ঢাকা ০১:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ:-
আজ ১২ রবিউল আউয়াল, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) জাপা কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও হামলার ঘটনার নিন্দা বিএনপির গাইবান্ধায় ফুফা সেজে বিশ্বাস ভঙ্গ, বাঁশঝাড়ে নির্মম সংঘবদ্ধ ধর্ষণ নুরাল পাগলের লাশ তুলে আগুন, দরবারে হামলা-ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ রাজবাড়ীতে নুরাল পাগলার দরবারে হামলা-সংঘর্ষ- অগ্নিসংযোগে নিহত-১, আহত অর্ধশত এবার গণঅধিকার পরিষদের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জাপা’র মহাসচিবের মুন্সীগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপে ভয়াবহ সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ-৮ ফের জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ফরিদগঞ্জে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রা সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী সাইফুর রহমানের ১৬তম শাহাদাত বার্ষিকী আজ নারায়ণগঞ্জে নবনিযুক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসীম উদ্দিনের যোগদান গ্রেপ্তারের ১ দিনের মাথায় রূপগঞ্জ থেকে শুটার রিয়াজের বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করলো র‍্যাব-১১ জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও তার স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা সোনারগাঁয়ে গ্যাসের চুলা জ্বালাতেই বিস্ফোরণ, শিশুসহ একই পরিবারের দগ্ধ-৫ রূপগঞ্জে ডিবি পরিচয়ে অপহৃত ইউপি চেয়ারম্যান নাসির উদ্ধার, আটক-১ পাথর মেরে মানুষ হত্যার ইতিহাস আর রচনা করতে চাইনা- মুফতি সৈয়দ রেজাউল করিম রাজধানীতে সোহাগ পরিবহন অফিসে হামলা: কুপিয়ে জখম  জাফলংয়ে ঘুরতে গিয়ে রূপগঞ্জের চিহ্নিত শীর্ষ সন্ত্রাসী শুটার রিয়াজ গ্রেপ্তার দেশের বাজারে আরও বাড়লো স্বর্ণের দাম না’গঞ্জের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করণে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জে একটি তুলার গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড না’গঞ্জের বৃহৎ দিগুবাবুর বাজারে পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে অর্থদন্ড ৮০৪ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ টেকনাফে ৩০ হাজার ইয়াবাসহ তিন পাচারকারী আটক গাইবান্ধায় দুর্গাপূজার প্রতিমায় দুর্বৃত্তদের অগ্নিসংযোগ  পূর্ব সুন্দরবনের দু’সহস্রাধিক জেলেরা বনদস্যু আতঙ্কে বিএনপির ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ঈশ্বরদীতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শতবর্ষী অদম্য ফজিলাতুন্নেছার পাশে না’গঞ্জের জেলা প্রশাসক জাহিদুল জেলা প্রশাসকের নাম ভাঙিয়ে অধিগ্রহনের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ নাসিকের প্রশাসক হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পেলেন আবু নছর মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ‘ডাকসু নির্বাচন’ বাম সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ পিনাকীর এবার সেনাবাহিনীর শীর্ষ পদে রদবদল, নতুন দায়িত্বে ৬ কর্মকর্তা এবার ৩৮ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে বরখাস্ত হলেন সহকারী কর কমিশনার শরণখোলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনসহ ইউএনও’র উদ্যোগ সর্বমহলে প্রশংসিত