সর্বশেষ:-
প্রচ্ছদ /
অর্থ ও বাণিজ্য, আইন আদালত, দূর্নীতি দমন কমিশন(দুদক), দেশজুড়ে, নারায়ণগঞ্জ, পূর্বাভাস, প্রতিরক্ষা, বাংলাদেশ, বাংলাদেশ পুলিশ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, রাজনীতি, রূপগঞ্জ, র্যাব, সোনারগাঁ
রূপগঞ্জ শীতলক্ষ্যায় চিহ্নিত চাঁদাবাজ ও মাদককারবারী কে এই শাহীন?
প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময়- ০৭:১৩:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অক্টোবর ২০২৪ ৫৭ বার পড়া হয়েছে
রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি।।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার তারাব পৌরসভার টাটকী এলাকার চোরা শাহীন। পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের টাটকী এলাকার তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। তারাব পৌর এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদী পথে আসা চিটাগাং ও ভারতীয় জাহাজ নোঙর করলেই চোরা শাহীনকে দেড় হাজার টাকা থেকে শুরু করে আড়াই হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয়। এ অর্থ না দিল জাহাজের সুকানিদের উপর হামলা করে শাহীনের সন্ত্রাসী বাহিনী। অনেক সময় সুকানিদের পিটিয়ে শীতলক্ষ্যা নদীতেও ফেলে দিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ বিআইডব্লিউটি এর নাম ভাঙিয়ে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে গত ২ বছর ধরে জাহাজ থেকে চাঁদা আদায় করছে এই শাহীন বাহিনী। অন্তবর্তীকালীন সরকারের আমলে সারা দেশে চাঁদাবাজি বন্ধ থাকলেও রূপগঞ্জের তারাবো এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে বন্ধ হয়নি এ চাঁদাবাজির ঘটনা। মেরিন সার্ভিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে চোরা শাহীন এখনো নিজ সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে জাহাজ থেকে চাঁদার অর্থ আদায় করছে। কোনা জাহাজের মাষ্টার বা সুকানি চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালেই তাদের উপর নেমে আসে ভয়ংকর অমানুষিক নির্যাতন।
ইদানিং শাহীনের ভাই নুর নবী ভারতীয় মোহনবাগান-৮ ও মোহন বাগান-৯ নামে দুটি জাহাজে করে নিষিদ্ধ ফেনসিডিল, গাজা ও মদ নিয়ে আসছে। এসব মাদক শুকুরসী, বালুর ঘাট, চিটাগাং, সারুলিয়া, কাঁচপুর ও টাটকী এলাকায় পাইকারী দরে বিক্রি করছে বলে গোপন সূত্রে জানা গেছে। এছাড়াও শাহীনের বড় ভাই আজগর জাহাজ থেকে চোরাই তেল শুকুরসী ঘাট দুলালের দোকান ও বালুঘাট পাম্পে প্রতিনিয়ত বিক্রি করছে। প্রতি রাতই তারাবো সুলতানা কামাল সেতু থেকে কাঁচপুর সেতু পর্যন্ত মালবাহী জাহাজে ছিনতাই, ডাকাতির মতো ঘটনাও ঘটিয় থাকে, সোনালী পেপার মিলে চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে। এর পর থেকে শাহীন এলাকায় চোরা শাহীন নামে পরিচিতি পায়। এরপর পেপার মিলের নৈশ্যপ্রহরী ছলিম উদ্দিনকে হত্যা করে অপরাধ জগতে প্রবেশ করে শাহীন। শাহীনের বিরুদ্ধে রপগঞ্জ থানায় হত্যা, ডাকাতি, মাদক, চাঁদাবাজি, চুরি, ধর্ষণসহ ১১টি মামলা রয়েছে।
ভুক্তভাগী একাধিক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, টাটকী এলাকায় নতুন কোনো বাড়ি করলেই শাহীন বাহিনীকে চাঁদা দিতে হয়। তারাবো পৌর আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলাম চৌধুরীর ছত্রছায়ায় এসব অপর্কম করছে শাহীন বাহিনী। এ বাহিনীর অন্য সদস্যরা হলো, আকাশ, শ্যামল, নাঈম, পিচি নাহিদ, ভাতিজা শাহিন. দিপু, দীপ্তসহ ১৫/২০জন। এলাকাবাসী চারা শাহীন ও তার বাহিনীকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
এ ব্যাপার শাহীনের ভাই আজগর আলী জানান, একটি চক্র আমাদের বিরুদ্ধে এসব মিথ্যা অভিযোগ করো থাকতে পারে। মামলাগুলোও বিভিন্ন সময় চক্রান্ত করে দায়ের করা হয়েছে।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী জানান, শাহীনের বিরুদ্ধে একাধিক গ্রেপ্তারী পরোয়ানা রয়েছে। শাহীন গা ঢাকা দিয়ে পালিয়ে এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ তাকে খুঁজছে, যে কোনো সময় গ্রেপ্তার করে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।