বিএনপি’র স্পষ্ট খুনির চরিত্র আবারও উন্মোচিত: ওবায়দুল কাদের
- আপডেট সময়- ০৪:১২:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০২৩ ৯৪ বার পড়া হয়েছে
অনলাইন ডেস্ক।।
দেশের রাজনীতিতে ও জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিএনপির কোনো অবদান নেই। এ কারণে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে জনগণের মুখোমুখি হতে ভয় পায় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রকাশ্য জনসভায় সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির মধ্যদিয়ে বিএনপির হত্যা-ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতির নীলনকশা আবারও দেশের মানুষের কাছে প্রমাণিত হয়েছে। ঐতিহ্যগতভাবেই বিএনপি একটি খুনির দল, তাদের খুনি চরিত্র বারবারই জনসাধারণের কাছে উন্মোচিত হয়েছে।’
ক্ষমতায় থাকাকালীন বিএনপি বিরোধী দলকে দেশ থেকে নিশ্চিহ্ন করতে ২১ আগস্টের মতো ভয়াবহ নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল, উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন,ক্ষমতায় থেকে তো করেছেই আবার‘বিরোধী দলে থেকেও তারা খুনের রাজনীতি অব্যাহত রেখেছে। বিভিন্ন সময়ে প্রায় বিভিন্ন স্থানে ২১ বার আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছে। হত্যা, সন্ত্রাস, যুদ্ধাপরাধী এবং জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক ও লালন-পালনকারী বিএনপিকে এ দেশের জনগণ আর রাষ্ট্রে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। বাংলাদেশের আপামর জনগণ অচিরেই গণবিচ্ছিন্ন বিএনপিকে রাজনীতির মাঠ থেকে নির্বাসনে পাঠাবে।
সোমবার (২২ মে) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
আওয়ামী লীগের শীর্ষ এই নেতা আরও বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ উদার গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করে। বাংলাদেশের মানুষের বাক-স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে সুসংহত করতে সরকার সর্বদাই বদ্ধপরিকর। প্রায় অর্ধ-শতাধিক বেসরকারি টেলিভিশনের অনুমোদন, সংবাদপত্র ও অনলাইন নিউজ পোর্টালের লাইসেন্সপ্রাপ্তি সহজীকরণসহ ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্বাধীন মত প্রকাশের মুক্ত-বাতায়ন উন্মোচনসহ বহুমাত্রিক পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করে চলেছে আওয়ামী লীগ সরকার। গণমাধ্যমের অবারিত স্বাধীনতার সুযোগে বিএনপি নেতারা প্রতিদিন টেলিভিশন টকশো এবং বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও মিথ্যাচারের মাধ্যমে বিষোদগার করেই চলেছে।
সরকার দলের শীর্ষ এই নেতা বলেছেন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক প্রয়াসে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সংবিধান অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠিন করা হয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের অধীনেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু অনুষ্ঠিত হবে। এ দেশের রাজনীতিতে এবং জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিএনপির কোনো অবদান নেই,এজন্যই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে জনগণের মুখোমুখি হতে ভয় পায়। ‘বিএনপি এখন নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। বিএনপি নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করলেও দেশের জনগণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং দেশের জনগণ আবারও নিরংকুশ ভোটে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে জনগণের সেবা ও দেশ পরিচালনার নির্বাচিত করে সুযোগ প্রদান করবে। ইনশাআল্লাহ্।’
বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন,বন্দুকের নলের মুখে অসাংবিধানিক পন্থায় অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী সামরিক স্বৈরাচার জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত দল বিএনপি হত্যা-ক্যু, ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করতে চায় বলেই তারা নির্বাচনি ব্যবস্থাকে ভণ্ডুল করতে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।