ডাকসু নির্বাচন স্থগিত করেছে হাইকোর্ট নারায়ণগঞ্জে ফ্রিজ বিস্ফোরণ; অগ্নিদগ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে মানবিক ডিসি জাহিদুল খুলনায় রূপসা নদী থেকে ফের সাংবাদিকের মরদেহ উদ্ধার না’গঞ্জে মাথাবিহীন লাশের পরিচয় সনাক্তসহ হত্যাকান্ডে জড়িত গ্রেপ্তার-২ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ম্যানেজিং কমিটি থেকে বাদ রাজনৈতিক নেতারা, নতুন বিধান যুক্ত টেকনাফে পুলিশের অভিযানে ৪ হাজার ইয়াবাসহ আটক-১  গাইবান্ধায় বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ভাঙচুর কার্যালয় না’গঞ্জে ভ্রাম্যমাণ অভিযানে অর্থদন্ডসহ ১১১ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ আলোচিত মেরুন টি-শার্ট পরা সেই ব্যক্তি ছিলেন পুলিশের কনস্টেবল না’গঞ্জে এনআর গার্মেন্টস’র ছাঁদ থেকে লাফিয়ে পরে নারী শ্রমিকের আত্মহনন ফতুল্লায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মা-মেয়ের মর্মান্তিক মৃত্যু থমথমে পরিস্থিতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে, সব পরীক্ষা স্থগিত ফের বিএনপি-জামায়াত-এনসিপির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বৈঠক টেকনাফে ১০ হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক-২ টানা তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে আজ থেকে সুন্দরবনের দ্বার খুলছে রায়পুরা সংসদীয় আসন রাখতে মহাসড়কে বিক্ষোভ-মানববন্ধন ‘মব ভায়োলেন্স’ ঠেকাতে বলপ্রয়োগে বাধ্য হয় সেনাবাহিনী: আইএসপিআর নারায়ণগঞ্জে অগ্নিদগ্ধ নারী শিশুসহ একই পরিবারের ৬ সদস্যের মর্মান্তিক মৃত্যু ফেসবুকে ছড়িয়ে পরা অস্ত্র হাতে ভাইরাল যুবক পুলিশের জালে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে লতিফ সিদ্দিকীসহ ১৬ জন গ্রেপ্তার নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে সাংবাদিক পরিচয়ধারী দালাল গ্রেপ্তার না’গঞ্জে ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের সম্মুখ্যে অ্যাম্বুলেন্সে আগুন, দগ্ধ-৩ জরাজীর্ণ অবকাঠামোতেই চলছে শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা গর্ভবতীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আয়রন ট্যাবলেট এবং ডেঙ্গুর কীট বিতরন কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শেষ হলো না’গঞ্জ বারের ভোট গ্রহন, চলছে ভোট গননা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা প্রত্যাশীদের জন্য ঢাকাস্থ দূতাবাসের বার্তা নাসিক ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের ৭৭৫ কোটি ৩৩ লাখ ৭৮ হাজার টাকার বাজেট ঘোষণা ঝিনাইদহে চাচিকে ধর্ষণ করতে গিয়ে বটির কোপে গোপনাঙ্গ হারালেন ভাতিজা নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে মাথাবিহীন অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার সুন্দরবনে ৭ জেলে অপহরণ,মুক্তিপন দাবি জলদস্যুদের নারায়ণগঞ্জে পাসপোর্ট করতে এসে রোহিঙ্গা নারী আটক ডিএমপিতে নতুন ডিবিপ্রধান হলেন শফিকুল ইসলাম  আজ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৯তম প্রয়াণ দিবস না’গঞ্জে ভূয়া চিকিৎসক সনাক্ত, ১ লক্ষ টাকা অর্থদন্ডসহ ডেন্টাল কেয়ার বন্ধ  সিলেট বিভাগে শ্রেষ্ঠ এসপি মৌলভীবাজারের জাহাঙ্গীর হোসেন সুন্দরবনে শুরু হচ্ছে মাছ ধরা: অপরাধ রোধে বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জে ড্রেনে জমে থাকা গ্যাস বিস্ফোরণ; আহত-৩  হাইকোর্টে