ঢাকা ০৯:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
ছেলে জয়ের আশ্বাসেই দেশ ছাড়তে রাজি হন শেখ হাসিনা অর্থপাচার মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন বিএনপির ৮ শীর্ষ নেতা মৌলভীবাজারে নবাগত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেনের যোগদান মৌলভীবাজারে বকেয়া মজুরির দাবিতে চা-শ্রমিকদের মানববন্ধন  না’গঞ্জের পলাতক সাবেক এমপি শামীম ওসমানের দেখা মিললো দিল্লিতে  না’গঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব টিপুর উপর হামলা  রূপগঞ্জে ফের গাজী টায়ার কারখানায় লুটপাট চালিয়ে আগুন দিলো দুর্বৃত্তরা মহাভারতের চিত্রনাট্যের জাদুকরী রূপকার ছিলেন উর্দু কবি রাহী মাসুম রেজা  কুষ্টিয়া সাংস্কৃতিক কর্মীর সমবেত কন্ঠে দশ মিনিটে ৩বার জাতীয় সংগীত সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করায় হামলা মারধরে আহত-১০ জাতীয় শিক্ষক দিবসে ‘গুরু বন্দনা’ সাবেক ভূমিমন্ত্রী পুত্র তমাল অস্ত্র-মাদক সহ র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার কক্সবাজারে যৌথবাহিনীর অভিযানে বিপুল অস্ত্র-গোলাবারুদ সহ গ্রেপ্তার-৮ নবীজীকে নিয়ে কটূক্তি করা কিশোর সেনাবাহিনীর হেফাজতে: আইএসপিআর পূর্বানুমতি ছাড়া পর্যটকরা সেন্টমার্টিনে যেতে পারবে না..! বেক্সিমকো গ্রুপের সব সম্পত্তি ক্রোক করে রিসিভার নিয়োগে হাইকোর্টের রুল স্বেচ্ছাসেবক দলের আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাহীন’র বিশাল সংবর্ধনা ইসলামী যুব আন্দোলন টেকনাফ দক্ষিণ শাখা’র পৌর কমিটি গঠন সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী সাইফুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত সালমান এফ রহমান মুক্ত হলো আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি

কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠায় সফল উদ্ভাবনী স্বীকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রপতির অভিনন্দন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৪৮:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ মে ২০২৩ ১১৭ বার পড়া হয়েছে

সমকালীন কাগজ ডেস্ক।।

‘কমিউনিটি ক্লিনিক’প্রতিষ্ঠায় সফল উদ্ভাবনী উদ্যোগের স্বীকৃতি স্বরুপ জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে কমিউনিটি ভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক রেজুলেশন বাংলাদেশ গৃহীত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন নতুন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু।

শনিবার(২০ মে) এক শুভেচ্ছা বাণীতে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে ‘প্রাথমিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা- সার্বজনীন স্বাস্থ্য পরিষেবা অর্জনের লক্ষ্যে একটি অংশগ্রহণমূলক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতি’শিরোনামে একটি রেজুলেশন গৃহীত হওয়ায় অভিনন্দন জানান রাষ্ট্রপতি।

রাষ্ট্রপতি বলেন,’বাংলাদেশ কর্তৃক প্রস্তাবিত রেজুলেশনটিতে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলো কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠার এই উদ্যোগকে ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’হিসেবে উল্লেখ করেছেন যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এবং বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গর্বের ও আনন্দের বিষয়।’

প্রধানমন্ত্রীর সুদূরপ্রসারী চিন্তা,মেধামনন, প্রজ্ঞা, সাহস ও যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, ‌’বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে শামিল হতে পেরেছে।’

চিকিৎসা সেবা জনগণের অন্যতম মৌলিক অধিকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দেশের অন্যান্য সেক্টরের মতো স্বাস্থ্য খাতেও লেগেছে উন্নয়ন ও নানানবিধ উন্নয়নের ছোঁয়া।’

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর গৃহীত ১০টি বিশেষ উদ্যোগের অন্যতম’কমিউনিটি ক্লিনিক’কার্যক্রম এবং তার এই উদ্যোগ আজ জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা কর্তৃক ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হচ্ছে।

দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত ১৪ হাজারেরও বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক তৃণমূল পর্যায়ে দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পুষ্টিস্তর উন্নয়ন, জীবনমান বৃদ্ধি ও সার্বিক জনস্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এ উদ্যাগের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আপনার দূরদর্শী নেতৃত্বের ফসল।’

রাষ্ট্রপতি আশাবাদন ব্যাক্ত করে বলেন, ‘বিশ্বের যেসব দেশে স্বাস্থ্যসেবা স্বয়ংসম্পূর্ণ নয় সে সব দেশে ‘কমিউনিটি ক্লিনিক’ মডেল হিসেবে কাজ করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল ও প্রাজ্ঞ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আরো এগিয়ে যাবে এবং বিশ্বের বুকে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত হবে। ‘স্বাধীনতার পরপরই যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বাত্মক পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধী চক্র ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে সে প্রচেষ্টা থামিয়ে দেয়।’কিন্তু ১৯৭৫ থেকে দীর্ঘ ৬ বছর নির্বাসন শেষে ১৯৮১ সালের ১৭ মে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে সুগম হয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, স্বাধীনতার মূল্যবোধ ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথ।’

মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহাজোট সরকার প্রতিষ্ঠার পর বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গঠনের লক্ষ্যে উন্নয়নের অভিযাত্রা শুরু হয়। কিন্তু ২০০১ সালে আবার তা মুখ থুবড়ে পড়ে। উন্নয়নের চাকা উল্টোপথে ঘুরতে থাকে।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে গ্রেনেড হামলাসহ বহুবার বঙ্গবন্ধু কন্যার উপর হামলা হয়েছে এবং মহান আল্লাহর অশেষ রহমতই সকল বিপদ থেকে তাকে রক্ষা করেছে।’

তিনি বলেন, ‘২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে বিপুল ভোটে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে জোট সরকার গঠনের পর শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে শুরু হয় উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার পালা।’

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠায় সফল উদ্ভাবনী স্বীকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রপতির অভিনন্দন

আপডেট সময় : ১২:৪৮:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ মে ২০২৩

সমকালীন কাগজ ডেস্ক।।

‘কমিউনিটি ক্লিনিক’প্রতিষ্ঠায় সফল উদ্ভাবনী উদ্যোগের স্বীকৃতি স্বরুপ জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে কমিউনিটি ভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক রেজুলেশন বাংলাদেশ গৃহীত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন নতুন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু।

শনিবার(২০ মে) এক শুভেচ্ছা বাণীতে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে ‘প্রাথমিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা- সার্বজনীন স্বাস্থ্য পরিষেবা অর্জনের লক্ষ্যে একটি অংশগ্রহণমূলক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতি’শিরোনামে একটি রেজুলেশন গৃহীত হওয়ায় অভিনন্দন জানান রাষ্ট্রপতি।

রাষ্ট্রপতি বলেন,’বাংলাদেশ কর্তৃক প্রস্তাবিত রেজুলেশনটিতে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলো কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠার এই উদ্যোগকে ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’হিসেবে উল্লেখ করেছেন যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এবং বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গর্বের ও আনন্দের বিষয়।’

প্রধানমন্ত্রীর সুদূরপ্রসারী চিন্তা,মেধামনন, প্রজ্ঞা, সাহস ও যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, ‌’বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে শামিল হতে পেরেছে।’

চিকিৎসা সেবা জনগণের অন্যতম মৌলিক অধিকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দেশের অন্যান্য সেক্টরের মতো স্বাস্থ্য খাতেও লেগেছে উন্নয়ন ও নানানবিধ উন্নয়নের ছোঁয়া।’

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর গৃহীত ১০টি বিশেষ উদ্যোগের অন্যতম’কমিউনিটি ক্লিনিক’কার্যক্রম এবং তার এই উদ্যোগ আজ জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা কর্তৃক ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হচ্ছে।

দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত ১৪ হাজারেরও বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক তৃণমূল পর্যায়ে দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পুষ্টিস্তর উন্নয়ন, জীবনমান বৃদ্ধি ও সার্বিক জনস্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এ উদ্যাগের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আপনার দূরদর্শী নেতৃত্বের ফসল।’

রাষ্ট্রপতি আশাবাদন ব্যাক্ত করে বলেন, ‘বিশ্বের যেসব দেশে স্বাস্থ্যসেবা স্বয়ংসম্পূর্ণ নয় সে সব দেশে ‘কমিউনিটি ক্লিনিক’ মডেল হিসেবে কাজ করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল ও প্রাজ্ঞ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আরো এগিয়ে যাবে এবং বিশ্বের বুকে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত হবে। ‘স্বাধীনতার পরপরই যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বাত্মক পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধী চক্র ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে সে প্রচেষ্টা থামিয়ে দেয়।’কিন্তু ১৯৭৫ থেকে দীর্ঘ ৬ বছর নির্বাসন শেষে ১৯৮১ সালের ১৭ মে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে সুগম হয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, স্বাধীনতার মূল্যবোধ ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথ।’

মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহাজোট সরকার প্রতিষ্ঠার পর বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গঠনের লক্ষ্যে উন্নয়নের অভিযাত্রা শুরু হয়। কিন্তু ২০০১ সালে আবার তা মুখ থুবড়ে পড়ে। উন্নয়নের চাকা উল্টোপথে ঘুরতে থাকে।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে গ্রেনেড হামলাসহ বহুবার বঙ্গবন্ধু কন্যার উপর হামলা হয়েছে এবং মহান আল্লাহর অশেষ রহমতই সকল বিপদ থেকে তাকে রক্ষা করেছে।’

তিনি বলেন, ‘২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে বিপুল ভোটে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে জোট সরকার গঠনের পর শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে শুরু হয় উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার পালা।’