ঢাকা ০৯:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চারুকলা পথিকৃৎ শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:০২:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ মে ২০২৩ ৮৬ বার পড়া হয়েছে

সমকালীন কাগজ ডেস্ক।।

চারুকলা চর্চার পথিকৃৎ শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ।
১৯৭৬ সালের ২৮ মে এ গুনি শিল্পী মৃত্যুবরণ করেন। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এ শিল্পীকে ইনস্টিটিউট অব আর্টস অ্যান্ড ক্র্যাফটস প্রতিষ্ঠার জন্য আধুনিক শিল্প আন্দোলনের পথিকৃৎ ধরা হয়। ১৯৪৮ সালে ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত ইনস্টিটিউট অব আর্টস অ্যান্ড ক্র্যাফটসের (বর্তমান চারুকলা ইনস্টিটিউট) প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ছিলেন জয়নুল আবেদিন।

শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন ১৯১৪ সালে ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৩৩ সালে কলকাতা সরকারি আর্ট স্কুলে ভর্তি হন। ১৯৩৮ সালে তিনি আর্ট স্কুল অনুষদে যোগ দেন। ওই বছরই সর্বভারতীয় চিত্রকলা প্রদর্শনীতে জলরঙের ছবির জন্য তিনি সম্মান সূচক স্বর্ণপদক লাভ করেন। ১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষে জয়নুল আবেদিনের স্কেচগুলো ছিল অনবদ্য নান্দনিক। দুর্ভিক্ষে হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারান। কম দামি প্যাকিং পেপারে চায়নিজ ইঙ্ক ও তুলির আঁচড়ে ‘দুর্ভিক্ষের রেখাচিত্র’ নামে ছিল জয়নুলের এ ছবিগুলো, যা তাঁকে সারা ভারত জুড়ে পরিচিত করে তোলে।

১৯৪৭ সালে উপমহাদেশের বিভক্তির পর তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকায় বসবাস শুরু করেন। জয়নুল আবেদিন ও ঢাকা প্রত্যাগত তাঁর কয়েকজন সহযোগী মিলে আর্ট ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৫১ সালে লন্ডনে দুই বছরের প্রশিক্ষণ শেষে দেশে ফেরার পর জয়নুলের চিত্রকর্মে নতুন যে সকল ধারাটি দেখতে পাওয়া যায় তাকে, ‘বাঙালি ধারা’। ‘দুই মহিলা’ (গোয়াশ, ১৯৫৩), ‘পাইন্যার মা’ (গোয়াশ, ১৯৫৩) ও ‘মহিলা’ (জলরং, ১৯৫৩) এগুলো হলো এই সময়ের উল্লেখযোগ্য চিত্রকর্ম। ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের বিজয়কে ভিত্তি করে আঁকা ‘নবান্ন’ এবং ১৯৭০ সালের প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণ হারানো হাজারো মানুষের স্মৃতির উদ্দেশে আঁকা ‘মনপুরা’ তাঁর বৈচিত্র্যময় কাজের অনন্য উদাহরণ।

১৯৭৫ সালে জয়নুল আবেদিন নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে একটি লোকশিল্প জাদুঘর এবং ময়মনসিংহে একটি গ্যালারি (শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালা) প্রতিষ্ঠা করেন। এ দুটি প্রতিষ্ঠানে তাঁর অঙ্কিত অনেক ধরনের চিত্রকর্ম সংরক্ষিত রয়ে গেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

চারুকলা পথিকৃৎ শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

আপডেট সময় : ০৪:০২:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ মে ২০২৩

সমকালীন কাগজ ডেস্ক।।

চারুকলা চর্চার পথিকৃৎ শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ।
১৯৭৬ সালের ২৮ মে এ গুনি শিল্পী মৃত্যুবরণ করেন। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এ শিল্পীকে ইনস্টিটিউট অব আর্টস অ্যান্ড ক্র্যাফটস প্রতিষ্ঠার জন্য আধুনিক শিল্প আন্দোলনের পথিকৃৎ ধরা হয়। ১৯৪৮ সালে ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত ইনস্টিটিউট অব আর্টস অ্যান্ড ক্র্যাফটসের (বর্তমান চারুকলা ইনস্টিটিউট) প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ছিলেন জয়নুল আবেদিন।

শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন ১৯১৪ সালে ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৩৩ সালে কলকাতা সরকারি আর্ট স্কুলে ভর্তি হন। ১৯৩৮ সালে তিনি আর্ট স্কুল অনুষদে যোগ দেন। ওই বছরই সর্বভারতীয় চিত্রকলা প্রদর্শনীতে জলরঙের ছবির জন্য তিনি সম্মান সূচক স্বর্ণপদক লাভ করেন। ১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষে জয়নুল আবেদিনের স্কেচগুলো ছিল অনবদ্য নান্দনিক। দুর্ভিক্ষে হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারান। কম দামি প্যাকিং পেপারে চায়নিজ ইঙ্ক ও তুলির আঁচড়ে ‘দুর্ভিক্ষের রেখাচিত্র’ নামে ছিল জয়নুলের এ ছবিগুলো, যা তাঁকে সারা ভারত জুড়ে পরিচিত করে তোলে।

১৯৪৭ সালে উপমহাদেশের বিভক্তির পর তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকায় বসবাস শুরু করেন। জয়নুল আবেদিন ও ঢাকা প্রত্যাগত তাঁর কয়েকজন সহযোগী মিলে আর্ট ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৫১ সালে লন্ডনে দুই বছরের প্রশিক্ষণ শেষে দেশে ফেরার পর জয়নুলের চিত্রকর্মে নতুন যে সকল ধারাটি দেখতে পাওয়া যায় তাকে, ‘বাঙালি ধারা’। ‘দুই মহিলা’ (গোয়াশ, ১৯৫৩), ‘পাইন্যার মা’ (গোয়াশ, ১৯৫৩) ও ‘মহিলা’ (জলরং, ১৯৫৩) এগুলো হলো এই সময়ের উল্লেখযোগ্য চিত্রকর্ম। ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের বিজয়কে ভিত্তি করে আঁকা ‘নবান্ন’ এবং ১৯৭০ সালের প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণ হারানো হাজারো মানুষের স্মৃতির উদ্দেশে আঁকা ‘মনপুরা’ তাঁর বৈচিত্র্যময় কাজের অনন্য উদাহরণ।

১৯৭৫ সালে জয়নুল আবেদিন নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে একটি লোকশিল্প জাদুঘর এবং ময়মনসিংহে একটি গ্যালারি (শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালা) প্রতিষ্ঠা করেন। এ দুটি প্রতিষ্ঠানে তাঁর অঙ্কিত অনেক ধরনের চিত্রকর্ম সংরক্ষিত রয়ে গেছে।