একসঙ্গে ২৫ বিচারপতি নিয়োগ সারাদেশে একযোগে ২৩০ বিচারককে বদলি ‘মিট দ্য প্রেসে’ বিগত সময়ে বিএনপিতে মাসুদের অবদানের কথা জানালেন এটিএম কামাল একযোগে ৩৪ পুলিশ কর্মকর্তাকে বদলি নারায়ণগঞ্জের এসপি বদলি, স্থলাভিষিক্ত জসীম উদ্দিন ইউনিয়নগুলোতে ১’শ ডাস্টবিন স্থাপন করা হবে- ডিসি দলীয় শোকজের জবাব দেবেন বিএনপি নেতা এ্যাড. ফজলুর রহমান ‘নিউইয়র্কে উপদেষ্টা মাহফুজসহ বাংলাদেশ কনস্যুলেটে আওয়ামী লীগের হামলা’ দেশের ৬টি জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ সোনারগাঁয়ে চুন কারখানাসহ ৫ হাজার অবৈধ আবাসিক গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন প্রচন্ড গতিতে ধেয়ে আসছে শক্তিশালী ঝড় কাজিকি আমরা ভালো ক্রীড়াবিদ হয়ে বিশ্বের দরবারে দেশকে রিপ্রেজেন্ট করতে চাই; ডিসি জাহিদুল  সকলের প্রচেষ্টায় না’গঞ্জের ক্রীড়াঙ্গণের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনব; মাসুদুজ্জামান শতকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ফতুল্লার ক্রিকেট স্টেডিয়াম করুনাবস্থায় : বিসিবি সভাপতি দক্ষ ও প্রশিক্ষিত চালক গড়তে প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত আগামী ৬ই সেপ্টেম্বর পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী টেকনাফে ১৮ হাজার ইয়াবাসহ আটক-১ বাগেরহাটে ৪টি সংসদীয় আসন বহালের দাবিতে জেলাজুড়ে হরতাল-অবরোধ পালিত রাজধানীতে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ’লীগের ঝটিকা মিছিল থেকে আটক-৩ এবার বাবার পর পুত্র কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদি গ্রেপ্তার মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জের বিএনপির দুই নেতাকে বহিষ্কার ফ্রিজের কম্প্রে‌সার বিস্ফোরণ; সিদ্ধিরগঞ্জে নারী ও শিশুসহ একই পরিবারের দগ্ধ-৯ বর্ধিত বাস ভাড়া প্রত্যাহারের ‘২৪ ঘন্টা না পেরোতেই’ ফের ৬২ করার দাবি বাস মালিকদের  জীবনের শেষ লেখায় অনেক অভিযোগসহ প্রশ্ন রেখে গেলেন সাংবাদিক বিভুরঞ্জন উচ্চশিক্ষায় ডুওলিংগো টেস্ট: প্রস্তুতি, সুযোগ ও গ্রহণযোগ্যতা গজারিয়ার মেঘনা নদীতে মিলল নিখোঁজ সাংবাদিক বিভুরঞ্জনের মরদেহ তোপের মুখে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে বর্ধিত বাস ভাড়া প্রত্যাহার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নের হুমকি, গ্রাহকদের যে বার্তা দিলো তিতাস না’গঞ্জে জাল সার্টিফিকেট তৈরির দায়ে দোকান মালিকের জরিমানাসহ কারাদণ্ড

মুন্সীগঞ্জে গণআন্দোলনে তাওহীদের শরীরে বৃদ্ধ গুলি এখনো বহন করছে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময়- ০৭:১৪:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬২ বার পড়া হয়েছে

মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ

 

বৈষম্যবিরোধে আন্দোলনে স্কুল ছাত্র তাওহিদের শরীরে বৃদ্ধ হয় ২২টি গুলি।এখনো তার শরীরে বহন করছেন ৭টি গুলি।দেড় মাসেরও অধিক সময় ধরে শরীরে এখনো ৭টি গুলি বহন করে চলেছে সে। চিকিৎসকরা অপারেশন করে ইতিমধ্যে তার শরীর হতে ১৫টি গুলি বের করে এনেছেন।তাওহিদ মুন্সীগঞ্জের টংঙ্গীবাড়ী উপজেলার বালিগাওঁ গ্রামের আবুল কালামের ছেলে।সে বালিগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র।তার বাবা আবুল কালাম পেশায় একজন কৃষক।তাওহিদ গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে মুন্সীগঞ্জ সুপার মার্কেট এলাকায় অংশগ্রহণ করেছিলেন।