সর্বশেষ:-
ভারতীয় রেলওয়েতে টয়লেট চালুর অজানা ইতিহাস
প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময়- ০২:২৮:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪ ৪০ বার পড়া হয়েছে
ঋতম্ভরা বন্দ্যোপাধ্যায়,কলকাতা।।
১৯০৯ সালের কাহিনী। তখন অবিভক্ত ভারতের মসনদে ছিল ব্রিটিশ। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অধীনে তখন বিভিন্ন প্রান্তে যোগাযোগের জন্য রেল চালু হয়েছে। কিন্তু কোন কামরায় টয়লেটের ব্যবস্থা ছিল না।
ট্রেন এসে দাঁড়ালো বীরভূমের আহমেদপুর স্টেশনে।
এক ভদ্রলোক প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ট্রেন থেকে নেমে স্টেশনসংলগ্ন শৌচালয়ের দিকে গেলেন। শৌচালয়ে থাকার সময়েই তিনি ট্রেন ছেড়ে দেওয়ার হুইসল শুনতে পান। কোনরকমে সেখান থেকে বেরিয়ে ছুটলেন ট্রেন ধরতে। ট্রেন থামানোর জন্য হাত তুলে ট্রেনের গার্ডকে ইশারা করেন। একহাতে লোটা, অন্যহাতে ধুতি সামলে ছুটতে গিয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়লেন লোকভর্তি প্ল্যাটফর্মের ওপর। চোখের সামনে দিয়ে ট্রেন বেড়িয়ে গেল। ক্ষুব্ধ, অপমানিত ভদ্রলোক স্টেশন ত্যাগ করলেন।
কয়েকদিন পর বিস্তারিত ঘটনা জানিয়ে তিনি চিঠি লিখলেন সাহেবগঞ্জ ডিভিশনাল রেলওয়ে অফিসে। চিঠিতে তিনি লেখেন, পেটভরে কাঁঠাল খেয়ে ট্রেনে চেপে যাওয়ার সময় পেট ফেঁপে ওঠায় তিনি বাধ্য হয়ে স্টেশনের শৌচালয়ে যান। তিনি প্রশ্ন করেন, হাত দেখানো সত্বেও গার্ড কি দু’-এক মিনিটের জন্য ট্রেনটাকে দাঁড় করাতে পারতেন না ? এমনকি জনস্বার্থে ওই গার্ডের কাছ থেকে বড়সড় জরিমানা আদায়ের কথাও বলেন, না হলে সংবাদপত্রে সবকথা ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দেন।
ইংরেজি ব্যাকরণগত ভুলে লেখা চিঠিটি তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার যথেষ্ট গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেন। যার জেরে শেষ পর্যন্ত ভারতীয় রেলওয়ে চালু হওয়ার বহু বছর পরে ট্রেনের মধ্যে টয়লেটের ব্যবস্থা করা হয়।
ঘটনাটি ১৯০৯ সালের। ভদ্রলোকের নাম অখিল চন্দ্র সেন। কখনো যদি ট্রেনে চড়াকালীন পেট হালকা করার জন্য টয়লেটের আশ্রয় নিতে হয়, তাহলে ওই ভদ্রলোককে একবার অন্তত মনে মনে কুর্ণিশ জানাতে ভুলবেন না।
অখিল বাবুর লেখা সেই চিঠিটি স্মারক হিসেবে দিল্লীর রেল মিউজিয়ামে সংরক্ষিত আছে।
একটি চিঠি,সামান্য হলেও রেল চলাচলে যাত্রীদের কাছে আশীর্বাদ হয়ে থাকবে
Date: 02 – 07 – 1909
Divisional Railway Officer,
Sahibgunj,
Respected Sirs,
I am arrive by passenger train Ahmedpur station and my belly is too much swelling with jackfruit. I am therefore went to privy. Just I doing the nuisance that guard making whistle blow or train to go off and I am running with lotaah in one hand and dhoti in the next when I am fall over and expose all my shocking to man and female women on platform. I am got leaved at Ahmedpur station. This too much bad, if passenger go to make dung that dam guard not wait train five minutes for him. I am therefore pray your honour to make big fine on that guard for public sake. Otherwise I am making big report to papers.(ORIGINAL LETTER)
Your faithful Servant,
Okhil Chandra Sen
বি:দ্র: অখিল চন্দ্র সেনের লেখা এই ইংরেজি চিঠিটি তে অনেক ভুল রয়েছে। হাসি পেলেও ব্রিটিশরা বুঝতে পেরেছিলেন চিঠির গুরুত্ব ও মর্মার্থ!!