভোগী ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত এবং ৫০ বছরের বেশি বয়সের একজন সুবিধাভোগী ন্যূনতম ১০ বছর পর্যন্ত চাঁদা দেওয়া সাপেক্ষে আজীবন পেনশন সুবিধা ভোগ করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন তিনি । প্রবাসে কর্মরত বাংলাদেশি নাগরিকরাও এ স্কীমে অংশ নিতে পারবেন। পেনশনে থাকাকালীন ৭৫ বছর বয়স পূর্ণ হওয়ার আগে মৃত্যুবরণ করলে পেনশনারের নমিনি পেনশনারের ৭৫ বছর পূর্ণ হওয়ার অবশিষ্ট সময় পর্যন্ত পেনশন প্রাপ্য হবেন। চাঁদাদাতা কমপক্ষে ১০ বছরের চাঁদা দেওয়ার আগে মৃত্যুবরণ করলে জমা করা অর্থ মুনাফাসহ নমিনিকে পুরোপুরি ফেরত দেওয়া হবে। চাঁদাদাতার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জমা করা অর্থের সর্বচ্চো ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ হিসেবে উত্তোলন করা যাবে।
তিনি বলেন, পেনশনের স্কীমের জন্য নির্ধারিত চাঁদা বিনিয়োগ হিসেবে গণ্য হবে এবং এর বিপরীতে কর রেয়াত সুবিধা পাবে। এ ছাড়া মাসিক পেনশন বাবদ প্রাপ্ত অর্থ আয়করমুক্ত থাকবে। সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার প্রবর্তন প্রধানমন্ত্রীর অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন কৌশলের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন। অতি শিগগিরই একটি পেনশন কর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে এবং প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগের মাধ্যমে এ কর্তৃপক্ষকে দ্রততায় সাথে কার্যকর করা হবে।
নিউজটি শেয়ার করুন
-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