ওই আন্দোলন চলাকালীন সময়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ তাদের ওপর গুলি ছুড়লে তাওহিদের দু চোখ-কান কপাল মাথাসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে মোট ২২টি গুলিবিদ্ধ হয়।চোখে গুলিবিদ্ধ হওয়ার  দু-চোখে কোন কিছুই দেখছিলোনা সে।চোখ দিয়ে ঝড়ছিল রক্ত।মুহুমুহু গুলির শব্দে বাচঁতে চোখ বুজেঁই রাস্তা দিয়ে দৌড়াচ্ছিলো।পরে তার গুলিবৃদ্ধ অবস্থা দেখতে পেয়ে অন্যা আন্দোলনকারীরা তাকে নিয়ে যায় মুন্সীগঞ্জের গোয়লপাড়ায় নাসরিন বেগম নামের এক নারীর বাসায়।সে সময় হাসপাতাল এলাকাসহ বিভিন্নস্থানে পুলিশ ও সরকার দলীয় লোকজনের হামলা চলছিল।তাই তাওহিদকে ডাক্তার দেখানো সম্ভব হয়নি।ওই বাড়িতেই মৃত্যুর যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিল সে।বিনা চিকিৎসায় সারাদিন ও একরাত আতঙ্ক ভয়ে পুরো রাত জেগে কাটে তার এদিকে ছেলের গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পান তার বাবা আবুল কালাম।ছেলেকে দেখতে ছেলের আশ্রয় নেওয়ার স্থানের কাছে এসেও একদিকে যানবাহন সংকট অন্যদিকে আশ্রয়দাতার বাধাঁর মুখে ওই সময় দেখতে পারেননি ছেলেকে। আশ্রয়দাতা নাসরিন বেগম ভয়ে সে সময় তাওহিদের বাবাকে তার বাড়ির ঠিকানা দেননি। তাছাড়া বারণ করেছিলেন তার বাড়িতে আসতে। কারণ তিনি ওই সময় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অনেকেই বাড়িতে গোপনে আশ্রয় দিয়েছিলেন।বিষয়টি জানাজানি হলে আটক হতে পারেন পুলিশের হাতে সে ভয়ে বার বার বাড়িতে আসতে নিষেধ করেন তাওহিদের বাবাকে।ঠিকানা না পেয়ে তাওহিদের বাবা ছেলের আশ্রয়দাতার বাড়ির আশে-পাশের স্থাণ দিয়ে ঘুরে ফিরে যান বাড়িতে।বাড়িতে ফিরে দেখেন স্ত্রী তাওহিদের মা ছেলের শোকে হার্ট অ্যাটাক করেছেন মুখ বাঁকা হয়ে গেছে তার।ডাক্তার দেখবেন ডাক্তারও পাচ্ছিলো না সে সময়।একদিকে ছেলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় অন্য বাড়িতে আশ্রয়ে অন্যদিকে স্ত্রীর হার্ট অ্যাটাকে কাতর হয়ে পরেন মনির হোসেন।তারপরেও যোগাযোগ রাখছিলেন ছেলের আশ্রয়দাতা নাসরিন বেগমের সাথে।পরে নাসরিন বেগম বলেন ভোর রাত ৫টার দিকে সে সময় মানুষজন রাস্তাঘাটে ততো থাকেনা যদি তাওহিদের বাবা অন্য কোন মহিলাকে সাথে নিয়ে আশ্রয়দাতা নাসরিনের বাড়িতে যায় তবে গোপনে তাওহিদকে তুলে দিবেন তাদের হাতে।ছেলেকে পেতে আশ্রয়দাতার শর্ত অনুযায়ী ৫ আগষ্ট ভোর রাত ৪টার দিকে তাওহিদের চাচিকে সাথে নিয়ে ছুটে যান তাওহিদের বাবা ২০ কিলোমিটার দূরে আশ্রয়দাতার বাড়িতে।পরে আশ্রয়দাতা তাওহিদকে তুলে দেন তার পিতার হতে।৫ আগস্ট ভোরে তাওহিদকে নিয়ে তার বাবা চলে আসেন বাড়িতে।  সে সময় চিকিৎসা দেওয়ার সুযোগ ছিলনা।তাই বাড়িতেই রেখে দেন ছেলেকে।পরে ৬ আগস্ট দেখেন ছেলের পেটে বৃদ্ধ গুলির স্থানগুলো পেকে সাদা হয়ে রয়েছে।মনির হোসেন নিজেই তাওহিদের পেটে চাপ দিয়ে বের করে আনেন ৪টি গুলি।পরে ৬ আগস্ট তারিখে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।কিন্তু ওই হাসপাতালে তাওহিদের শরীর হতে কোন গুলি বের করেনি।পরে ১৬ আগষ্ট তাকে নেওয়া হয় ঢাকাস্থ আগারগাঁওয়ের সেনাবাহিনী পরিচালিত সিএমএম হাসপাতালে ওখানে নেওয়ার পরে ১৭ আগস্ট ৩টা ২৪ আগস্ট ৪টা এভাবে মোট ১৫টি গুলি বের করা হয়।এখনো তাওহিদের শরীরে ৭টি গুলি রয়েছে।এ ব্যাপারে তাওহিদ বলেন,বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্য গত ৪ আগস্ট তিন বন্ধুকে সাথে নিয়ে সকাল ৭টায় বাড়ি হতে বেরিয়ে পরি। মুন্সীগঞ্জ সদরের সুপার মার্কেট এলাকায় যাওয়ার পরে দেখি সে সময় অল্প কয়জন লোক হয়েছে। তখন পুলিশ কিছুতেই রাস্তায় আমাদের দাঁড়াতে দিচ্ছিলো না।পরে আমরা এদিক সেদিক ঘুড়াঘুড়ি করছিলাম।বেলা বাড়ার সাথে সাথে অনেক লোকজন আসতে থাকে।পরে আমরা মুন্সীগঞ্জ সুপার মার্কেট এলাকায় দাঁড়িয়ে আন্দোলন করতে থাকি।বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ আমাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে আমার শরীরে মোট ২২টি গুলি লাগে।আমার দু-চোখেও গুলি লাগায় আমি চোখে কিছুই দেখতেছিলামনা।তখন চারদিকে গুলির শব্দ হচ্ছিল।আমি ভয়ে রাস্তা দিয়ে চোখ বুজে দৌড়াচ্ছিলাম।গুলি লাগায় আমার চোখ দিয়ে রক্ত ঝড়ছিল।সে সময় অন্য আন্দোলনকারী বন্ধুরা আমাকে মুন্সীগঞ্জ শহরের গোয়লপাড়া গ্রামের একটি বাড়িতে নিয়ে যায়।ওখানে নাসরিন বেগম নামের এক মহিলা আমাদের অনেক অন্দোলনকারীদের আশ্রয় দেয়।ওই ভদ্র মহিলার স্বামী বিদেশে থাকেন।ওনি আমাদের খুব কষ্টে বাড়ির মধ্যে লুকিয়ে রাখেন।একদিকে শরীরে যন্ত্রণা অন্যদিকে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের লোকজনের ভয়ে খুব আতঙ্কে সময় কাটছিলো আমাদের। সারারাত ভয়ে আতঙ্কে কাটিয়ে দেই।পরে সকালে বাবা গিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসে আমাকে।এসে দেখি মা হার্ট অ্যাটাক করেছে মুখ বাঁকা হয়ে আছে।পরে আমি বাবাকে বলি আমাকে বাইরে নিলে সমস্যা হতে পারে আমার কিছু হবেনা তুমি মাকে ডাক্তার দেখাও।বাবা মাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যায়।পরে দুপুরে শুনি দেশ স্বাধীন হয়েছে আমরা মুক্ত হয়েছি। পরে আমি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ও সিএমএম হাসপাতালে চিকিৎসা নেই।আমার দু-চোখে কপালে ও মাথায় এখনো ৭টি গুলি আছে। ডাক্তার বলছে আস্তে আস্তে বের করতে হবে।মাঝে মধ্যেই খুব যন্ত্রণা হয়।আমার চিকিৎসা চলছে।এ ব্যাপারে তাওহিদের বাবা মনির হোসেন বলেন, তাওহিদ আমাদের না বলেই আন্দোলনে গিয়েছিল। আমি বিষয়টি জানতাম না।গুলি লাগার পরে আমার ছোট ছেলে আমাকে বলে ভাইয়া আন্দোলনে গিয়ে গুলি খেয়েছে এক বাড়িতে আছে।আমি ছুটে যাই সেই বাড়ির কাছে।কিন্তু যে মহিলা ওকে আশ্রয় দিয়েছে সেই মহিলা আমাকে জানায় আপনি এখোন বাড়িতে আসলে আমার বিপদ হবে।তাছাড়া এখানে অনেক আন্দোলনকারীরা আছে তাদেরও বিপদ হবে।তাই আমি আমার ছেলের সাথে দেখাটাও করতে পারছিলাম না।পরে বাড়িতে ফিরে এসে দেখি স্ত্রী হার্ট অ্যাটাক করেছে।মুখ বাঁকা হয়ে গেছে।সব বন্ধ ডাক্তার দেখাবো সেই স্থানও নাই।আমি সবসময় আমার ছেলেকে আশ্রয় দেওয়া ওই মহিলার সাথে যোগাযোগ করছিলাম।মহিলা আমাকে ৫ তারিখ ভোর ৫টা বাঁজে তাওহিদের মায়ের বয়সী কাউকে নিয়ে যেতে বলে।পরে আমি তাওহিদের চাচিকে সাথে নিয়ে ওই বাড়িতে গেলে ওই মহিলা তাওহিদকে আমার হাতে তুলে দেয়।বাড়িতে এনে  আমি তাওহিদকে ভয়ে চিকিৎসাও দিতে পারছিলাম না।নিজেই তাওহিদের পেটে বৃদ্ধ  ৪ গুলি বের করে আনি।এখোন ওকে সিএমএম হাসপাতালে চিকিৎসা দিচ্ছি।ওর দুচোখে কপালে মাথায় এখনো ৭ গুলি রয়েছে।ডাক্তার বলছে একেক করে বের করবে।তিনি আরো বলেন,ওই সমস্ত গুলি বের করতে যদি টাকা পয়সা কম খরচ হয় তাহলে আমি বহন করতে পারাবো আর টাকা বেশি লাগলে আমার পক্ষে বহন করা সম্ভব হবেনা। আমি কৃষক মানুষ। গত ২৩ সেপ্টেম্বর বিকালে টংঙ্গীবাড়ী প্রেসক্লাবে জামায়াতে ইসলামির অর্থ সহায়তা নিতে এসে এসব কথা বলেন তাওহিদ ও তার বাবা মনির হোসেন।

নিউজটি শেয়ার করুন..

ট্যাগস:-

মুন্সীগঞ্জে গণআন্দোলনে তাওহীদের শরীরে বৃদ্ধ গুলি এখনো বহন করছে

আপডেট সময়- ০৭:১৪:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ

 

বৈষম্যবিরোধে আন্দোলনে স্কুল ছাত্র তাওহিদের শরীরে বৃদ্ধ হয় ২২টি গুলি।এখনো তার শরীরে বহন করছেন ৭টি গুলি।দেড় মাসেরও অধিক সময় ধরে শরীরে এখনো ৭টি গুলি বহন করে চলেছে সে। চিকিৎসকরা অপারেশন করে ইতিমধ্যে তার শরীর হতে ১৫টি গুলি বের করে এনেছেন।তাওহিদ মুন্সীগঞ্জের টংঙ্গীবাড়ী উপজেলার বালিগাওঁ গ্রামের আবুল কালামের ছেলে।সে বালিগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র।তার বাবা আবুল কালাম পেশায় একজন কৃষক।তাওহিদ গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে মুন্সীগঞ্জ সুপার মার্কেট এলাকায় অংশগ্রহণ করেছিলেন।ওই আন্দোলন চলাকালীন সময়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ তাদের ওপর গুলি ছুড়লে তাওহিদের দু চোখ-কান কপাল মাথাসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে মোট ২২টি গুলিবিদ্ধ হয়।চোখে গুলিবিদ্ধ হওয়ার  দু-চোখে কোন কিছুই দেখছিলোনা সে।চোখ দিয়ে ঝড়ছিল রক্ত।মুহুমুহু গুলির শব্দে বাচঁতে চোখ বুজেঁই রাস্তা দিয়ে দৌড়াচ্ছিলো।পরে তার গুলিবৃদ্ধ অবস্থা দেখতে পেয়ে অন্যা আন্দোলনকারীরা তাকে নিয়ে যায় মুন্সীগঞ্জের গোয়লপাড়ায় নাসরিন বেগম নামের এক নারীর বাসায়।সে সময় হাসপাতাল এলাকাসহ বিভিন্নস্থানে পুলিশ ও সরকার দলীয় লোকজনের হামলা চলছিল।তাই তাওহিদকে ডাক্তার দেখানো সম্ভব হয়নি।ওই বাড়িতেই মৃত্যুর যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিল সে।বিনা চিকিৎসায় সারাদিন ও একরাত আতঙ্ক ভয়ে পুরো রাত জেগে কাটে তার এদিকে ছেলের গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পান তার বাবা আবুল কালাম।ছেলেকে দেখতে ছেলের আশ্রয় নেওয়ার স্থানের কাছে এসেও একদিকে যানবাহন সংকট অন্যদিকে আশ্রয়দাতার বাধাঁর মুখে ওই সময় দেখতে পারেননি ছেলেকে। আশ্রয়দাতা নাসরিন বেগম ভয়ে সে সময় তাওহিদের বাবাকে তার বাড়ির ঠিকানা দেননি। তাছাড়া বারণ করেছিলেন তার বাড়িতে আসতে। কারণ তিনি ওই সময় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অনেকেই বাড়িতে গোপনে আশ্রয় দিয়েছিলেন।বিষয়টি জানাজানি হলে আটক হতে পারেন পুলিশের হাতে সে ভয়ে বার বার বাড়িতে আসতে নিষেধ করেন তাওহিদের বাবাকে।ঠিকানা না পেয়ে তাওহিদের বাবা ছেলের আশ্রয়দাতার বাড়ির আশে-পাশের স্থাণ দিয়ে ঘুরে ফিরে যান বাড়িতে।বাড়িতে ফিরে দেখেন স্ত্রী তাওহিদের মা ছেলের শোকে হার্ট অ্যাটাক করেছেন মুখ বাঁকা হয়ে গেছে তার।ডাক্তার দেখবেন ডাক্তারও পাচ্ছিলো না সে সময়।একদিকে ছেলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় অন্য বাড়িতে আশ্রয়ে অন্যদিকে স্ত্রীর হার্ট অ্যাটাকে কাতর হয়ে পরেন মনির হোসেন।তারপরেও যোগাযোগ রাখছিলেন ছেলের আশ্রয়দাতা নাসরিন বেগমের সাথে।পরে নাসরিন বেগম বলেন ভোর রাত ৫টার দিকে সে সময় মানুষজন রাস্তাঘাটে ততো থাকেনা যদি তাওহিদের বাবা অন্য কোন মহিলাকে সাথে নিয়ে আশ্রয়দাতা নাসরিনের বাড়িতে যায় তবে গোপনে তাওহিদকে তুলে দিবেন তাদের হাতে।ছেলেকে পেতে আশ্রয়দাতার শর্ত অনুযায়ী ৫ আগষ্ট ভোর রাত ৪টার দিকে তাওহিদের চাচিকে সাথে নিয়ে ছুটে যান তাওহিদের বাবা ২০ কিলোমিটার দূরে আশ্রয়দাতার বাড়িতে।পরে আশ্রয়দাতা তাওহিদকে তুলে দেন তার পিতার হতে।৫ আগস্ট ভোরে তাওহিদকে নিয়ে তার বাবা চলে আসেন বাড়িতে।  সে সময় চিকিৎসা দেওয়ার সুযোগ ছিলনা।তাই বাড়িতেই রেখে দেন ছেলেকে।পরে ৬ আগস্ট দেখেন ছেলের পেটে বৃদ্ধ গুলির স্থানগুলো পেকে সাদা হয়ে রয়েছে।মনির হোসেন নিজেই তাওহিদের পেটে চাপ দিয়ে বের করে আনেন ৪টি গুলি।পরে ৬ আগস্ট তারিখে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।কিন্তু ওই হাসপাতালে তাওহিদের শরীর হতে কোন গুলি বের করেনি।পরে ১৬ আগষ্ট তাকে নেওয়া হয় ঢাকাস্থ আগারগাঁওয়ের সেনাবাহিনী পরিচালিত সিএমএম হাসপাতালে ওখানে নেওয়ার পরে ১৭ আগস্ট ৩টা ২৪ আগস্ট ৪টা এভাবে মোট ১৫টি গুলি বের করা হয়।এখনো তাওহিদের শরীরে ৭টি গুলি রয়েছে।এ ব্যাপারে তাওহিদ বলেন,বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্য গত ৪ আগস্ট তিন বন্ধুকে সাথে নিয়ে সকাল ৭টায় বাড়ি হতে বেরিয়ে পরি। মুন্সীগঞ্জ সদরের সুপার মার্কেট এলাকায় যাওয়ার পরে দেখি সে সময় অল্প কয়জন লোক হয়েছে। তখন পুলিশ কিছুতেই রাস্তায় আমাদের দাঁড়াতে দিচ্ছিলো না।পরে আমরা এদিক সেদিক ঘুড়াঘুড়ি করছিলাম।বেলা বাড়ার সাথে সাথে অনেক লোকজন আসতে থাকে।পরে আমরা মুন্সীগঞ্জ সুপার মার্কেট এলাকায় দাঁড়িয়ে আন্দোলন করতে থাকি।বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ আমাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে আমার শরীরে মোট ২২টি গুলি লাগে।আমার দু-চোখেও গুলি লাগায় আমি চোখে কিছুই দেখতেছিলামনা।তখন চারদিকে গুলির শব্দ হচ্ছিল।আমি ভয়ে রাস্তা দিয়ে চোখ বুজে দৌড়াচ্ছিলাম।গুলি লাগায় আমার চোখ দিয়ে রক্ত ঝড়ছিল।সে সময় অন্য আন্দোলনকারী বন্ধুরা আমাকে মুন্সীগঞ্জ শহরের গোয়লপাড়া গ্রামের একটি বাড়িতে নিয়ে যায়।ওখানে নাসরিন বেগম নামের এক মহিলা আমাদের অনেক অন্দোলনকারীদের আশ্রয় দেয়।ওই ভদ্র মহিলার স্বামী বিদেশে থাকেন।ওনি আমাদের খুব কষ্টে বাড়ির মধ্যে লুকিয়ে রাখেন।একদিকে শরীরে যন্ত্রণা অন্যদিকে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের লোকজনের ভয়ে খুব আতঙ্কে সময় কাটছিলো আমাদের। সারারাত ভয়ে আতঙ্কে কাটিয়ে দেই।পরে সকালে বাবা গিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসে আমাকে।এসে দেখি মা হার্ট অ্যাটাক করেছে মুখ বাঁকা হয়ে আছে।পরে আমি বাবাকে বলি আমাকে বাইরে নিলে সমস্যা হতে পারে আমার কিছু হবেনা তুমি মাকে ডাক্তার দেখাও।বাবা মাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যায়।পরে দুপুরে শুনি দেশ স্বাধীন হয়েছে আমরা মুক্ত হয়েছি। পরে আমি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ও সিএমএম হাসপাতালে চিকিৎসা নেই।আমার দু-চোখে কপালে ও মাথায় এখনো ৭টি গুলি আছে। ডাক্তার বলছে আস্তে আস্তে বের করতে হবে।মাঝে মধ্যেই খুব যন্ত্রণা হয়।আমার চিকিৎসা চলছে।এ ব্যাপারে তাওহিদের বাবা মনির হোসেন বলেন, তাওহিদ আমাদের না বলেই আন্দোলনে গিয়েছিল। আমি বিষয়টি জানতাম না।গুলি লাগার পরে আমার ছোট ছেলে আমাকে বলে ভাইয়া আন্দোলনে গিয়ে গুলি খেয়েছে এক বাড়িতে আছে।আমি ছুটে যাই সেই বাড়ির কাছে।কিন্তু যে মহিলা ওকে আশ্রয় দিয়েছে সেই মহিলা আমাকে জানায় আপনি এখোন বাড়িতে আসলে আমার বিপদ হবে।তাছাড়া এখানে অনেক আন্দোলনকারীরা আছে তাদেরও বিপদ হবে।তাই আমি আমার ছেলের সাথে দেখাটাও করতে পারছিলাম না।পরে বাড়িতে ফিরে এসে দেখি স্ত্রী হার্ট অ্যাটাক করেছে।মুখ বাঁকা হয়ে গেছে।সব বন্ধ ডাক্তার দেখাবো সেই স্থানও নাই।আমি সবসময় আমার ছেলেকে আশ্রয় দেওয়া ওই মহিলার সাথে যোগাযোগ করছিলাম।মহিলা আমাকে ৫ তারিখ ভোর ৫টা বাঁজে তাওহিদের মায়ের বয়সী কাউকে নিয়ে যেতে বলে।পরে আমি তাওহিদের চাচিকে সাথে নিয়ে ওই বাড়িতে গেলে ওই মহিলা তাওহিদকে আমার হাতে তুলে দেয়।বাড়িতে এনে  আমি তাওহিদকে ভয়ে চিকিৎসাও দিতে পারছিলাম না।নিজেই তাওহিদের পেটে বৃদ্ধ  ৪ গুলি বের করে আনি।এখোন ওকে সিএমএম হাসপাতালে চিকিৎসা দিচ্ছি।ওর দুচোখে কপালে মাথায় এখনো ৭ গুলি রয়েছে।ডাক্তার বলছে একেক করে বের করবে।তিনি আরো বলেন,ওই সমস্ত গুলি বের করতে যদি টাকা পয়সা কম খরচ হয় তাহলে আমি বহন করতে পারাবো আর টাকা বেশি লাগলে আমার পক্ষে বহন করা সম্ভব হবেনা। আমি কৃষক মানুষ। গত ২৩ সেপ্টেম্বর বিকালে টংঙ্গীবাড়ী প্রেসক্লাবে জামায়াতে ইসলামির অর্থ সহায়তা নিতে এসে এসব কথা বলেন তাওহিদ ও তার বাবা মনির হোসেন।